বাণী

শহীদী ঈদগাহে দেখ্‌ আজ জমায়েত ভারি।
হবে দুনিয়াতে আবার ইসলামী ফর্‌মান জারি।।
তুরান ইরান হেজাজ মেসের হিন্দ মোরক্কো ইরাক,
হাতে হাত মিলিয়ে আজ দাঁড়ায়েছে সারি সারি।।
ছিল বেহোঁশ যারা আঁসু ও আফসোস ল’য়ে।
তুইও আয় এই জমাতে ভুলে যা’ দুনিয়াদারী।।
ছিল জিন্দানে যারা আজকে তারা জিন্দা হ’য়ে,
ছোটে ময়দানে দারাজ-দিল্‌ আজি শমশের ল’য়ে।
তকদির বদলেছে আজ উঠেছে তকবির তারি।।

বাণী

কেন	মনোবনে মালতী-বল্লরি দোলে - জানি না।
কেন	মুকুলিকা ফুটে ওঠে পল্লব-তলে - জানি না।।
কেন	ঊর্মিলা-ঝরনার পাশে
সে	আপন মঞ্জরি-ছায়া দেখে' হাসে,
কেন	পাপিয়া কুহু মুহু মুহু বোলে, জানি না।।
চৈতালি-চাঁপা কয়, মালতী শোন
শুনেছিস বুঝি মধুকর গুঞ্জন,
তাই বুঝি এত মধু সুরভি উথলে —
মধু-মালতী বলে, জানি না, জানি না।।

বাণী

হায় পলাশী!
এঁকে দিলি তুই জননীর বুকে কলঙ্ক-কালিমা রাশি,
পলাশী, হায় পলাশী।।
আত্মঘাতী স্বজাতি মাখিয়া রুধির কুম্‌কুম্‌,
তোরই প্রান্তরে ফুটে ঝরে গেল পলাশ কুসুম।
তোরই গঙ্গার তীরে পলাশ-সঙ্কাশ সূর্য ওঠে যেন দিগন্ত উদ্ভাসি’।।

বাণী

তব মুখখানি খুঁজিয়া ফিরি গো সকল ফুলের মুখে
ফুল ঝ'রে যায় তব স্মৃতি জাগে কাঁটার মতন বুকে।।
	তব প্রিয় নাম ধ'রে ডাকি
	ফুল সাড়া দেয় মেলি' আঁখি
তোমার নয়ন ফুটিল না হায় ফুলের মতন সুখে।।
তোমার বিরহে আমার ভুবনে ওঠে রোদনের বাণী,
কানাকানি করে চাঁদ ও তারায় জানি গো তোমারে জানি।
	খুঁজি বিজলি প্রদীপ জ্বেলে'
	কাঁদি ঝঞ্ঝার পাখা মেলে'
অন্ধ-গগনে আঁধার মেঘের ঢেউ ওঠে মোর দুখে।।

বাণী

কে গো গানে গানে হিয়া ভরালে।
নিরাশা ভুলায়ে আশা ধরালে।।
	বল বল মোরে
	কেন এমন ক’রে
পলকে পুলকে আঁখি ঝরালে।।

বাণী

বকুল ছায়ে ছিনু ঘুমায়ে গোপন পায়ে আসিলে তুমি।
রাতের শেষে ভোরের মতন ভাঙিলে স্বপন নয়ন চুমি’॥
ফুলের বুকে মধুর সম আসিলে তুমি আামার প্রাণে
মরুর বুকে উঠিল ফুটে রঙিন কুসুম বেদন ভুলি’॥
জাগিয়া হেরি পরান ভরি উঠিতেছে ঢেউ এ কি এ ব্যথার
বেদনা যত মধুও তত হিয়াতে শরম নয়নে আশার।
অকালে ফাগুন আগুন শিখায় রাঙিল মনের কানন-ভূমি॥