আবার কি এলো রে বাদল
বাণী
আবার কি এলো রে বাদল। ল’য়ে পিঠভরা এলোচুল, চোখ ভরা জল।। তৃষিত গগনের তৃষ্ণা কি মিটিল কৃষ্ণা-প্রিয়ায় পেয়ে হিয়া কি তিতিল, কাহার বিরহ-দাহন জুড়াল, মোর মত কা’র নিশি হইল বিফল।। ফুটিল কি কদম কেয়া, দোলে, কা’র বুকে ফুল, কা’র নয়নে দেয়া। কে গেল অভিসারে, কে কাঁদে ভবনে কা’র দীপ নিভে গেল দুরন্ত পবনে, কণ্ঠ-লগ্না কা’র কান্তা ঘুমায় মোর মত কা’র বুকে জ্বলিছে অনল।।
তুমি শুনিতে চেয়ো না আমার মনের কথা
বাণী
তুমি শুনিতে চেয়ো না আমার মনের কথা দখিনা বাতাস ইঙ্গিতে বোঝে কহে যাহা বনলতা।। চুপ ক'রে চাঁদ সুদুর গগনে মহা-সাগরের ক্রন্দন শোনে, ভ্রমর কাদিঁয়া ভাঙিতে পারে না কুসুমের নীরবতা।। মনের কথা কি মুখে সব বলা যায়? রাতের আঁধারে যত তারা ফোটে আঁখি কি দেখিতে পায়? পাখায় পাখায় বাঁধা যবে রয় বিহগ-মিথুন কথা নাহি কয়, মধুকর যবে ফুলে মধু পায় রহে না চঞ্চলতা।।
গীতিচিত্রঃ ‘অতনুর দেশ’
লক্ষ্মী মাগো এস ঘরে
বাণী
লক্ষ্মী মাগো এস ঘরে সোনার ঝাঁপি লয়ে করে। কমল-বনের কমলা গো বিহর হৃদি-কমল পরে।। কোজাগরী-পূর্ণিমাতে দাঁড়াও আকাশ-আঙ্গিনাতে, মা গো, তোমার লক্ষ্মী শ্রী জোছনা-ধারায় পড়ুক ঝরে।। চঞ্চলা গো, এই ভবনে থাকো অচঞ্চলা হয়ে, দারিদ্র্য আর অভাব যত দূর হোক মা তোর উদয়ে। সুমঙ্গলা দুঃখ-হরা। অমৃত দাও পাত্র-ভরা, ঐশ্বর্য উপ্চে পড়ুক, হরি-প্রিয়া তোমার বরে।।
‘লক্ষ্মী-বন্দনা’
ছন্দের বন্যা হরিণী অরণ্যা
বাণী
ছন্দের বন্যা হরিণী অরণ্যা চলে গিরি-কন্যা চঞ্চল ঝর্ণা নন্দন-পথ-ভোলা চন্দন-বর্ণা।। গাহে গান ছায়ানটে, পর্বতে শিলাতটে লুটায়ে পড়ে তীরে শ্যামল ওড়না।। ঝিরি ঝিরি হাওয়ায় ধীরি ধীরি বাজে তরঙ্গ-নূপুর বন-পথ মাঝে। এঁকেবেকে নেচে যায় সর্পিল ভঙ্গে কুরঙ্গ সঙ্গে অপরূপ রঙ্গে গুরু গুরু বাজে তাল মেঘ-মৃদঙ্গে তরলিত জোছনা-বালিকা অপর্ণা।।