এসো নূপুর বাজাইয়া যমুনা নাচাইয়া
বাণী
এসো নূপুর বাজাইয়া যমুনা নাচাইয়া কৃষ্ণ কানাইয়া হরি। মাখি’গোখুর ধূলিরেণু গোঠে চরাইয়া ধেনু বাজায়ে বাঁশের বাঁশরি।। গোপী চন্দন চর্চিত অঙ্গে প্রাণ মাতাইয়া প্রেম তরঙ্গে বামে হেলায়ে ময়ুর পাখা দুলায়ে তমাল শাখা দীপবনে, দাঁড়ায়ে ত্রিভঙ্গে। এসো লয়ে সেই শ্যাম-শোভা ব্রজ বধু মনোলোভা সেই পীত বসন পরি’।। এসো গগনে ফেলি নীল ছায়া আনো পিপাসিত চোখে মেঘ মায়া। এসো মাধব মাধবী তলে এসো বনমালী বন-মালা গলে এসো ভক্তিতে প্রেমে আঁখি জলে এসো তিলক লাঞ্ছিত সুর নর বাঞ্ছিত বামে লয়ে রাই কিশোরী।।
তুমি আরেকটি দিন থাকো
বাণী
তুমি আরেকটি দিন থাকো। হে চঞ্চল, যাবার আগে মোর মিনতি রাখো।। আমি ভালো ছিলাম ভুলে’ একা কেন নিঠুর দিলে দেখা, তুমি ঝরা-ফুলে গাঁথ্লে মালা গলায় দিলে না কো।। তোমার কাজের মাঝে আমায় ভোলা সহজ হবে, স্বামী! কেমন ক’রে এক্লা ঘরে থাক্বো ভুলে আমি। নিবু নিবু প্রদীপ আশার তুমি জ্বালিয়ে দিলে যদি আবার — প্রিয় নিভ্তে তারে দিও না আর আদর দিয়ে রাখো।।
জাগো জাগো রে মুসাফির
বাণী
জাগো জাগো, রে মুসাফির হ’য়ে আসে নিশিভোর। ডাকে সুদূর পথের বাঁশি ছাড় মুসাফির-খানা তোর।। অস্ত-আকাশ-অলিন্দে ঐ পান্ডুর কপোল রাখি’ কাঁদে মলিন ভোরের শশী, বিদায় দাও বন্ধু চকোর।। মরুচারী খুঁজিস সলিল অগ্নিগিরির কাছে, হায়! খুঁজিস অমর ভালোবাসা এই ধরণীর এই ধূলায়। দারুণ রোদের দাহে খুঁজিস কুঞ্জ-ছায়া স্বপ্ন-ঘোর।।
কাঁদবো না আর শচীদুলাল তোমায় ডেকে ডেকে
বাণী
কাঁদবো না আর শচীদুলাল তোমায় ডেকে ডেকে মোরা কাঁদবো না — (প্রিয়) তুমি গেছ চলে তোমার প্রেম গিয়েছ রেখে তাই কাঁদব না॥ ত্যাগ যেখানে প্রেম যেখানে তোমার মধু-রূপ সেখানে ওগো জগন্নাথের দেউল তোমায় রাখবে কোথায় ঢেকে॥ হল বৈরাগিনী ধরা তোমার চরণ ধূলি মেখে তোমার মন্ত্র নিল অসীম আকাশ চাঁদের তিলক এঁকে। সুন্দর যা কিছু হেরি ওগো রূপ সে শচী-নন্দনেরি তোমার ডাক শুনি যে আজো হৃদয়পুরীর সাগর থেকে। তোমার ডাক শুনি যে ওহে প্রিয় ডাক শুনি যে আজো হৃদয়পুরীর সাগর থেকে॥