গেরুয়া রঙ মেঠো পথে বাঁশরি বাজিয়ে কে যায়
বাণী
গেরুয়া রঙ মেঠো পথে বাঁশরি বাজিয়ে কে যায়। সুরের নেশায় নুয়ে প'ড়ে ভুঁই-কদম তার পায়ে জড়ায়। আহা ভূঁই-কদম তারা পায়ে জড়ায়।। সুর শুনে তার সাঝেঁর ঠোটেঁ, বাঁকা শশীর হাসি ফোটে, গো-পথ বেয়ে ধেনু ছোটে রাঙা মাটির আবির ছড়ায়। তারা রাঙা মাটির আবির ছাড়ায়।। গগন গোঠে গ্রহ তারা সে সুর শুনে দিশেহারা হাটের পথিক ভেবে সারা ঘরে ফেরার পথ ভুলে যায়।। জল নিতে নদী কূলে কুলবালা কূল ভুলে সন্ধ্যা তারা প্রদীপ তুলে বাঁশুরিয়ার নয়নে চায়। তারা বাঁশুরিয়ার নয়নে চায়।।
সাধ জাগে মনে পর-জীবনে
বাণী
সাধ জাগে মনে পর-জীবনে (আমি) তব কপোলে যেন তিল হই। ভালবাসিয়া মোরে দিল্ দিবে তুমি (যেন) আমি তোমার মত বে-দিল্ হই।। মোর দেওয়া যে হার নিলে না অকরুণা (যেন) হয়ে সে হার তব বক্ষে রই।। যাহারে ভালবেসে তুমি চাহ না মোরে মরিয়া আসি যেন তাহারি রূপ ধ’রে (তুমি) হার মানিবে আমি হ’ব জয়ী।। হৃদি নিঙাড়ি মম আল্তা হব পায়ে অধরে হব হাসি রূপ-লাবনি গায়ে আমার যাহা কিছু তোমাতে হবে হারা (প্রিয়) তুমি জানিবে না আমা বৈ।।
যে ব্যথায় এ অন্তর-তল নিশিদিন উঠিছে দুলে
বাণী
যে ব্যথায় এ অন্তর-তল নিশিদিন উঠিছে দুলে'। তারি ঢেউ এ সঙ্গীতে মোর মুরছায় সুরের কূলে।। ভালোবাসা তোমরা যারে দু'দিনেই ভোলো গো তারে (হায়) শরতের সজল মেঘ-প্রায় কেঁদে যাও নিমেষে ভুলে।। কঠিন পুরুষেরি মন গলিয়া বহে গো যখন বহে সে নদীর মতন চিরদিন পাষাণ-মূলে।। আলোর লাগি' জাগে ফুল, নদী ধায় সাগরে যেমন, চকোর চায় চাঁদ, চাতক মেঘ, যারে চায় তায় চাহে এই রে মন। নিয়ে যায় সুদূর অমরায় পূজে তায় বাণী-দেউলে।।
সন্ধ্যামালতী যবে ফুলবনে ঝুরে
বাণী
সন্ধ্যামালতী যবে ফুলবনে ঝুরে কে আসি’ বাজালে বাঁশি ভৈরবী সুরে।। সাঁঝের পূর্ণ চাঁদে অরুণ ভাবিয়া পাপিয়া প্রভাতী সুরে উঠিল গাহিয়া ভোরের কমল ভেবে সাঁঝের শাপলা ফুলে গুঞ্জরে ভ্রমর ঘুরে’ ঘুরে’।। বিকালের বিষাদে ঢাকা ছিল বনভূমি সকালের মল্লিকা ফুটাইলে তুমি, রাঙিয়া ঊষার রঙে গোধূলি-লগন শোনালে আশার বাণী বিরহ-বিধুরে।।