দাদ্‌রা

  • চীন ও ভারতে মিলেছি আবার মোরা

    বাণী

    কোরাস্	:	চীন ও ভারতে মিলেছি আবার মোরা শত কোটি লোক।
    			চীন ভারতের জয় হোক! ঐক্যের জয় হোক! সাম্যের জয় হোক।
    			ধরার অর্ধ নরনারী মোরা রহি এই দুই দেশে,
    			কেন আমাদের এত দুর্ভোগ নিত্য দৈন্য ক্লেশে।
    পুরুষ কন্ঠ	:	সহিব না আজ এই অবিচার —
    কোরাস্	:	খুলিয়াছে আজি চোখ॥
    			প্রাচীন চীনের প্রাচীর মহাভারতের হিমালয়
    			আজি এই কথা যেন কয় —
    			মোরা সভ্যতা শিখায়েছি পৃথিবীরে-ইহা কি সত্য নয় ?
    			হইব সর্বজয়ী আমরাই সর্বহারার দল,
    			সুন্দর হবে শান্তি লভিবে নিপীড়িতা ধরাতল।
    পুরুষ কন্ঠ	:	আমরা আনিব অভেদ ধর্ম —
    কোরাস্	:	নব বেদ-গাঁথা-শ্লোক॥
    
  • চুড়ি কিঙ্কিনী রিনি রিন ঝিনি বীণ বাজায়ে চলে

    বাণী

    চুড়ি কিঙ্কিনী রিনি রিন ঝিনি বীণ বাজায়ে চলে
    শুনি নদীর নীল জলে জোয়ার উথলে।।
    বাজে পায়ে পাঁইজোর ঘুঙুর ঝুমুর ঝুমুর
    গাহে পাপিয়া পিয়া পিয়া শুনি সে সুর
    শত পরান হতে চায় ঐ চরণে নূপুর
    হৃদি হতে চায় চাবি তাহার আঁচলে।।
    পথিকে বধিতে কি নদীতে সে জলকে যায়
    ছল চল বলি তাহার কলসিতে জল ছ’লকে যায়
    কাজল-ঘন চোখে বিজলি জ্বালা ঝলকে যায়
    মন-পতঙ্গ ধায় ঐ আঁখির অনলে
    শুনি নদীর নীল জলে জোয়ার উথলে।।
    
  • চুরি ক’রে এনো গিরি

    বাণী

    চুরি ক’রে এনো গিরি, আমার উমার দুই কুমারে।
    দেখ্‌ব তখন ভোলা মেয়ে কেমন ভু’লে থাকতে পারে॥
    তার ছেলেরে আনলে হেথা, বুঝবে মেয়ে মায়ের ব্যথা;
    (বিনা) সাধনাতে গৌরী তখন, আসবে ছুটে আমার দ্বারে॥
    জামাই আমার শিব ভোলানাথ, ডাকিলেই সে আসিবে জানি
    চাইবে নাকো আসতে শুধু, তোমার মেয়ে ঐ পাষাণী।
    কুমার গণেশ তুমি আমি, শিব পূজিব দিবস যামী;
    শৈব হ’লে শিবাণী মোর, রইতে নারে ছেড়ে তারে॥
    
  • চৈতী চাঁদের আলো আজ ভাল নাহি লাগে

    বাণী

    চৈতী চাঁদের আলো আজ ভাল নাহি লাগে,
    তুমি নাই মোর কাছে — সেই কথা শুধু জাগে।।
    এই ধরণীর বুকে কত গান কত হাসি,
    প্রদীপ নিভায়ে ঘরে আমি আঁখি-নীরে ভাসি,
    পরানে বিরহী বাঁশি ঝুরিছে করুণ রাগে।।
    এ কী এ বেদনা আজি আমার ভুবন ঘিরে,
    ওগো অশান্ত মম, ফিরে এসো, এসো ফিরে।
    বুলবুলি এলে বনে বলে যাহা বনলতা —
    সাধ যায় কানে কানে আজি বলিব সে কথা,
    ভুল বুঝিও না মোরে বলিতে পারিনি আগে।।
    
