দাদ্‌রা

  • তুমি কি আসিবে না

    বাণী

    তুমি কি আসিবে না
    বলেছিলে তুমি আসিবে আবার ফুটিবে যবে হেনা।।
    	সেদিন ঘুমায়ে ছিল যে মূকুল
    	আজি সে পূর্ণ বিকশিত ফুল
    সেদিনের ভীরু অচেনা হৃদয় আজি হতে চায় চেনা।।
    ঘন পল্লব গুণ্ঠন ঢাকা ছিল সেদিন যে লতা
    আজিকে পুষ্প নিবেদন ল’য়ে কহিতে চায় যে কথা।
    	প্রদীপ জ্বালায়ে আজি সন্ধ্যায়
    	পথ চেয়ে আছি তোমারি আশায়
    পূর্ণিমা-তিথি আসিল, হে চাঁদ-অতিথি আসিলে না।।
    

  • তুমি কেন এলে পথে

    বাণী

    তুমি কেন এলে পথে
    ঝরা মল্লিকা ভাসাইতেছিনু
    	একাকিনী নদী-স্রোতে।।
    কলসি আমার অলস খেলায়
    ধীর তরঙ্গে যদি ভেসে' যায়
    তীরে সে কলসি তুলে' আনো তুমি
    	কেন নদী' জল হ'তে।।
    আমার নিরালা বনে
    আমি গাঁথি হার, তুমি গান গাহি'
    	ধ্যান ভাঙো অকারণে।
    আমি মুখ হেরি' আরশিতে একা
    তুমি সে মুকুরে কেন দাও দেখা
    	বাতায়নে চাহি' তুমি কেন হাসো
    	আসিয়া চাঁদের রথে।।
    

  • তুমি দুখের বেশে এলে বলে

    বাণী

    তুমি দুখের বেশে এলে বলে ভয় করি কি হরি।
    দাও ব্যথা যতই তোমায় ততই নিবিড় করে ধরি।
    			আমি ভয় করি কি হরি।।
    	আমি শূন্য করে তোমার ঝুলি
    	দুঃখ নেব বক্ষে তুলি,
    আমি করব দুঃখের অবসান আজ সকল দুঃখ বরি।।
    	কত সে মন কত কিছুই
    	হজম করে ফেলি নিতুই,
    এক মনই তো দুঃখ দেবে তারে নাহি ডরি।।
    	তুমি তুলে দিয়ে সুখের দেয়াল,
    	ছিলে আমার প্রাণের আড়াল,
    আজ আড়াল ভেঙে দাঁড়ালে মোর সকল শূন্য হরি।।
    
  • তুমি বেণুকা বাজাও কার নাম লয়ে শ্যাম

    বাণী

    তুমি বেণুকা বাজাও কার নাম লয়ে শ্যাম —
    মোর সাধ যায় হরি আমি যদি সেই কিশোরী হইতাম।।
    	সেই প্রেম মোরে দাও গো শ্রী হরি,
    	যে প্রেমে নেমে আস রূপ ধরি',
    যে প্রেমে কাঁদো যমুনার তীরে তুমি লয়ে 'রাধা রাধা' নাম।।
    সেই প্রেম দাও যে প্রেমে ভোল তুমি হে শ্রী ভগবান,
    রাধার দুয়ারে ভিক্ষা চাহিয়া নিতি সহ অপমান।
    	মোর আঁখি হয়ে উঠুক কমল,
    	দাও প্রিয় মোরে সেই আঁখিজল;
    দাও সে বিরহ যে বিরহে এই ধরা হয় ব্রজধাম।।
    
