বাণী

গাগরী ভরণে চলে চপলা ব্রজনারী
যৌবন-লাবনি অঙ্গে বিথারি’।
কাজল-কালো নয়ন গরল মাখানো বাণ,
চকিত চাহনি হানে চতুরা শিকারী।।
চঞ্চল-অঞ্চল উড়ায়ে সাঁজের বায়
আধো আলো আধো ছায়া লুকোচুরি খেলে যায়,
রাঙা তপন হেসে লুকায় লতার পাশে কাঁদে দরশ-ভিখারি।।

বাণী

গানের সাথি আছে আমার সুরের সেতু-পারে।
তা’রি আশায় গানের ভেলা ভাসাই পারাবারে।।
	জানি জানি আমার এ সুর
	পাবেই পাবে চরণ বঁধুর
ঐ ভেলাতে আসবে বঁধু গভীর অন্ধকারে।।
ঘুমে যখন মগ্ন সবাই বন্ধু আমার আসে
ফুলের মতন সুরগুলি তার মুখ চেয়ে’হাসে।
	উদ্দেশে তার গানগুলি মোর
	যায় ভেসে যায় নেশায় বিভোর
যেমন ক’রে ছায় গো তপন চাঁদের অধিকারে।।

বাণী

গভীর নিশীথে ঘুম ভেঙ্গে যায়, কে যেন আমারে ডাকে —
	সে কি তুমি, সে কি তুমি?
কার স্মৃতি বুকে পাষাণের মত ভার হয়ে যেন থাকে —
	সে কি তুমি, সে কি তুমি?
কাহার ক্ষুধিত প্রেম যেন, হায়, ভিক্ষা চাহিয়া কাঁদিয়া বেড়ায়;
কার সকরুণ আঁখি দু’টি যেন রাতের তারার মত
মুখপানে চেয়ে থাকে – সে কি তুমি, সে কি তুমি?
নিশির বাতাস কাহার হুতাশ দীরঘ নিশাস সম
ঝড় তোলে এসে অন্তরে মোর, ওগো দুরন্ত মম।
	সে কি তুমি, সে কি তুমি?
মহাসাগরের ঢেউ–এর মতন, বুকে এসে বাজে কাহার রোদন,
‘পিয়া পিয়া’ নাম জপে অবিরাম বনের পাপিয়া পাখি
আমার চম্পা শাখে – সে কি তুমি, সে কি তুমি?

বাণী

গিরিধারী গোপাল ব্রজ গোপ দুলাল
অপরূপ ঘনশ্যাম নব তরুণ তমাল॥
বিশাখার পটে আঁকা মধুর নিরুপম
কান্ত ললিতার শ্রীরাধা প্রীতম
রুক্মিণী-পতি হরি যাদব ভূপাল॥
যশোদার স্নেহডোরে বাঁধা ননীচোর
নন্দের নয়ন-আনন্দ-কিশোর
শ্রীদাম-সুদাম-সখা গোঠের রাখাল॥
কংস-নিসূদন কৃষ্ণ মথুরাপতি
গীতা উদ্‌গাতা পার্থসারথি
পূর্ণ ভগবান বিরাট বিশাল॥

বাণী

গহন বনে শ্রীহরি নামের মোহন বাঁশি কে বাজায়।
ভুবন ভরি’ সেই সুরেরি সুরধুনি বয়ে যায়।।
সেই নামেরি বাঁশির সুরে, বনে পূজার কুসুম ঝুরে
সেই নামেরি নামাবলি, গ্রহ তারা আকাশ জুড়ে
অন্ত বিহীন সেই নামেরি সুর-স্রোতে কে ভাসবি আয়।।

চলচ্চিত্রঃ ধ্রুব (কাহিনীকার: গিরিশ ঘোষ)

বাণী

গাঙে জোয়ার এলো ফিরে তুমি এলে কই
খিড়কি দুয়ার খুলে পথ-পানে চেয়ে' রই।।
	কালো জামের ডালের ফাঁকে
	আমায় দেখে কোকিল ডাকে,
আজও কেন যায় না দেখা তোমার নায়ের ছই।।
চুল বেঁধে আজ সেজেগুজে পিদিম জ্বালাই সাঁঝে,
ঠাকুরঝিরা মুচকি হাসে, আমি মরি লাজে।
	বাদলা রাতে বৃষ্টি ঝরে
	মন যে আমার কেমন করে,
আমার চোখের জলে বন্ধু মাঠ করে থই-থই।।