লক্ষ্মী মাগো নারায়ণী আয়
বাণী
লক্ষ্মী মাগো নারায়ণী আয় এ আঙিনাতে। সুধার পাত্র সোনার ঝাঁপি ল’য়ে শুভ হাতে।। সৌভাগ্যদায়িনী তুই মা এসে দারিদ্র্য ক্লেশ নাশ কর মা হেসে কোজাগরী পূর্ণিমা আন মা দুঃখের আঁধার রাতে।। আন্ কল্যাণ শান্তি শ্রী, জননী কমলা, এ অভাবের সংসারে থাক মা হয়ে অচঞ্চলা। রূপ দে মা যশ দে, দে জয়, অভয় পদে দে মা আশ্রয়, ধরা ভরবে শস্যে ফুলে ফলে মা তোর আসার সাথে।।
তোমার আকাশে উঠেছিনু চাঁদ
বাণী
তোমার আকাশে উঠেছিনু চাঁদ, ডুবিয়া যাই এখন। দিনের আলোকে ভুলিও তোমার রাতের দুঃস্বপন।। তুমি সুখে থাক আমি চলে যাই, তোমারে চাহিয়া ব্যথা যেন পাই, জনমে জনমে এই শুধু চাই — না-ই যদি পাই মন।। ভয় নাই রাণী রেখে গেনু শুধু চোখের জলের লেখা, জলের লিখন শুকাবে প্রভাতে, আমি চলে যাব একা! ঊর্ধ্বে তোমার প্রহরী দেবতা, মধ্যে দাঁড়ায়ে তুমি ব্যথাহতা, — পায়ের তলার দৈত্যের কথা ভুলিতে কতক্ষণ।।
তুমি দিয়েছ দুঃখ-শোক-বেদনা তোমারি জয়
বাণী
তুমি দিয়েছ দুঃখ-শোক-বেদনা, তোমারি জয় তোমারি জয়। ভালোবাস যারে কাঁদাও তাহারে ছলানাময়। তোমারি জয়, তোমারি জয়, তোমারি জয়॥ তুমি কাঁদায়েছ বসুদেব দেবকীরে, নন্দ যশোদা ব্রজের গোপীরে, কাঁদাইলে তুমি শত শ্রীমতীরে হে নিরদয়। তোমারি জয়, তোমারি জয়, তোমারি জয়॥ তোমারে চাহিয়া কোটি নয়নে বিরহ অশ্রু ঝুরে, ধরণী যে আজ ডুবু ডুবু শ্যাম সাগর সলিলে পুরে। ভক্তে কাঁদাতে হে ব্যথা বিলাসী যুগে যুগে আসি’ বাজাইলে বাঁশি তবুও এ-প্রাণ তোমারি পিয়াসি মানে না ভয়। তোমারি জয়, তোমারি জয়, তোমারি জয়।
বৈতালিক