ইসলামী

  • খোদার প্রেমের শরাব পিয়ে

    বাণী

    খোদার প্রেমের শরাব পিয়ে বেহুঁশ হয়ে রই প’ড়ে
    ছেড়ে’ মস্‌জিদ আমার মুর্শিদ এল যে এই পথ ধ’রে।।
    দুনিয়াদারির শেষে আমার নামাজ রোজার বদ্‌লাতে
    চাইনে বেহেশ্‌ত্‌ খোদার কাছে নিত্য মোনাজাত ক’রে।।
    কায়েস যেমন লাইলী লাগি’ লভিল মজনু খেতাব
    যেমন ফরহাদ শিঁরির প্রেমে হ’ল দিওয়ানা বেতাব।
    বে–খুদীতে মশ্‌গুল্‌ আমি তেমনি মোর খোদার তরে।।
    

  • খোদার রহম চাহ যদি

    বাণী

    	খোদার রহম চাহ যদি নবীজীরে ধর।
    	নবীজীরে মুর্শিদ কর নবীর কলমা পড়।।
    		আল্লা যে ভাই অসীম সাগর
    		কয়জন জানে তাঁহার খবর,
    (যদি)	এ সাগরে যাবে, নবী নামের নায়ে চড়।।
    	নবীর সুপারিশ বিনা আল্লার দরবারে কেউ যেতে নাহি পারে,
    	ও ভাই আল্লা যেন সুর সেই সুরে সুমধুর বাজে নবীর বীণা তারে।
    	আল্লা নামের ঝিনুকে ভাই মুক্ত যেন নবী
    	আল্লা নামের আসমানে ভাই নবী যেন রবি,
    	প্রিয় মোহাম্মদের নামরে ভাই আল্লা তালার চাবি
    	খোদা দয়া করবেন সদা নবীরে সার কর।।
    
  • খোদার হবিব হলেন নাজেল

    বাণী

    খোদার হবিব হলেন নাজেল খোদার ঘর ঐ কাবার পাশে।
    ঝুঁকে’ প’ড়ে আর্শ কুর্‌সি, চাঁদ সূরয তাঁয় দেখতে আসে।।
    ভেঙে পড়ে মূরত মন্দির, লা’ত মানাত, শয়তানী তখ্ত,
    লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র উঠিছে তক্‌বির আকাশে।।
    খুশির মউজ তুফান তোরা দেখে যা মরুভূমে,
    কোহ-ই-তূরের পাথরে আজ বেহেশ্‌তী ফুল ফুটে’ হাসে।।
    য়্যেতিম-তারণ য়্যেতিম হয়ে এলো রে এই দুনিয়ায়,
    য়্যেতিম মানুষ-জাতির ব্যথা নৈলে বুঝ্ত না সে।।
    সূর্য ওঠে, ওঠে রে চাঁদ, মনের আঁধার যায় না তায়,
    হৃদ-গগন যে কর্‌ল রওশন্, সেই মোহাম্মদ ঐ রে হাসে।
    আপন পুণ্যের বদ্লাতে যে মাগিল মুক্তি সবার,
    উম্মতি উম্মতি ক’য়ে দেখ্ আঁখি তাঁর জলে ভাসে।।
    
  • গুণে গরিমায় আমাদের নারী আদর্শ দুনিয়ায়

    বাণী

    গুণে গরিমায় আমাদের নারী আদর্শ দুনিয়ায়
    রূপে লাবেন্য মাধুরী ও শ্রীতে হুরী-পরী লাজ পায়।।
    নর নহে,নারী ইসলাম 'পরে প্রথম আনে ঈমান
    আম্মা খাদিজা জগতে সর্ব প্রথম মুসলমান।
    পুরুষের  সব গৌরব ম্লান এক এই মহিমায়।।
    নবী-নন্দিনী ফাতেমা মোদের সতী-নারীদের রানী
    যাঁর গুণ-গাথা ঘরে ঘরে প্রতি নর-নারী আজো গায়।।
    রহিমার মত মহিমা কাহার তাঁর সম সতী কেবা
    নারী নয় যেন মূর্তি ধরিয়া এসেছিল পতি-সেবা
    মোদের খাওয়ালা জতের আলা বীরত্বে গরিমায়।।
    রাজ্য শাসনে রিজিয়ার নাম ইতিহাসে অক্ষয়
    শৌর্যে সাহসে চাঁদ-সুলতানা বিশ্বের বিস্ময়
    জেবুন্নেসার তুলনা কোথায়,জ্ঞানের তপস্যায়।।
    আঁধার হেরেমে বন্দিনী হল সহসা আলোর মেয়ে
    সেইদিন হতে ইসলাম গেল গ্লানির কালিতে ছেয়ে।
    লক্ষ খালেদ আসিবে যদি এ নারীরা মুক্তি পায়।।
    
