গাঙে জোয়ার এলো ফিরে তুমি এলে কই
বাণী
গাঙে জোয়ার এলো ফিরে তুমি এলে কই খিড়কি দুয়ার খুলে পথ-পানে চেয়ে' রই।। কালো জামের ডালের ফাঁকে আমায় দেখে কোকিল ডাকে, আজও কেন যায় না দেখা তোমার নায়ের ছই।। চুল বেঁধে আজ সেজেগুজে পিদিম জ্বালাই সাঁঝে, ঠাকুরঝিরা মুচকি হাসে, আমি মরি লাজে। বাদলা রাতে বৃষ্টি ঝরে মন যে আমার কেমন করে, আমার চোখের জলে বন্ধু মাঠ করে থই-থই।।
গ্রহণী-রোগ-সমা গৃহিণী প্রিয়তমা
বাণী
গ্রহণী-রোগ-সমা গৃহিণী প্রিয়তমা, প্রসীদ! কর ক্ষমা! দেবী নমস্তে। শতমুখীধারিণী ভীমহুঙ্কারিণী যেন গন্ডারিনী দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে।দেবী নমস্তে।। চীৎকারে মাঝ রাতে পড়শীরা জেগে যায় তক্তাপোষের নীচে ছেলে পিলে ভেগে যায় পদভরে দুদ্দাড় ভেঙ্গে পড়ে ঘর দ্বার চেড়ীদের সর্দার হাতা-বেড়ী-হস্তে।দেবী নমস্তে।। শান্ত শিষ্ট এই গোবেচারা স্বামী তোমার পুলিশ কোর্টে চিরকাল আসামী তেড়ে আসে বীরজায়া তুমি কুঁদো মোটকা। বেগতিক দেখে ছুটি আমি রোগা পট্কা। কাঁছাকোঁচা বেসামাল ব্যস্তে সমস্তে।দেবী নমস্তে।। তুমি পূর্বজন্মে ছিলে ভোজপুরি দারোয়ান আমি বলীবর্দ তুমি ছিলে গাড়োয়ান; ময়দা ছিলাম আমি তুমি নিয়ে ঠাসতে। আহা হা টুটি কেন টিপে ধর? আস্তে, শ্বস্তে।দেবী নমস্তে।।
গোধূলির শুভ লগন এনে
বাণী
গোধূলির শুভ লগন এনে সে কেন বিদায়ের বাঁশি বাজায়। ওর মিলনের মালা ভালো লাগে না বুঝি গো, ও-শুধু বিরহের অশ্রু চায়।। কে জানিত ও-বিরহ-বিলাসী সকালের ফুল চায়, সন্ধ্যায় উদাসী, দিনে যে ধরা দেয় দীনের মতন রাতে সে শূন্যে কেন মিশে যায়।। ঘরে এনে কেন ভোলাতে চায় ঘর আত্মা জড়ায়ে কাঁদে, আত্মীয়ে করে পর, প্রেম-কৃপা-ঘন সে নাকি সুন্দর — কেন তবে অসহ দুঃখ দিয়ে কাঁদায়।।