চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না
বাণী
চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না এ নয়ন পানে। জানিতে নাইকো বাকি, সই ও আঁখি কি যাদু জানে।। একে ঐ চাউনি বাঁকা সুর্মা আঁকা তা’য় ডাগর আঁখি রে বধিতে তা’য় কেন সাধ? যে মরেছে ঐ নয়ন বাণে। মরেছে ঐ আঁখির বাণে।। চকোর কি প’ড়ল ধরা পীযূষ ভরা ঐ মুখ-চাঁদে (রে), কাঁদিছে নার্গিসের ফুল লাল কপোলের কমল-বাগানে। জ্বলিছে দিবস রাতি মোমের বাতি রূপের দেওয়ালি (রে), নিশিদিন তাই কি জ্বলি’ পড়ছ গলি’ অঝোর নয়ানে। মিছে তুই কথার কাঁটায় সুর বিঁধে হায় হার গাঁথিস কবি (রে)। বিকিয়ে যায় রে মালা এই নিরালা আঁখির দোকানে।।
শহীদী ঈদগাহে দেখ্ আজ জমায়েত ভারি
বাণী
শহীদী ঈদগাহে দেখ্ আজ জমায়েত ভারি। হবে দুনিয়াতে আবার ইসলামী ফর্মান জারি।। তুরান ইরান হেজাজ মেসের হিন্দ মোরক্কো ইরাক, হাতে হাত মিলিয়ে আজ দাঁড়ায়েছে সারি সারি।। ছিল বেহোঁশ যারা আঁসু ও আফসোস ল’য়ে। তুইও আয় এই জমাতে ভুলে যা’ দুনিয়াদারী।। ছিল জিন্দানে যারা আজকে তারা জিন্দা হ’য়ে, ছোটে ময়দানে দারাজ-দিল্ আজি শমশের ল’য়ে। তকদির বদলেছে আজ উঠেছে তকবির তারি।।
দ্বীনের নবীজি শোনায় একাকী
বাণী
দ্বীনের নবীজি শোনায় একাকী কোরানের মধু-বাণী। আয়েশা খাতুন শোনেন বসিয়া, নয়নে ঝরিছে পানি।। বে-দ্বীন দিওয়ানা হ’য়ে কাঁদে যে কোরান ল’য়ে, বিশ্ববাসী আনিল ঈমান যে পাক কোরান মানি’।। চন্দ্র-তারকা-গ্রহ আদি ঐ তরুলতা মরু-বায়, কোরানের সেই আয়াত শুনিয়া লুটায় নবীর পায়। কোরানে জাগাও ওরে জ্ঞান-গরিমায় মোরে, মরিতে আমায় দিও গো ল’য়ে বক্ষে কোরানখানি।
কেঁদে যায় দখিন-হাওয়া
বাণী
কেঁদে যায় দখিন-হাওয়া ফিরে ফুল-বনের গলি। ‘ফিরে যাও চপল পথিক’, দু’লে কয় কুসুম-কলি। দু’লে কয় কুসুম-কলি॥ ফেলিছে সমীর দীরঘ শ্বাস — আসিবে না আর এ মধুমাস, কহে ফুল, ‘জনম জনম এমনি গিয়াছ ছলি’। জনম জনম গিয়াছ ছলি’॥ কাঁদে বায়, ‘নিদাঘ আসে আমি যাই সুদূর বাসে’, ফুটে ফুল হাসিয়া ভাসে, ‘প্রিয়তম যেয়োনা চলি’। ওগো প্রিয়তম যেয়োনা চলি’॥
মিনতি রাখো রাখো পথিক থাকো থাকো
বাণী
মিনতি রাখো রাখো পথিক থাকো থাকো, এখনি যেয়ো না গো, না না না। ক্ষণিক অতিথি বিদায়ের গীতি এখনি গেয়ো না গো, না না না।। চৈতী পূর্ণিমা চাঁদের তিথি, পুষ্প পাগল এ বনবীথি, ধূলায় ছেয়ো না গো, না না না।। বলি বলি ক'রে হয়নি যা বলা, যে কথা ভরিয়াছিল বুকের তলা; সে কথা না শুনে সুন্দর অতিথি হে যেতে চেয়ো না গো, না না না।।