  • চল রে কাবার জিয়ারতে

    বাণী

    চল রে কাবার জিয়ারতে, চল নবীজীর দেশ।
    দুনিয়াদারির লেবাস খুলে পর রে হাজীর বেশ।।
    আওকাতে তোর থাকে যদি - আরফাতের ময়দান,
    	চল আরফাতের ময়দান,
    এক জামাত হয় যেখানে ভাই নিখিল মুসলমান। 
    মুসলিম গৌরব দেখার যদি থাকে তোর খায়েশ।।
    যেথায় হজরত হলেন নাজেল মা আমিনার ঘরে
    খেলেছেন যার পথে-ঘাটে মক্কার শহরে, 
    	চল মক্কার শহরে।
    সেই মাঠের ধূলা মাখবি যথা নবী চরাতেন মেষ।।
    ক'রে হিজরত কায়েম হলেন মদিনায় হজরত - যে মদিনায় হজরত,
    সেই মদিনা দেখবি রে চল, মিটবে রে তোর প্রানের হসরত;
    সেথা নবীজীর ঐ রওজাতে তোর আরজি করবি পেশ।। 
    

  • চীন আরব হিন্দুস্থান নিখিল ধরাধাম

    বাণী

    চীন আরব হিন্দুস্থান নিখিল ধরাধাম।
    জানে আমায় চেনে আমায় মুসলিম আমার নাম।।
    অন্ধকারে আজান দিয়ে ভাঙনু ঘুমঘোর,
    আলোর অভিযান এনেছি রাত করেছি ভোর;
    এক সমান করেছি ভেঙে উচ্চ নীচ তামাম।।
    চেনে মোরে সাহারা গোবি দুর্গম পর্বত,
    মন্থন করেছে সাগর, আমার সিন্ধু রথ;
    বয়েছি আফ্রিকা ইউরোপ আমারই তাঞ্জাম।।
    পাক মুলুকে বসিয়েছি খোদার মসজিদ,
    জগৎ সাক্ষী পাপীদেরকে পিইয়েছি তৌহীদ্‌;
    বিরান বনে রচেছি রে হাজার নগর গ্রাম।।
    
  • ছয় লতিফার ঊর্ধ্বে আমার

    বাণী

    	ছয় লতিফার ঊর্ধ্বে আমার আরফাত ময়দান।
    	তারি মাঝে আছে কারা জানে বুজর্গান।।
    যবে	হজরতেরি নাম জপি ভাই হাজার হজের আনন্দ পাই,
    	জীবন মরণ দুই উঠে ভাই দেই সেথা কোরবান্।।
    	আমি তুর পাহাড়ে সুর শুনে ভাই প্রেমানন্দে গলি,
    	ফানাফির রসুলে আমি হেরার পথে চলি।
    	হজরতেরি কদম চুমি হিজরে আসোয়াদ
    	ইব্রাহিমের কোলে চ’ড়ে দেখি ঈদের চাঁদ,
    মোরে	খোতবা শুনাব ইমাম হয়ে জিব্রাইল কোরআন।।
    
  • জরীন হরফে লেখা

    বাণী

    	জরীন হরফে লেখা
    	রূপালি হরফে লেখা
    (নীল)	আসমানের কোরআন।
    সেথা	তারায় তারায় খোদার কালাম
    (তোরা)	পড়, রে মুসলমান
    নীল	আসমানের কোরআন।।
    	সেথা ঈদের চাঁদে লেখা
    	মোহাম্মদের ‘মীম’-এর রেখা,
    সুরুযেরই বাতি জ্বেলে’ পড়ে রেজোয়ান।।
    খোদার আরশ লুকিয়ে আছে ঐ কোরআনের মাঝে,
    খোঁজে ফকির-দরবেশ সেই আরশ সকাল-সাঁঝে।
    	খোদার দিদার চাস রে, যদি
    	পড় এ কোরআন নিরবধি;
    খোদার নুরের রওশনীতে রাঙ রে দেহ-প্রাণ।।
    

