বাণী

ওগো মুর্শিদ পীর! বলো বলো রসুল কোথায় থাকে।
কোথায় গেলে কেমন ক’রে দেখতে পাব তাঁকে।।
	বেহেশ্‌ত — ’পারে দূর আকাশে
	তাঁহার আসন খোদার পাশে,
সে এতই প্রিয়, আপনি খোদা লুকিয়ে তারে রাখে।।
কোরান পড়ি হাদিস শুনি, সাধ মেটে না তাহে,
আতর পেয়ে মন যে আমার ফুল দেখতে চাহে।
	সবাই খুশি ঈদের চাঁদে
	আমার কেন পরান কাঁদে,
দেখ্‌ব কখন আমার ঈদের চাঁদ — মোস্তফাকে।।

বাণী

	আল্লাহ্‌ রসুল জপের গুণে কি হ'ল দেখ চেয়ে —
সদা	ঈদের দিনের খুশিতে তোর পরাণ আছে ছেয়ে।।
		আল্লাহ্‌র রহমত ঝরে
		ঘরে বাইরে তোর উপরে,
	আল্লাহ্‌ রসুল হয়েছেন তোর জীবন-তরীর নেয়ে।।
	দুখে সুখে সমান খুশি নাই ভাবনা ভয়,
তুই	দুনিয়াদারী করিস তবু আল্লাহ্‌তে মন রয়।
		মরণকে আর ভয় নাই তোর,
		খোদার প্রেমে পরাণ বিভোর,
	তিনি দেখেন তোর সংসার, তোরই ছেলেমেয়ে।।

বাণী

কেন আজ নতুন ক’রে পরান তোমারে পাইতে চায়।
এত কাছে আছো তবু কেন বুকে অসহ বিরহ হায়।।
রূপ-সরসীতে ফুটালে পদ্মিনী বঁধু
দিলে সুরভি রসঘন মধু,
তবু শীর্ণা তনু কেন চায় গোধুলি রাঙা-শাড়ি -
		আল্‌তা পরিতে কেন সাধ যায়।।
বনশ্রী কাঁদে প্রেম কণ্ঠ জড়ায়ে ওলো নিরাভরণা
অথই জলে কাঁদে প্রেম ঘন কমল খোঁপায় কেন পর না,
কেন তব সুরের কপোতী মুক্তামালা চুড়ি কাঁকন পরায়।।

 

বাণী

আজকে শাদী বাদ্‌শাজাদীর পান করো শিরাজি।।
নেশার ঝোঁকে চোখে চোখে খেলুক আতস বাজি
	(সবে) পান করো শিরাজি।।
	সামনে মোরা যাকে পাব
	রঙিন পানি পান করাব
প্রাণে খুশির রঙ করাব নেচে খেয়ে আজি
	সবে পান করো শিরাজি।।

রেকর্ড-নাটিকাঃ ‘লায়লী মজনু’

বাণী

বনকুসুম-তনু তুমি কি মধুমতী!
ঢল ঢল নয়নে রস-ঘন মিনতি।।
রুমুঝুমু ঘুমুরে ঘুমুঘুমু বিবশা
নিথর বসুমতী, নিশিমদ-অলসা,
মুরছিত চরণে শত মদন রতি।।
রস-ছলছল গো তব মধু কলসে
ঝরঝর ঝরনা অনুখন বরষে,
অরুণিত নয়না মধুর রসবতী।।১

১. বধুরম মধুরম মধুর রসবতী।।

বাণী

কবে সে মদিনার পথে, গিয়াছে সুজন।
বহায়ে নয়ন বারি, ভিজিল বসন।।
	রমজানের ঐ চাঁদ নবী,
	পাঠাইলেন নূরের খুবী,
পাগল করে আমার হিয়া করেছে হরণ।।
	পশুপাখি তরুলতা,
	তারা শুধায় পারের কথা,
আমি একলা বসে ভাবছি হেথা নবীজীর কারণ।।
	বেড়াই আমি পথে পথে,
	খুঁজে না পাই মদিনাতে,
কোথায় গেলেন পাক মোস্তফা অমূল্য রতন।।
[দুখুমিয়ার লেটোগান, সংগ্রহ ও সম্পাদনা : মুহম্মদ আয়ুব হোসেন, বিশ্বকোষ পরিষদ, কলকাতা, ২০০৩]

রেকর্ড

কবে সে মদিনা পথে গিয়াছে সুজন।
বহায়ে নয়ন-বারি (আমার) ভিজায়ে বদন।।
	রমজানের চাঁদে নবী, 
	পাঠায় সদা নূরের ছবি, 
পাগল করে আমার মন করেছে হরণ।।
	পশুপাখি তরুলতা, 
	তাদের শুধাই পথের কথা, 
কেমনে পাবো সে চাঁদে জীবন-শরণ।।
	খুঁজে সে মদিনা-নাথে, 
	কেঁদে ফিরি পথে পথে, 
কোথা গেলে পাবো আমি ও রাঙা চরণ।।