বাণী

হয়ত আমার বৃথা আশা তুমি ফিরে আসবে না।
আশা-তরী ডুববে কূলে দুখের স্রোতে ভাসবে না।।
	হয়তো তুমি এমনি ক'রে
	পথ চাওয়াবে জনম ভ'রে
রইবে দূরে চিরতরে সামনে এসে হাসবে না।।
কামনা মোর রইলো মনে রূপ ধ'রে তা উঠলো না;
বারে বারে ঝরলো মুকুল ফুল হয়ে তা ফুটলো না।
	অবুঝ এ প্রাণ তবু কেন
	তোমার ধ্যানেই বিভোর হেন
তুমি চির চপল নিঠুর - জানি, ভালোবাসবে না।।

বাণী

দীপক-মালা গাঁথ গাঁথ সই।
মাধব আসে পারিজাত কই।।
আনত আঁখি তোলো তোলো গো!
বেদন-জ্বালা ভোলো ভোলো গো!
মান-ভুলানো এলো রাত সই।।
কাজল আঁকো নীল আঁখিতে
চেয়ো না লাজে আঁখি ঢাকিতে,
আসন প্রাণে পাত পাত সই।।

বাণী

ঘুমপরী	:	আমি হেরে এবার নেবো লো সই বঁধুর গলার হার।
স্বপনপরী	:	হার মেনে তুই জিত্‌বি ওলো হবে না তা আর।।

নাটক : ‘মধুমালা’

বাণী

হেড মাস্টারের ছড়ি, সেকেন্ড মাস্টারের দাড়ি
থার্ড মাস্টারের টেড়ি, কারে দেখি কারে ছাড়ি।
হেড-পণ্ডিতের টিকির সাথে ওদের যেন আড়ি।
	দাঁড়াইয়া ঐ হাই বেঞ্চে
	হাসি রে মুখ ভেংচে ভেংচে,
খোঁড়া সেকেন্ড পণ্ডিত যায় লেংচে হুঁকো হাতে বাড়ি
তার মুখ নয় তেলো হাড়ি, মোর হেসে ছিড়ে যায় নাড়ি।

নাটিকাঃ ‘পুতুলের বিয়ে’

বাণী

গুণ্ঠন খোলো পারুল মঞ্জরী।
বল গো মনের কথা বনের কিশোরী।।
চৈতালী চাঁদের তিথি যে ফুরায়
কাঁদিয়া কোয়েলিয়া পরদেশে যায়,
মধুমাখা নাম তব, মধুকর গায় মৃদুল গুঞ্জরী।।
বনমালী নিতি আসি' ভাঙায় ঘুম
বনদেবী গাহে জাগো দুলালী কুসুম,
কত মল্লিকা বেলি বকুল চামেলি
বিলায়ে সুবাস হের গিয়াছে ঝরি'।।

বাণী

রেশমি চুড়ির তালে কৃষ্ণচূড়ার ডালে
‘পিউ কাহাঁ পিউ কাহাঁ’ ডেকে ওঠে পাপিয়া।।
	আঙিনায় ফুল-গাছে
	প্রজাপতি নাচে,
ফেরে মুখের কাছে আদর যাচিয়া।।
	দুলে দুলে বনলতা
	কহিতে চাহে কথা,
বাজে তারি আকুলতা — কানন ছাপিয়া।।
	শ্যামলী-কিশোরী মেয়ে
	থাকে দূর নভে চেয়ে,
কালো মেঘ আসে ধেয়ে — গগন ব্যাপিয়া।।