বাণী

ঐ জল্‌কে চলে লো কার ঝিয়ারি। 
রূপ চাপে না তার নীল শাড়ি।। 
এমন মিঠি বিজলি দিঠি শেখালে তায় কে গো? 
রূপে ডুবু ডুবু রবির রঙ-ভরা ছবির, ছোঁয়াচ লেগেছে গো। 
মন মানে না, আর কি করি ! 
চলে পিছনে ছুটে’ তারি।। 
নাচে বুলবুলি ফিঙে ঢেউয়ে নাচে ডিঙে 
মাঠে নাচে খঞ্জন; 
তার দু’টি আঁখি-তারা নেচে হতো সারা —
দেখেছে বল কোন জন? 
আঁখি নিল যে মোর মন্‌ কাড়ি’ —
ঘরে থাকিতে আর নারি লো।। 
গোলাপ বেলী যুঁই-চামেলি - কোন্‌ ফুল তারি তুল্‌ গো
তার যৌবন-নদী বয় নিরবধি ভাসায়ে দু’ কূল গো 
নিল ভাসায়ে প্রাণ আমারি 
রূপে দু’কূল–ছাপা গাঙ্‌ তারি।।

বাণী

আরো কতদিন বাকি
তোমারে পাওয়ার আগে বুঝি হায়! নিভে যায় মোর আঁখি।।
কত আখি-তারা নিভিয়া গিয়াছে কাদিয়া তোমার লাগি'
সেই আখিগুলি তারা হয়ে আজো আকাশে রয়েছে জাগি
		যেন নীড়-হারা পাখি।।
যত লোকে আমি তোমারি বিরহে ফেলেছি অশ্রু-জল
ফুল হয়ে সেই অশ্রু ছুইতে চাহে, চাহে তব পদতল
		সে-সাধ মিটিবে নাকি।।

বাণী

মাঠে আমার ফল্‌ল ফসল মনের ফসল কই
শূন্য মনে আল্লা তোমার পানে চেয়ে রই।।
আরব মরুভূমে নবীজীরে পাঠাইলে
আমার মনের মরুভূমি বিফল রাখিলে,
গরীব ব’লে আমি কি গো বান্দা তব নই।।
চাই না যশ মান আমি চাহি না দৌলৎ,
আমি চাহি শুধু — তোমার নামেরি সরবত
যে যাহা চায় তুমি নাকি তারে তাহাই দাও
আমার মানত পূর্ণ ক’রে পরান বাঁচাও,
আমি যেন আল্লা নামের তস্‌বি শুধু বই।।

বাণী

হোরি খেলে নন্দলালা
প্রেমের রঙে মাতোয়ালা॥
বিশ্বরাধা সে সাথে রঙে খেলায় মাতে
রঙে ত্রিভুবন ছায় রাঙা আলোক আবির ছড়ায়
	হোরি রবি-শশী থালা॥
আজি বনে বনে মনে মনে হোরি
মনের মরুতে লতায় তরুতে রাঙা ফুল ফোটে মরি মরি।
আজি প্রাণে প্রাণে ফুল দোল
দোল পূর্ণিমা রাতি রাঙা ফুল তারা বাতি
	ধরণীতে আকাশে জ্বালা॥

বাণী

প্রভু তোমারে খুঁজিয়া মরি ঘুরে ঘুরে বৃথা দূরে চেয়ে থাকি
তুমি অন্তরতম আছ অন্তরে নয়নেরে দিয়ে ফাঁকি॥
	তুমি কাছে থাকি খেল লুকোচুরি
	তাই বাহিরে চাহিয়া দেখিতে না পাই
যেমন আঁখির পল্লব নাথ দেখিতে পায় না আঁখি॥
মোরা ভাবি তুমি কত দূরে বুঝি গ্রহ তারকার পারে
বুকে যে ঘুমায় তারে খুঁজি বনে প্রান্তরে দ্বারে দ্বারে।
	বাহিরে না পেয়ে ফিরি যবে ঘরে
	দেখি জেগে আছ তুমি মোর তরে
যত ডাকি তত লুকাও হে চোর মোর বুকে মুখ রাখি॥

বাণী

তব বাঁশরি কি হরি শুনিতে পাব না পাশরিয়া আছি বলে।
তব রাস উৎসবে ভিখারির মত বসে আছি পথ তলে।।
		যে ডাকে, যদি তারি হও একা
		ডাকে না যে, সে কি পাইবে না দেখা,
কাঁদে না যে ছেলে জননী কি তারে ডাকিয়া লয় না কোলে।।
(হরি!) পথ ভুলিয়া যে ঘোরে অরণ্যে দেখাবে না তারে পথ
(তুমি) সেদিনো ফিরায়ে দাওনি কংস দুর্যোধনের রথ।
		হরি! তুমি যদি নাহি ডাক আগে
		তাহার কি কভু হরি-প্রেম জাগে?
না শুনিয়া বাঁশি ব্রজবাসিনীরা যেত কি যমুনার জলে।।