আল্লা নামের শিরনি তোরা কে নিবি কে আয়
বাণী
আল্লা নামের শিরনি তোরা কে নিবি কে আয়। মোরা শিরনি নিয়ে পথে হাঁকি (নিতে) কেহ নাহি চায়।। এই শিরনির গুণে ওরে শোন শিরিণ্ হবে তোর তিক্ত মন রে রাঙা হবে ভাঙা হৃদয় এই শিরনির মহিমায়।। ধররে প্রাণের তশ্তরি তোর আরশ পানে মেলে, খোদার খিদে মিটবে রে ভাই এই শিরনি খেলে। তোদের পেট পুরিলি ধূলামাটি খেয়ে করলি হেলা আল্লার নাম পেয়ে তোরা কাবা পাবার দরজা পাবি আয় আল্লা নামের দরজায়।।
আকুল হলি কেন বকুল বনের
বাণী
আকুল হলি কেন বকুল বনের পাখি। দেখেছিস তুইও নাকি প্রিয়ার ডাগর আঁখি।। মধু ও বিষ মেশা সেই সে আঁখির নেশা তোরে ক’রেছে পাগল, তাই কি এ ডাকাডাকি।। চোখে পড়িলে বালি জ্বালাতে জ্বলিয়া মরি, চোখে যাহার পড়েছে চোখ, সে বাঁচে কেমন করি’। ফিরাই আঁখি যেদিক পানে তারি আঁখি মনে আনে, বলিস্ পাখি দেখা হ’লে প্রাণ শুধু আছে বাকি।।
আধো-আধো বোল লাজে-বাধো-বাধো বোল
বাণী
আধো আধো বোল্ লাজে-বাধো-বাধো বোল ব’লো কানে কানে। যে কথাটি আধো রাতে মনে লাগায় দোল ব’লো কানে কানে।। যে কথার কলি সখি আজও ফুটিল না, হায় শরমে মরম-পাতে দোলে আন্মনা, হায় যে কথাটি ঢেকে রাখে বুকের আঁচল ব’লো কানে কানে।। যে কথা লুকায়ে থাকে লাজ-নত চোখে না বলিতে যে কথাটি জানাজানি লোকে যে কথাটি ধ’রে রাখে অধরের কোল লুকিয়ে ব’লো নিরালায় থামিলে কলরোল। যে কথাটি বলিতে চাও বেশভূষার ছলে যে কথা দেয় ব’লে তব তনু পলে পলে যে কথাটি বলিতে সই গালে পড়ে টোল্ — ব’লো কানে কানে।।
আয় মরু পারের হাওয়া নিয়ে যা রে
বাণী
আয় মরু পারের হাওয়া নিয়ে যা রে মদিনায় — জাত-পাক মুস্তাফার রওজা মুবারক যেথায়।। মরিয়া আছি দুখে মাশরেকী এই মুল্লুকে, পড়ব মাগরিবের নামাজ কবে খানা-এ কা'বায়।। হজরতের নাম তসবি করে যাব রে মিসকিন বেশে ইসলামের ঐ দ্বীনী ডঙ্কা বাজল প্রথম যে দেশে। কাঁদব ধরে মাজার শরীফ ধরে শুনব সেথায় কান পাতি, — নবীর মুখে তেমনি কি রে রব ওঠে 'এ্যায় উম্মতি'! পাক কোরানের কালাম হয়ত সেথা শোনা যায়।।