বাণী

ও বন্ধু! দেখ্‌লে তোমায়, বুকের মাঝে জোয়ার-ভাঁটা খেলে।
আমি এক্‌লা ঘাটে কুলবধূ কেন তুমি এলে
			বন্ধু, কেন তুমি এলে।।
ও বন্ধু, আমার অঙ্গে কাঁটা দিয়ে ওঠে বাজাও যখন বাঁশি
আমি খিড়্‌কি দুয়ার দিয়ে বন্ধু, জল ভরিতে আসি
ভেসে’ নয়ন-জলে ঘরে ফিরি ঘাটে কলস ফেলে।।
আমার পাড়ায়, বন্ধু, তোমার নাম যদি নেয় কেউ
বুকে আমার দুলে ওঠে পদ্মা নদীর ঢেউ বন্ধু পদ্মা নদীর ঢেউ।
	ওগো ও চাঁদ, এনো না আর
	দু’কূল-ভাঙা এমন জোয়ার
কত ছল ক’রে জল লুকাই চোখের কাঁচা কাঠে আগুন জ্বেলে।।

বাণী

থৈ থৈ জলে ডুবে গেছে পথ এসো এসো পথ ভোলা,
সবাই দুয়ার বন্ধ করেছে (আছে) আমার দুয়ার খোলা।।
	সৃষ্টি ডুবায়ে ঝরুক বৃষ্টি,
	ঘন মেঘে ঢাকো সবার দৃষ্টি,
ভুলিয়া ভুবন দুলিব দু'জন গাহি' প্রেম হিন্দোলা।।
সব পথ যবে হারাইয়া যায় দুর্দিনে মেঘে ঝড়ে,
কোন পথে এসে সহসা সেদিন দোলো মোরে বুকে ধ'রে।
	নিরাশা-তিমিরে ঢাকা দশ দিশি,
	এলো যদি আজ মিলনের নিশি,
আষাঢ়-ঝুলনা বাঁধিয়া শ্রীহরি দাও দাও মোরে দোলা।।

গীতি-আলেখ্য: ‌‘হিন্দোলা’

বাণী

আমার সকল আকাশ ভ'রলো তোমার তনুর কমল-গন্ধে
আমার বন-ভবন ঘিরল মধুর কৃষ্ণ-মকরন্দে।।
	এলামেলো মলয় বহে
	বন্ধু এলো, এলো কহে
উজ্জ্বল হ'ল আমার ভুবন তোমার মুখ-চন্ধে।।
আমার দেহ-বীণায় বাজে তোমার চরণ-নূপুর-ছন্দ
সকল কাজে জাগে শুধু অধীর আনন্দ।
	আমার বুকের সুখের মাঝে
	তোমার উদাস বেণু বাজে
তোমার ছোওয়ায় আবেশ জাগে ব্যাকুল বেণীর বন্ধে।।

বাণী

লায়লী! লায়লী! ভাঙিয়ো না ধ্যান মজনুর এ মিনতি।
লায়লী কোথায়? আমি শুধু দেখি লা এলা'র জ্যোতি।।
পাথর খুঁজিয়া ফিরিয়াছি প্রিয়া প্রেম-দরিয়ার কূলে,
খোদার প্রেমের পরশ-মানিক পেলাম কখন ভুলে।
	সে মানিক যদি দেখ একবার
	মজনুরে তুমি চাহিবে না আর
জুলেখা-ইয়ুসুফ লাজ মানে হেরি' তাহার খুব -সুরতি।।
মজনুরে ও যে লায়লী ভোলায় সে যে কত সুন্দর
বুঝিবে লায়লী যদি তুমি তারে নেহার এক নজর।
	সাধ মিটিবে না হেথা ভালোবেসে,
	চল চল প্রিয়া লা এলা'র দেশে
নিত্য মিলনে ভুলিব আমরা এই বিরহের ক্ষতি।।

বাণী

দ্বীনের নবীজি শোনায় একাকী কোরানের মধু-বাণী।
আয়েশা খাতুন শোনেন বসিয়া, নয়নে ঝরিছে পানি।।
	বে-দ্বীন দিওয়ানা হ’য়ে
	কাঁদে যে কোরান ল’য়ে,
বিশ্ববাসী আনিল ঈমান যে পাক কোরান মানি’।।
চন্দ্র-তারকা-গ্রহ আদি ঐ তরুলতা মরু-বায়,
কোরানের সেই আয়াত শুনিয়া লুটায় নবীর পায়।
	কোরানে জাগাও ওরে
	জ্ঞান-গরিমায় মোরে,
মরিতে আমায় দিও গো ল’য়ে বক্ষে কোরানখানি।

বাণী

আজকে শাদী বাদ্‌শাজাদীর পান করো শিরাজি।।
নেশার ঝোঁকে চোখে চোখে খেলুক আতস বাজি
	(সবে) পান করো শিরাজি।।
	সামনে মোরা যাকে পাব
	রঙিন পানি পান করাব
প্রাণে খুশির রঙ করাব নেচে খেয়ে আজি
	সবে পান করো শিরাজি।।

রেকর্ড-নাটিকাঃ ‘লায়লী মজনু’