ইসলামী

  • ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক

    বাণী

    ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক
    দোস্ত ও দুশমন পর ও আপন
    সবার মহল আজ হউক রওনক।।
    যে আছ দূরে যে আছ কাছে,
    সবারে আজ মোর সালাম পৌঁছে।
    সবারে আজ মোর পরান যাচে
    সবারে জানাই এ দিল আশ্‌ক।।
    এ দিল যাহা কিছু সদাই চাহে
    দিলাম যাকাত খোদার রাহে
    মিলিয়া ফকির শাহান্‌শাহে
    এ ঈদগাহে গাহুক ইয়াহক্‌।
    এনেছি শিরনি প্রেম পিয়ালার
    এসো হে মোমিন কর হে ইফতার
    প্রেমের বাঁধনে কর গেরেফ্‌তার
    খোদার রহম নামিবে বেশক্‌।।
    
  • ঈদ মোবারক হো

    বাণী

    ঈদ মোবারক হো —
    ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক ঈদ, ঈদ মোবারক হো —
    রাহেলিল্লাহ্‌কে আপনাকে বিলিয়ে দিল, কে হলো শহীদ।।
    যে	কোরবানি আজ দিল খোদায় দৌলৎ ও হাশমত্‌,
    যার	নিজের ব’লে রইলো শুধু আল্লা ও হজরত,
    যে	রিক্ত হয়ে পেল আজি অমৃত-তৌহিদ।।
    যে	খোদার রাহে ছেড়ে দিল পুত্র ও কন্যায়
    যে	আমি নয়, আমিনা ব’লে মিশলো আমিনায়।
    ওরে	তারি কোলে আসার লাগি’ নাই নবীজীর নিদ।।
    যে	আপন পুত্র আল্লারে দেয় শহীদ হওয়ার তরে
    	ক্বাবাতে সে যায় না রে ভাই নিজেই ক্বাবা গড়ে
    সে	যেখানে যায় – জাগে সেথা ক্বাবার উম্মিদ।।
    
  • ঈদ মোবারক হোক আজি

    বাণী

    ঈদ মোবারক হোক আজি ঈদ মোবারক হোক!
    সব ঘরে পঁহুচুক এ ঈদের চাঁদের আলোক।।
    যে আছে আজ প্রাণের কাছে, আছে আপন পুরে
    যে আছে পরদেশে যার লাগি নয়ন ঝুরে
    আজ সবারে বারে বারে খোশ খবরি কো’ক্।।
    আজের মত দিলে দিলে থাকুক মহাব্বত
    আজের মত খুশি থাকুক সবার তবিয়ত্,
    কারো যেন থাকে না আর দুঃখ-ব্যথা-শোক।।
    আজের মত এক জামাতে মিলন ঈদগাহে
    দাঁড়াই যেন চলি যেন খোদারই রাহে,
    দীন ইসলামের এ ক্যওমী যোশ জিন্দা হোক।।
    
  • ঈদজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ

    বাণী

    ঈদজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ এলো আবার দুস্‌রা ঈদ
    কোর্‌বানি দে কোর্‌বানি দে শোন্‌ খোদার ফর্‌মান তাকিদ।।
    এমনি দিনে কোর্‌বানি দেন পুত্রে হজরত ইব্‌রাহীম,
    তেমনি তোরা খোদার রাহে আয় রে হবি কে শহীদ্।।
    মনের মাঝে পশু যে তোর আজকে তা’রে কর্ জবেহ,
    পুল্‌সেরাতের পুল হ’তে পার নিয়ে রাখ্ আগাম রসিদ্।।
    গলায় গলায় মিল্ রে সবে ভুলে যা ঘরোয়া বিবাদ,
    মিলনের ঈদগাহ্‌ গড়ে তোল্‌ প্রাণ দিয়ে তার তোল্‌ বুনিয়াদ।।
    মিলনের আর্‌ফাত ময়দান হোক আজি গ্রামে গ্রামে,
    হজের অধিক পাবি সওয়াব এক হ’লে সব মুসলিমে।
    বাজবে আবার নূতন ক’রে দ্বীনি ডঙ্কা, হয় উমীদ্।।
    ইসমাইলের মতন যদি কোর্‌বানি পারিস হতে
    দেখব আবার তোদের মাঝে দিশারি মুসা, খালিদ।।
    
