দাদ্‌রা

  • প্রিয়তম এসো ফিরে রহিবে কি দূরে দূরে

    বাণী

    প্রিয়তম এসো ফিরে রহিবে কি দূরে দূরে
    ভুলি মোরে চিরতবে ভাসাইয়া আঁখি-নীরে॥
    		আছি ব’সে পথ চেয়ে
    		আঁধার এলো যে ছেয়ে
    মনের বনের ছায়ে এসো মিলন মধুর সুরে॥
    		নয়নের মণিহারা
    		নিভে গেছে শুকতারা
    ভেসে আসে কালো মেঘ আমার গগন ঘিরে॥
    
  • ফিরে এসো ফিরে এসো প্রিয়তম

    বাণী

    ফিরে এসো ফিরে এসো প্রিয়তম
    তেমনি চাহিয়া আছে নিশীথের তারাগুলি।
    লতা-নিকুঞ্জে কাঁদে আজো বন-বুলবুলি।।
    ঘুমায়ে পড়েছে সবে, মোর ঘুম নাহি আসে
    তুমি যে ঘুমায়েছিলে সেদিন আমার পাশে
    সাজানো সে গৃহ তব, ঢেকেছে পথের ধূলি।।
    আমার চোখের জলে মুছে যায় পথ-রেখা
    রোহিনী গিয়াছে চলি' চাঁদ কাঁদে একা-একা
    কোন দূর তারালোকে কেমনে রয়েছ ভুলি'।।
    
  • ফুটলো সন্ধ্যামণির ফুল আমার মনের আঙিনায়

    বাণী

    ফুটলো সন্ধ্যামণির ফুল আমার মনের আঙিনায়
    ফুল-ফোটাতে কে এলে ফুল ঝরানো সাঁঝ-বেলায়।।
    	আজ কি মোর দিনের শেষে
    	উঠলো চাঁদ মধুর হেসে'
    কৃষ্ণা তিথির তৃষ্ণা মোর মিটলো ওই জোছনায়।।
    আজ যে আঁখি অশ্রুহীন কি দিয়ে ধোয়াই চরণ'
    সুন্দর বরের বেশে এলে কি আমার মরণ'!
    	দেখ বসন্তের পাখি
    	কোয়েলা গেছে ডাকি
    আনন্দের দূত তুমি ডাকিয়া ফুল ফোটায়।।
    

  • ফুলে পুছিনু বল বল ওরে ফুল

    বাণী

    ফুলে পুছিনু, বল, বল ওরে ফুল!
    কোথা পেলি এ সুরভি, রূপ এ অতুল?
    ‌'যার রূপে উজালা দুনিয়া, কহে গুল,
    দিল সেই মোরে এই রূপ এই খোশবু।
    		আল্লাহু আল্লাহু।।
    'ওরে কোকিল, কে তোরে দিল এ সুর,
    কোথা পেলি পাপিয়া এ কন্ঠ মধুর?
    কহে কোকিল পাপিয়া, আল্লাহ গফুর,
    তাঁরি নাম গাহি 'পিউ পিউ' কুহু কুহু —
    		আল্লাহু আল্লাহু।।
    'ওরে রবি-শশী, ওরে গ্রহ-তারা
    কোথা পেলি এ রওশনী জ্যোতি ধারা?'
    কহে, আমরা তাহারি রূপের ইশারা
    মুসা, বেহুঁশ হলো হেরি' যে খুবরু
    		আল্লাহু আল্লাহু।।
    যারে আউলিয়া আম্বিয়া ধ্যানে না পায়
    কূল-মখলুক যাঁহার মহিমা গায়,
    যে নাম নিয়ে এসেছি এইদুনিয়ায়,
    নাম নিতে নিতে মরি এই আরজু
    		আল্লাহু আল্লাহু।।
    
  • ব'লো বঁধুয়ারে নিরজনে

    বাণী

    (সখি) ব'লো বঁধুয়ারে নিরজনে
    দেখা হ'লে রাতে ফুল-বনে।।
    কে করে ফুল চুরি জেনেছে ফুলমালী
    কে দেয় গহীন রাতে ফুলের কুলে কালি
    জেনেছে ফুলমালী গোপনে।।
    ও-পথে চোর-কাঁটা, সখি, তায় বলে দিও
    বেঁধে না বেঁধে না লো যেন তার উত্তরীয়।
    এ বনফুল লাগি' না আসে কাঁটা' দলি'
    আপনি যাব চলি' বঁধুয়ার কুঞ্জ-গলি
    বিনা মূলে বিকাইব ও-চরণে।।
    
