বাণী

খোদার হবিব হলেন নাজেল খোদার ঘর ঐ কাবার পাশে।
ঝুঁকে’ প’ড়ে আর্শ কুর্‌সি, চাঁদ সূরয তাঁয় দেখতে আসে।।
ভেঙে পড়ে মূরত মন্দির, লা’ত মানাত, শয়তানী তখ্ত,
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র উঠিছে তক্‌বির আকাশে।।
খুশির মউজ তুফান তোরা দেখে যা মরুভূমে,
কোহ-ই-তূরের পাথরে আজ বেহেশ্‌তী ফুল ফুটে’ হাসে।।
য়্যেতিম-তারণ য়্যেতিম হয়ে এলো রে এই দুনিয়ায়,
য়্যেতিম মানুষ-জাতির ব্যথা নৈলে বুঝ্ত না সে।।
সূর্য ওঠে, ওঠে রে চাঁদ, মনের আঁধার যায় না তায়,
হৃদ-গগন যে কর্‌ল রওশন্, সেই মোহাম্মদ ঐ রে হাসে।
আপন পুণ্যের বদ্লাতে যে মাগিল মুক্তি সবার,
উম্মতি উম্মতি ক’য়ে দেখ্ আঁখি তাঁর জলে ভাসে।।

বাণী

খুশি লয়ে খুশরোজের আয় খেয়ালি খুশ্‌-নসীব।
জ্বাল্‌ দেয়ালি শবেরাতের জ্বাল রে তাজা প্রাণ প্রদীপ।।
	আন্‌ নয়া দ্বীনী ফরমান
	দরাজ দিলে দৃপ্ত গান,
প্রাণ পেয়ে আজ গোরস্থান তোর ডাকে জাগুক নকীব।।
আন্‌ মহিমা হজরতের শক্তি আন্‌ শেরে খোদার,
কুরবানী আন্‌ কারবালার আন্‌ রহম মা ফাতেমার,
আন্‌ উমরের শৌর্য বল সিদ্দিকের আন্‌ সাচ্চা মন,
হাসান হোসেনের সে ত্যাগ শহীদানের মৃত্যুপণ,
রোজ হাশরে করবেন পার মেহেরবান খোদার হাবিব।।
খোৎবা পড়বি মসজিদে তুই খতীব নূতন ভাষায়,
শুষ্ক মালঞ্চের বুকে ফুল ফুটাবি ভোর হাওয়ায়,
এস্‌মে-আজম এনে মৃত মুসলিমে তুই কর সজীব।।

বাণী

খড়ের প্রতিমা পূজিস্‌ রে তোরা, মাকে ত’ তোরা পূজিস্‌নে!
প্রতি মা’র মাঝে প্রতিমা বিরাজে (ঘরে ঘরে ওরে)
			হায় রে অন্ধ, বুঝিস্‌নে।।
বছর বছর মাতৃ পূজার ক’রে যাস্‌ অভিনয়
ভীরু সন্তানে হেরি লজ্জায় মাও যে পাষাণময়,
মাকে জিনিতে সাধন-সমরে সাধক ত’কেহ বুঝিস্‌নে।
মাটির প্রতিমা গ’লে যায় জলে, বিজয়ায় ভেসে যায়,
আকাশে-বাতাসে মা’র স্নেহ জাগে অতন্দ্র করুণায়।
তোরই আশে-পাশে তাঁর কৃপা হাসে —
			কেন সেই পথে তাঁরে খুঁজিস্‌নে।।

নাটিকাঃ ‌‘বিজয়া’

বাণী

খোদায় পাইয়া বিশ্ব বিজয়ী ছিল একদিন যারা
খোদায় ভুলিয়া ভীত পরাজিত আজ দুনিয়ায় তারা।।
	খোদার নামের আশ্রয় ছেড়ে
	ভিখারির বেশে দেশে দেশে ফেরে
ভোগ বিলাসের মোহে ভুলে, হায় নিল বন্ধন কারা।।
খোদার সঙ্গে যুক্ত সদাই ছিল যাহাদের মন
দুঃখ রোগে শোকে অটল যাহারা রহিত সর্বক্ষণ।
	এসে শয়তান ভোগ বিলাসের
	কাড়িয়া লয়েছে ঈমান তাদের
খোদায় হারায়ে মুসলিম আজ হয়েছে সর্বহারা।।

বাণী

	খেলো না আর আমায় নিয়ে, প্রিয় অলস খেলা।
	নিঠুর খেলা খেল এবার ফুরায় খেলার বেলা।।
		(তুমি) অন্ধকারের আড়াল হতে
		লও হে টানি’ বাহির পথে,
	চঞ্চলতার বিপুল স্রোতে, দাও ভাসাতে ভেলা।।
(তুমি)	সবার চেয়ে ভালোবাসো, আঘাত যারে হানো,
	স্মরণ যারে করো তারে মরণ টানে টানো।
		ঠাঁই যারে দাও চরণ-তলে
		ভোলাও না তায় সুখের ছলে,
	মালার নামে দাও না গলে তোমার অবহেলা।।

বাণী

খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত।
দিও তৃষ্ণা পেলে ঠান্ডা পানি ক্ষুধা পেলে লবণ-ভাত।।
		মাঠে সোনার ফসল দিও,
		দিও গৃহ ভরা বন্ধু প্রিয়, দিও
হৃদয় ভরা শান্তি দিও – (খোদা) সেই তো আমার আবহায়াত।।
আমায় দিয়ে কারুর ক্ষতি হয় না যেন দুনিয়ায়,
আমি কারুর ভয় না করি, মোরেও কেহ ভয় না পায়, খোদা।
(যবে)	মস্‌জিদে যাই তোমারি টানে
(যেন)		মন নাহি ধায় দুনিয়া পানে
আমি ঈদের চাঁদ দেখি যেন আস্‌লে দুখের আঁধার রাত।।