  • তুমি ভোরের শিশির রাতের নয়ন-পাতে

    বাণী

    তুমি	ভোরের শিশির রাতের নয়ন-পাতে।
    তুমি	কান্না পাওয়াও কাননকে গো ফুল-ঝরা প্রভাতে॥
    তুমি	ভৈরবী সুর উদাস বিধুর
    	অতীত দিনের স্মৃতি সুদূর,
    তুমি	ফোটার আগে ঝরা মুকুল বৈশাখী হাওয়াতে॥
    তুমি	কাশের ফুলের করুণ হাসি মরা নদীর চরে
    তুমি	শ্বেত-বসনা অশ্রুমতী উৎসব-বাসরে।
    তুমি	মরুর বুকে পথ-হারা
    	গোপন ব্যথার ফল্গুধারা,
    তুমি	নীরব বীণা বাণীহীনা সঙ্গীত-সভাতে॥
    
  • তুমি শুনিতে চেয়ো না আমার মনের কথা

    বাণী

    তুমি	শুনিতে চেয়ো না আমার মনের কথা
    	দখিনা বাতাস ইঙ্গিতে বোঝে
    			কহে যাহা বনলতা।।
    	চুপ ক'রে চাঁদ সুদুর গগনে
    	মহা-সাগরের ক্রন্দন শোনে,
    	ভ্রমর কাদিঁয়া ভাঙিতে পারে না
    			কুসুমের নীরবতা।।
    	মনের কথা কি মুখে সব বলা যায়?
    	রাতের আঁধারে যত তারা ফোটে
    			আঁখি কি দেখিতে পায়?
    	পাখায় পাখায় বাঁধা যবে রয়
    	বিহগ-মিথুন কথা নাহি কয়,
    	মধুকর যবে ফুলে মধু পায়
    			রহে না চঞ্চলতা।।
    

    গীতিচিত্রঃ ‌‘অতনুর দেশ’

  • তুমি সুন্দর কপট হে নাথ

    বাণী

    তুমি সুন্দর কপট হে নাথ! মায়াতে রাখ বিভোর।
    তোমার ছলনা যে বোঝে না নাথ সেই সে দুঃখী ঘোর।।
    	কত শত রূপে নিঠুর আঘাতে
    	তুমি চাও নাথ তোমারে ভোলাতে
    তবু যে তোমারে ভুলিতে পারে না ধরা দাও তারে চোর।।
    কাঁদাও তাহারে নিশিদিন তুমি যপে যে তোমার নাম
    তোমারে যে চাহে শত বন্ধনে বাঁধ তারে অবিরাম।
    	সাগরে মিশাতে চায় বলে নদী
    	জনম গোঁয়ায় কেঁদে নিরবধি
    ভক্তে তেমনি দিয়াছ যে নাথ অসীম আঁখি - লোর।।
    
  • তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়

    বাণী

    তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সে কি মোর অপরাধ?
    চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী বলে না তো কিছু চাঁদ।।
    	চেয়ে’ চেয়ে’ দেখি ফোটে যবে ফুল
    	ফুল বলে না তো সে আমার ভুল
    মেঘ হেরি’ ঝুরে’ চাতকিনী, মেঘ করে না তো প্রতিবাদ।।
    জানে সূর্যেরে পাবে না তবু অবুঝ সূর্যমুখী
    চেয়ে’ চেয়ে’ দেখে তার দেবতারে দেখিয়াই সে যে সুখী।
    	হেরিতে তোমার রূপ–মনোহর
    	পেয়েছি এ আঁখি, ওগো সুন্দর।
    মিটিতে দাও হে প্রিয়তম মোর নয়নের সেই সাধ।।
    