  • ঈদজ্জোহার তকবীর শোন ঈদ্গাহে

    বাণী

    ঈদজ্জোহার তকবীর শোন ঈদ্গাহে!
    (তোর) কোরবানিরই সামান নিয়ে চল্ রাহে।।
    কোরবানির রঙে রঙিন পর লেবাস্
    পিরহানে মাখ্‌রে ত্যাগের গুল্-সুবাস,
    হিংসা ভুলে প্রেমে মেতে
    ঈদগাহেরই পথে যেতে দে মোবারকবাদ দ্বীনের বাদ্শাহে।।
    খোদারে দে প্রাণের প্রিয়, শোন্ এ ঈদের মাজেরা
    যেমন পুত্র বিলিয়ে দিলেন খোদার নামে হাজেরা,
    	ওরে কৃপণ, দিস্‌নে ফাঁকি আল্লাহে।।
    তোর পাশের ঘরে গরীব কাঙাল কাঁদছে যে
    তুই তারে ফেলে ঈদ্গাহে যাস্ সঙ সেজে,
    	তাই চাঁদ উঠ্ল, এলো না ঈদ্
    	নাই হিম্মৎ, নাই উম্মিদ,
    শোন্ কেঁদে কেঁদে বেহেশ্‌ত হ’তে হজরত আজ কি চাহে।।
    
  • ঈদের খুশির তুফানে আজ ভাসলো

    বাণী

    ঈদের খুশির তুফানে আজ ভাসলো দো জাহান
    এই তুফানে ডুবু ডুবু জমিন ও আসমান।।
    ঈদের চাঁদের পানসি ছেড়ে বেহেশত হতে
    কে পাঠালো এত খুশি দুখের জগতে
    শোন ঈদগাহ হতে ভেসে আসে তাহারি আজান।।
    

    রেকর্ড-নাটিকা:‘ঈদুল ফেতর’

  • উঠুক তুফান পাপ-দরিয়ায়

    বাণী

    উঠুক তুফান পাপ-দরিয়ায় ওরে আমি কি তায় ভয় করি।
    			ও ভাই আমি কি তায় ভয় করি।
    পাক্কা ঈমান তক্তা দিয়ে গড়া যে আমার তরী।
    			ও ভাই গড়া যে আমার তরী।।
    ‌‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু'র পাল তুলে,
    ঘোর তুফানকে জয় ক'রে ভাই যাবই কূলে,
    মোহাম্মদ মোস্তফা নামের (ও ভাই) গুণের রশি ধরি'।।
    খোদার রাহে সঁপে দেওয়া ডুববে না মোর তরী,
    সওদা ক'রে ভিড়বে তীরে সওয়াব-মাণিক ভরি'।
    দাঁড় এ তরীর নামাজ, রোজা, হজ্ ও জাকাত,
    উঠুক না মেঘ, আসুক বিপদ — যত বজ্রপাত,
    আমি যাব বেহেশত্-বন্দরেতে রে এই সে কিশতিতে চড়ি'।।
    
  • উম্মত আমি গুনাহগার

    বাণী

    উম্মত আমি গুনাহগার তবু ভয় নাহি রে আমার।
    আহমদ আমার নবী যিনি খোদ্ হবিব খোদার।।
    যাঁহার উম্মত্ হ’তে চাহে সকল নবী,
    তাঁহারি দামন ধরি’ পুলসরাত হব পার।।
    	কাঁদিবে রোজ হাশরে সবে
    	যবে ‘নফ্‌সি য়্যা নফ্‌সি’ রবে,
    ‘য়্যা উম্মতী’ ব’লে একা কাঁদিবেন আমার মোখতার।।
    কাঁদিবেন সাথে মা ফাতেমা ধরিয়া আরশ্ আল্লার।
    হোসায়নের খুনের বদলায় মাফী চাই পাপী সবাকার।
    দোজখ্ হয়েছে হারাম যে-দিন পড়েছি কলেমা।
    যেদিন হয়েছি আমি কোরানের নিশান-বর্দার।।
    
