বাণী

পায়েলা বোলে রিনিঝিনি।
নাচে রূপ-মঞ্জরি শ্রীরাধার সঙ্গিনী।।
	ভাব-বিলাসে
	চাঁদের পাশে,
ছড়ায়ে তারার ফুল নাচে যেন নিশীথিনী।।
নাচে উড়ায়ে নীলাম্বরী অঞ্চল,
মৃদু মৃদু হাসে আনন্দ রাসে শ্যামল চঞ্চল।
কভু মৃদুমন্দ
কভু ঝরে দ্রুত তালে সুমধুর ছন্দ,
বিরহের বেদনা মিলন-আনন্দ —
ফোটায় তনুর ভঙ্গিমাতে ছন্দ-বিলাসিনী।।

বাণী

এ-কূল ভাঙে ও-কূল গড়ে এই তো নদীর খেলা।
সকাল বেলা আমির, রে ভাই (ও ভাই) ফকির, সন্ধ্যাবেলা॥
সেই নদীর ধারে কোন্ ভরসায়
বাঁধলি বাসা, ওরে বেভুল, বাঁধলি বাসা, কিসের আশায়?
যখন ধরলো ভাঙন পেলি নে তুই পারে যাবার ভেলা।
এই তো বিধির খেলা রে ভাই এই তো বিধির খেলা॥
এই দেহ ভেঙে হয় রে মাটি, মাটিতে হয় দেহ
যে কুমোর গড়ে সেই দেহ, তার খোঁজ নিল না কেহ (রে ভাই)।
রাতে রাজা সাজে নাচমহলে
দিনে ভিক্ষা মেগে বটের তলে
শেষে শ্মশান ঘাটে গিয়ে দেখে সবাই মাটির ঢেলা
এই তো বিধির খেলা রে ভাই ভব নদীর খেলা॥

বাণী

	টারালা টারালা টারালা টা টারালা টারালোল্লা
নাচে	শুটকী শুকনো সাহেবকে ধ'রে মুটকি মিস আরসোল্লা।
		হা-হা- হা-হা- হা।।
	খুরওয়ালা জুতা পরে খটখট ঠেংরী নাড়ে
	চাবুক খেয়ে জোড়া ঘোড়ায় যেন পেছলি ঝাড়ে!
দেখে	পাদ্রি, পুরুত, মোল্লা বাবাজী কাছা খোল্লা।
		আর বাবাজী কাছা খোল্লা।।
দেখে	আণ্ডাওয়ালা ভাবে বুঝি খেল ডাণ্ডাগুলি
হা	গণ্ডার মার্কা ষণ্ডা বিবি খেল ডাণ্ডাগুলি
হা	ভাব-আবেশের নয়ন তাহার হলো নয়ান ঝুলি;
	নেকু বাবুর ঢেকুর ওঠে পেটে মেকুর আচড়ায়!
	কাল্লু ভাবে মেম পালোয়ান সাহেবকে বুঝি পাছড়ায়। ( হায় হায় হায়)
	যতো কাবলিওয়ালা মাউড়া সব হো গিয়া ভাই বাউড়া
	মোষের গাড়োয়ান প্রেম-রসে হলো রসগোল্লা।।

বাণী

ওঁ শঙ্কর হর হর শিব সুন্দর।
কোটি ভাস্কর জ্যোতি শূলপাণি নটবর।।
রজত গিরিনিভ কান্তি মনোহর।
জটা ভূষণ ত্রিনয়ন শশীশেখর।।
বাঘাম্বর যোগীন্দ্র ডমরুধর।
প্রসীদ আশুতোষ রুদ্র মহেশ্বর।।

নাটক : ‘অন্নপূর্ণা’

বাণী

	ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে।
(ওসে)	কোন্ অভাগা অঙ্ক-লক্ষ্মী নাম দিল এই শঙ্খ-চিলে।।
		দিন রাত্তির অঙ্ক কষে
		পান্ হতে চুন কখন্ খসে,
	স্ত্রী ব’লে আন্‌নু ঘরে শাড়ি পরা কোন্ উকিলে।।
	প্রাণ-পাখি মোর খাঁচা-ছাড়া, (এই) ঝুল্‌তি বেণীর গুল্‌তি ঢিলে’
	মাতঙ্গিনী মহিষিণী গুঁতিয়ে ফাটায় পেটের পিলে।
		যেমন বাঘ দেখে ছাগ ছুটেরে ভাই
		তেমনি কাছা খুলে পালিয়ে বেড়াই
	ওগো মাগো এসে রক্ষা কর হালুম-বাঘায় ফেল্‌ল গিলে।।

বাণী

	পরদেশী মেঘ যাও রে ফিরে।
	বলিও আমার পরদেশী রে।।
	সে দেশে যবে বাদল ঝরে
	কাঁদে নাকি প্রাণ একেলা ঘরে,
বিরহ-ব্যথা নাহি কি সেথা বাজে না বাঁশি নদীর তীরে।।
বাদল-রাতে ডাকিলে ‘পিয়া পিয়া পাপিয়া’,
বেদনায় ভ’রে ওঠে নাকি রে কাহারো হিয়া।
	ফোটে যবে ফুল, ওঠে যবে চাঁদ
	জাগে না সেথা কি প্রাণে কোন সাধ,
দেয় না কেহ গুরু গঞ্জনা সে দেশে বুঝি কুলবতী রে।।