  • বঁধু আমি ছিনু বুঝি বৃন্দাবনের

    বাণী

    বঁধু	আমি ছিনু বুঝি বৃন্দাবনের রাধিকার আঁখি-জলে।
    	বাদল সাঁঝের যুঁই ফুল হয়ে আসিয়াছি ধরাতলে।।
    তাই	যেমনি মিলন সাধ ওঠে জেগে
    তুমি	লুকাও হে চাঁদ বিরহের মেঘে,
    আমি	পূবালী পবনে ঝরে যাই বনে দলগুলি যেই খোলে।।
    বঁধু	এই বুঝি হায় নিয়তির লেখা মিলন আমার নহে —
    	ক্ষনিকের শুভ-দৃষ্টি লভিয়া কাঁদিব পরম বিরহে।
    			বুঝি মিলন আমার নহে —
    		আসিব না আমি মাধবী নিশীথে
    		বরষায় শুধু আসিব ঝুরিতে,
    	অসহায় ধারা-স্রোতে ভেসে যাব, মালা হব নাকো গলে।।
    
  • বঁধু তোমার আমার এই যে বিরহ এক জনমের নহে

    বাণী

    বঁধু, তোমার আমার এই যে বিরহ এক জনমের নহে।
    তাই যত কাছে পাই তত এ হিয়ায় কি যেন অভাব রহে।।
    	বারে বারে মোরা কত সে ভুবনে আসি
    	দেখিয়া নিমেষে দুইজনে ভালোবাসি,
    দলিয়া সহসা মিলনের সেই মালা (কেন) চলিয়া গিয়াছি দোঁহে।।
    আমরা বুঝি গো বাঁধিব না ঘর, অভিশাপ বিধাতার।
    শুধু চেয়ে থাকি, কেঁদে কেঁদে ডাকি, চাঁদ আর পারাবার
    		যেন চাঁদ আর পারাবার।
    	মোদের জীবন-মঞ্জরি দুটি হায়!
    	শতবার ফোটে শতবার ঝ'রে যায়;
    আমি কাদি ব্রজে (বঁধু), তুমি কাঁদ মথুরায়, মাঝে অপার যমুনা বহে।।
    

  • বন-মল্লিকা ফুটিবে যখন গিরি-ঝর্নার তীরে

    বাণী

    বন-মল্লিকা ফুটিবে যখন গিরি-ঝর্নার তীরে।
    সেই চৈতালি গোধূলি-লগনে এসো তুমি ধীরে ধীরে — 
    				গিরি-ঝর্নার তীরে।।
    বনের কিশোর এসো সেথা হেসে হেসে
    সাজায়ো আমায় বন-লক্ষ্মীর বেশে,
    ধোওয়াব তোমার চরণ-কমল বিরহ-অশ্রু নীরে।।
    ঘনায়ে গহন সন্ধ্যার মায়া আসিও সোনার রথে,
    অতি সুকোমল শিঁরিশ, কুসুম বিছায়ে রাখিব পথে।
    মালতী-কুঞ্জে ডাকিবে পাপিয়া পাখি
    তুমি এসে বেঁধো আলোক-লতার রাখি,
    ভ্রমরের সম পিপাসিত মোর আঁখি কাঁদিবে তোমারে ঘিরে।।
    
  • বনমালার ফুল জোগালি বৃথাই বন-লতা

    বাণী

    বনমালার ফুল জোগালি বৃথাই বন-লতা
    বনের ডালায় কুসুম শুকায়, বনমালি কোথা।।
    	শুকনো পাতার গুনে নূপুর
    	চমকে ওঠে বনে ময়ূর,
    রাস নাই আজ নিরাশ ব্রজে গভীর নীরবতা।।
    যমুনা-জল উজান বেয়ে কদম-তলে আসি’
    ভাটিতে যায় ফিরে, নাহি শু’নে শ্যামের বাঁশি।
    	তমাল-ডালে ঝুলনা আর
    	গোপীরা বাঁধেনি এবার,
    শ্রাবণ এসে কেঁদে শুধায় ঘনশ্যামের কথা।।
    
