গগনে পবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ
বাণী
গগনে পবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ নিখিল রাঙিল রঙে অপরূপ ঢঙ॥ চিত্তে কে নৃত্যে মাতে দোল লাগানো ছন্দে, মদির রঙের নেশায় অধীর আনন্দে, নাচিছে সমীরে পুষ্প, পাগল বসন্ত, বাজে মেঘ মৃদঙ।। প্রাণের তটে কামোদ নটে সুর বাজিছে সুমধুর — দুলে অলকানন্দ রাঙা তরঙ্গে শিখী কুরঙ্গ নাচে রঙিলা ভ্রুভঙ্গে, বাজিছে বুকে সুর-সারং কাফির সঙ্গ্
গোলাপ ফুলের কাঁটা আছে সে গোলাব শাখায়
বাণী
গোলাপ ফুলের কাঁটা আছে সে গোলাব শাখায়, এনছি ছিঁড়ে তায় রাতুল পরাতে তোমায় খোঁপায়। কি হবে জানিয়া গোলাব কাঁদিল কি না; হৃদয় ছিঁড়েছি যাহার, বুঝিবে না গো সে বিনা। ভুল ভাঙায়ো না আর সাকি, ঢালো শারাব-পিয়ালা। মতলব কহিব পিছে, নেশা ধরুক চোখে বালা।। জানি আমি জানে বুলবুল কেন দলিয়া চলি ফুল, ভালোবাসি যারে যতই, তারে ততই হানি জ্বালা।। তিক্ত নহে এ শারাব বিফল মোর জীবনের চেয়ে, শোনায়ো না নীতি-কথা, শোনাও খুশির গজল গেয়ে; টুটিয়া আসিবে নেশা, ঢালো শারাব-পিয়ালা।।
গভীর ঘুম ঘোরে স্বপনে শ্যাম-কিশোরে
বাণী
গভীর ঘুম ঘোরে স্বপনে শ্যাম-কিশোরে হেরে’ প্রেমময়ী রাধা। রাধারে ত্যজিয়া আঁধার নিশীথে চন্দ্রার সাথে বাঁধা।(শ্যাম-চাঁদ) যেন চাঁদের বুকে কলঙ্ক গো নির্মল শ্যাম-চাঁদের বুকে চন্দ্রা যেন কলঙ্ক গো।। অরুণ নয়ানে মলিন বয়ানে জাগিল অভিমানিনী (ভাবে) রাধার হৃদয় আধার যাহার সে কেন ভজে কামিনী। শ্রীরাধার মান ভয়হীন, তাই শ্রীরাধা অভিমানিনী, পরমশুদ্ধ প্রেম শ্রীরাধার, নির্ভয় অভিমানিনী।। কৃষ্ণকেও সে ভয় করে না, নির্ভয় অভিমানিনী রাধা বুঝতে নারে গো চির-সরল অমৃতময় গরল কেন হয় বুঝতে নারে গো কাঁপে থরথর সারা কলেবর, ভাবে রাধা একি বিপরীত। প্রেম ভিক্ষু কহে, বুঝি বুঝিবার নহে চঞ্চল শ্যামের রীত।। বোঝা যে যায় না চঞ্চল শ্যামের রীত অবুঝ মনের বোঝা যায় না তাতে তবু কখন সে রাধার, কখন সে চন্দ্রার।।
গীতিচিত্র: ‘অভিমানিনী’