  • জাগে না সে জোশ ল'য়ে আর মুসলমান

    বাণী

    জাগে না সে জোশ ল'য়ে আর মুসলমান। 
    হায় করিল জয় যে তেজ ল'য়ে দুনিয়া জাহান।। 
    যাহার তক্‌বির-ধ্বনি, তক্‌দির বদলালো দুনিয়ার
    না-ফরমানের জামানায় আনিল ফরমান খোদার,
    হায় পড়িয়া বিরান আজি সে গুল্‌-গুলিস্তান।।
    নাহি সাচ্চাই সিদ্দিকের, উমরের নাহি সে ত্যাগ আর
    নাহি আর বেলালের ঈমান, নাহি আলীর জুল্‌ফিকার,
    হায় নাহি আর সে জেহাদ-লাগি' বীর শহীদান।।
    নাহি আর বাজুতে কুওত, নাহি খালেদ, মুসা, তারেক
    নাহি বাদ্‌শাহি তখ্‌তে তাউস, ফকির আজ দুনিয়ার মালেক
    হায় ইসলাম কিতাবে শুধু মুসলিম গোরস্তান।।
    
  • তওফিক দাও খোদা ইসলামে

    বাণী

    তওফিক দাও খোদা ইসলামে মুসলিম-জাঁহা পুনঃ হোক আবাদ।
    দাও সেই হারানো সালতানাত দাও সেই বাহু সেই দিল আজাদ।।
    দাও সেই হামজা সেই বীর ওলীদ
    দাও সেই উমর হারুন অল রশীদ
    দাও সেই সালাহউদ্দীন আবার পাপ দুনিয়াতে চলুক জেহাদ।।
    দাও সে রুমী সাদী হাফিজ
    সেই জামী খৈয়াম সে তবরিজ
    দাও সে আকবর সেই শাহজাহান দাও তাজমহলের স্বপ্ন সাধ।।
    দাও ভা'য়ে ভা'য়ে সেই মিলন
    সেই স্বার্থত্যাগ সেই দৃপ্ত মন,
    হোক বিশ্ব-মুসলিম এক জামাত উড়ুক নিশান ফের যুক্ত চাঁদ।।
    

  • তুমি অনেক দিলে খোদা

    বাণী

    তুমি অনেক দিলে খোদা, দিলে অশেষ নিয়ামত —
    আমি লোভী, তাইতো আমার মেটে না হসরত।।
    কেবলই পাপ করি আমি — মাফ করিতে তাই, হে স্বামী,
    দয়া করে শ্রেষ্ঠ নবীর করিলে উম্মত।
    তুমি নানান ছলে করছ পূরণ ক্ষতির খেসারত।।
    মায়ের বুকে স্তন্য দিলে, পিতার বুকে স্মেহ;
    মাঠে শস্য ফসল দিলে আরাম লাগি' গেহ।  
    ঈদের চাঁদের রং মশালে রঙীন বেহেশ্‌ত পথ দেখালে
    আখেরেরই সহায় দিলে আখেরী হজরত।
    তুমি আজান দিলে না ভুলিতে মসজিদেরই পথ।।
    
  • তুমি আশা পুরাও খোদা

    বাণী

    তুমি আশা পুরাও খোদা, সবাই যখন নিরাশ করে।
    সবাই যখন পায়ে ঠেলে, সান্ত্বনা পাই তোমায় ধ'রে।।
    দ্বারে দ্বারে হাত পাতিয়া ফিরি যখন শূন্য হাতে,
    তোমার দানের শির্‌নি তখন আসে আমায় পথ দেখাতে,
    দেখি হঠাৎ শূন্য তোমার দানে গেছে ভ'রে।।
    খোদা, তোমায় ভরসা করি' নামি যখন কোন কাজে,
    সে কাজ হাসিল হয় সহজে শত বিপদ বাধার মাঝে
    (খোদা) তোমায় ছেড়ে অন্য জনে শরণ নিলে যায় সে সরে।।
    মাঝ দরিয়ায় ডুবলে জাহাজ তোমায় যদি ডাকি
    তোমার রহম কোলে করি তীরেতে যায় রাখি
    দুখের অনল কুসুম হয়ে ফুটে ওঠে থরে থরে।।
    
