বাণী

রব না কৈলাশপুরে আই য়্যাম ক্যালকাটা গোয়িং।
যত সব ইংলিশ ফ্যাশান আহা মরি কি লাইটনিং।।
	ইংলিশ ফ্যাশান সবই তার
	মরি কি সুন্দর বাহার,
	দেখলে বন্ধু দেয় চেয়ার —
		কাম-অন ডিয়ার গুড মর্নিং।।
	বন্ধু আসিলে পরে
	হাসিয়া হান্ডসেক করে,
	বসায় তারে রেসপেক্ট করে —
		হোল্ডিং আউট এ মিটিং।।
	তারপর বন্ধু মিলে
	ড্রিংকিং হয় কৌতুহলে,
	খেয়েছ সব জাতিকুলে —
		নজরুল এসলাম ইজ টেলিং।।

‘লেটো গান’

বাণী

মোরা আর জনমে হংস–মিথুন ছিলাম নদীর চরে
যুগলরূপে এসেছি গো আবার মাটির ঘরে।।
তমাল তরু চাঁপা–লতার মত
জড়িয়ে কত জনম হ’ল গত,
সেই বাঁধনের চিহ্ন আজো জাগে হিয়ার থরে থরে।।
বাহুর ডোরে বেঁধে আজো ঘুমের ঘোরে যেন
ঝড়ের বন–লতার মত লুটিয়ে কাঁদ কেন।
বনের কপোত কপোতাক্ষীর তীরে
পাখায় পাখায় বাঁধা ছিলাম নীড়ে
চিরতরে হ’ল ছাড়াছাড়ি নিঠুর ব্যাধের শরে।।

বাণী

আমি	বাণিজ্যেতে যাব এবার মদিনা শহর।
আমি	এদেশে হায় গোনাহ্গারি ছিলাম জীবন ভর।।
	পাঞ্জেগানার বাজার যেথা বসে দিনে রাতে
	দু’টি টাকা ‘আল্লাহ্’ ‘রসুল’ পুঁজি নিয়ে হাতে,
কত	পথের ফকির সওদা ক’রে হ’ল সওদাগর।।
সেথা	আজান দিয়ে কোরান প’ড়ে ফিরিওয়ালা হাঁকে
	বোঝাই ক’রে দৌলত দেয়, যে সাড়া দেয় ডাকে
ওগো	জানেন তাহার পাকে কা’বা খোদার অফিস্-ঘর।।১
	বেহেশ্‌তে রোজগারের পরে ছাড়পত্র পায়,
	পায় সে সাহস ঈমান-জাহাজ যদি ডুবে’ যায়।
ওগো	যেতে খোদার খাস্-মহলে পায় সে সিল্‌মোহর।।

বাণী

সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে
গোলাপ ফুলের টুকটুকে রঙ চোখে লাগে ফিকে।।
	নাই বৃষ্টি বাদল ওলো,
	দৃষ্টি কেন ঝাপসা হলো?
অশ্রু জলের ঝালর দোলে চোখের পাতার চিকে।।
পলাশ-কলির লাল আঁখরে বনের দিকে দিকে
গোপন আমার ব্যথার কথা কে গেল সই লিখে।
	মনে আমার পাইনে লো খেই;
	কে যেন নেই, কি যেন নেই।
কে বনবাস দিল আমার মনের বাসন্তীকে।।

বাণী

ওরে	যোগ-সাধনা পরে হবে নাম জপ্ তুই আগে।
	সকল কাজে সকাল সাঁঝে গভীর অনুরাগে।।
	ওরে	যে ঠাকুরে পরান যাচে
	সে	নামের মাঝে লুকিয়ে আছে,
যেমন	বীজের মাঝে মহাতরু সঙ্গোপনে জাগে।।
	বীজ না বুনে আগে ভাগেই ফসল খুঁজিস্ তুই,
	তাই চিরকাল পোড়ো জমি রইল মনের ভুঁই।
তোর	কোন্ পথ নাম জপের শেষে
	দেখিয়ে দেবেন তিনিই এসে,
তোর	জীবন হবে প্রেমে রঙীন রঙ যদি রে লাগে।
	তাঁর মধুর নামের রঙ যদি রে লাগে।।

বাণী

নদীর স্রোতে মালার কুসুম ভাসিয়ে দিলাম, প্রিয়!
আমায় তুমি নিলে না, মোর ফুলের পূঁজা নিও।।
	পথ-চাওয়া মোর দিনগুলিরে
	রেখে গেলাম নদীর তীরে
আবার যদি আস ফিরে- তুলে গলায় দিও।।
নিভে এলো পরান -প্রদীপ পাষাণ-বেদীর তলে,
জ্বালিয়ে তা'রে রাখব কত শুধু চোখের জলে।
	তারা হয়ে দুর আকাশে
	রইব জেগে' তোমার আশে
চাঁদের পানে চেয়ে চেয়ে' আমারে স্মরিও।।