  • তেপান্তরের মাঠে বঁধু হে একা বসে থাকি

    বাণী

    		তেপান্তরের মাঠে বঁধু হে একা বসে থাকি।
    		তুমি যে পথ দিয়ে গেছ চলে তারি ধূলা মাখি’ হে।।
    যেমন		পা ফেলেছ গিরিমাটির রাঙা পথের ধূলাতে,
    		অমনি করে আমার বুকে চরণ যদি বুলাতে,
    আমি		খানিক জ্বালা ভুলতাম ঐ মানিক বুকে রাখি’ হে।।
    আমার	খাওয়া পরার নাই রুচি, আর ঘুম আসে না চোখে হে,
    আমি		আউরী হয়ে বেড়াই পথে, হাসে পাড়ার লোকে
    					দেখে হাসে পাড়ার লোকে।
    আমি		তাল পুকুরে যেতে নারি — একি তোমার মায়া হে,
    আমি		কালো জলে দেখি তোমার কালো রূপের ছায়া হে;
    আমার	কলঙ্কিনী নাম রটিয়ে তুমি দিলে ফাঁকি হে।।
    
  • তোমার আঁখির মত আকাশের দুটি তারা

    বাণী

    তোমার আঁখির মত আকাশের দু’টি তারা
    চেয়ে থাকে মোর পানে নিশীথে তন্দ্রাহারা
    		সে কি তুমি? সে কি তুমি??
    ক্ষীণ আঁখি–দীপ জ্বালি’ বাতায়নে জাগি একা,
    অসীম অন্ধকারে খুঁজি তব পথ রেখা;
    সহসা দখিনা বায়ে চাঁপা–বনে জাগে সাড়া।
    		সে কি তুমি? সে কি তুমি??
    বৈশাখী–ঝড়ের রাতে চমকিয়া উঠি জেগে’
    বুঝি অশান্ত মম আসিলে ঝড়ের বেগে,
    ঝড় চ’লে যায় কেঁদে ঢালিয়া শ্রাবণ ধারা
    		সে কি তুমি? সে কি তুমি??
    

  • তোমার আমার এই বিরহ সইব কত আর

    বাণী

    তোমার আমার এই বিরহ সইব কত আর
    রইবে কত আড়াল টেনে গ্রহ-তারকার।।
    	তৃষিত মোর হৃদয় যাচে
    	এসো আমার বুকের কাছে
    যেমন দূরের চাঁদকে ডাকে ব্যাকুল পারাবার।।
    হাত চাহে মোর ব'সো কাছে করবো সেবা তব,
    নয়ন বলে নয়ন পাতায় রাখবো হে বল্লভ।
    	হে নাথ তোমার তীর্থ পথে
    	এ প্রাণ চাহে ধূলি হ'তে
    ঘুচবে কবে মোদের মাঝে অসীম অন্ধকার।।
    

  • তোমার কালো রূপে যাক না ডুবে

    বাণী

    তোমার	কালো রূপে যাক না ডুবে সকল কালো মম, 
    					হে কৃষ্ণ প্রিয়তম!
    নীল		সাগর-জলে হারিয়ে যাওয়া নদীর জলের সম।
    		কৃষ্ণ নয়ন-তারায় যেমন আলোকিত হেরি ভুবন,
    		তেমনি কালো রূপের জ্যোতি দেখাও নিরুপম।।
    যাক		মিশে আমার পাপ-গোধূলি তোমার নীলাকাশে,
    মোর		কামনা যাক ধুয়ে তোমার রূপের শ্রাবন মাসে।
    		তোমায় আমায় মিলন থাকুক (যেমন) নীল সলিলে সুনীল শালুক
    তুমি		জড়িয়ে থাকো (গো) আমার হিয়ায় গানের সুরের সম।।
    
  • তোমার দেওয়া ব্যথা সে যে

    বাণী

    তোমার দেওয়া ব্যথা, সে যে তোমার হাতের দান।
    তাই তো সে দান মাথায় তুলে নিলাম, হে পাষাণ।।
    	তুমি কাঁদাও তাই ত বঁধু
    	বিরহ মোর হল মধু,
    সে যে আমার গলার মালা তোমার অপমান।।
    আমি বেদীমূলে কাঁদি, তুমি পাষাণ অবিচল,
    জানি হে নাথ, সে যে তোমার পূজা নেওয়ার ছল।
    	তোমার দেবালয়ে মোরে
    	রাখলে পূজারিণী ক’রে,
    সেই আনন্দে ভুলেছি নাথ সকল অভিমান।।
    
  • তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ

    বাণী

    তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ ক্ষমা কর হজরত।
    মোরা	ভুলিয়া গিয়াছি তব আদর্শ, তোমারি দেখানো পথ ॥
    	বিলাস-বিভব দলিয়াছ পায় ধূলি সম তুমি, প্রভু,
    	তুমি চাহ নাই আমরা হইব বাদশা-নবাব কভু।
    	এই ধরণীর ধন-সম্ভার - সকলেরি তাহে সম অধিকার;
    	তুমি বলেছিলে ধরণীতে সবে সমান পুত্র-বৎ ॥
    প্রভু	তোমার ধর্মে অবিশ্বাসীরে তুমি ঘৃণা নাহি ক’রে
    	আপনি তাদের করিয়াছ সেবা ঠাঁই দিয়ে নিজ ঘরে।
    	ভিন্ ধর্মীর পূজা-মন্দির, ভাঙিতে আদেশ দাওনি, হে বীর,
    প্রভু	আমরা আজিকে সহ্য করিতে পারিনে’ক পর-মত ॥
    	তুমি চাহ নাই ধর্মের নামে গ্লানিকর হানাহানি,
    	তলোয়ার তুমি দাও নাই হাতে, দিয়াছ অমর বাণী।
    	মোরা ভুলে গিয়ে তব উদারতা
    	সার করিয়াছি ধর্মন্ধতা,
    	বেহেশ্‌ত্‌ হ’তে ঝরে নাকো আর তাই তব রহমত ॥
    
  • তোমার মহাবিশ্বে কিছু হারায় না তো কভু

    বাণী

    তোমার মহাবিশ্বে কিছু হারায় না তো কভু।
    আমরা অবোধ, অন্ধ মায়ায় তাই তো কাঁদি প্রভু।।
    তোমার মতই তোমার ভুবন
    চির পূর্ণ, হে নারায়ণ!
    দেখতে না পায় অন্ধ নয়ন তাই এ দুঃখ প্রভু।।
    ঝরে যে ফল ধূলায় জানি, হয় না তাহা (কভু) হারা,
    ঐ ঝরা ফলে নেয় যে জনম তরুণ তরুর চারা —
    তারা হয় না কভু হারা।
    হারালো (ও) মোর প্রিয় যারা,
    তোমার কাছে আছে তারা;
    আমার কাছে নাই তাহারা — হারায়নিক’ তবু।।
    
  • তোমার সৃষ্টি মাঝে হরি হেরিতে

    বাণী

    তোমার সৃষ্টি মাঝে হরি হেরিতে যে নিতি পাই তোমায়।
    তোমার রূপের আবছায়া ভাসে গগনে, সাগরে, তরুলতায়॥
    চন্দ্রে তোমার মধুর হাসি, সূর্যে তোমার জ্যোতি প্রকাশ;
    করুণা সিন্ধু তব আভাস বারি-বিন্দুতে হিমকণায়॥
    ফোটা ফুলে হরি, তোমার তনুর গোপী-চন্দন গন্ধ পাই,
    হাওয়ায় তোমার স্নেহের পরশ অন্নে তোমার প্রসাদ খাই।
    রাসবিহারী তোমার রূপ গোলে, দুঃখ শোকের হিন্দোলে,
    তুমি, ঠাঁই দাও যবে ধর কোলে মোর বন্ধু স্বজন কেঁদে ভাসায়॥
    
