কে এলে হংস-রথে কোথা যাও
বাণী
কে এলে হংস-রথে, কোথা যাও? তার লিপি এনেছ কি? দাও মোরে দাও।। যা’র বিরহে মোর হৃদয়-কমল অশ্রু-সরসী-নীরে কাঁপে টলমল, শুনেছি তার সাথে তুমি কথা কও — কার কথা হয় সেথা — শোনাও শোনাও।। আনন্দ-দূত তুমি, লিপি আন নাই? দেখিতে কি আসিয়াছ — কত দুঃখ পাই? সে এত প্রেম দিয়ে কেন লুকিয়ে থাকে কেন দেখা দেয় না এত যে ডাকে, কেন মোর আর ভালো লাগে না কিছুই? মনে ক’রে বলো যদি তার দেখা পাও।।
মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা
বাণী
মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা তুমি বাদ্শারও বাদ্শাহ্ কম্লিওয়ালা।। পাপে-তাপে পূর্ণ আঁধার দুনিয়া হ’ল পুণ্য বেহেশ্তী নূরে উজালা।। গুনাহ্গার উম্মত লাগি’ তব আজো চয়ন্ নাহি, কাঁদিছ নিরালা।। কিয়ামতে পিয়াসি উম্মত লাগি’ দাঁড়ায়ে রবে ল’য়ে তহুরার পিয়ালা।। জ্বলিবে রোজ হাশরে দ্বাদশ রবি কাঁদিবে নফ্সি ব’লে সকল নবী য়্যা উম্মতী য়্যা উম্মতী, একেলা তুমি কাঁদিবে খোদার পাক আরশ চুমি’ — পাপী উম্মত ত্রাণ তব জপমালা ধ্যান তব গুণ গাহিল খোদ্ আল্লাহতা’লা।।
কাণ্ডারি গো কর কর পার
বাণী
কাণ্ডারি গো কর কর পার এই অকূল ভব-পারাবার। তোমার চরণ-তরী বিনা, প্রভু পারের আশা নাহি আর।। পাপের তাপের ঝড় তুফানে শান্তি নাহি আমার প্রাণে। আমি যেদিকে চাই দেখি কেবল নিরাশারি অন্ধকার।। দিন থাকতে আমার মতো কেউ নাহি সম্ভাষে, হে প্রভু তোমায় কেউ নাহি সম্ভাষে দিন ফুরালে খাটে শুয়ে এই ঘাটে সবাই আসে। লয়ে তোমারি নামের কড়ি সাধু পেল চরন-তরী সে কড়ি নাই যে কাঙ্গালের হও হে দীনবন্ধু তার॥
বর্ণচোরা ঠাকুর এলো রসের নদীয়ায়
বাণী
বর্ণচোরা ঠাকুর এলো রসের নদীয়ায় তোরা দেখবি যদি আয় তারে কেউ বলে শ্রীমতি রাধা কেউ বলে সে শ্যামরায়।। কেউ বলে তার সোনার অঙ্গে রাধা-কৃষ্ণ খেলেন রঙ্গে; ওগো কেউ বলে তায় গৌর-হরি কেউ অবতার বলে তায়।। তার ভক্ত তারে ষড়ভুজ শ্রী নারায়ণ বলে, কেউ দেখেছে শ্রীবাসের ঘরে কেউ বা নীলাচলে। দুই হাতে তার ধনুর্বাণ ঠিক যেন শ্রীরাম, দুই হাতে তার মোহন বাঁশি যেন রাধা-শ্যাম, আর দু'হাতে দণ্ড ঝুলি নবীন সন্ন্যাসীরই প্রায়।।