  • চোখের বাঁধন খুলে দে মা

    বাণী

    		চোখের বাঁধন খুলে দে মা খেলব না আর কানামাছি।
    আমি		মার খেতে আর পারি না মা এবার বুড়ি ছুঁয়ে বাঁচি।।
    			তুই পাবি অনেক মেয়ে ছেলে
    			যাদের সাধ মেটেনি খেলে খেলে,
    তুই		তাদের নিয়েই খেল না মা গো শ্রান্ত আমি রেহাই যাচি।
    		দুঃখ-শোক-ঋণ-অভাব ব্যাধি মায়ার খেলুড়িরা মিলে,
    		শত দিকে শত হাতে আঘাত হানে তিলে তিলে।
    			চোর হয়ে মা আর কত দিন 
    			ঘুরব ভবে শান্তিবিহীন,
    তোর		অভয় চরণ পাই না কেন মা তোর এত কাছে আছি।।
    
  • ছেড়ে দাও মোরে আর হাত ধরিও না

    বাণী

    ছেড়ে দাও মোরে আর হাত ধরিও না
    প্রেম যারে দিতে পারিলে না
    	তারে আর কৃপা করিও না।।
    আমি  করুনা চাহিনি কভু কারো কাছে
    বহু লোক পারে, তব কৃপা যারা যাচে
    যারে  হৃদয়ে দিলে না ঠাঁই
    	তার তরে কাদিঁও আখিঁজল ঝুরিও না।।
    ভুল করেছিনু যেথা শুধু বিষ অসুন্দরের ভিড়,
    সেই   পৃথিবীতে কেঁদেছি খুজিঁয়া প্রেম-যমুনার তীর।
    যার তরণী ভাসিল বিরহের পারাবারে
    পিছু ডেকে আর ফিরাতে চেয়ো না তারে
    আমারে পাষাণ-বিগ্রহ ক'রে
    	আর মালা পরিও না।।
    

  • জগৎ জুড়ে জাল ফেলেছিস্ মা

    বাণী

    জগৎ জুড়ে জাল ফেলেছিস্ মা, শ্যামা কি তুই জেলের মেয়ে।
    (তোর) মায়ার জালে মহামায়া, বিশ্বভুবন আছে ছেয়ে॥
    	প’ড়ে মা তোর মায়ার ফাঁদে 
    	কোটি নরনারী কাঁদে;
    তোর মায়াজাল ততই বাঁধে পালাতে চায় যত ধেয়ে॥
    চতুর যে-মীন সে জানে মা জাল থেকে যে মুক্তি আছে;
    (তাই)	জেলে যখন জাল ফেলে মা সে লুকায় জেলের পায়ের কাছে।
    	জাল এড়িয়ে তাই সে বাঁচে।
    	তাই মা আমি নিলাম শরণ
    	তোর ও দুটি রাঙা চরণ,
    এড়িয়ে গেলাম মায়ার বাঁধন মা তোর অভয়-চরণ পেয়ে॥
    
  • জরীন হরফে লেখা

    বাণী

    	জরীন হরফে লেখা
    	রূপালি হরফে লেখা
    (নীল)	আসমানের কোরআন।
    সেথা	তারায় তারায় খোদার কালাম
    (তোরা)	পড়, রে মুসলমান
    নীল	আসমানের কোরআন।।
    	সেথা ঈদের চাঁদে লেখা
    	মোহাম্মদের ‘মীম’-এর রেখা,
    সুরুযেরই বাতি জ্বেলে’ পড়ে রেজোয়ান।।
    খোদার আরশ লুকিয়ে আছে ঐ কোরআনের মাঝে,
    খোঁজে ফকির-দরবেশ সেই আরশ সকাল-সাঁঝে।
    	খোদার দিদার চাস রে, যদি
    	পড় এ কোরআন নিরবধি;
    খোদার নুরের রওশনীতে রাঙ রে দেহ-প্রাণ।।
    

  • জাগো জাগো শঙ্খ চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী

    বাণী

    জাগো জাগো শঙ্খ চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী 
    জাগো শ্রীকৃষ্ণ-তিথির তিমির অপসারি’।।
    	ডাকে বসুদেব দেবকী ডাকে
    	ঘরে ঘরে, নারায়ণ, তোমাকে।
    ডাকে বলরাম শ্রীদাম সুদাম ডাকিছে যমুনা-বারি।।
    	হরি হে, তোমায় সজল নেত্রে
    	ডাকে পাণ্ডব কুরুক্ষেত্রে!
    দুঃশাসন সভায় দ্রৌপদী ডাকিছে লজ্জাহারী।।
    	মহাভারতের হে মহাদেবতা
    	জাগো জাগো, আনো আলোক-বারতা!
    ডাকিছে গীতার শ্লোক অনাগতা বিশ্বের নর-নারী।।
    
