দাদ্‌রা

  • হায় ভিখারি কাহার কাছে হাত পাতিলে হায়

    বাণী

    হায় ভিখারি কাহার কাছে হাত পাতিলে হায়।
    তোমার চেয়েও আমি যে দীন কাঙাল অসহায়।।
    	আমার হয়ত কিছু ছিল কভু
    	সব নিয়েছেন কেড়ে প্রভু
    আমায় তিনি নেননি তবু তাঁহার রাঙা পায়।।
    তোমায় তিনি পথ দেখালেন ভাবনা কিসের ভাই
    তোমার আছে ভিক্ষা ঝুলি আমার তাহাও নাই।
    	চাইনে তবু আছি পড়ে
    	সংসারে জড়িয়ে ধরে
    কবে তোমার মতন পথের ধূলি মাখব সারা গায়।।
    
  • হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু পারলে না হায়

    বাণী

    হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু পারলে না হায় ফুল ফোটাতে।
    মৌমাছি যে ফুলও ফোটায় হুল ফোটানোর সাথে সাথে।।
    	আঘাত দিলে, দিলে বেদন
    	রাঙাতে হায়, পারলে না মন,
    প্রেমের কুঁড়ি ফুটল না তাই পড়ল ঝ’রে নিরাশাতে।।
    আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা,
    হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা।
    শয়ন-সাথি হলে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।।
    ফুল তুলে হায় ঘর সাজালে, করলে নাকো গলার মালা
    ত্যাজি’ সুধা পিয়ে সুরা হলে তুমি মাতোয়ালা,
    নিশাস ফেলে নিভাইলে যে-দীপ আলো দিত রাতে।।
    
  • হৃদয় কেন চাহে হৃদয় আমি জানি মন জানে

    বাণী

    হৃদয় কেন চাহে হৃদয়, আমি জানি মন জানে
    জানে নদী কেন যে সে, যায় ছুটে সাগর পানে।।
    কেহ বারি কেন চাহে, জানে চাতক, জানে মেঘ,
    জানে চকোর সুদূর নভে, চাঁদ কেন তারে টানে।।
    কুসুম কেন চাহে শিশির, জানে শিশির, জানে ফুল,
    জানে বুলবুল আছে কাঁটা, তবু যায় গুল-বাগানে।
    আঁখি চাহে আঁখি-বারি , মন চাহে মনোব্যথা
    প্রাণ আছে যার সেই জানে, কেন চাহে প্রাণে প্রাণে।।
    
  • হে গোবিন্দ রাখ চরণে

    বাণী

    হে গোবিন্দ রাখ চরণে।
    মোরা তব চরণে শরণাগত আশ্রয় দাও আশ্রিত জনে হে॥
    	গঙ্গা ঝরে যে শ্রীচরণ বেয়ে
    	কেন দুখ পাই সে চরণ চেয়ে
    এ ত্রিতাপ জ্বালা হর হে শ্রীহরি, চাহ করুণা সিক্ত নয়নে॥
    হরি ভিক্ষা চাহিলে মানুষ নাহি ফিরায়
    তোমারি দুয়ারে হাত পাতিল যে, ফিরাবে কি তুমি তায়।
    	হরি সব তরী ডুবে যায়
    	তোমার চরণ তরী ত’ ডোবে না হায়,
    তব চরণ ধরিয়া ডুবে মরি যদি রবে কলঙ্ক নিখিল ভুবনে॥
    
  • হে গোবিন্দ হে গোবিন্দ

    বাণী

    হে গোবিন্দ, হে গোবিন্দ
    ও রাঙা চরণ কমল ঘেরি
    গুঞ্জরে কোটি ভক্তবৃন্দ।।
    শত দুখ দিয়ে ভক্তের সাথ,
    একি অনন্ত-লীলা তব নাথ
    যোগী মুনি ঋষি বুঝিতে পারে না
    তুমি অচিন্ত্য তুমি অনিন্দ্য
    লীলা-রসিক হে গোবিন্দ।।
    

    নাটিকা: ‘নরমেধ’

  • হে পাষাণ দেবতা

    বাণী

    হে পাষাণ দেবতা!
    মন্দির দুয়ার খোল কও কথা।।
    দুয়ারে দাঁড়ায়ে শ্রান্তি-হীন দীর্ঘ দিন,
    অঞ্চলের পূষ্পাঞ্জলি শুকায়ে যায় উষ্ণ বায়;
    আঁখি দীপ নিভিছে হায়, কাঁপিছে তনুলতা।
    শুভ্রবাসে পূজারিণী, দিন শেষে —
    গোধুলির গেরুয়া রঙ হের প্রিয় লাগে এসে;
    খোল দ্বার শরণ দাও, সহে না আর নীরবতা।।
    
  • হে প্রিয়! তোমার আমার মাঝে

    বাণী

    হে প্রিয়! তোমার আমার মাঝে এ বিরহের পারাবার
    				কেমনে হইব পার।।
    	নিশীথের চখা-চখির মতন
    	দুই কূলে থাকি’ কাঁদি দুই জন
    আসিল না দিন মোদের জীবনে অন্তহীন আঁধার।।
    সেধেছিনু বুঝি বাদ
    কাহার মিলনে সে কোন্‌ জনমে তাই মিটিল না সাধ।
    	স্মৃতি তব ঝরা পালকের প্রায়
    	লুটায় মনের বালুচরে, হায়।
    সে কোন্‌ প্রভাতে কোন্‌ নবলোকে মিলিব মোরা আবার।।
    

  • হোক প্রবুদ্ধ সঙ্ঘবন্ধ মোদের মহাভারত

    বাণী

    হোক প্রবুদ্ধ সঙ্ঘবন্ধ মোদের মহাভারত হোক সার্থক নাম।
    হোক এই জাতি ধর্মে এক, কর্মে এক, মর্মে এক — 
    এক লক্ষ্যে মধুর সখ্যে,
    পূর্ণ হউক পূর্ণ হউক আর্যাবর্তধাম।।
    

    নাটিকাঃ ‘সুরথ উদ্ধার’