  • এ কোন মধুর শরাব দিলে

    বাণী

    এ কোন্‌ মধুর শরাব দিলে আল আরাবি সাকি,
    নেশায় হলাম দিওয়ানা যে রঙিন হল আঁখি।।
    	তৌহিদের শিরাজি নিয়ে
    	ডাকলে সবায় যারে পিয়ে,
    নিখিল জগৎ ছুটে এলো রইল না কেউ বাকি।।
    বসলো তোমার মহ্‌ফিল দূর মক্কা মদিনাতে,
    আল্‌-কোরানের গাইলে গজল শবে কদর রাতে।
    	নরনারী বাদশা ফকির
    	তোমার রূপে হয়ে অধীর
    যা ছিল নজ্‌রানা দিল রাঙা পায়ে রাখি’।
    
  • এই সুন্দর ফুল সুন্দর ফল মিঠা নদীর পানি

    বাণী

    এই সুন্দর ফুল সুন্দর ফল মিঠা নদীর পানি
    		খোদা তোমার মেহেরবানী।
    শস্য-শ্যামল ফসল-ভরা মাঠের ডালিখানি
    		খোদা তোমার মেহেরবানী।।
    	তুমি কতই দিলে রতন
    	ভাই বেরাদর পুত্র স্বজন
    ক্ষুধা পেলেই অন্ন জোগাও মানি চাই না মানি।।
    খোদা তোমার হুকুম তরক করি আমি প্রতি পায়
    তবু আলো দিয়ে বাতাস দিয়ে বাঁচাও এ বান্দায়।
    	শ্রেষ্ঠ নবী দিলে মোরে
    	তরিয়ে নিতে রোজ-হাশরে
    পথ না ভুলি তাইতো দিলে পাক কোরানের বাণী।।
    

  • এলো রমজানেরি চাঁদ এবার দুনিয়াদারি ভোল

    বাণী

    এলো রমজানেরি চাঁদ এবার দুনিয়াদারি ভোল
    সারা বরষ ছিলি গাফেল এবার আঁখি খোল।।
    	এই একমাস রোজা রেখে
    	পরহেজ থাক গুনাহ থেকে
    কিয়ামতের নিয়ামত তোর ঝুলি ভরে তোল।।
    বন্দী রহে এই মাসে শয়তান মালাউন
    (তার) এই মাসে যা করবি সওয়াব দর্জা হাজার গুণ।
    	ভোগ বিলাসে মাখলি যে পাঁক
    	রমজানে তা হবে রে সাফ
    এফতারে তোর কর রে সামান আল্লা রসুল বোল।।
    
  • এলো আবার ঈদ ফিরে

    বাণী

    	এলো আবার ঈদ ফিরে এলো আবার ঈদ, চলো ঈদগাহে।
    	যাহার আশায় চোখে মোদের ছিল না রে নিদ, চলো ঈদ্গাহে।।
    	শিয়া সুন্নী, লা-মজহাবী একই জামাতে
    	এই ঈদ মোবারকে মিলিবে এক সাথে,
    	ভাই পাবে ভাইকে বুকে, হাত মিলাবে হাতে;
    আজ	এক আকাশের নীচে মোদের একই সে মসজিদ, চলো ঈদগাহে।।
    	ঈদ এনেছে দুনিয়াতে শিরণী বেহেশ্‌তী,
    	দুশ্‌মনে আজ গলায় ধ'রে পাতাব ভাই দোস্তী,
    	জাকাত দেব ভোগ-বিলাস আজ গোস্‌সা ও বদ্‌মস্তি;
    	প্রাণের তশ্‌তরীতে ভ'রে বিলাব তৌহীদ — চলো ঈদ্গাহে।।
    	আজিকার এই ঈদের খুশি বিলাব সকলে,
    	আজের মত সবার সাথে মিল্‌ব গলে গলে,
    	আজের মত জীবন-পথে চলব দলে দলে
    	প্রীতি দিয়ে বিশ্ব-নিখিল ক'রব রে মুরীদ্ — চলো ঈদগাহে।।
    