  • জাতের নামে বজ্জাতি সব

    বাণী

    জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত-জালিয়াৎ খেলছ জুয়া!
    ছুঁলেই তোর জাত যাবে? জাত ছেলের হাতের নয়তো মোয়া।।
    হুঁকোর জল আর ভাতের হাঁড়ি — ভাব্‌লি এতেই জাতির জান,
    তাইত বেকুব, করলি তোরা এক জাতিকে একশ’-খান।
    এখন দেখিস ভারত জোড়া পঁচে আছিস বাসি মড়া,
    মানুষ নাই আজ, আছে শুধু জাত-শেয়ালের হুক্কাহুয়া।।
    জানিস নাকি ধর্ম সে যে বর্ম সম সহন-শীল,
    তাকে কি ভাই ভাঙ্‌তে পারে ছোঁয়া ছুঁয়ির ছোট্ট ঢিল!
    যে জাত-ধর্ম ঠুন্‌কো এত, আজ নয় কা’ল ভাঙবে সে ত,
    যাক্‌ না সে জাত জাহান্নামে, রইবে মানুষ, নাই পরোয়া।।
    বলতে পারিস, বিশ্ব-পিতা ভগবানের কোন সে জাত?
    কোন্‌ ছেলের তার লাগলে ছোঁয়া অশুচি হন জগন্নাথ?
    ভগবানের জাত যদি নাই তোদের কেন জাতের বালাই?
    ছেলের মুখে থুথু দিয়ে মার মুখে দিস ধূপের ধোঁয়া।।
    
  • জানি আমার সাধনা নাই আছে তবু সাধ

    বাণী

    জানি আমার সাধনা নাই আছে তবু সাধ।
    তুমি আপনি এসে দেবে ধরা দূর-আকাশের চাঁদ।।
    	চকোর নহি মেঘও নহি
    	আপন ঘরে বন্দী রহি’
    আমি শুধু মনকে কহি কাঁদ নিশি দিন কাঁদ।।
    কূল-ডুবানো জোয়ার কোথা পাব হে সুন্দর?
    হে চাঁদ আমি সাগর নহি পল্লী-সরোবর।
    	নিশীথ রাতে আমার নীরে,
    	প্রেমের কুমুদ ফোটে ধীরে,
    মোর ভীরু প্রেম যেতে নারে ছাপিয়ে লাজের বাঁধ।।
    
  • জ্বালো দেয়ালি জ্বালো

    বাণী

    জ্বালো দেয়ালি জ্বালো
    অসীম তিমিরে শ‍্যামা মা যে অযুত কোটি আলো।।
    	এলো শক্তি অশিব নাশিনী
    	এলো অভয়া চির বিজয়িনী
    কালো রূপের স্নিগ্ধ লাবনি নয়ন মন জুড়ালো।।
    গ্রহ তারার দেওয়ালি জলিছে পবনে
    জ্বালো দীপালি জীবনের সব ভবনে।
    	এলো শিবানী প্রাণ দিতে সবে
    রক্ষা করিতে পীড়িত মানবে ধরাবে বাসিতে ভালো।।
    
  • ঝরা ফুল দ’লে কে অতিথি

    বাণী

    ঝরা ফুল দ’লে কে অতিথি
    সাঝেঁর বেলা এলে কানন-বীথি।।
    চোখে কি মায়া ফেলেছে ছায়া
    যৌবন মদির দোদুল কায়া
    তোমার ছোঁয়ায় নাচন লাগে দখিন হাওয়ায়
    লাগে চাদেঁর স্বপন বকুল চাঁপায়,
    কোয়েলিয়া কুহরে কু কু গীতি।।
    
  • ঝিলের জলে কে ভাসালো নীল শালুকের ভেলা

    বাণী

    ঝিলের জলে কে ভাসালো নীল শালুকের ভেলা
    		মেঘলা সকাল বেলা।
    বেণু বনে কে খেলে রে পাতা ঝরার খেলা।
    		মেঘলা সকাল বেলা।।
    	কাজল বরণ পল্লী মেয়ে
    	বৃষ্টি ধারায় বেড়ায় নেয়ে,
    ব'সে দিঘীর ধারে মেঘের পানে রয় চেয়ে একেলা।।
    দুলিয়ে কেয়া ফুলের বেনী শাপলা মালা প'রে
    খেলতে এলো মেঘ পরীরা ঘুমতী নদীর চরে।
    বিজলিতে কে দূর বিমানে, সোনার চুড়ির ঝিলিক হানে,
    বনে বনে কে বসালো যুঁই-চামেলির মেলা।।
    