  • তোর কালো রূপ দেখতে মাগো

    বাণী

    (মাগো)	তোর কালো রূপ দেখতে মাগো, কাল্ হ’ল মোর আঁখি,
    		চোখের ফাঁকে যাস পালিয়ে মা তুই কালো পাখি॥
    আমার		নয়ন দুয়ার বন্ধ ক’রে এই দেহ পিঞ্জরে,
    		চঞ্চলা গো বুকের মাঝে রাখি তোরে ধ’রে;
    		চোখ্ চেয়ে তাই খুঁজে বেড়াই পাই না ভুবন ভ’রে
    		সাধ যায় মা জন্ম জন্ম অন্ধ হ’য়ে থাকি॥
    		কালো রূপের বিজলি চমক কোটি লোকের জ্যোতি,
    		অনন্ত তোর কালোতে মা সকল আলোর গতি।
    		তোর কালো রূপ কে বলে মা ‘তমঃ’,
    		ঐ রূপে তুই মহাকালি মাগো নমঃ নমঃ
    তুই		আলোর আড়াল টেনে মাগো দিস্ না মোরে ফাঁকি॥
    
  • তোর কালো রূপ লুকাতে মা

    বাণী

    তোর কালো রূপ লুকাতে মা বৃথাই আয়োজন।
    ঢাকতে নারে ও রূপ, কোটি চন্দ্র তপন।।
    	মাখিয়ে আলো আমার চোখে
    	লুকিয়ে রাখিস তোর কালোকে,
    তোর অতল কালো রূপে মাগো বিশ্ব নিমগন।।
    আঁধার নিশীথ সে যেন তোর কালো রূপের ধ্যান
    তোর গহন কালোয় গাহন ক’রে জুড়ায় ধরার প্রাণ।
    হেরি তোর কালো রূপ স্নিগ্ধ-করা
    	শ্যামা হ’ল বসুন্ধরা,
    নিবল কোটি সূর্য, তোরে খুঁজে অনুক্ষণ।।
    
  • তোর নামেরই কবচ দোলে

    বাণী

    		তোর নামেরই কবচ দোলে দোলে আমার বুকে, হে শঙ্করী।
    		কি ভয় দেখাস্? আমি তোকেও ভয় করি না, ভয় করি না ভয়ঙ্করী।।
    			মৃত্যু প্রলয় তাদের লাগি
    			নয় যারা তোর অনুরাগী।
    		(মাগো) তোর শ্রীচরণ আশ্রয় মোর (দেখে) মরণ আছে ভয়ে মরি’।।
    		তোর যদি না হয় মা বিনাশ, আমিও মা অবিনাশী;
    (আমি)	তোরই মাঝে ঘুমাই জাগি, তোরই কোলে কাঁদি হাসি।
    			তোর চরণ ছেড়ে পলায় যারা (মা)
    			মায়ার জালে মরে তারা
    		তোর মায়া-জাল এড়িয়ে গেলাম মা তোর অভয়-চরণ ধরি, মা।।
    
  • তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে

    বাণী

    তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে
    মধু পূর্ণিমারি সেথা চাঁদ দোলে
    যেন ঊষার কোলে রাঙা-রবি দোলে।।
    কূল মখ্‌লুকে আজি ধ্বনি ওঠে, কে এলো ঐ
    কলেমা শাহাদাতের্‌ বাণী ঠোঁটে, কে এলা ঐ
    খোদার জ্যোতি পেশানিতে ফোটে, কে এলো ঐ
    আকাশ-গ্রহ-তারা পড়ে লুটে, কে এলা ঐ
    পড়ে দরুদ ফেরেশ্‌তা, বেহেশ্‌তে সব দুয়ার খোলে।।
    মানুষে মানুষের অধিকার দিল যে-জন
    ‘এক আল্লাহ্‌ ছাড়া প্রভু নাই’ কহিল যে-জন,
    মানুষের লাগি’ চির-দীন্‌ বেশ ধরিল যে-জন
    বাদশা ফকিরে এক শামিল করিল যে-জন
    এলো ধরায় ধরা দিতে সেই সে নবী
    ব্যথিত-মানবের ধ্যানের ছবি
    আজি মাতিল বিশ্ব-নিখিল্‌ মুক্তি-কলোরোলে।।