বাণী

এসো নূপুর বাজাইয়া যমুনা নাচাইয়া
			কৃষ্ণ কানাইয়া হরি।
মাখি’গোখুর ধূলিরেণু গোঠে চরাইয়া ধেনু
			বাজায়ে বাঁশের বাঁশরি।।
গোপী চন্দন চর্চিত অঙ্গে
প্রাণ মাতাইয়া প্রেম তরঙ্গে
বামে হেলায়ে ময়ুর পাখা দুলায়ে তমাল শাখা
			দীপবনে, দাঁড়ায়ে ত্রিভঙ্গে।
এসো লয়ে সেই শ্যাম-শোভা ব্রজ বধু মনোলোভা
			সেই পীত বসন পরি’।।
এসো গগনে ফেলি নীল ছায়া
আনো পিপাসিত চোখে মেঘ মায়া।
এসো মাধব মাধবী তলে
এসো বনমালী বন-মালা গলে
এসো ভক্তিতে প্রেমে আঁখি জলে
এসো তিলক লাঞ্ছিত সুর নর বাঞ্ছিত
			বামে লয়ে রাই কিশোরী।।

বাণী

কোথায় তুই খুঁজিস ভগবান্, সে যে রে তোরই মাঝে রয়,
			চেয়ে দেখ সে তোরই মাঝে রয়।
সাজিয়া যোগী ও দরবেশ খুঁজিস্ যায় পাহাড় জঙ্গলময়।।
আঁখি খোল্ ইচ্ছা-অন্ধের দল নিজেরে দেখ্ রে আয়নাতে,
দেখিবি তোরই এই দেহে নিরাকার তাঁহার পরিচয়।।
ভাবিস্ তুই ক্ষুদ্র কলেবর, ইহাতেই অসীম নীলাম্বর,
এ দেহের আধারে গোপন রহে সে বিশ্ব-চরাচর।
প্রাণে তোর প্রাণের ঠাকুর বেহেশ্‌তে স্বর্গে কোথাও নয়।।
এই তোর মন্দির-মসজিদ এই তোর কাশী-বৃন্দাবন,
আপনার পানে ফিরে চল কোথা তুই তীর্থে যাবি, মন!
এই তোর মক্কা-মদিনা, জগন্নাথ-ক্ষেত্র এই হৃদয়।।

বাণী

বনে মোর ফুটেছে হেনা চামেলি যূথী বেলি।
এসো এসো কুসুম সুকুমার শীতের মায়া-কুহেলি অবহেলি’॥
পরানে দেয় দোলা দেয় দোলা দুল্ দোলায়
(পরানে দেয় দোলা দেয় দোলা দেয় দোলন্)
	উতলা দখিন হাওয়া
কোকিল কুহরে কুহু কুহু স্বরে মদির স্বপন-ছাওয়া।
হাসে গীত-চঞ্চল, জোছনা-উজল মাধবী রাতি
	এসো এসো যৌবন সাথি
ফুল-কিশোর, হে চিতচোর, দেবতা মোর।
	মম লাজ অবগুণ্ঠন ঠেলি’॥

বাণী

মদিনার শাহানশাহ্ কোহ্-ই-তূর-বিহারী
মোহাম্মদ মোস্তফা নবুয়তধারী॥
আল্লার প্রিয় সখা, দুলাল মা আমেনার
খাদিজার স্বামী, প্রিয়তম আয়েশার
আস্‌হাবের হাম্‌দম্‌, ওয়ালেদ ফাতেমার,
বেলালের আজান, খালেদের তলোয়ার,
কেয়ামতে উম্মত শাফায়ত-কারী॥
তৌহিদ-বাণী মুখে, আল-কোরআন হাতে
খোদার নূর দেখি যাঁর হাসির ইশারাতে
যাঁর কদমের নীচে দুলে কত জিন্নাত,
যে দু’হাতে বিলালো দুনিয়ায় খোদার মোহাব্বত
হো মেরাজের দুলহা আল্লার আর্শচারী॥
নয়নে যাঁর সদা খোদার রহমত ঝরে
সংসার মরুবাসী পিয়াসার তরে
আনিল যে কওসর সাহারা নিঙাড়ি’॥

বাণী

গাহে আকাশ পবন নিখিল ভুবন (গাহে) তোমারই নাম।
সাগর নদী বন উপবন (গাহে) তোমারই নাম।।
	মধুর তোমার গানের নেশায়
	ঘোর লাগে ঐ গ্রহ-তারায়,
অনন্ত কাল ঘুরিয়া বেড়ায় — ঘিরি’ অসীম গগন।।
	তোমার প্রিয় নামে, হে বঁধূ,
	ফুলের বুকে পুরে মধু।
	তোমার নামের মাধুরি মাখি’
	গান গেয়ে যায় বনের পাখি,
নিখিল পাগল ও নাম ডাকি’ — কোটি চন্দ্র তপন।।

বাণী

বল্ সই বসে কেনে একা আনমনে
চল সই সই পাতাবি গাঁদা ফুলের সনে।।
নিয়ে পাথর কুচি, আউস ধানের গুছি
অজয় নদীর ধারে খেল্‌ব নিরজনে।।
দেখিস্‌ আস্‌বে ফিরে তোর চাঁদ নতুন চাঁদে,
চাঁদ-মুখ রেখে ঘরে কে সই রইতে পারে 
		আঁধার কয়লা খাদে!
আস্‌বে পোষা কোকিল, ডাকবে মহুল বনে।।
কিন্‌বে ধেনো জমি এবার টাকা এনে,
সে আর যেন গয়না কাপড় না কেনে
তোর বলতে যদি লাজে বাধে মুখে
আমি বল্‌ব তারে যা তুই ভাবিস মনে।।