খাতুনে জান্নাত ফাতেমা জননী
বাণী
খাতুনে জান্নাত ফাতেমা জননী — বিশ্ব-দুলালী নবী নন্দিনী, মদিনাবাসিনী পাপতাপ নাশিনী উম্মত-তারিণী আনন্দিনী।। সাহারার বুকে মাগো তুমি মেঘ-মায়া, তপ্ত মরুর প্রাণে স্নেহ-তরুছায়া; মুক্তি লভিল মাগো তব শুভ পরশে বিশ্বের যত নারী বন্দিনী।। হাসান হোসেনে তব উম্মত তরে, মাগো কারবালা প্রান্তরে দিলে বলিদান, বদলাতে তার রোজ হাশরের দিনে চাহিবে মা মোর মত পাপীদের ত্রাণ। এলে পাষাণের বুকে চিরে নির্ঝর সম, করুণার ক্ষীরধারা আবে-জমজম; ফিরদৌস হ’তে রহমত বারি ঢালো সাধ্বী মুসলিম গরবিনী।।
খেলা শেষ হল শেষ হয় নাই বেলা
বাণী
খেলা শেষ হল, শেষ হয় নাই বেলা। কাঁদিও না, কাঁদিও না — তব তরে রেখে গেনু প্রেম-আনন্দ মেলা।। খেলো খেলো তুমি আজো বেলা আছে খেলা শেষ হলে এসো মোর কাছে, প্রেম-যমুনার তীরে ব’সে রব লইয়া শূন্য ভেলা।। যাহারা আমার বিচার করেছে — ভুল করিয়াছে জানি, তাহাদের তরে রেখে গেনু মোর বিদায়ের গানখানি। হই কলঙ্কী, হোক মোর ভুল বালুকার বুকে ফুটায়েছি ফুল, তুমিও ভুলিতে নারিবে সে-কথা — হানো যত অবহেলা।।
পাঠান্তর
খেলা শেষ হল, শেষ হয় নাই বেলা। কাঁদিও না, কাঁদিও না — তব তরে রেখে গেনু প্রেম-আনন্দ মেলা।। খেলো খেলো তুমি আজো বেলা আছে খেলা শেষ হলে এসো মোর কাছে, প্রেম-যমুনার তীরে ব’সে রব লইয়া শূন্য ভেলা।। যাহারা আমার বিচার করেছে আর তাহাদের কেহ, দেখিতে পাবে না কলঙ্ক কালিমাখা মোর এই দেহ। হই কলঙ্কী, হোক মোর ভুল পৃথিবীতে আমি এনেছি গোকুল, তুমিও ভুলিতে নারিবে সে-কথা — হানো যত অবহেলা।।
[গানটি ১৯৬৫ সালে জগন্ময় মিত্রের কণ্ঠে রেকর্ডের সময় প্রশিক্ষক কমল দাশগুপ্ত বাণীর কিছু পরিবর্তন করেছিলেন।
যথা: ১. খেলা শেষ হলে যেয়ো, যেয়ো মোর কাছে, ২. হোক অপরাধ হোক মোর ভুল]
খোদার হবিব হলেন নাজেল
বাণী
খোদার হবিব হলেন নাজেল খোদার ঘর ঐ কাবার পাশে। ঝুঁকে’ প’ড়ে আর্শ কুর্সি, চাঁদ সূরয তাঁয় দেখতে আসে।। ভেঙে পড়ে মূরত মন্দির, লা’ত মানাত, শয়তানী তখ্ত, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র উঠিছে তক্বির আকাশে।। খুশির মউজ তুফান তোরা দেখে যা মরুভূমে, কোহ-ই-তূরের পাথরে আজ বেহেশ্তী ফুল ফুটে’ হাসে।। য়্যেতিম-তারণ য়্যেতিম হয়ে এলো রে এই দুনিয়ায়, য়্যেতিম মানুষ-জাতির ব্যথা নৈলে বুঝ্ত না সে।। সূর্য ওঠে, ওঠে রে চাঁদ, মনের আঁধার যায় না তায়, হৃদ-গগন যে কর্ল রওশন্, সেই মোহাম্মদ ঐ রে হাসে। আপন পুণ্যের বদ্লাতে যে মাগিল মুক্তি সবার, উম্মতি উম্মতি ক’য়ে দেখ্ আঁখি তাঁর জলে ভাসে।।
খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত
বাণী
খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত। দিও তৃষ্ণা পেলে ঠান্ডা পানি ক্ষুধা পেলে লবণ-ভাত।। মাঠে সোনার ফসল দিও, দিও গৃহ ভরা বন্ধু প্রিয়, দিও হৃদয় ভরা শান্তি দিও – (খোদা) সেই তো আমার আবহায়াত।। আমায় দিয়ে কারুর ক্ষতি হয় না যেন দুনিয়ায়, আমি কারুর ভয় না করি, মোরেও কেহ ভয় না পায়, খোদা। (যবে) মস্জিদে যাই তোমারি টানে (যেন) মন নাহি ধায় দুনিয়া পানে আমি ঈদের চাঁদ দেখি যেন আস্লে দুখের আঁধার রাত।।
খোদার রহম চাহ যদি
বাণী
খোদার রহম চাহ যদি নবীজীরে ধর। নবীজীরে মুর্শিদ কর নবীর কলমা পড়।। আল্লা যে ভাই অসীম সাগর কয়জন জানে তাঁহার খবর, (যদি) এ সাগরে যাবে, নবী নামের নায়ে চড়।। নবীর সুপারিশ বিনা আল্লার দরবারে কেউ যেতে নাহি পারে, ও ভাই আল্লা যেন সুর সেই সুরে সুমধুর বাজে নবীর বীণা তারে। আল্লা নামের ঝিনুকে ভাই মুক্ত যেন নবী আল্লা নামের আসমানে ভাই নবী যেন রবি, প্রিয় মোহাম্মদের নামরে ভাই আল্লা তালার চাবি খোদা দয়া করবেন সদা নবীরে সার কর।।