  • তোমার নাম নিয়ে খোদা আমি যে কাজ করি

    বাণী

    		তোমার নাম নিয়ে খোদা আমি যে কাজ করি।
    		আমার তা’তে নাই লাজ ভয় মরি কিম্বা তরি।।
    		আমার ভালো মন্দ তুমি খোদা জানো,
    (তাই)	দুখের শমন দিয়ে এমন বুকের কাছে টানো, (খোদা)
    (আমি)	দুঃখ দেখে তোমার থেকে না যেন যাই সরি’।।
    		সুখ-দুঃখ যশ নিন্দা মান ও অপমান
    		আমার ব’লে নাইতো কিছু সবই তোমার দান,
    (যত)		বাইরে আঘাত আসে তত তোমায় যেন ধরি।।
    (এই)		ফেরেববাজীর দনিয়া ভরা কেবল মায়া ফাঁকি
    (তাই)	তোমার নামের বাতি জ্বেলে বুকের কাছে রাখি,
    		ঐ নামের আঁচের আমি যেন মোমের মত ঝরি।
    খোদা		তোমার প্রেমে গ’লে যেন মোমের মত ঝরি।।
    
  • তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হজরত

    বাণী

    তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হজরত।
    যত চাহি তত কাঁদি, আমার মেটে না হসরত।।
    কোথায় আরব কোথায় এ হিন্দ্
    নয়নে মোর নাই তবু নিন্দ
    প্রাণে শুধু জাগে (তোমার) মদিনার ঐ পথ।।
    কে বলে তুমি গেছ চলে হাজার বছর আগে
    আছ লুকিয়ে তুমি প্রিয়তম আমার অনুরাগে।
    মোর অন্তরের হেরা গুহায়
    আজো তোমার ডাক শোনা যায়
    জাগে আমার মনের কাবা ঘরে তোমারি সুরত —
    	হজরত তোমারি সুরত।।
    যারা দোজখ হতে ত্রাণের তরে তোমায় ভালোবাসে
    আমার এ প্রেম দেখে তারা কেউ কাঁদে কেউ হাসে।
    তুমি জান হে মোর স্বামী, শাফায়াৎ চাহি না আমি
    আমি শুধু তোমায় চাহি তোমার মুহব্বত
    	হজরত তোমার মুহব্বত।।
    
  • তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ

    বাণী

    তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ ক্ষমা কর হজরত।
    মোরা	ভুলিয়া গিয়াছি তব আদর্শ, তোমারি দেখানো পথ ॥
    	বিলাস-বিভব দলিয়াছ পায় ধূলি সম তুমি, প্রভু,
    	তুমি চাহ নাই আমরা হইব বাদশা-নবাব কভু।
    	এই ধরণীর ধন-সম্ভার - সকলেরি তাহে সম অধিকার;
    	তুমি বলেছিলে ধরণীতে সবে সমান পুত্র-বৎ ॥
    প্রভু	তোমার ধর্মে অবিশ্বাসীরে তুমি ঘৃণা নাহি ক’রে
    	আপনি তাদের করিয়াছ সেবা ঠাঁই দিয়ে নিজ ঘরে।
    	ভিন্ ধর্মীর পূজা-মন্দির, ভাঙিতে আদেশ দাওনি, হে বীর,
    প্রভু	আমরা আজিকে সহ্য করিতে পারিনে’ক পর-মত ॥
    	তুমি চাহ নাই ধর্মের নামে গ্লানিকর হানাহানি,
    	তলোয়ার তুমি দাও নাই হাতে, দিয়াছ অমর বাণী।
    	মোরা ভুলে গিয়ে তব উদারতা
    	সার করিয়াছি ধর্মন্ধতা,
    	বেহেশ্‌ত্‌ হ’তে ঝরে নাকো আর তাই তব রহমত ॥
    
  • তোমারি প্রকাশ মহান

    বাণী

    তোমারি প্রকাশ মহান, রে নিখিল দুনিয়া জাহান্!
    তোমারি জ্যোতিতে রওশন্ নিশিদিন জমিন ও আস্‌মান্‌।।
    নিভিল কোটি তপন চাঁদ তোমারে খুঁজিয়া প্রভু,
    কত দাউদ ঈশা মুসা করিল তব জয়গান।।
    তোমারে কত নামে হায় ডাকিছে বিশ্ব শিশুর প্রায়,
    কত নামে পূজে তোমায় ফেরেশতা হুর পরী ইনসান্।।
    
