গুঞ্জা মালা গলে কুঞ্জে এসো হে কালা
বাণী
গুঞ্জা মালা গলে কুঞ্জে এসো হে কালা বনমালী এসো দুলায়ে বনমালা॥ তব পথে বকুল ঝরিছে উতল বায়ে দলিয়া যাবে বলে অকরুণ রাঙা পায়ে রচেছি আসন তরুণ তমাল ছায়ে পলাশ শিমুলে রাঙা প্রদীপ জ্বালা॥ ময়ূরে নাচাও তুমি তোমারি নূপুর তালে বেঁধেছি ঝুলনিয়া ফুলেল কদম ডালে তোম বিনা বনমালী বিফল এ ফুল দোল বাঁশি বাজাবে কবে উতলা ব্রজবালা॥
গোধূলির রঙ ছড়ালে কে গো
বাণী
গোধূলির রঙ ছড়ালে কে গো আমার সাঁঝগগনে। মিলনের বাজে বাঁশি আজি বিদায়ের লগনে।। এতদিন কেঁদে কেঁদে ডেকেছি নিঠুর মরণে আজি যে কাঁদি বঁধূ বাঁচিতে হায় তোমার সনে।। আজি এ ঝরা ফুলের অঞ্জলি কি নিতে এলে, সহসা পূরবী সুর বেজে উঠিল ইমনে। হইল ধন্য প্রিয় মরন-তীর্থ মম সুন্দর মৃত্যু এলে বরের বেশে ষেশ জীবনে, এলে কে মোর সাঁঝ গগনে।।
গানগুলি মোর আহত পাখির সম
বাণী
গানগুলি মোর আহত পাখির সম লুটাইয়া পড়ে তব পায়ে প্রিয়তম।। বাণ–বেঁধা মোর গানের পাখিরে তু’লে নিও প্রিয় তব বুকে ধীরে, লভিবে মরণ চরণে তোমার সুন্দর অনুপম।। তারাসুখের পাখায় উড়িতেছিল গো নভে — তবনয়ন–শায়কে বিঁধিলে তাহাদের কবে। মৃত্যু আহত কন্ঠে তাহার একি এ গানের জাগিল জোয়ার — মরণ বিষাদে অমৃতের স্বাদ আনিলে নিষাদ মম।।
গাও কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ নাম
বাণী
গাও কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ নাম। গাও দেহমন শুক সারি, গাও রে ব্রজের নরনারী গাহ কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ নাম।। গাও তাঁরি নাম যমুনার বারি গাও কুহু কেকা ধেনু বন-চারী, গাহরে শ্রীদাম গাহ সুদাম।। গাহ রে সজল শ্যামল গগন কদম্ব-তরু তমাল কানন, গাহ রে ভ্রমর মাধবী-লতা কৃষ্ণ-কথা, শ্রবণ অভিরাম।। গাহ লো বিশাখা, গাহ লো ললিতা গাহ শ্যাম-দায়িতা চন্দ্রাবলী (শ্যাম নাম), গাহ লো চন্দ্রাবলী, ভুবন ছাপিয়া গগন ব্যাপিয়া উঠুক কাঁপিয়া নাম-কাকলি। (শ্যাম-নাম কাকলি।) তোরা গেয়ে যা গেয়ে যা। হয়ে শ্যাম-নামে বিবাগী পথে পথে ধেয়ে যা। ঘনশ্যাম পল্লবে মনো-বন ছেয়ে যা। বহিয়া যাক শ্যাম-নাম সুরধুনী মধুর হোক মৃত্যু শ্যাম নাম শুনি’।।
নাটক : ‘চক্রব্যুহ’