যেয়ো না যেয়ো না মদিনা-দুলাল
বাণী
যেয়ো না যেয়ো না মদিনা-দুলাল হয়নি যাবার বেলা। সংসার-পাথারে, আজো দোলে পাপের ভেলা।। মেটেনি তোমায় দেখার পিয়াসা মেটেনি কদম জিয়ারত আশা হযরত, এই জমেছে প্রথম দীন-ই-ইসলাম মেলা।। ছড়ায়ে পড়েনি তোমার কালাম আজিও সকল দেশে, ফিরিয়া আসেনি সিপাহীরা তব আজও বিজয়ীর বেশে। দিনের বাদশা চাও ফিরে চাও শোক-দুর্দিনে বেদনা ভোলাও গুনাহ্গার এই উম্মতে তব হানিও না অবহেলা।।
বৈতালিক
রাখাল রাজ কি সাজে সাজালে
বাণী
রাখাল রাজ! কি সাজে সাজালে আমায় আজ! আমার ঘরের ভূষণ কেড়ে নিয়ে দিলে চির-পথিক সাজ।। তোমার পায়ের নূপুর আমায় দিয়ে ঘোরাও পথে-ঘাটে নিয়ে, বেড়াই বাউল একতারা বাজিয়ে হে, (ও মরি হায় রে) এই ভুবন-নাটে বেড়াই ভুলে শরম-ভরম-লাজ।। তোমার নৃত্য-খেলার নিত্য-সাথি আনন্দেরি গোঠে হে, জীবন-মরণ আমার সহজ চরণ-তলে লোটে হে। আমার হাতে দিলে সর্বনাশী ঘর-ভোলানো তোমার বাঁশি, কাজ ভুলাতে যখন তখন আসি হে’ (ও মরি হায় রে) আমার ভবন কেড়ে — দিলে ছেড়ে বিশ্বভুবন-মাঝ।।
চম্পা-বনে বেণু বাজে
বাণী
চম্পা-বনে বেণু বাজে — বাজে বাজে। কে গো চঞ্চল? এলে মনোহর সাজে — কিশোর নাটুয়ার১ সাজে।। আঁখি মেলিয়া চাহে মালতীর কলি ভবন-শিখী নাচে ‘কে গো’ বলি’, ছড়ায় সমীরণ ফুল-অঞ্জলি — তোমার পথ-মাঝে।। নূপুর শুনি বনে নাচে কুরঙ্গ মানস-গঙ্গায় জাগে-তরঙ্গ, সরসীতে কমলিনী থরথর অঙ্গ — রক্তিম হ’ল লাজে।। লুকায় ফুলধনু মেঘের কোলে রাখিয়া কপোল চাঁদের কপোলে, হেরে তরুণ রসরাজে।।
১. মনোহর
আমার মানস-বনে ফুটেছে রে
বাণী
আমার মানস-বনে ফুটেছে রে শ্যামা-লতার মঞ্জরি। সেই মঞ্জু-বনে ফির্ছে রে তাই ভক্তি-ভ্রমর গুঞ্জরি।। সেথা আনন্দে দেয় করতালি প্রেমের কিশোর বনমালী, সেই লতামূলে শিবের জটার গঙ্গা ঝরে ঝর্ঝরি।। কোটি তরু শাখা মেলি’ এই সে-লতার স্পর্শ চায়, শিরে ধ’রে ধন্য হ’তে এই শ্যামারই শ্যাম শোভায়। এই লতারই ফুল-সুবাসে কোটি চন্দ্র সূর্য আসে১ নীল আকাশে, এই লতার ছায়ায় প্রাণ জুড়াতে ত্রিলোক আছে প্রাণ ধরি’।।
১. হাসে