কি হবে জানিয়া বল
বাণী
কি হবে জানিয়া বল কেন জল নয়নে তুমি তো ঘুমায়ে আছ সুখে ফুল-শয়নে।। তুমি কি বুঝিবে বালা কুসুমে কীটের জ্বালা, কারো গলে দোলে মালা কেহ ঝরে পবনে।। আকাশের আঁখি ভরি’ কে জানে কেমন করি’ শিশির পড়ে গো ঝরি’, ঝরে বারি শাওনে। নিশীথে পাপিয়া পাখি এমনি তো ওঠে ডাকি’ তেমনি ঝুরিছে আঁখি বুঝি বা অকারণে।। কে শুধায়, আঁধার চরে চখা কেন কেঁদে মরে, এমনি চাতক-তরে মেঘ ঝুরে গগনে।। কারে মন দিলি কবি, এ যে রে পাষাণ-ছবি এ শুধু রূপের রবি নিশীথের স্বপনে।।
দুপুর বেলাতে একলা পথে
বাণী
দুপুর বেলাতে একলা পথে, ও কে হেলিয়া দুলিয়া চলিয়া যায়। ক্ষ্যাপা হাওয়াতে উড়িছে আঁচলা, খোঁপা খুলিয়া খুলিয়া খুলিয়া যায়।। ছল ক’রে জল যায় সে আনিতে দেখিয়া গুরুজন ঘোমটা দিতে, ও সে ভুলিয়া ভুলিয়া ভুলিয়া ভুলিয়া যায়।। কাহার গলার মালার তরে আপন মনে আঁচল ভ’রে, ফুল তুলিয়া তুলিয়া তুলিয়া তুলিয়া যায়।। কার বিরহে পরান দহে কিসের নেশায় মদির মোহে, ও সে ঢুলিয়া ঢুলিয়া ঢুলিয়া ঢুলিয়া যায়।।
ফোরাতের পানিতে নেমে
বাণী
ফোরাতের পানিতে নেমে ফাতেমা দুলাল কাঁদে অঝোর নয়নে রে।। দু'হাতে তুলিয়া পানি ফেলিয়া দিলেন অমনি — পড়িল কি মনে রে।। দুধের ছাওয়াল আসগর এই পানি চাহিয়ে রে, দুশ্মনের তীর খেয়ে বুকে ঘুমাল খুন পিয়ে রে; শাদীর নওশা কাশেম শহীদ এই পানি বিহনে রে।। এই পানিতে মুছিল রে হাতের মেহেদী সকিনার, এই পানিরই ঢেউয়ে ওঠে, তারি মাতম্ হাহাকার; শহীদানের খুন মিশে আছে, এই পানিরই সনে রে।। বীর আব্বাসের বাজু শহীদ হ'ল এরি তরে রে, এই পানির বিহনে জয়নাল খিয়াম তৃষ্ণায় মরে রে; শোকে শহীদ হ'লেন হোসেন জয়ী হয়েও রণে রে।।