আমার মালায় লাগুক তোমার
বাণী
আমার মালায় লাগুক তোমার মধুর হাতের ছোঁওয়া ঘিরুক তোমায় মোর আরতি পূজা-ধূপের ধোঁওয়া।। পূজায় ব'সে দেব-দেউলে তোমায় দেখি মনের ভুলে প্রিয় তুমি নিলে আমার পূজা হবে তারই লওয়া হবে দেবতারই লওয়া।। তুমি যেদিন প্রসন্ন হও ঠাকুর চাহেন হেসে কাঁদলে তুমি, বুকে আমার দেবতা কাদেঁন এসে। আমি অন্ধকারে ঠাকুর পুজে ঘরের মাঝে পেলাম খুজেঁ সে যে তুমি, আমার চির অবহেলা-সওয়া।।
আমার ধ্যানের ছবি আমার হজরত
বাণী
আমার ধ্যানের ছবি আমার হজরত। ও নাম প্রাণে মিটায় পিয়াসা, আমার তামান্না আমারি আশা, আমার গৌরব আমারি ভরসা, এ দীন গোনাহগার তাঁহারই উম্মত।। ও নামে রওশন জমীন আসমান, ও নামে মাখা তামাম জাহান, ও নামই দরিয়ায় বহায় উজান, ও নাম ধেয়ায় মরু ও পর্বত।। আমার নবীর নাম জপে নিশিদিন ফেরেশ্তা আর হুর পরী জিন্, ও নাম জপি আমার ভোমরায় পাবো কিয়ামতে তাঁহার শাফায়ৎ।।
আঁধার রাতে দেবতা মোর
বাণী
আঁধার রাতে দেবতা মোর এসে গেছে চ’লে রেখে গেছে চরণ-চিহ্ন শূন্য গৃহ-তলে।। জেগে দেখি বুকের কাছে পূজার মালা প’ড়ে আছে ফেলে গেছে মালাখানি বুঝি খানিক প’রে গলে।। তার অঙ্গের সুবাস ভাসে মন্দির-অঙ্গনে, তাহার ছোঁওয়া লেগে আছে কুমকুম-চন্দনে। অপূর্ণ মোর প্রণামখানি দেবো কবে নাহি জানি, সে আস্বে বুঝি বাসনা-ধূপ পুড়িয়া শেষ হলে’।।
আজি দোল্-পূর্ণিমাতে দুল্বি তোরা আয়
বাণী
আজি দোল্-পূর্ণিমাতে দুল্বি তোরা আয়। দখিনার দোল্ লেগেছে দোলন্-চাঁপায়।। দোলে আজ দোল্-ফাগুনে ফুল-বাণ আঁখির তূণে, দুলে আজ বিধুর হিয়া মধুর ব্যথায়।। দুলে আজ শিথিল বেণী, দুলে বধূর মেখলা দুলে গো মালার পলা জড়াতে বঁধুর গলা! মাধবীর দোলন্-লতায় দোয়েলা দোল্ খেয়ে যায়, দুলে যায় হল্দে পাখি সোঁদাল-শাখায়।। বিরহ-শীর্ণা নদীর আজিকে আঁখির কূলে ভরে জল কানায় কানায় জোয়ারে উঠ্ল দু’লে। দুলে বসন্ত-রানী কুসুমিতা বনানী পলাশ রঙন দোলে নোটন-খোঁপায়।। দোলে হিন্দোল-দোলায় ধরণী শ্যাম-পিয়ারী, দুলিছে গ্রহ-তারা আলোক-গোপ-ঝিয়ারি। নীলিমার কোলে বসি’ দুলে কলঙ্কী-শশী, দোলে ফুল-উর্বশী ফুল-দোলায়।।
আমি দ্বার খুলে আর রাখব না
বাণী
আমি দ্বার খুলে আর রাখব না, পালিয়ে যাবে গো। জানবে সবে গো, নাম ধরে আর ডাকব না।। এবার পূজার প্রদীপ হয়ে জ্বলবে আমার দেবালয়ে, জ্বালিয়ে যাবে গো — আর আঁচল দিয়ে ঢাকব না।। হার মেনেছি গো, হার দিয়ে আর বাঁধব না। দান এনেছি গো, প্রাণ চেয়ে আর কাঁদব না। পাষাণ, তোমায় বন্দী ক’রে রাখব আমার ঠাকুর ঘরে, রইব কাছে গো — আর অন্তরালে থাকব না।।