গেরুয়া রঙ মেঠো পথে বাঁশরি বাজিয়ে কে যায়
বাণী
গেরুয়া রঙ মেঠো পথে বাঁশরি বাজিয়ে কে যায়। সুরের নেশায় নুয়ে প'ড়ে ভুঁই-কদম তার পায়ে জড়ায়। আহা ভূঁই-কদম তারা পায়ে জড়ায়।। সুর শুনে তার সাঝেঁর ঠোটেঁ, বাঁকা শশীর হাসি ফোটে, গো-পথ বেয়ে ধেনু ছোটে রাঙা মাটির আবির ছড়ায়। তারা রাঙা মাটির আবির ছাড়ায়।। গগন গোঠে গ্রহ তারা সে সুর শুনে দিশেহারা হাটের পথিক ভেবে সারা ঘরে ফেরার পথ ভুলে যায়।। জল নিতে নদী কূলে কুলবালা কূল ভুলে সন্ধ্যা তারা প্রদীপ তুলে বাঁশুরিয়ার নয়নে চায়। তারা বাঁশুরিয়ার নয়নে চায়।।
গোধূলির শুভ লগন এনে
বাণী
গোধূলির শুভ লগন এনে সে কেন বিদায়ের বাঁশি বাজায়। ওর মিলনের মালা ভালো লাগে না বুঝি গো, ও-শুধু বিরহের অশ্রু চায়।। কে জানিত ও-বিরহ-বিলাসী সকালের ফুল চায়, সন্ধ্যায় উদাসী, দিনে যে ধরা দেয় দীনের মতন রাতে সে শূন্যে কেন মিশে যায়।। ঘরে এনে কেন ভোলাতে চায় ঘর আত্মা জড়ায়ে কাঁদে, আত্মীয়ে করে পর, প্রেম-কৃপা-ঘন সে নাকি সুন্দর — কেন তবে অসহ দুঃখ দিয়ে কাঁদায়।।
গুনগুনিয়ে ভ্রমর এলো ফুলের পরাগ মেখে
বাণী
গুনগুনিয়ে ভ্রমর এলো ফুলের পরাগ মেখে তোমার বনে ফুল ফুটেছে যায় ক'য়ে তাই ডেকে।। তোমার ভ্রমর দূতের কাছে যে বারতা লুকিয়ে আছে — দখিন হাওয়ায় তারি আভাস শুনি থেকে থেকে।। দল মেলেছে তোমার মনের মুকুল এতদিনে — সেই কথাটি পাখিরা গায় বিজন বিপিনে। তোমার ঘাটের ঢেউগুলি হায় আমার ঘাটে দোল দিয়ে যায় — লতায় পাতায় জোছনা দিয়ে সেই কথা চাঁদ লেখে।।