বাণী

মম প্রাণ-শতদল হোক প্রণামী-কমল (ওগো) তব চরণে
আমার এ হৃদয় নাথ হোক তন্ময় তোমারি স্বরণে তোমারি স্বরণে॥
তব পূজার বেদী হোক আমার এ মন
হোক্ আরতি-প্রদীপ মোর এ দুটি নয়ন
নাথ, লহ মোরে পায় তোমারি সেবায় জীবনে-মরণে॥
মম দুঃখে সুখে মম তৃষিত বুকে তুমি বিরাজ,
মোর সকল কাজে বীণা-বেণু সম নিশিদিন বাজো॥
মোর দেহখানি, নাথ চন্দন প্রায়
হোক্ ক্ষয় তব মন্দির-পাষাণ-শিলায়,
পাই যেন লয়, নাথ, তব সৃষ্টির রূপে বরণে॥

বাণী

ঝঞ্ঝার ঝাঁঝর বাজে ঝনঝন
বনানী-কুন্তল এলাইয়া ধরণী
কাঁদিছে পড়ি চরণে শনশন শনশন।।
দোলে ধূলি-গৈরিক পতাকা গগনে,
ঝামর কেশে নাচে ধূর্জটি সঘনে।
হর-তপোভঙ্গের ভুজঙ্গ নয়নে,
সিন্ধুর মঞ্জীর চরণে বাজে রনরন রনরন।।

বাণী

ঢল ঢল তব নয়ন-কমল কাজল তোমারেই সাজে।
শোভে তোমারেই চাঁদের হাসি হিঙুল অধর-মাঝে।।
	ফিরোজা-রঙ শাড়ি চাঁপা রঙে তব
	সেজেছে প্রিয়া কি অভিনব,
সুনীল গগনে গোধূলি রঙ যেন মিশেছে আসিয়া ঊষা ও সাঁঝে।।
কোমলে কড়িতে বাজে কাঁকন চুড়ি
শিথিল আঁচল ল’য়ে খেলে হাওয়া লুকোচুরি,
উষ্ণ কপোল ছুঁয়ে থল্-কমলী আঁউ’রে গেল যে লাজে।।

বাণী

আমি গিরিধারী মন্দিরে নাচিব,
			আমি নাচিব প্রেম যাচিব।।
নেচে নেচে রস শেখরে মোহিব
মধুর প্রেম তার যাচিব (আমি)
প্রেম-প্রীতির বাঁধিব নূপুর রূপের বসনে সাজিব (আমি)।।
মানিব না লোক-লাজ কুলের ভয় আনন্দ রাসে মাতিব।
শ্যামের বেদীতে বিরাজিব বামে হরিরে মীরার রঙে রাঙিব (আমি)।।

বাণী

ঝরঝর অঝোর ধারায় ঝুরছে মনে রঙের ঝুরি।
দোলন-খোঁপায় দোল্ দিয়ে যায় দুলাল-চাঁপার তরুণ কুঁড়ি।।
চঞ্চলতার আবেশ লেগে আঁচল আমার রয় না গায়ে,
জরীন্ ফিতার বাঁধন টু’টে ব্যাকুল বেণী লুটায় পায়ে।
খেল্‌ছে চোখে মন্মথ আজ রতির সাথে লুকোচুরি,
নাচের তালে আপনি বাজে চপল হাতে কাঁকন চুড়ি।।

বাণী

আজি	ঘুম নহে, নিশি জাগরণ।
	চাঁদেরে ঘিরি’ নাচে ধীরি ধীরি তারা অগণন।।
	প্রখর-দাহন দিবস-আলো,
	নলিনী-দলে ঘুম তখনি ভালো।
	চাঁদ চন্দন চোখে বুলালো
		খোলো গো নিঁদ-মহল-আবরণ।।
	ঘুরে ঘুরে গ্রহ, তারা, বিশ্ব, আনন্দে
	নাচিছে নাচুনি ঘূর্ণির ছন্দে।
	লুকোচুরি-নাচ মেঘ তারা মাঝে
	নাচিছে ধরণী আলোছায়া-সাজে,
	ঝিল্লির ঘুমুর ঝুমুঝুমু বাজে
		খুলি’ খুলি’ পড়ে ফুল-আভরণ।।