বাণী

গগনে পবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ
নিখিল রাঙিল রঙে অপরূপ ঢঙ॥
চিত্তে কে নৃত্যে মাতে দোল লাগানো ছন্দে,
মদির রঙের নেশায় অধীর আনন্দে,
নাচিছে সমীরে পুষ্প, পাগল বসন্ত, বাজে মেঘ মৃদঙ।।
প্রাণের তটে কামোদ নটে সুর বাজিছে সুমধুর —
দুলে অলকানন্দ রাঙা তরঙ্গে
শিখী কুরঙ্গ নাচে রঙিলা ভ্রুভঙ্গে,
বাজিছে বুকে সুর-সারং কাফির সঙ্গ্‌

বাণী

গুরুমন্ত্র তোমার উঠল জ্ব’লে হোমের শিখার মত।
এক নিমেষে ভষ্ম হ’ল পাপ-তাপ মোর যত।।
	চির-আঁধার ছিল আমার হিয়া
	তুমি এলে মন্দ্র-প্রদীপ নিয়া,
হল চকিতে সেই দীপালোকে মনের আঁধার গত।।
উজ্জ্বল মোর ঘন-দেউলে কোন্ সে আদি ঋষি,
গভীর উদার মন্ত্র তোমার জপে দিবা-নিশি।
	রিপু দানব যথা ক’রত বাস
	সেই মন হ’ল আজ আনন্দ-কৈলাস,
সে-কৈলাসে তুমি শিব, আমি দীন প্রণত।।

বাণী

গ্রামের শেষের মাঠের পথে গান গেয়ে কে যায়
			একা বাউল আনমনা।
তার সুরে সবুজ ধানের ক্ষেত্রে ঢেউ খেলিয়া যায়
			গায় সাথে চপল-ঝরনা।।
	চলে নূপুর মুখর পায়
	সুর বাজিয়ে একতারায়,
তাথৈ তাথৈ হাততালি দেয় সাথে তালবনা।।
শান্ত নদীর কূলে হঠাৎ জোয়ার উঠে দুলে,
বালুচরে চম্‌কে চখা চাহে নয়ন তুলে’।
	ওঠে রেঙে আকাশ কোল্
	লাগে শাখায় শাখায় দোল্ লাগে দোল্,
মনের মাঝে এঁকে সে যায় সুরের আল্‌পনা।।

বাণী

গহীন রাতে ঘুম কে এলে ভাঙাতে
ফুল-হার পরায়ে গলে দিলে জল নয়ন-পাতে।।
	যে জ্বালা পেনু জীবনে
	ভুলেছি রাতে স্বপনে
কে তুমি এসে গোপনে ছুঁইলে সে বেদনাতে।।
	যবে কেঁদেছি একাকী
	কেন মুছালে না আঁখি
নিশি আর নাহি বাকি, বাসি ফুল ঝরিবে প্রাতে।।

বাণী

গম্ভীর আরতি নৃত্যের ছন্দে।
হে প্রভু! তোমারে প্রকৃতি বন্দে।।
	চন্দ্র সূর্য কত শত গ্রহ তারা
	তোমারে ঘিরি’ নাচে প্রেমে মাতোয়ারা,
অনন্ত কাল ঘোরে ধূমকেতু উল্কা আগুন জ্বালায়ে বুকে উগ্র আনন্দে
লীলায়িত সিন্ধু অবোধ উল্লাসে,
মেঘ হ’য়ে উড়ে যেতে চায় তব পাশে।
	নব নব সৃষ্টি বৃষ্টিধারার প্রায়
	সেই ছন্দের তালে অবিরাম ঝ’রে যায়,
ধরণীর গোপন অনুরাগ ভক্তি ফুটে ওঠে নীরব পুষ্প-সুগন্ধে।।

১. প্রেম ২. ভাব উল্লাসে

বাণী

গুলশান কো চুম্‌ চুম্‌ কহ্‌তি বুলবুল
রুখসারী সে বেদর্‌দী বোর্‌খা খুল খুল।।
হাঁসতি হায় বোস্তা মস্ত্‌ হো যা দোস্তা
শিরি শিরাজি সে হো যা বেহোঁশ জাঁ
সব কুছ আজ রঙ্গীন হ্যায় সব কুছ মশগুল
হাঁসতি হায় গুল হো কর দোজখ্‌ বিল্‌কুল্‌।
হারে আশক মাশুক কি চমনোঁ মে ফুলতা নেই
দোবারা ফুল, ফুল ফুল ফুল।।