বাণী

আমি দেখন-হাসি
আমায়দেখ্‌লে পরে হাসতে হাসতে পেয়ে যাবে কাশী।।
আমিহাসির হাঁসলী ফিরি করি এলে আমার হাসির দেশে
বুড়োরা সব ছোঁড়া হয়, আর ছোঁড়ারা যায় টেসে।
আমারহাস-খালিতে বাড়ি, আমি হাস্নু হানার মাসি।।
এলেআমার হাসির হেঁসেলে তার হাঁসফাঁসানি লেগে
অন্তে শুধু দন্ত থাকে শরীরটা যায় ভেগে।
(আমি)পাতি হাঁসির আন্ডা বেচি আর হাসির ময়দা খাঁসি।।
সেদিন পথে যাচ্ছিল সব রাজার হাতি ঘোড়া উট
তারা না আমায় দেখি হাসতে হাসতে
‘চোঁ চোঁ চোঁ’ এই না বলি’ অমনি দিলে ছুট
হেসে পালিয়ে গেল দড়ি ছিঁড়ে মটরু মিঞার খাসি।।

বাণী

আমার নয়নে কৃষ্ণ-নয়নতারা হৃদয়ে মোর রাধা-প্যারী।
আমার প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা শ্যাম-সোহাগী গোপ-নারী।।
	আমার স্নেহে জাগে সদা
	পিতা নন্দ মা যশোদা,
ভক্তি আমার শ্রীদাম-সুদাম আঁখি-জল যমুনা-বারি।।
	আমার সুখের কদম-শাখায়
	কিশোর হরি বংশী বাজায়
আমার দুখের তমাল ছায়ায় — লুকিয়ে খেলে বন-বিহারী।।
মুক্ত আমার প্রাণের গোঠে চরায় ধেনু রাখাল-কিশোর,
আমার প্রিয়জনে নেয় সে হরি’, সেই ত ননী খায় ননী-চোর।
রাধা-কৃষ্ণ-কথা শুনায় — দেহ ও মন শুক-শারী।।

বাণী

তুমি	সারাজীবন দুঃখ দিলে, তব দুঃখ দেওয়া কি ফুরাবে না!
যে	ভালোবাসায় দুঃখে ভাসায় সে কি আশা পূরাবে না॥
মোর	জনম গেল ঝুরে ঝুরে - লোকে লোকে ঘুরে ঘুরে,
তব	স্নিগ্ধ পরশ দিয়ে কি, নাথ, দগ্ধ হিয়া জুড়াবে না॥
তুমি	অশ্রুতে যে-বুক ভাসালে —
সেই	বক্ষে এসো দিন ফুরালে
তুমি	আঘাত দিয়ে ফুল ঝরালে, হাত দিয়ে কি কুড়াবে না॥

বাণী

আনারকলি! আনারকলি!
স্বপ্নে দেখে’ কোন্ ডালিম-কুমারে
এসেছিলে রেবা ঝিলামের’ পারে,
দিতে তব রাঙা হৃদয়ের অঞ্জলি।।
মরুর মণিকা বাদশাহী নওরোজে
এসেছিলে কোন্ হারানো হিয়ার খোঁজে,
তব রূপ হেরি’ হেরেমের দীপ-মালা উঠেছিল চঞ্চলি’।।
পতঙ্গ সম পাপড়ির পাখা মেলি’ আনারকলি গো — 
সেলিমের অনুরাগ-মোমের প্রদীপে পড়িলে ঢলি’ গো — 
মিলায়েছে মাটিতে মোগলের মসনদ, আনারকলি।
তুমি আজো দুলিতেছ ফুলের হাসিতে
বিরহীর বাঁশিতে, আনারকলি;
তব জীবন্ত সমাধির বিগলিত পাষাণে
আজও প্রেম-যমুনার ঢেউ ওঠে উথলি’।।

সঙ্গীতালেখ্য: ‘পঞ্চাঙ্গনা’

বাণী

সজল হাওয়া কেঁদে বেড়ায় কাজল আকাশ ঘিরে,
			তুমি এসো ফিরে।
উঠ্‌ছে কাঁদন ভাঙন-ধরা নদীর তীরে তীরে,
			তুমি এসো ফিরে।।
	বন্ধু তব বিরহেরি
	অশ্রু ঝরে গগন ঘেরি’
লুটিয়ে কাঁদে বনভূমি অশান্ত সমীরে।।
আকাশ কাঁদে, আমি কাঁদি বাতাস কেঁদে সারা,
তুমি কোথায়, কোথায় তুমি পথিক পথহারা।
	দুয়ার খুলে নিরুদ্দেশে
	চেয়ে আছি অনিমেষে,
আঁচল ঢেকে রাখবো কত আশার প্রদীপটিরে।

বাণী

খেলিছে জলদেবী সুনীল সাগর জলে।
তরঙ্গ - লহর তোলে লীলায়িত কুন্তলে।।
ছল-ছল উর্মি-নূপুর
স্রোত-নীরে বাজে সুমধুর,
চল-চঞ্চল বাজে কাঁকন কেয়ূর
ঝিনুকের মেখলা কটিতে দোলে।।
আনমনে খেলে জল-বালিকা
খুলে পড়ে মুকুতা মালিকা
হরষিত পারাবারে উর্মি জাগে
লাজে চাঁদ লুকালো গগন তলে।।