বাণী

আও জীবন মরণ সাথী
তুমকো ঢুঁঢাতা হ্যায় দূর আকাশ মে
			মোহনী চাঁদনী রাতি।।
ঢুঁঢাতা প্রভাত নিত গোধূলি লগন মে
মেঘ হোকে ম্যয় ঢুঁঢাতা গগন মে।
ফিরত হুঁ রোকে শাওন পবন মে।
পাত্তে মে ঢুঁঢাতা তোড়ী পাপী
শ্যামা হোকে জ্বালা ম্যয় তোহারি আঁখমে
বুঝ গ্যয়া রাতকো হায় নিরাশ মে।
আভি ইয়ে জীবন হ্যায় তুমহারি পিয়াস মে।
গুল না হো যায়ে নয়ন কি বাতি।।

বাণী

আমি তব দ্বারে প্রেম-ভিখারি
নয়নের অনুরাগ-দৃষ্টির সাথে চাহি নয়ন-বারি।।
তব পুষ্পিত তনুতে,হৃদয় -কমলে
গোপনে যে প্রেম-মধু উথলে
তোমার কাছে সেই অমৃত যাচে তৃষিত এ পথচারী।।
জনম জনম আমি রূপ ধ'রে আসি গো,
	তোমারি বিরহে কাঁদিতে,
রাহুর মত আমি আসি না
	বাহু-পাশে বাঁধিতে।
আমি ফুলের মধু চাহি,ছিঁড়ি না ফুল গো,
তদূরে রহি,গাহি গান বন-বুলবুল গো,
মনোবনে আছে তব নন্দন-পারিজাত,আমি তা'রি পূজারি।।

বাণী

আমি	কালী নামের ফুলের ডালি এনেছি গো মাথায় ক’রে।
	দুখের সাগর পার হয়ে যায় এ ফুল যে বুকে ধ’রে।।
	(এই)	প্রসাদী ফুল দিবস-যামী
		ফিরি ক’রে ফিরি আমি,
(এই)	ফুল নিলে তার ভুলের আড়াল চিরতরে যায় গো স’রে।।

বাণী

আজ শেফালির গায়ে হলুদ
	উলু দেয় পিক পাপিয়া।
প্রথম প্রণয়-ভীরু বালা
	লাজে ওঠে কাঁপিয়া।।
বনভূমি বাসর সাজায়
	ফুলে পাতায় লালে নীলে,
ঝরে শিশির আশিস-বারি
	গগন-ঝারি ছাপিয়া।।
বৃষ্টি-ধোওয়া সবুজ পাতার
	শাড়ি করে ঝলমল,
ননদিনী ‘বৌ কথা কও’
	ডাকে আড়াল থাকিয়া।।
দেখতে এলো দিগ্‌বালিকা	
	সাদা মেঘের রথে ঐ,
শরৎ-শশীর মঙ্গল-দীপ
	জ্বলে গগন ব্যাপিয়া।।
অতীত্ প্রণয়-স্মৃতি স্মরি’
	কেঁদে যায় আশিন-হাওয়া,
উড়ে বেড়ায় বর সে ভ্রমর
	কমল-পরাগ মাখিয়া।।

বাণী

আরক্ত কিংশুক কাঁপে, মালতীর বক্ষ ভরি’
চন্দ্রের অমৃত স্পর্শে উঠিতেছে শিহরি’ শিহরি’।।
		নীরব কোকিলের গুঞ্জন
চৈত্র পূর্ণিমা রাত্রি, বাড়িয়াছে বক্ষের স্পন্দন,
মোদের নাচের নূপুরের ছন্দ কভু চপল কভু মৃদুমন্দ,
বসন্ত-উৎসব সজ্জা অন্তরাল হতে মৃদু ভাষে
সুন্দর গুঞ্জন ধ্বনি কেন ভেসে আসে।
মমতার মধু-বিন্দু ক্ষরিল মোরা মধু খেয়ে বলিলাম — আহা মরি।।
ধরণীর অঙ্গ হতে বাসরের সজ্জা পড়ে খুলি’
গভীর আনন্দে মোরা চাহি দুটি আঁখি তুলি,
চৈত্রের পূর্ণিমা রাত্রি এলো ফিরি
প্রিয় তুমি কেন চ’লে গেলে ধীরি ধীরি।
তুমি ফিরে এলে মোরা লভিতাম অমৃতের স্বাদ চন্দ্রের অমিয়া পান করি।।

নাটক : ‘মদিনা’

বাণী

আজি এ বাদল দিনে কত কথা মনে পড়ে।
হারাইয়া গেছে পিয়া এমনি বাদল-ঝড়ে।।
	আমারি এ বুকে থাকি’
	ঘুমাত সে ভীরু পাখি,
জলদ উঠিলে ডাকি’ লুকাত বুকের ’পরে।।
মোর বুকে মুখ রাখি নিবিড় তিমির কাঁদে,
আমার প্রিয়ার মত বাঁধিয়া বাহুর বাঁধে।
	কোথায় কাহার বুকে
	আজি সে ঘুমায় সুখে,
প্রদীপ নিভায়ে কাঁদি একা ঘরে তারি তরে।।