  • বনে বনে দোলা লাগে

    বাণী

    বনে বনে দোলা লাগে।
    মনে মনে দোলা লাগে
    	দখিনা-সমীর জাগে।।
    একি এ বেদনা লয়ে
    ফুটিল কুসুম হৃদয়ে
    আবেশে পুলকে ভয়ে
    	না-জানা পরশ মাগে।।
    কিশোর হৃদয় পুটে
    অশোক রঙিন ফোটে
    কপোল রাঙিয়া ওঠে
    	অতনুর অনুরাগে।।
    

  • বনের তাপস কুমারী আমি গো

    বাণী

    বনের তাপস কুমারী আমি গো, সখি মোর বনলতা।
    নীরবে গোপনে দুইজনে কই আপন মনের কথা।।
    যবে 	গিরিপথে ফিরি সিনান করিয়া,
    	লতা টানে মোর আঁচল ধরিয়া,
    হেসে বলি, ওরে ছেড়ে দে, আসিছে তোদের বন-দেবতা।।
    ডাকি যদি তারে আদর করিয়া — ওরে বন বল্লরি,
    আনন্দে তার ফোটা ফুলগুলি অঞ্চলে পড়ে ঝরি'।
    	লুকায়ে যখন মোর দেবতায়
    	আবরিয়া রাখে কুসুমে পাতায়,
    চরণে আমার (ও সে) আসিয়া জড়ায় যবে হই ধ্যানরতা।।
    
  • বন্ধু পথ চেয়ে চেয়ে

    বাণী

    বন্ধু	পথ চেয়ে চেয়ে
    	আকাশের তারা পৃথিবীর ফুল গণি
    বন্ধু	ফুল পড়ে ঝরে,তারা যায় মরে
    	(ফিরে) এলো না হৃদয়-মণি।।
    	কত নদী পেল খুঁজিয়া সাগর
    	আমিই পাই না তোমার খবর
    বন্ধু	সকলেরি চাঁদ ওঠে রে আমারি চির আঁধার রজনী।।
    		যমুনার জলও শুকায় রে বন্ধু
    		আমার শুকায় না আঁখি-বারি
    	এত কান্দন কাঁদিলে গোকূলে হতাম-ব্রজ-কুমারী
    		বন্ধু হতাম রাধা প্যারী।
    	মহা পারাবার তারও আছে পার
    	আমার দুখের পার নাহি আর
    বন্ধু	মণি না পাইনু বৃথায় পুষিনু কাল-বিরহের ফণি
    		পুষিনু কাল-বিরহের ফণি।।
    
  • বরণ করেছি তারে সই

    বাণী

    বরণ করেছি তারে সই বারণ ক’রো না
    মরম সঁপেছি তারে নিতে মরণ যাতনা।।
    	গোপনে সঁপেছি মন
    	গোপনে করি যতন,
    কাঁদে প্রাণ তারি তরে, মিলিতে বাসনা।।
    
  • বর্ণচোরা ঠাকুর এলো রসের নদীয়ায়

    বাণী

    	বর্ণচোরা  ঠাকুর এলো রসের নদীয়ায়
    	তোরা দেখবি যদি আয়
    তারে	কেউ বলে শ্রীমতি রাধা কেউ বলে সে শ্যামরায়।।
    	কেউ বলে তার সোনার অঙ্গে রাধা-কৃষ্ণ খেলেন রঙ্গে;
    ওগো	কেউ বলে তায় গৌর-হরি কেউ অবতার বলে তায়।।
    তার	ভক্ত তারে ষড়ভুজ শ্রী নারায়ণ বলে,
    কেউ	দেখেছে শ্রীবাসের ঘরে কেউ বা নীলাচলে।
    	দুই হাতে তার ধনুর্বাণ ঠিক যেন শ্রীরাম,
    	দুই হাতে তার মোহন বাঁশি যেন রাধা-শ্যাম,
    	আর দু'হাতে দণ্ড ঝুলি নবীন সন্ন্যাসীরই প্রায়।।
    
