বাণী

আজি		কুসুম-দীপালি জ্বলিছে বনে।
জ্বলে		দীপ-শিখা আম্র-মুকুলে
রাঙা		পলাশ অশোকে বকুলে,
আসে		সে আলোর টানে বন-তল
		মৌমাছি প্রজাপতি দলে দল
পুড়ে		মরিতে সে রূপ-শিখাতে
প্রাণ		সঁপিতে বাসন্তিকাতে;
		পরিমল অঞ্জন মাখিয়া নয়নে
হের		ঝিমায় আকাশ চাঁদের স্বপনে।।
জ্বলে		গগনে তারার দীপালি
আজি		ধরাতে আকাশে মিতালি
ধরা		চাঁপার গেলাস ভরিয়া
মধু		উর্ধ্বে তুলে গো ধরিয়া
পান		করিতে সে মধু পরীরা
আসে		নেমে কাননে স-শরীরা;
		বাজে উৎসব বাঁশি গগনে পবনে
		হের ঝিমায় আকাশ চাঁদের স্বপনে।।

বাণী

শ্রাবণ রাতের আঁধারে নিরালা ব’সে আছি বাতায়নে
রেবা নদীর খরস্রোত বহে বেগে আমার মনে॥
		দিগন্তে করুণ কাতর
		শুনি কার ক্রন্দন স্বর
ভেসে বন-মর্মর ঝরঝর সজল উতল পুবালি পবনে॥
বিরহী যক্ষ কাঁদে একাকী কোথায় কোন্ দূর চিত্রকূটে
আমার গানে যেন তার বেদনার সকরুণ ভাষা ফুটে।
		আমার মনের অলকায়
		কোন্ বিরহিণী পথ চায়
মালবিকার আঁখি-ধার ঝরে হায় অঝোর ধারায় মোর নয়নে॥

বাণী

তুই কালি মেখে জ্যোতি ঢেকে পারবি না মা ফাঁকি দিতে।
ঐ অসীম আঁধার হয় যে উজল মা, তোর ঈষৎ চাহনিতে।।
		মায়ের কালি মাখা কোলে
		শিশু কি মা, যেতে ভোলে?
আমি দেখেছি যে, বিপুল স্নেহের সাগর দোলে তোর আঁখিতে।।
কেন আমায় দেখাস মা ভয় খড়গ নিয়ে, মুন্ডু নিয়ে?
আমি কি তোর সেই সন্তান ভুলাবি মা ভয় দেখিয়ে।
		তোর সংসার কাজে শ্যামা,
		বাধা আমি হব না মা,
মায়ার বাঁধন খুলে দে মা ব্রহ্মময়ী রূপ দেখিতে।।

বাণী

(মা) আমার ভবের অভাব লয় হয়েছে শ্যামা-ভাব-সমাধিতে।
শ্যামা রসে যে-মন আছে ডুবে কাজ কিরে তার যশ-খ্যাতিতে।।
	মধু যে পায় শ্যামা-পদে,
	কাজ কিরে তার বিষয়-মদে;
যুক্ত যে মন যোগামায়াতে; ভাবনা কি তার রোগ ব্যাধিতে।।
কাজ কি’রে তার লক্ষ টাকায়, মোক্ষ লক্ষ্মী যাহার ঘরে,
কত রাজার রাজা প্রসাদ মাগে সেই ভিখারীর পায়ে ধরে।
ও মা শান্তিময়ী অন্তরে যার, দুঃখ শোকে ভয় কি রে তার
সে সদানন্দ সদাশিব জীবন্মুক্ত ধরণীতে।।

বাণী

বৃথা তুই কাহার পরে করিস অভিমান
পাষাণ-প্রতিমা সে যে হৃদয় পাষাণ।।
রূপসীর নয়নে জল নয়ন-শোভার তরে
ও শুধু মেঘের লীলা নভে যে বাদল ঝরে।
চাতকেরই তরে তাহার কাঁদে না পরান।।
প্রণয়ের স্বপন-মায়া,ধরিতে মিলায় কায়া
গো-ধূলির রঙের খেলা ক্ষণে অবসান।।

বাণী

মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা
তুমি বাদ্‌শারও বাদ্‌শাহ্ কম্‌লিওয়ালা।।
পাপে-তাপে পূর্ণ আঁধার দুনিয়া
হ’ল পুণ্য বেহেশ্‌তী নূরে উজালা।।
গুনাহ্‌গার উম্মত লাগি’ তব
আজো চয়ন্‌ নাহি, কাঁদিছ নিরালা।।
কিয়ামতে পিয়াসি উম্মত লাগি’
দাঁড়ায়ে রবে ল’য়ে তহুরার পিয়ালা।।
জ্বলিবে রোজ হাশরে দ্বাদশ রবি
কাঁদিবে নফ্‌সি ব’লে সকল নবী
য়্যা উম্মতী য়্যা উম্মতী, একেলা তুমি
কাঁদিবে খোদার পাক আরশ চুমি’ —
পাপী উম্মত ত্রাণ তব জপমালা ধ্যান
তব গুণ গাহিল খোদ্ আল্লাহতা’লা।।