বাণী

বাজে মৃদঙ্গ বরষার ওই দিকে দিকে দিগন্তরে
নীরস ধরা সরস হলো কাহার যাদু-মন্তরে।।
বন-ময়ুর আনন্দে নাচে ধারা-প্রপাত ছন্দে
ঝরঝর গিরি-নির্ঝর স্রোতে অন্তর সুখে সন্তরে।।
শ্যামল প্রিয়-দরশা হলো ধূসর পথ-প্রান্তর
বন্ধু-মিলন হরষা গাহে দাদুরি অবান্তর।
	শ্রাবন প্লাবন বন্যাতে
	আজি পুষ্পে পল্লবে বন মাতে
এলো শ্যাম শোভন সুন্দর প্রাণ-চঞ্চল ক'রে মন্থরে।।

বাণী

রাত্রি-শেষের যাত্রী আমি যাই চ’লে যাই একা।
শুকতারাতে রইল আমার চোখের জলের লেখা।।
	ফোটার আগে ঝরে যে ফুল
	সঙ্গী আমার সেই সে-মুকুল,
ছায়াপথে জাগে আমার বিদায় পথ-রেখা।।
অনেক ছিল আশা আমার অনেক ছিল সাধ,
ব্যর্থ হ’ল না পেয়ে কা’র আাঁখির পরসাদ।
	দীপ নেভানো শূন্য ঘরে
	এসো না আর খুঁজতে মোরে,
তারার দেশে চন্দ্রলোকে হবে আবার দেখা।।

বাণী

বিদেশিনী বিদেশিনী চিনি চিনি
ঐ চরণের নূপুর রিনিঝিনি॥
দীপ জেগে ওঠে পাথার জলে তোমার চরণ-ছন্দে,
নাচে গাঙচিল সিন্ধু-কপোত তোমারি সুরে আনন্দে।
মুকুতা কাঁদিছে হার্‌ হ’তে ওগো তোমার বেণীর বন্ধে।
মলয়ে শুনেছি তোমার বলয় চুড়ির রিনিঠিনি॥
সাগর-সলিল হয়েছে সুনীল তোমার তনুর বর্ণে,
তোমার আঁখির আলো ঝলমল দেবদারু তরু-পর্ণে।
অস্ত-তপন হয়েছে রঙিন তোমার হাসির স্বর্ণে
শঙ্খ-ধবল বেলাভূমে খেল সাগর-নটিনী॥

বাণী

	ফিরদৌসের শিরনি এলো ঈদের চাঁদের তশতরিতে।
	লুট ক’রে নে বনি আদম ফেরেশ্‌তা আর হুরপরীতে।।
		চোখের পানি হারাম আজি
		চলুক খুশির আতস বাজি,
(তার)	মউজ লাগুক দূর সেতারা জোহরা আর মোশ্‌তরিতে।।
	দুশমনে আজ দোস্ত মেনে নে তারে তুই বক্ষে টেনে
	হস্‌নে নারাজ দরাজ হাতে দৌলত তোর বিলিয়ে দিতে।।

বাণী

চঞ্চল মলয় হাওয়া শোন শোন মিনতি।
গুণ্ঠন খুলো না মোর, আমি নব যুবতী।।
অঙ্গে জাগেনি যার আজিও অনঙ্গ
অসময়ে কেন তার কর রস ভঙ্গ,
লুকায় মুকুল হের পাতার আঁচলে
ভোমরার ভয়ে ভীরু বন-মালতী।।

নাটক : ‘অন্নপূর্ণা’

বাণী

চঞ্চল সুন্দর নন্‌দ্‌ কুমার গোপী চিতচোর প্রেম্‌ মনোহর নওল কিশোর।
বাজতাহি মন্‌মে বাঁশুরি কি ঝন্‌কার, নন্‌দ্‌ কুমার নন্‌দ্‌ কুমার নন্‌দ্‌ কুমার।।
শ্রবণ-আনন্দ্‌ বিছুয়া কি ছন্দ রুনুঝুনু বোলে
নন্দ্‌কে আঙ্গ্‌নামে নন্দন চন্দ্রমা গোপাল বন্‌ ঝুমত্‌ ঝুমত্‌ ডোলে,
ডগমগ ডোলে, রাঙ্গা পাঁউ বোলে লঘু হোকে বিরাট ধরতী কা ভার।।
রূপ নেহারনে আয়ে লূকছুপ্‌ দেওতা
কোই গোপ গোপী বনা কোই বৃকশ লতা,
নদী হো বহে লাগে আনন্দ্‌কে আঁসু যমুনা জল সুঁ —
প্রণতা প্রকৃতি নিরালা সাজোয়ে, পূজা কর্‌নে কো ফুল লিয়ে আয়ে বন্‌ডার।।