  • ঠাকুর তেমনি আমি বাঘা তেঁতুল

    বাণী

    ঠাকুর! তেমনি আমি বাঘা তেঁতুল (তুমি) যেমন বুনো ওল।
    তোমার কুলের কথা (গোকুলের কথা) রটিয়ে দোবো
    বাজিয়ে ঢাক ঢোল, বাজিয়ে শ্রীখোল।।
    কেঁদে হেঁই হেঁই যে করে, তার তরে তোমার প্রেম নেই,
    তুমি আয়ান ঘোষকে দেখা দিলে দেখলে লাঠি যেই।
    সেদিনও নদীয়াতে কল্‌সি কানার এক ঘায়েতে
    পাপ নিয়ে জগাই মাধাই-এ দিলে তুমি কোল, বাজিয়ে শ্রীখোল।।
    ঐ অগ্রদ্বীপে ভোগ দিল না গোবিন্দ ঘোষ,
    তারে বাবা ব’লে করলে আপোষ;
    বাগবাজারে ধমক খেয়ে
    সাজ্‌লে তামাক মদ্‌না হয়ে
    বদ্‌লে ফেলে ভোল, ঠাকুর বাজিয়ে শ্রীখোল।।
    ভালো চাও ত’ শুনিয়ো নূপুর, রাত্রি দুপুর কালে,
    মন্দিরে মোর নেই অধিকার এসো ঘরের চালে –
    আমার ভাঙা কুঁড়ের চালে।
    জান আমি ভীষণ গোঁয়ার, ধার ধারি না ভক্তি ধোঁয়ার
    ধরব যেদিন বুঝবে ইয়ে,
    চাঁচর কেশ মুড়িয়ে ঢাল্‌ব মাথায় ঘোল।।
    
  • ঠাকুর তোমায় মালা দেব

    বাণী

    মণি :	ঠাকুর তোমায় মালা দেব ফুল তুলি আজ তাই
    কুশ :	যত তুলি তত ভাবি আরো যদি পাই।।
    মণি :	ফুল তুলি আর আমি ভাবি
    	অনেক বেশি আমার দাবি
    	ফুলের সাথে আমায় তোমার পায়ে দিও ঠাঁই।
    	ওগো ঠাকুর ! আমায় তোমার পায়ে দিও ঠাঁই।।
    

    নাটিকা: ‌‘নরমেধ’

  • ডাকতে তোমায় পারি যদি আড়াল থাকতে পারবে না

    বাণী

    ডাকতে তোমায় পারি যদি আড়াল থাকতে পারবে না
    এখন আমি ডাকি তোমায় তখন তুমি ছাড়বে না।।
    	যদি দেখা না পাই কভু —
    	সে দোষ তোমার নহে প্রভু
    সে সাধনায় আমারি হার জানি তুমি ছাড়বে না।।
    বহু লোকের চিন্তাতে মোর বহু দিকে মন যে ধায়,
    জানি জানি, অভিমানী পাইনে আজ তাই তোমায়।
    	বিশ্ব, ভুবন ভুলে যেদিন
    	তোমার ধ্যানে হব বিলীন,
    সেদিন আমার বক্ষ হতে চরণ তোমার কাড়বে না।।
    