  • বল প্রিয়তম বল

    বাণী

    বল প্রিয়তম বল —
    মোর নিরাশা-আঁধারে আলো দিতে তুমি কেন দীপ হ’য়ে জ্বল॥
    	যত কাঁটা পড়ে মোর পথে যেতে যেতে,
    	কেন তুমি তাহা লহ বঁধু বুক পেতে।
    যদি ব্যথা পাই বুঝি পথে তাই তুমি ফুল বিছাইয়া চল॥
    	বল হে বিরহী,
    তুমি আমারে অমৃত এনে দাও কেন নিজে উপবাসী রহি’।
    	মোর পথের দাহন আপন বক্ষে নিয়ে,
    	মেঘ হয়ে চল সাথে সাথে ছায়া দিয়ে।
    মোর ঘুম না আসিলে কেন কাঁদ চাঁদ হয়ে ঢলঢল॥
    
  • বল ভাই মাভৈঃ মাভৈঃ নবযুগ ঐ এলো ঐ

    বাণী

    বল ভাই মাভৈঃ মাভৈঃ, নবযুগ ঐ এলো ঐ
    		এলো ঐ রক্ত যুগান্তর রে।
    বল জয় সত্যের জয় আসে ভৈরব বরাভয়,
    		শোন অভয় ঐ রথ-ঘর্ঘর রে।।
    রে বধির! শোন পেতে কান ওঠে ঐ কোন মহাগান,
    হাঁকছে বিষাণ ডাকছে ভগবান রে।
    জগতে জাগলো সাড়া জেগে ওঠ উঠে দাঁড়া,
    ভাঙ্‌ পাহারা মায়ার কারা-ঘর রে।
    যা আছে যাক্‌ না চুলায় নেমে পড় পথের ধূলায়,
    নিশান দুলায় ঐ প্রলয়ের ঝড় রে।।
    সে ঝড়ের ঝাপটা লেগে ভীম আবেগে উঠনু জেগে
    পাষাণ ভেঙে প্রাণ-ঝরা নির্ঝর রে।
    ভুলেছি পর ও আপন ছিঁড়েছি ঘরের বাঁধন,
    স্বদেশ স্বজন স্বদেশ মোদের ঘর রে।
    যারা ভাই বদ্ধ কুয়ায় খেয়ে মার জীবন গোঁয়ায়
    তাদের শোনাই প্রাণ-জাগা মন্তর রে।।
    ঝড়ের ঝাঁটার ঝাণ্ডা নেড়ে মাভৈঃ বানীর ডঙ্কা মেরে
    শঙ্কা ছেড়ে হাঁক প্রলয়ঙ্কর রে।
    তোদের ঐ চরণ-চাপে যেন ভাই মরণ কাঁপে
    মিথ্যা পাপের কণ্ঠ চেপে ধর্‌ রে।
    শোনা তোর বুক-ভরা গান জাগা তোর দেশ-জোড়া প্রাণ,
    দে বলিদান প্রাণ ও আত্মপর রে।।
    মোরা ভাই বাউল চারণ মানি না শাসন বারণ,
    জীবন মরণ মোদের অনুচর রে।
    দেখে ঐ ভয়ের ফাঁসি হাসি জোর জয়ের হাসি,
    অ-বিনাশী নাইকো মোদের ডর রে,
    গেয়ে যাই গান গেয়ে যাই মরা প্রাণ উট্‌কে দেখাই,
    ছাই-চাপা ভাই অগ্নি ভয়ঙ্কর রে।।
    খুঁড়ব কবর তুড়ব শ্মশান মড়ার হাড়ে নাচাব প্রাণ,
    আনব বিধান নিদান কালের বর রে
    শুধু এই ভরসা রাখিস মরিস্‌নি ভির্মি গেছিস
    ঐ শুনেছিস ভারত বিধির স্বর রে।
    ধর্‌ হাত ওঠ্‌ রে আবার দুর্যোগের রাত্রি কাবার,
    ঐ হাসে মা'র মূর্তি মনোহর রে।।
    