  • এলো ঈদল-ফেতর এলো

    বাণী

    	এলো ঈদল-ফেতর এলো ঈদ ঈদ ঈদ।
    	সারা বছর যে ঈদের আশায় ছিল নাক’ নিদ।।
    	রোজা রাখার ফল ফ’লেছে দেখ রে ঈদের চাঁদ,
    	সেহরী খেয়ে কাটল রোজা, আজ সেহেরা বাঁধ,
    			ওরে বাঁধ আমামা বাঁধ।
    	প্রেমাশ্রুতে ওজু ক’রে চল্ ঈদগাহ মসজিদ।।
    (আজ)	ছিটায় মনের গোলাব-পাশে খুশির গোলাব-পানি
    (আজ)	খোদার ইস্কের খুশবু-ভরা প্রাণের আতরদানি,
    	ভরল হৃদয়-তশ্‌তরিতে শিরনি তৌহিদ।।
    (দেখ্)	হজরতের হাসির ছটা ঈদের চাঁদে জাগে
    	সেই চাঁদেরই রং যেন আজ সবার বুকে লাগে,
    (এই)	দুনিয়াতেই মিটল ঈদে বেহেশ্‌তী উমিদ।।
    

    নাটিকা : ‘ঈদ’ (বিদৌরার গান)

  • এলো এলো শবেরাত তোরা জ্বাল্ রে বাতি

    বাণী

    এলো এলো শবেরাত তোরা জ্বাল্ রে বাতি।
    হোক রওশন মুসলিম-জাহানের অন্ধকার রাতি।।
    আজ ফিরদৌসের হুর-পরীরা আলোতে রাঙে
    চাঁদ সেতারার প্রদীপ ভাসায় আস্‌মানি গাঙে,
    ফেরেশ্‌তা সব হয়েছে আজ মোদের সাথি।।
    আজ জ্বাল্‌রে বাতি প্রিয়জনের আঁধার গোরে
    আজ বরষ পরে লুকিয়ে তারা এসেছে ঘরে,
    রাখ্‌ তাদের তরে অশ্রু-ভেজা হৃদয় পাতি।।
    
  • ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ

    বাণী

    ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ।।
    গেলেন মদিনা যবে হিজরতে হজরত
    মদিনা হলো যেন খুশিতে জিন্নত,
    ছুটিয়া আসিল পথে মর্দ ও আওরত
    লুটায়ে পায়ে নবীর, গাহে সব উম্মত
    ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ।।
    হাজার সে কাফের সেনা বদরে,
    তিন শত তের মমিন এধারে;
    হজরতে দেখিল যেই, কাঁপিয়া ডরে
    কহিল কাফের সব তাজিমের স্বরে
    ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ।।
    কাঁদিয়া কেয়ামতে গুনাহগার সব,
    নবীর কাছে শাফায়তী করিবেন তলব,
    আসিবেন কাঁদন শুনি সেই শাহে আরব
    অমনি উঠিবে সেথা খুশির কলরব
    ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ।।
    
  • ও কে সোনার চাঁদ কাঁদে রে

    বাণী

    ও কে সোনার চাঁদ কাঁদে রে হেরা গিরির ’পরে।
    শিরে তাঁহার লক্ষ কোটি চাঁদের আলো ঝরে।।
    কী অপরূপ জ্যোতির ধারা নীল আসমান হ’তে
    			নামে বিপুল স্রোতে,
    হেরা পাহাড় বেয়ে বহে সাহারা মরু পথে,
    সেই জ্যোতিতে দুনিয়া আজি ঝলমল করে।।
    আগুন বরণ ফেরেশ্‌তা এক এসে,
    ‘খোদার হাবিব, জাগো জাগো’, বলে হেসে হেসে।
    নবুয়তের মোহর দিল বাজুতে তাঁর বেঁধে
    তাজিম ক’রে কদমবুসি করে কেঁদে কেঁদে,
    সেই নবীরই নামে আজি দুনিয়া দরুদ পড়ে।।
    
