বাণী

ওরে	তরু তমাল শাখা।
আছে	পল্লবে তোর মোর বল্লভ কৃষ্ণ কান্তি মাখা।
আমি	তাইতো তমাল কুঞ্জে আসি
	তাইতো তমাল ভালোবাসি,
তোর	পথ-ছায়ায় আছে যে তার (কৃষ্ণ) চরণ-চিহ্ন আঁকা।।
	তোর চূড়ায় ময়ূর নাচে,
যেন	কৃষ্ণ-ময়ূর পাখা তাই দেখে পরান বাঁচে —
	কৃষ্ণহারা পরান আমার বাঁচে।
	তোর শাখাতে স্বর্ণ-লতা দোলে
	আমি ভাবি শ্যামের পীত বসন বলে,
মোর	অঙ্গ যেন থাকে রে তোর কালো ছায়ায় ঢাকা
তোর	ছায়া নয় রে শ্যামের ছোঁওয়া, যেন শ্যামের শীতল ছোঁওয়া।।

বাণী

বিরহের গুলবাগে মোর ভুল ক'রে আজ ফুটলো কি বকুল।
অবেলায় কুঞ্জবীথি মুঞ্জরিতে এলে কি বুলবুল।
এলে কি পথ ভুলে মোর আঁধার রাতে ঘুম-ভাঙানো চাঁদ,
অপরাধ ভুলেছ কি, ভেঙেছে কি অভিমানের বাঁধ।
মরণ আজ মধুর হলো পেয়ে তব চরণ রাতুল।।
ওগো প্রদীপ নিভে আসে ইহারি ক্ষীণ আলোকে,
দেখে নিই শেষ দেখা যত সাধ আছে চোখে।
হে চির-সুন্দর মোর, বিদায়-সন্ধ্যা মম
রাঙালে এ কি রঙে উদয় ঊষার সম
ঝ'রে পড়ুক তব পায়ে আমার এই জীবন-মুকুল।।

বাণী

আঁধার মনের মিনারে মোর হে মুয়াজ্জিন, দাও আজান
গাফেলতির ঘুম ভেঙে দাও হউক নিশি অবসান॥
	আল্লাহ নামের যে তক্‌বীরে
	ঝর্না বহে পাষাণ চিরে
শুনি’ সে তক্‌বিরের আওয়াজ জাগুক আমার পাষাণ প্রাণ॥
জামাত ভারি জমবে এবার এই দুনিয়ার ঈদগাহে,
মেহেদী হবেন ইমাম সেথায় রাহ্ দেখাবেন গুমরাহে।
	আমি যেন সেই জামাতে
	সামিল হতে পারি প্রাতে
ডাকে আমায় শহীদ হতে সেথায় যতো নওজোয়ান॥

বাণী

তোমার সজল চোখে লেখা মধুর গজল গান।
চেয়ে চেয়ে তাই দেখে গো আমার দু’নয়ান।।
	আমার পুঁথির আখর যত
	তোমার মালার মোতির মত,
তাই দেখি আর পাঠ ভুলে যাই, আকুল করে প্রাণ।।
যেমন	বুলবুলি আর রঙিন গোলাব
	লায়লী-মজনু দুইজনে ভাব,
ওদের প্রেমে ধূলির ধরা হল গুলিস্তান।।

নাটিকা: ‘লায়লী-মজনু’

বাণী

তুই কালি মেখে জ্যোতি ঢেকে পারবি না মা ফাঁকি দিতে।
ঐ অসীম আঁধার হয় যে উজল মা, তোর ঈষৎ চাহনিতে।।
		মায়ের কালি মাখা কোলে
		শিশু কি মা, যেতে ভোলে?
আমি দেখেছি যে, বিপুল স্নেহের সাগর দোলে তোর আঁখিতে।।
কেন আমায় দেখাস মা ভয় খড়গ নিয়ে, মুন্ডু নিয়ে?
আমি কি তোর সেই সন্তান ভুলাবি মা ভয় দেখিয়ে।
		তোর সংসার কাজে শ্যামা,
		বাধা আমি হব না মা,
মায়ার বাঁধন খুলে দে মা ব্রহ্মময়ী রূপ দেখিতে।।

বাণী

গিরিধারী গোপাল ব্রজ গোপ দুলাল
অপরূপ ঘনশ্যাম নব তরুণ তমাল॥
বিশাখার পটে আঁকা মধুর নিরুপম
কান্ত ললিতার শ্রীরাধা প্রীতম
রুক্মিণী-পতি হরি যাদব ভূপাল॥
যশোদার স্নেহডোরে বাঁধা ননীচোর
নন্দের নয়ন-আনন্দ-কিশোর
শ্রীদাম-সুদাম-সখা গোঠের রাখাল॥
কংস-নিসূদন কৃষ্ণ মথুরাপতি
গীতা উদ্‌গাতা পার্থসারথি
পূর্ণ ভগবান বিরাট বিশাল॥