যেদিন লব বিদায়
বাণী
যেদিন লব বিদায় ধরা ছাড়ি প্রিয়ে। ধুয়ো ‘লাশ’ আমার লাল পানি দিয়ে।। শেয়র: শারাবী জমশেদী গজল ‘জানাজায়’ গাহিও আমার দিবে গোর খুঁড়িয়া মাটি খারারী ঐ শারাব-খানার! ‘রোজ-কিয়ামতে’ তাজা উঠব জিয়ে।। শেয়র: এমনি পিইব শারাব ভেসে যাব তাহার স্রোতে, উঠিবে খুশবু শারাবের আমার ঐ গোরের পার হতে; টলি’ পড়বে পথিক সে নেশায় ঝিমিয়ে।।
বেয়ান বলি ও বেয়ান ঠাকরুন
বাণী
পুরুষ : (বেয়ান, বলি ও বেয়ান ঠাকরুন) বেয়ান তোমার আলু চেরা চোখে আমি মরে আছি স্ত্রী : বেয়াই আমি তাইতো তোমার গোদা পায়ে শরণ যাচি। ও তোমার গোদা পায়ে শরণ যাচি। পুরুষ : (বলি ও বয়ান তোমার) দাঁতে ছাতা গালে ছুলি গলায় পেটে কোলাকুলি আমি দেখেই ছুটি কাছা খুলি (আমি) দেখেই ছুটি ও আমার কাছা খুলে গো দেখেই ছুটি হরিবোল বোলে রে দেখেই ছুটি ও হরিবোল বোলে রে আমি কাছা খুলে বাহু তুলে দেখেই ছুটি। স্ত্রী : (বলি ও বেয়াই, ও কাছা তো নয়) এ যে লেজুড়েরি কাছাকাছি। পুরুষ : (বলি ও বেয়ান ঠাকরুন তোমার) ফোকলা দাঁতে প্রেমের বুলি শুনেই কাঁধে নিলেম ঝুলি। স্ত্রী : (বুঝি গৌর নামের ঝুলি, বলি ও বেয়াই উঁ) বেয়াই নিয়ে এবার যাবে রাঁচি যাবে রাঁচি গৌর হে ওহে গৌর (যাবে রাঁচি) কাছা খুলে বাহু তুলে যাবে রাঁচি (তুমি)। পুরুষ : (বলি ও বেয়ান) ভাগলপুরি বিবির মতন নাদুস নুদুস কি সে গঠন স্ত্রী : (বলি ও হামদো বুড়ো) তুমি মাম্দো ভূত যে চামড়া খেকো ও আমায় করতে এলে আমড়া গাছি।
এমনি মধুর ক্ষণে প্রিয়তম নাহি
বাণী
এমনি মধুর ক্ষণে প্রিয়তম নাহি পাশে। আকুল পরান মম চম্পা-ফুল-সুবাসে।। উতলা সমীরে বাজে ব্যাকুল বাঁশি কাননে উছলি’ পড়ে সুরের রাশি, আলোকে সুরভি তারি গগন ভরিয়া হাসে।। বাতায়নে মোর নিশীথের তারা সুধায় নীরবে ডাকি, ‘হায় গো উদাসী এমন নিশায় সজল কেন গো আঁখি।’ সুদূরে রহিল বঁধু একেলা আমি অসহ বিরহ সহি দিবসযামী, আশার মালিকা রচি’, বসিয়া তাহারি আশে।।
এলো ফুলের মহলে ভ্রমরা
বাণী
এলো ফুলের মহলে ভ্রমরা গুন্গুনিয়ে। ও-সে কুঁড়ির কানে কানে কি কথা যায় শুনিয়ে।। জামের ডালে কোকিল কোতুহলে আড়ি পাতি’ ডাকে কূ কূ ব’লে, হাওয়ায় ঝরা পাতার নূপুর বাজে রুন্ঝুনিয়ে।। ‘ধীরে সখা ধীরে’ কয় লতা দু’লে, জাগিও না কুঁড়িয়ে কাঁচা ঘুমে তুলে, গেয়ো না গুন্ গুন্ গুন্ গুন্ গুন্ গুন্ সুরে প্রেমে ঢুলে ঢুলে।’ নিলাজ ভোম্রা বলে, ‘না-না-না-না’, ফুল দুলিয়ে।।