  • ও ভাই হাজি! কোন্ কাবা ঘর

    বাণী

    ও ভাই হাজি! কোন্ কাবা ঘর হজ করিয়া এলে।
    গিয়ে কি ভাই খোদায় পাওয়ার পথের দিশা পেলে।।
    খোদার ঘরের দিদার পেয়ে বল কেমন ক’রে
    ফিরে এলে দুনিয়াদারীর এই না-পাক ঘরে,
    কেউ বলেছে কি কোন্ কাবাতে গেলে খোদায় মেলে।।
    খেলেছিলেন নবীজী যে-মক্কা মদিনায়
    বেহোঁশ হয়ে পড়নি কি পৌঁছিয়া সেথায়,
    কেমন ক’রে ফিরে এলে সেই মদিনা ফেলে
    এই দুনিয়ার কারবালাতে অধিক তৃষা আরো
    এনেছ কি আব্হায়াতের পানি? দিতে পারো?
    মোর আঁধার ঘরে দিতে পারো নূরের চেরাগ জ্বেলে?
    
  • ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ

    বাণী

    ও		মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
    তুই		আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন্‌ আসমানি তাগিদ।।
    তোর		সোনা–দানা বালাখানা সব রাহেলিল্লাহ্‌।
    দে		জাকাত মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিদ্‌।।
    আজ		পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে।
    যে		ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।।
    আজ		ভুলে যা তোর দোস্ত ও দুশমন হাত মিলাও হাতে।
    তোর		প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।।
    ঢাল		হৃদয়ের তোর তশ্‌তরিতে শির্‌নি তৌহিদের।
    তোর		দাওয়াত কবুল করবে হজরত হয় মনে উম্মীদ।।
    
  • ওকি ঈদের চাঁদ গো

    বাণী

    	ওকি ঈদের চাঁদ গো! চলে মদিনারই পথে গো!
    যেন	হাসিন্ য়ুসোফ্ ফিরে এলো ফিরদৌস হতে গো।।
    	যাহারা তার রূপ দেখে তারা ঝুরিছে আস্‌মানে
    	গুল্ ভুলে তাই বুল্‌বুলি চেয়ে আছে গুলিস্তানে।
    	বুঝি বেহেশ্‌তেরই বাদশাজাদা এলো সোনার রথে গো।।
    	সাদা কবুতরের মত চরণ দুটি ছুঁয়ে,
    	গোলাপ চাঁপা উঠছে ফুটে ধূলিমাখা ভুঁয়ে গো।
    সেই	চাঁদের মুখে জোছনা সম খোদার কালাম ঝরে
    তা’র	রূপ দেখে, তা’র গুণ শুনে মোর মন রহে না ঘরে লো,
    আমি	উন্মাদিনী সেই মাদানী নবীর মোহব্বতে গো।।
    
  • ওগো আমিনা তোমার দুলালে আনিয়া

    বাণী

    ওগো	আমিনা তোমার দুলালে আনিয়া আমি ভয়ে ভয়ে মরি
    	এ নহে মানুষ বুঝি ফেরেশ্‌তা আসিয়াছে রূপ ধরি’॥
    		সে নিশীথে যখন বক্ষে ঘুমায়
    		চাঁদ এসে তারে চুমু খেয়ে যায়
    	দিনে যবে মেষ চারণে সে যায় মেঘ চলে ছায়া করি’,
    	সাথে সাথে তার মেঘ চলে ছায়া করি’॥
    	মনে হয় যেন লুকাইয়া রাতে তোমার শিশুর পায়
    	কত ফেরেশ্‌তা হুর-পরী এসে সালাম করিয়া যায়॥
    		সে চলে যায় যবে মরুর উপরে
    		বস্‌রা গোলাপ ফোটে থরে থরে
    	তার চরণ ঘিরিয়া কাঁদে ফুলবনে অলিকুল গুঞ্জরি’॥