  • বল রে জবা বল

    বাণী

    বল্‌ রে জবা বল্ —
    কোন্ সাধনায় পেলি শ্যামা মায়ের চরণতল।।
    মায়া–তরুর বাঁধন টু’টে মায়ের পায়ে পড়লি লু’টে
    মুক্তি পেলি, উঠলি ফুটে আনন্দ–বিহ্বল।
    তোর সাধনা আমায় শেখা (জবা) জীবন হোক সফল।।
    কোটি গন্ধ –কুসুম ফোটে, বনে মনোলোভা —
    কেমনে মা’র চরণ পেলি, তুই তামসী জবা।
    তোর মত মা’র পায়ে রাতুল হবো কবে প্রসাদী ফুল,
    কবে উঠবে রেঙে —
    ওরে মায়ের পায়ের ছোঁয়া লেগে উঠবে রেঙে,
    কবে তোরই মতো রাঙবে রে মোর মলিন চিত্তদল।।
    
  • বলেছিলে তুমি তীর্থে আসিবে

    বাণী

    বলেছিলে তুমি তীর্থে আসিবে আমার তনুর তীরে।
    তুমি আসিলে না, (হায়!) আশার সূর্য ডুবিল সাগর-নীরে।।
    	চলে যাই যদি, চিরদিন মনে
    	তোমার সে-কথা রহিবে স্মরণে
    শুধু সেই কথা শোনার লাগিয়া হয়তো আসিব ফিরে।।
    শুধু সেই আশে হয়তো এ তনু মরণে হবে না লীন
    পথ চেয়ে চেয়ে, তব নাম গেয়ে বাজাব বিরহ-বীণ।
    	হের গো, আমার যাবার সময় হলো
    	তোমার সে-কথা মিথ্যা হবে না বলো,
    কোন শুভক্ষণে নিমেষের তরে জড়াবে কন্ঠ ঘিরে।।
    
  • বল্ নাহি ভয় নাহি ভয়

    বাণী

    বল্‌	নাহি ভয় নাহি ভয়!
    বল্‌	মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!
    তুই	নির্ভর কর্‌ আপনার ‘পর আপন পতাকা কাঁধে তুলে ধর্‌
    ওরে	যে যায় যাক্ সে, তুই শুধু বল্ ‘আমার হয়নি লয়’!
    বল্‌	‘আমি আছি’, আমি পুরুষোত্তম, আমি চির-দুর্জয়!
    বল্‌	মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!!
    যে	গেল সে নিজেরে নিঃশেষ করি’ তোদের পাত্র দিয়ে গেল ভরি’!
    ঐ	বন্ধ মৃত্যু পারেনি ক’ তাঁরে পারেনি করিতে লয়!
    তাই	আমাদের মাঝে নিজেরে বিলায়ে সে আজি শান্তিময়
    বল্‌	মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!!
    ওরে	রুদ্র তখনি ক্ষুদ্রেরে গ্রাসে আগেই যবে সে ম’রে থাকে ত্রাসে
    ওরে	আপনার মাঝে বিধাতা জাগিলে বিশ্বে সে নির্ভয়
    এই	ক্ষুদ্র কারায় কভু কি ভয়াল ভৈরব বাঁধা রয়?
    বল্‌	মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!!
    ওরে	আত্ম-অবিশ্বাসী, ভয়ে-ভীত! কেন হেন ঘন অবসাদ চিত
    বল্‌	পর-বিশ্বাসে পর-মুখপানে চেয়ে কি স্বাধীন হয়?
    তুই	আত্মাকে চিন্, বল আমি আছি,’ ‘সত্য আমার জয়’!
    বল্‌	মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!!
    
  • বহু পথে বৃথা ফিরিয়াছি প্রভু

    বাণী

    বহু পথে বৃথা ফিরিয়াছি প্রভু হইব না আর পথহারা
    বন্ধু স্বজন সব ছেড়ে যায় তুমি একা জাগো ধ্রুবতারা।।
    	মায়ারূপী হায় কত স্নেহ-নদী,
    	জড়াইয়া মোরে ছিল নিরবধি,
    সব ছেড়ে গেল, হারাইনু যদি তুমি এসো প্রাণে প্রেমধারা।।
    ভ্রান্ত পথের শ্রান্ত পথিক লুটায় তোমার মন্দিরে,
    প্রভু আরো যদি কিছু আছে মোর প্রিয় লও বাঁচায়ে বন্দীরে।
    	ডাকি' লও মোরে মুক্ত আলোকে
    	তব আনন্দ-নন্দন-লোকে,
    শান্ত হোক এ ক্রন্দন, আর সহে না এ বন্ধন-কারা।।