বাণী

বকুল ছায়ে ছিনু ঘুমায়ে গোপন পায়ে আসিলে তুমি।
রাতের শেষে ভোরের মতন ভাঙিলে স্বপন নয়ন চুমি’॥
ফুলের বুকে মধুর সম আসিলে তুমি আামার প্রাণে
মরুর বুকে উঠিল ফুটে রঙিন কুসুম বেদন ভুলি’॥
জাগিয়া হেরি পরান ভরি উঠিতেছে ঢেউ এ কি এ ব্যথার
বেদনা যত মধুও তত হিয়াতে শরম নয়নে আশার।
অকালে ফাগুন আগুন শিখায় রাঙিল মনের কানন-ভূমি॥

বাণী

জাগো — জাগো বধূ নব-বাসরে।
গৃহ-দীপ জ্বালো কল্যাণ-করে।।
ভুবনের ছিলে, এলে ভবনে
স্বপন হ’তে এলে জাগরণে,
শ্রীমতী আসিলে শ্রী হীন ঘরে।।
স্বপন-বিহারিণী অকুণ্ঠিতা
পরিলে গুণ্ঠন সলাজ ভীতা’,
কমলা আসিলে কাঁকন প’রে।।

বাণী

কোন্‌ দূরে ও-কে যায় চ’লে যায়, সে ফিরে ফিরে চায় করুণ চোখে।
তার	স্মৃতি মেশা হায়, চেনা-অচেনায় তারে দেখেছি কোথায়
					যেন সে-কোন্ লোকে।।
শুনি	স্বপ্নে তারি যেন বাঁশি মন-উদাসী
তারি	বার্তা আসে নব মধু-মাসে, পলাশ আশোকে।।
	কৃষ্ণচূড়া তার মালা লুটায় — চৈত্র-শেষে বনের ধূলায়
	কান্না-বিধুর তার ভৈরবী সুর প্রভাতী তারায় অশ্রু ঘনায়,
					চির-বিরহী চিনি ওকে।।

বাণী

আসল যখন ফুলের ফাগুন, গুল্-বাগে ফুল চায় বিদায়।
এমন দিনে বন্ধু কেন বন্ধুজনে ছেড়ে যায়॥
মালঞ্চে আজ ভোর না হতে বিরহী বুলবুল কাঁদে,
না ফুটিতে দলগুলি তার ঝর্‌ল গোলাব হিম-হাওয়ায়॥
পুরানো গুল-বাগ এ ধরা, মানুষ তাহে তাজা ফুল,
ছিঁড়ে নিঠুর ফুল-মালী আয়ুর শাখা হতে তায়॥
এই ধূলিতে হল ধূলি সোনার অঙ্গ বে-শুমার,
বাদশা অনেক নূতন বধূ ঝরল জীবন-ভোরবেলায়॥
এ দুনিয়ার রাঙা কুসুম সাঁজ না হতেই যায় ঝ’রে,
হাজার আফ্‌সোস, নূতন দেহের দেউল ছেড়ে প্রাণ পালায়॥
সামলে চরণ ফেলো পথিক, পায়ের নিচে মরা ফুল
আছে মিশে এই সে ধরার গোরস্থানে এই ধূলায়॥
হল সময় — লোভের ক্ষুধা মোহন মায়া ছাড় হাফিজ,
বিদায় নে তো ঘরের কাছে দূরের বঁধূ ডাকছে আয়॥

বাণী

শত জনম আঁধারে আলোকে তারকা-গ্রহে লোকে লোকে
প্রিয়তম! খুঁজিয়া ফিরেছি তোমারে।।
	স্বপন হয়ে রয়েছ নয়নে
	তপন হ’য়ে হৃদয়-গগনে,
হেরিয়া তোমারে বিরহ-যমুনা, প্রিয়তম! দুলিয়া উঠে বারে বারে।।
হে লীলা-কিশোর! ডেকেছে আমারে তোমার বাঁশি,
যুগে যুগে তাই তীর্থ-পথিক ফিরি উদাসী।
	দেখা দাও, তবু ধরা নাহি দাও
	ভালোবাস ব’লে তাই কি কাঁদাও,
তোমারি শুভ্র পূজার-পুষ্প প্রিয়তম! ফুটিয়া ওঠে অশ্রুধারে।।

বাণী

ঈদ মোবারক হোক আজি ঈদ মোবারক হোক!
সব ঘরে পঁহুচুক এ ঈদের চাঁদের আলোক।।
যে আছে আজ প্রাণের কাছে, আছে আপন পুরে
যে আছে পরদেশে যার লাগি নয়ন ঝুরে
আজ সবারে বারে বারে খোশ খবরি কো’ক্।।
আজের মত দিলে দিলে থাকুক মহাব্বত
আজের মত খুশি থাকুক সবার তবিয়ত্,
কারো যেন থাকে না আর দুঃখ-ব্যথা-শোক।।
আজের মত এক জামাতে মিলন ঈদগাহে
দাঁড়াই যেন চলি যেন খোদারই রাহে,
দীন ইসলামের এ ক্যওমী যোশ জিন্দা হোক।।