সোনার বরণ কন্যা গো এসো আমার সোনার নায়ে
বাণী
পুরুষ : সোনার বরণ কন্যা গো, এসো আমার সোনার নায়ে চল আমার বাড়ি স্ত্রী : ওরে অচিন দেশের বন্ধুরে, তুমি ভিন্ গেরামের নাইয়া আমি ভিন্ গেরামের নারী। পুরুষ : গয়না দিব বৈচী খাড়ু শাড়ি ময়নামতীর। স্ত্রী : গয়না দিয়ে মন পাওয়া যায় না কুলবতীর। পুরুষ : শাপলা ফুলের মালা দেব রাঙা রেশমি চুড়ি। স্ত্রী : ঐ মন-ভুলানো জিনিস নিয়ে (বন্ধু) মন কি দিতে পারি? পুরুষ : (তুমি) কোন্-সে রতন চাও রে কন্যা, আমি কি তা জানি? স্ত্রী : তোমার মনের রাজ্যে আমি হ’তে চাই রাজরানী। দ্বৈত : হইও সাক্ষী তরুলতা পদ্মা নদীর পানি (আরে ও) (আজি) কূল ছাড়িয়া দু’টি প্রাণী অকূলে দিল পাড়ি॥
ওরে ডেকে দে দে লো
বাণী
ওরে ডেকে দে, দে লো মহুয়া বনে ফুল ফোটাতো বাজিয়ে বাঁশি কে। বনের হরিণ নাচাতো, পাখিকে গান গাওয়াতো ঢেউ ওঠাতো ঝর্ণা জলে পাহাড়তলিতে।। তার গানের কথা জানিয়ে দিত ফুলের মধুকে তার সুরের নেশা করতো ব্যাকুল মনের বঁধুকে, বুকের মাঝে বাজতো নূপুর চপল হাসিতে।। আঁধার রাতে ফোটাত সে হলুদ গাঁদার ফুল, সে বন কাঁদাতো মন কাঁদাতো, কাজ করাতো ভুল। আর সে বাঁশি শুনি না, ধোঁয়ার ছলে কাঁদি না, রাঙা শাড়ি পরি না, নোটন খোঁপা বাঁধি না — আমি রইতে নারি না হেরে সেই বন উদাসী কে গো।।
ডাকতে তোমায় পারি যদি আড়াল থাকতে পারবে না
বাণী
ডাকতে তোমায় পারি যদি আড়াল থাকতে পারবে না এখন আমি ডাকি তোমায় তখন তুমি ছাড়বে না।। যদি দেখা না পাই কভু — সে দোষ তোমার নহে প্রভু সে সাধনায় আমারি হার জানি তুমি ছাড়বে না।। বহু লোকের চিন্তাতে মোর বহু দিকে মন যে ধায়, জানি জানি, অভিমানী পাইনে আজ তাই তোমায়। বিশ্ব, ভুবন ভুলে যেদিন তোমার ধ্যানে হব বিলীন, সেদিন আমার বক্ষ হতে চরণ তোমার কাড়বে না।।
এসো বঁধু ফিরে এসো
বাণী
এসো বঁধু ফিরে এসো, ভোলো ভোলো অভিমান। দিব ও-চরণে ডারি’ মোর তনু মন প্রাণ।। জানি আমি অপরাধী তাই দিবানিশি কাঁদি’, নিমেষের অপরাধের কবে হবে অবসান।। ফিরে গেলে দ্বারে আসি’ বাসি কিনা ভালোবাসি, কাঁদে আজ তব দাসী — তুমি তার হৃদে ধ্যান।। সে-দিন বালিকা-বধূ শরমে মরম-মধু, পি’য়াতে পারিনি বঁধু — আজ এসে কর পান।। ফিরিয়া আসিয়া হেথা দিও দুখ দিও ব্যথা, সহে না এ নীরবতা — হে দেবতা পাষাণ।।
কানন গিরি সিন্ধু পার ফিরনু পথিক দেশ-বিদেশ
বাণী
কানন গিরি সিন্ধু–পার ফির্নু পথিক দেশ–বিদেশ। ভ্রমিনু কতই রূপে এই সৃজন ভুবন অশেষ।। তীর্থ–পথিক এই পথের ফিরিয়া এলো না কেউ, আজ এ পথে যাত্রা যার, কা’ল নাহি তার চিহ্ন লেশ।। রাত্রি দিবার রঙমহল চিত্রিত এ চন্দ্রতাপ দু’দিনের এ পান্থবাস এই ভুবন – এ সুখ–আবেশ।। ভোগ–বিলাসী ‘জমশেদের জল্সা ছিল এই সে দেশ, আজ শ্মশান, ছিল যেথায় “বাহ্রামের” আরাম আয়েশ।।