আঁধার রাতে কে গো একেলা
বাণী
আঁধার রাতে কে গো একেলা নয়ন-সলিলে ভাসালে ভেলা।। কাঁদিয়া কারে খোঁজ ওপারে আজো যে তোমার প্রভাত বেলা।। কি দুখে আজি যোগিনী সাজি’ আপনারে ল’য়ে এ হেলা-ফেলা।। সোনার কাঁকন ও দুটি করে হের গো জড়ায়ে মিনতি করে। খুলিয়া ধূলায় ফেলো না গো তায়, সাধিছে নূপুর চরণ ধ’রে। হের গো তীরে কাঁদিয়া ফিরে আজি ও-রূপের রঙের মেলা।।
প্রিয়তম হে বিদায়
বাণী
প্রিয়তম হে, বিদায় আর রাখিতে নারি, আশা-দীপ নিভে যায় দুরন্ত বায়।। কত ছিল বলিবার, হায় হ’লো না বলা ঝুঁরিতেছে চামেলির বন উতলা যেন অনন্ত দিনের দিকে হায় হায়।। কে কাঁদে দিকে দিকে হায় হায়।। রহিল ছড়ানো মোর প্রাণের তিয়াস হুতাস পবনে; জড়ানো রহিল মোর করুণ প্রীতি ধূসর গগনে। তুমি মোরে স্মরিও যদি এই পথে কোনদিন চলিতে প্রিয় নিশিভোরে ঝরা ফুল দ’লে যাও পায়।।
যার মেয়ে ঘরে ফিরল না আজ
বাণী
যার মেয়ে ঘরে ফিরল না আজ তার ঘরে তুই যা মা উমা! আজ ঘুম নাই যে মায়ের চোখে সেই মাকে তুই জড়িয়ে ঘুমা॥ (মা) এমন আনন্দেরই হাটে কেঁদে যাহার দিবস কাটে ‘মা আমি এসেছি’ বলে, সেই জননীর খা মা চুমা॥ যে মা’র বুক শূন্য আজি, কাঁদে আয় রে গোপাল বলে, মা! তোর দুই কুমার নিয়ে, তুলে দে সেই শূন্য কোলে। ওমা! এই কটি দিন বিপুল স্নেহে তুমি বিরাজ কর প্রতি গেহে; সকল অভাব পূর্ণ ক’রে আনন্দ দে শান্তি দে মা॥
কেন হেরিলাম নব ঘনশ্যাম কালারে
বাণী
কেন হেরিলাম নব ঘনশ্যাম কালারে কাল্ কালিন্দী-কূলে। (সে যে) বাঁশরির তানে সকরুণ গানে ডাকিল প্রেম-কদম্ব মূলে।। কেন কলস ভরিতে গেনু যমুনা-তীরে, মোর কলস সাথে গেল ভাসি, লাজ-কূল-মান আকুল নীরে। কলসির জল মোর নয়নে ভরিয়া সই আসিনু ফিরে।। সখি হে তোদের সে রাই নাই, গোকুলের রাই গোকুলে নাই। সে যে হারাইয়া গেছে শ্যামের রূপে লো নবীন নীরদে বিজলি প্রায়। সে রবি-শশী সম ডুবিয়া গেছে লো সুনীল রূপের গগন-গায়।। হরি-চন্দন-পঙ্কে লো সখি শীতল ক’রে দে জ্বালা, দুলায়ে দে গলে বল্লভ-রূপী শ্যাম পল্লব মালা। নীল কমল আর অপরাজিতার, শেজ্ পেতে দে লো কোমর বিথার পেতে দে শয্যা পেতে দে, নীল শয্যা পেতে দে পেতে দে! পরাইয়া দে লো সখি অঙ্গে নীলাম্বরী, জড়াইয়া কালো বরণ আমি যেন মরি।।