  • তোমারি মহিমা গাই বিশ্বপালক করতার

    বাণী

    তোমারি মহিমা গাই বিশ্বপালক করতার
    করুণা কৃপার তব নাহি সীমা নাহি পার॥
    রোজ-হাশরের বিচার-দিনে তুমিই মালিক এয়্ খোদা,
    আরাধনা করি প্রভু, আমরা কেবলি তোমার॥
    সহায় যাচি তোমারি নাথ, দেখাও মোদের সরল পথ,
    সেই পথেতে চালাও খোদা বিলাও যাদের পুরস্কার।
    অবিশ্বাসী ধর্মহারা যাহারা সে ভ্রান্ত-পথ,
    চালায়ো না তাদের পথে, এই চাহি পরওয়ারদিগার॥
    

    বৈতালিক

  • তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে

    বাণী

    তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে
    মধু পূর্ণিমারি সেথা চাঁদ দোলে
    যেন ঊষার কোলে রাঙা-রবি দোলে।।
    কূল মখ্‌লুকে আজি ধ্বনি ওঠে, কে এলো ঐ
    কলেমা শাহাদাতের্‌ বাণী ঠোঁটে, কে এলা ঐ
    খোদার জ্যোতি পেশানিতে ফোটে, কে এলো ঐ
    আকাশ-গ্রহ-তারা পড়ে লুটে, কে এলা ঐ
    পড়ে দরুদ ফেরেশ্‌তা, বেহেশ্‌তে সব দুয়ার খোলে।।
    মানুষে মানুষের অধিকার দিল যে-জন
    ‘এক আল্লাহ্‌ ছাড়া প্রভু নাই’ কহিল যে-জন,
    মানুষের লাগি’ চির-দীন্‌ বেশ ধরিল যে-জন
    বাদশা ফকিরে এক শামিল করিল যে-জন
    এলো ধরায় ধরা দিতে সেই সে নবী
    ব্যথিত-মানবের ধ্যানের ছবি
    আজি মাতিল বিশ্ব-নিখিল্‌ মুক্তি-কলোরোলে।।
    
  • তোরা যারে এখনি হালিমার কাছে লয়ে

    বাণী

    তোরা যারে এখনি হালিমার কাছে লয়ে ক্ষীর সর ননী
    আমি খোয়াবে দেখেছি কাঁদিছে মা বলে আমার নয়ন-মণি॥
    	মোর শিশু আহমদে যেদিন কাঁদিয়া
    	হালিমার হাতে দিয়াছি সঁপিয়া
    সেই দিন হ’তে কেঁদে কেঁদে মোর কাটিছে দিন রজনী॥
    পিতৃহীন সে সন্তান হায় বঞ্চিত মা’র স্নেহে
    তারে ফেলে দূরে কোল খালি করে (আমি) থাকিতে পারি না গেহে।
    	অভাগিনী তার মা আমিনায়
    	মনে করে সে কি আজো কাঁদে হায়
    বলিস তাহারি আসার আশায় দিবানিশি দিন গণি॥
    
  • তৌহিদেরি বান ডেকেছে সাহারা মরুর দেশে

    বাণী

    তৌহিদেরি বান ডেকেছে সাহারা মরুর দেশে
    দুনিয়া জাহান ডুবু-ডুবু সেই স্রোতে যায় ভেসে।।
    সেই জোয়ারে আমার নবী পারের তরী নিয়ে
    'আয় কে যাবি পারে'-ডাকে দ্বারে দ্বারে গিয়ে
    যে চায় না তারেও নেয় সে নায়ে আপনি ভালবেসে।।
    পথ দেখায় সে ঈদের চাঁদের পিদিম নিয়ে হাতে
    হেসে,হেসে,দাঁড় টানে চা’র আসহাব তাঁরি সাথে।
    নামাজ-রোজার,ফুল-ফসলে শ্যামল হ’ল মরু
    প্রেমের রসে উঠল পুরে নীরস মনের তরু
    খোদার রহম এলো রে আখেরি নবীর বেশে।।