আজকে হোরি ও নাগরী
বাণী
[শোন গিন্নী শুন্ছ —] আজকে হোরি ও নাগরী, ওগো গিন্নী ও ললিতে। ফাগের রাঙা জল ভ’রে দাও, ফর্সি হুঁকোর পিচ্কিরিতে॥ গাজর বিট আর লাল বেগুনে, রাঁধবে শালগম তেলে নুনে, রাঙা দেখে লঙ্কা দিও, লাল নটে আর ফুলকারিতে॥ গাইব গান দোল পূর্ণিমাতে, মালোয়ারী জ্বর আসলে রাতে, তুমি দোহার ধ’রবে সাথে, গিঁটে বাতের গিঁটকিরিতে॥ (আর) আমি লাল গামছা প’রে যাবো, লাল বাজারে পায়চারিতে, তুমি যাবে চিড়িয়াখানায়, এই মুখেতে গন্ডার মারিতে॥ (না হয়) তুমি যাও বাপের বাড়ি, পাছুপাছু যাবো আমি ওগো শ্বশুর বাড়িতে পাছু পাছু যাবো তোমার, না হয় শ্বশুর বাড়িতে॥
সখি বলো বঁধুয়ারে নিরজনে
বাণী
(সখি) ব’লো বঁধুয়ারে নিরজনে দেখা হ’লে রাতে ফুল–বনে।। কে করে ফুল চুরি জেনেছে ফুলমালী কে দেয় গহীন রাতে ফুলের কুলে কালি জেনেছে ফুলমালী গোপনে।। ও–পথে চোর–কাঁটা, সখি, তায় বলে দিও বেঁধে না বেঁধে না লো যেন তার উত্তরীয়। এ বনফুল লাগি’ না আসে কাঁটা’ দলি’ আপনি যাব চলি’ বঁধুয়ার কুঞ্জ–গলি বিনা মূল্যে বিকাইব ও–চরণে।।
কত সে-জনম কত সে-লোক
বাণী
কত সে-জনম কত সে-লোক পার হয়ে এলে, হে প্রিয় মোর। নিভে গেছে কত তপন-চাঁদ তোমারে খুঁজিয়া, হে মন চোর।। কত গ্রহে, প্রিয়, কত তারায় তোমারে খুঁজিয়া ফিরেছি, হায়! চাহ এ নয়নে হেরিবে তায়, সে-দূর স্মৃতির স্বপন-ঘোর।। আজো অপূর্ণ কত সে-সাধ অভিমানী তাহে সেধো না বাদ! না মিটিতে সাধ, স্বপন-চাঁদ, মিলনের নিশি ক’রো না ভোর।।
নীল যমুনা সলিল কান্তি
বাণী
নীল যমুনা সলিল কান্তি চিকন ঘনশ্যাম। তব শ্যামরূপে শ্যামল হল সংসার ব্রজধাম।। রৌদ্রে পুড়িয়া তপিতা অবনি চেয়েছিল শ্যাম-স্নিগ্ধা লাবনি, আসিলে অমনি নবনীত তনু ঢলঢল অভিরাম চিকন ঘনশ্যাম।। আধেক বিন্দু রূপ তব দুলে ধরায় সিন্ধুজল তব বেণু শুনি’, ওগো বাঁশুরিয়া, প্রথম গাহিল কোকিল পাপিয়া, হেরি কান্তার-বন-ভুবন ব্যাপিয়া বিজড়িত তব নাম; চিকন ঘনশ্যাম।।