বাণী

গম্ভীর আরতি নৃত্যের ছন্দে।
হে প্রভু! তোমারে প্রকৃতি বন্দে।।
	চন্দ্র সূর্য কত শত গ্রহ তারা
	তোমারে ঘিরি’ নাচে প্রেমে মাতোয়ারা,
অনন্ত কাল ঘোরে ধূমকেতু উল্কা আগুন জ্বালায়ে বুকে উগ্র আনন্দে
লীলায়িত সিন্ধু অবোধ উল্লাসে,
মেঘ হ’য়ে উড়ে যেতে চায় তব পাশে।
	নব নব সৃষ্টি বৃষ্টিধারার প্রায়
	সেই ছন্দের তালে অবিরাম ঝ’রে যায়,
ধরণীর গোপন অনুরাগ ভক্তি ফুটে ওঠে নীরব পুষ্প-সুগন্ধে।।

১. প্রেম ২. ভাব উল্লাসে

বাণী

গ্রামের শেষের মাঠের পথে গান গেয়ে কে যায়
			একা বাউল আনমনা।
তার সুরে সবুজ ধানের ক্ষেত্রে ঢেউ খেলিয়া যায়
			গায় সাথে চপল-ঝরনা।।
	চলে নূপুর মুখর পায়
	সুর বাজিয়ে একতারায়,
তাথৈ তাথৈ হাততালি দেয় সাথে তালবনা।।
শান্ত নদীর কূলে হঠাৎ জোয়ার উঠে দুলে,
বালুচরে চম্‌কে চখা চাহে নয়ন তুলে’।
	ওঠে রেঙে আকাশ কোল্
	লাগে শাখায় শাখায় দোল্ লাগে দোল্,
মনের মাঝে এঁকে সে যায় সুরের আল্‌পনা।।

বাণী

গঙ্গার বালুতটে খেলিছে কিশোর গোরা।
চরণতলে চলে পুলকে বসুন্ধরা।।
	পড়িল কি রে খসি
	ভূতলে রাকা শশী
ঝরিছে অঝোর ধারায় রূপের পাগল-ঝোরা।।
শ্রীমতি ও শ্রীহরি খেলিছে এক অঙ্গে,
দেব-দেবী নর-নারী গাহে স্তব এক সঙ্গে।
	গঙ্গা জোয়ার জাগে
	তাহারি অনুরাগে,
ফিরে এলো কি নদীয়ায় ব্রজের ননী-চোরা।।

বাণী

গুণে গরিমায় আমাদের নারী আদর্শ দুনিয়ায়
রূপে লাবেন্য মাধুরী ও শ্রীতে হুরী-পরী লাজ পায়।।
নর নহে,নারী ইসলাম 'পরে প্রথম আনে ঈমান
আম্মা খাদিজা জগতে সর্ব প্রথম মুসলমান।
পুরুষের  সব গৌরব ম্লান এক এই মহিমায়।।
নবী-নন্দিনী ফাতেমা মোদের সতী-নারীদের রানী
যাঁর গুণ-গাথা ঘরে ঘরে প্রতি নর-নারী আজো গায়।।
রহিমার মত মহিমা কাহার তাঁর সম সতী কেবা
নারী নয় যেন মূর্তি ধরিয়া এসেছিল পতি-সেবা
মোদের খাওয়ালা জতের আলা বীরত্বে গরিমায়।।
রাজ্য শাসনে রিজিয়ার নাম ইতিহাসে অক্ষয়
শৌর্যে সাহসে চাঁদ-সুলতানা বিশ্বের বিস্ময়
জেবুন্নেসার তুলনা কোথায়,জ্ঞানের তপস্যায়।।
আঁধার হেরেমে বন্দিনী হল সহসা আলোর মেয়ে
সেইদিন হতে ইসলাম গেল গ্লানির কালিতে ছেয়ে।
লক্ষ খালেদ আসিবে যদি এ নারীরা মুক্তি পায়।।

বাণী

গুঞ্জা-মঞ্জরি-মালা।
অঞ্চলে শুকায় অভিমানে কালা।।
সহিতে পারি না আর তোমার বিরহ
ধর গিরিধারী মোর বেদনা অসহ,
ভোলাও নীরদ-ঘন-শ্যাম-কৃষ্ণ! তৃষ্ণার জ্বালা।।

বাণী

গাও কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ নাম।
গাও দেহমন শুক সারি, গাও রে ব্রজের নরনারী
গাহ কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ নাম।।
গাও তাঁরি নাম যমুনার বারি
গাও কুহু কেকা ধেনু বন-চারী,
গাহরে শ্রীদাম গাহ সুদাম।।
গাহ রে সজল শ্যামল গগন
কদম্ব-তরু তমাল কানন,
গাহ রে ভ্রমর মাধবী-লতা কৃষ্ণ-কথা, শ্রবণ অভিরাম।।
গাহ লো বিশাখা, গাহ লো ললিতা
গাহ শ্যাম-দায়িতা চন্দ্রাবলী (শ্যাম নাম),
গাহ লো চন্দ্রাবলী,
ভুবন ছাপিয়া গগন ব্যাপিয়া উঠুক কাঁপিয়া নাম-কাকলি।
(শ্যাম-নাম কাকলি।) তোরা গেয়ে যা গেয়ে যা।
হয়ে শ্যাম-নামে বিবাগী পথে পথে ধেয়ে যা।
ঘনশ্যাম পল্লবে মনো-বন ছেয়ে যা।
বহিয়া যাক শ্যাম-নাম সুরধুনী
মধুর হোক মৃত্যু শ্যাম নাম শুনি’।।

নাটক : ‘চক্রব্যুহ’