বাণী

খেলিছে জলদেবী সুনীল সাগর জলে।
তরঙ্গ - লহর তোলে লীলায়িত কুন্তলে।।
ছল-ছল উর্মি-নূপুর
স্রোত-নীরে বাজে সুমধুর,
চল-চঞ্চল বাজে কাঁকন কেয়ূর
ঝিনুকের মেখলা কটিতে দোলে।।
আনমনে খেলে জল-বালিকা
খুলে পড়ে মুকুতা মালিকা
হরষিত পারাবারে উর্মি জাগে
লাজে চাঁদ লুকালো গগন তলে।।

বাণী

খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত।
দিও তৃষ্ণা পেলে ঠান্ডা পানি ক্ষুধা পেলে লবণ-ভাত।।
		মাঠে সোনার ফসল দিও,
		দিও গৃহ ভরা বন্ধু প্রিয়, দিও
হৃদয় ভরা শান্তি দিও – (খোদা) সেই তো আমার আবহায়াত।।
আমায় দিয়ে কারুর ক্ষতি হয় না যেন দুনিয়ায়,
আমি কারুর ভয় না করি, মোরেও কেহ ভয় না পায়, খোদা।
(যবে)	মস্‌জিদে যাই তোমারি টানে
(যেন)		মন নাহি ধায় দুনিয়া পানে
আমি ঈদের চাঁদ দেখি যেন আস্‌লে দুখের আঁধার রাত।।

বাণী

খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে।
প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা নিরজনে প্রভু নিরজনে।।
	শূন্যে মহা আকাশে
	মগ্ন লীলা বিলাসে,
ভাঙিছ গড়িছ নিতি ক্ষণে ক্ষণে।।
তারকা রবি শশী খেলনা তব, হে উদাসী,
পড়িয়া আছে রাঙা পায়ের কাছে রাশি রাশি।
	নিত্য তুমি, হে উদার
	সুখে দুখে অবিকার,
হাসিছ খেলিছ তুমি আপন মনে।।

বাণী

খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা
মেঘের এলোকেশে ওড়ে পুবালি বায়
দোলে গলায় বলাকার মালিকা।।
চপল বিদ্যুতে হেরি' সে চপলার
ঝিলিক হানে কণ্ঠের মণিহার,
নীল আঁচল হতে তৃষিত ধরার পথে
ছুড়ে ফেলে মুঠি মুঠি বৃষ্টি শেফালিকা।।
কেয়া পাতার তরী ভাসায় কমল-ঝিলে
তরু-লতার শাখা সাজায় হরিৎ নীলে।
ছিটিয়ে মেঠো জল খেলে সে অবিরল
কাজলা দীঘির জলে ঢেউ তোলে
আনমনে ভাসায় পদ্ম-পাতার থালিকা।।

বাণী

	খোদার রহম চাহ যদি নবীজীরে ধর।
	নবীজীরে মুর্শিদ কর নবীর কলমা পড়।।
		আল্লা যে ভাই অসীম সাগর
		কয়জন জানে তাঁহার খবর,
(যদি)	এ সাগরে যাবে, নবী নামের নায়ে চড়।।
	নবীর সুপারিশ বিনা আল্লার দরবারে কেউ যেতে নাহি পারে,
	ও ভাই আল্লা যেন সুর সেই সুরে সুমধুর বাজে নবীর বীণা তারে।
	আল্লা নামের ঝিনুকে ভাই মুক্ত যেন নবী
	আল্লা নামের আসমানে ভাই নবী যেন রবি,
	প্রিয় মোহাম্মদের নামরে ভাই আল্লা তালার চাবি
	খোদা দয়া করবেন সদা নবীরে সার কর।।

বাণী

	খেলো না আর আমায় নিয়ে, প্রিয় অলস খেলা।
	নিঠুর খেলা খেল এবার ফুরায় খেলার বেলা।।
		(তুমি) অন্ধকারের আড়াল হতে
		লও হে টানি’ বাহির পথে,
	চঞ্চলতার বিপুল স্রোতে, দাও ভাসাতে ভেলা।।
(তুমি)	সবার চেয়ে ভালোবাসো, আঘাত যারে হানো,
	স্মরণ যারে করো তারে মরণ টানে টানো।
		ঠাঁই যারে দাও চরণ-তলে
		ভোলাও না তায় সুখের ছলে,
	মালার নামে দাও না গলে তোমার অবহেলা।।