  • ডুবু ডুবু ধর্ম-তরী ফাট্‌ল মাইন

    বাণী

    কোরাস্:
    ডুবু ডুবু ধর্ম-তরী, ফাট্‌ল মাইন সর্‌দা’র
    সামাল সামাল পড়ল সাড়া ব-মাল মেয়ে মর্দার।।
    এ কোন্ এলো বালাই, এবে পালাই বল কোন্ দেশ,
    গাছের নীচে ঘ’ড়েল শেয়াল, কাকের মুখে সন্দেশ।
    কন্যা-ডোবা কন্যা এলো, ভাস্ল বুঝি ঘর-দ্বার।।
    আয়েস্ ক’রে ধুম্‌ড়ো মেয়ের বাড়বে বয়েস চৌদ্দ
    বাপের বুকের তপ্ত-খোলায়? দিব্যি গেয়ান-বোধ তো!
    হদ্দ হ’লেন বৌদি ভেবে, ছাড়ল্ নাড়ী বড়দা’র।।
    দিব্যি স্বর্গ-মার্গে যেত গৌরী-দানের মারফৎ
    যমের যমজ জামাতৃকে লিখে দিয়ে ফার্খত!
    (হ’ল) নৈকষ্য কস্য এখন, জাত গেল ‘মেল-খড়দা’র।।
    দেব্‌তা বুড়ো শিব যে মাগেন আট-বছরী নাতনি,
    চতর্দশী মুক্তকেশী — ক’নে নয়, সে হাত্‌নী!
    পুঁটুলি নয় — এঁটুলি সে, কিংবা পুলিশ-সর্দার।।
    সিঙ্গি-চড়া ধিঙ্গি মেয়ে বৌ হবে কি? বাপ্ রে!
    প্রথম প্রণয়-সম্ভাষণেই হয়ত দিবে থাপ্‌ড়ে।
    লাফ দিয়ে সে বাইরে যাবে ঝাঁপ খুলে ঐ পর্দার।।
    সম্বন্ধ ভুলে শেষে যা-তা বলে ডাকব?
    বধূ তো নয়, যদুর পিসি! কোথায় তারে রাখব?
    ধর্মিণী নয়, জার্মানী শেল! গো-স্বামী, খবরদার।।
    টাকাতে নয়, ভাব্‌নাতে শেষ মাথাতে টাক পড়বে,
    যোদ্ধা বামা গুটিয়ে জামা কথায় কথায় লড়বে,
    যেই পাবে না সেমিজ, বডিস, কৌটো পানের জর্দার।।
    স্বামীকে সে বলবে নাথ, রাখ্‌বে না মান দুর্গার,
    হয়ত কবে বল্‌বে, ‘পিও, ঝোল রেঁধেছি মুর্গার!’
    আন্‌বে কে বাপ গুর্খা-সেপাই দন্ত-নখর-বর্দার।।
    গটমটিয়ে কইবে কথা, কট্‌মটিয়ে চাইবে,
    ‘বামা’ সে নয়, ‘ডাইনে সে যে, ডাইনে’ সদা ধাইবে!
    নিতুই নতুই চাইবে যেতে সিমলা শিলং হর্‌দ্বার।।
    ভেবেছিলাম জাত নিয়েছিস, জাতিটা নয় যাক্‌গে,
    গৃহিণীরূপ গ্রহণী রোগ, তাও ছিল শেষ ভাগ্যে!
    দোক্ত ফেলে গিন্নি কাঁদেন, কর্তা করেন ঘর-বার।।
    
  • ডেকো না আর দূরের প্রিয়া

    বাণী

    ডেকো না আর দূরের প্রিয়া থাকিতে দাও নিরালা।
    কি হবে হায় বিদায়-বেলায় এনে সুধার পিয়ালা।।
    সুখের দেশের পাখি তুমি কেন এলে এ বনে,
    আজ এ বনে জাগে শুদু কণ্টকের স্মৃতির জ্বালা।।
    মরুর বুকে কি ঘোর তৃষ্ণা বুঝিবে কি মেঘ-পরী,
    মিটিবে না আমার তৃষ্ণা ঐ আঁখি-জলে বালা।।
    আঁধার ঘরের আলো তুমি আমি রাতের আলেয়া,
    ভোলো আমায় চিরতরে, ফিরিয়ে নাও এ ফুল-মালা।।
    
  • ঢের কেঁদেছি ঢের সেধেছি

    বাণী

    	ঢের কেঁদেছি ঢের সেধেছি, আর পারিনে, যেতে দে তাঁ’য়।
    	গ’ল্‌ল না যে চোখের জলে গ’ল্‌বে কি সে মুখের কথায়।।
    		যে চ’লে যায় হৃদয় দ’লে
    		নাই কিছু তার হৃদয় ব’লে,
    	তারে মিছে অভিমানের ছলে — ডাক্‌তে আরো বাজে ব্যথায়।।
    		বঁধুর চ’লে যাওয়ার পরে
    		কাঁদব লো তার পথে প’ড়ে,
    তার	চরণ-রেখা বুকে ধ’রে — শেষ করিব জীবন সেথায়।।