ওরে আজই না হয় কালই তোরে
বাণী
ওরে আজই না হয় কালই তোরে কালী কালী বল্তে হবে। তুই কাঁদ্বি ধ’রে কালীর চরণ মহাকাল আসিবে যবে।। তুই জন্মের আগে ছিলি শিখে মা বল্তে মা কালীকে, তুই ভুল্লি আদি-জননীকে দু’দিন মা পেয়ে ভবে।। তুই কালি দিয়ে লিখ্লি হিসাব কেতাব-পুঁথি শিখ্লি পড়া, তোর মাঠে ফসল ফুল্ ফুটালো কালো মেঘের কালি-ঝরা। তোর চোখে জ্বলে কালীর কালো তাই জগতে দেখিস্ আলো, (কালি) প্রসাদ গুণে সেই আলো তুই হৃদ্পদ্মে দেখ্বি কবে।।
আমি মূলতানী গাই
বাণী
আমি মূলতানী গাই শ্রোতারা বাছুর সম মুখপানে চেয়ে মম ঘন ঘন তোলে হাই।। জাপটে সুরের দাড়ি শ্বশুরের দাড়ি, ভাসুরের দাড়ি সাপটে তান মারি-আ-আ-আ জাপটে সুরের দাড়ি পমকে ধমক দেই, মীরে মাড় চটকাই।। হায় হায় রে হায়- বোলতানে আবোল-তাবোল তানে খেলি হা-ডু-ডু কিত-কিত - হা-ডু-ডু- হা-ডু-ডু-কিত-কিত-কিত-কিত-কিত মোড়-মোড়-মোড় আমি বাটের চাট মেরে সুরে করি চিত আমি তালের সিঙ দিয়ে বেদম গুতাই।। মোর মুখের হা দেখে হিপোপটেমাস আফ্রিকার জঙ্গলে ভয়ে করে বাস আমি যত নাহি গাই তার অধিক রাগাই।।
ব্রজ-দুলাল ঘন শ্যাম
বাণী
ব্রজ-দুলাল ঘন শ্যাম মোর হৃদে কর বিহার হে।। নব অনুরাগের জ্বালায়ে বাতি অঙ্গে অঙ্গে রাখি তব শেজ পাতি’ গাঁথি অশ্রু-মোতিহার হে।। আরতি-প্রদীপ আঁখিতে জ্বালায়ে রাখি পথ-পানে চাহি বার বার হে।। নিবেদন করি নাথ তব চরণে নিত্য পূজা-উপচার হে বিরহ-গন্ধ ধূপ বেদনা চন্দন পূজাঞ্জলি আঁখি-ধার হে দেবতা এসো, খোল দ্বার হে।।
কে দিল খোঁপাতে ধুঁতুরা ফুল লো
বাণী
কে দিল খোঁপাতে ধুঁতুরা ফুল লো খোঁপা খুলে কেশ হলো বাউল লো।। পথে সে বাজালো মোহন–বাঁশি তোর ঘরে ফিরে যেতে হলো এ ভুল লো।। কে নিল কেড়ে তোর পৈঁচী চুড়ি বৈঁচি মালায় ছি ছি খোয়ালি কুল লো।। ও সে বুনা পাগল পথে বাজায় মাদল পায়ে ঝড়ের নাচন শিরে চাঁচর চুল লো।। দিল নাকেতে নাকছাবি বাবলা ফুলি কুঁচের চুড়ি আর ঝুঁমকো ফুল দুল লো।। সে নিয়ে লাজ দু’কূল দিল ঘাঘরি সে আমার গাগরি ভাসালো জলে বাতুল লো।।
নাটকঃ মহুয়া