দাদ্‌রা

  • খড়ের প্রতিমা পূজিস্‌ রে তোরা

    বাণী

    খড়ের প্রতিমা পূজিস্‌ রে তোরা, মাকে ত’ তোরা পূজিস্‌নে!
    প্রতি মা’র মাঝে প্রতিমা বিরাজে (ঘরে ঘরে ওরে)
    			হায় রে অন্ধ, বুঝিস্‌নে।।
    বছর বছর মাতৃ পূজার ক’রে যাস্‌ অভিনয়
    ভীরু সন্তানে হেরি লজ্জায় মাও যে পাষাণময়,
    মাকে জিনিতে সাধন-সমরে সাধক ত’কেহ বুঝিস্‌নে।
    মাটির প্রতিমা গ’লে যায় জলে, বিজয়ায় ভেসে যায়,
    আকাশে-বাতাসে মা’র স্নেহ জাগে অতন্দ্র করুণায়।
    তোরই আশে-পাশে তাঁর কৃপা হাসে —
    			কেন সেই পথে তাঁরে খুঁজিস্‌নে।।
    

    নাটিকাঃ ‌‘বিজয়া’

  • খর রৌদ্রের হোমানল জ্বালি’

    বাণী

    খর রৌদ্রের হোমানল জ্বালি’ তপ্ত গগনে জাগি।
    রুদ্র তাপস সন্ন্যাসী বৈরাগী।।
    	সহসা কখন বৈকালি ঝড়ে
    	পিঙ্গল মম জটা খু’লে পড়ে,
    যোগী শঙ্কর প্রলয়ঙ্কর জাগে চিত্তে ধেয়ান ভাঙি’।।
    	শুষ্ক কণ্ঠে শ্রান্ত ফটিক জল
    	ক্লান্ত কপোত কাঁদায় কানন-তল,
    চরণে লুটায় তৃষিতা ধরণী আমার শরণ মাগি’।।
    

    ১. মম চিত্তে মাতে নৃত্যে যোগী শঙ্কর ধ্যান ভাঙি।

  • খেলা শেষ হল শেষ হয় নাই বেলা

    বাণী

    খেলা শেষ হল, শেষ হয় নাই বেলা।
    কাঁদিও না, কাঁদিও না — তব তরে রেখে গেনু প্রেম-আনন্দ মেলা।।
    খেলো খেলো তুমি আজো বেলা আছে
    খেলা শেষ হলে এসো মোর কাছে,
    প্রেম-যমুনার তীরে ব’সে রব লইয়া শূন্য ভেলা।।
    যাহারা আমার বিচার করেছে — ভুল করিয়াছে জানি,
    তাহাদের তরে রেখে গেনু মোর বিদায়ের গানখানি।
    	হই কলঙ্কী, হোক মোর ভুল
    	বালুকার বুকে ফুটায়েছি ফুল,
    তুমিও ভুলিতে নারিবে সে-কথা — হানো যত অবহেলা।।
    

    পাঠান্তর

    খেলা শেষ হল, শেষ হয় নাই বেলা।
    কাঁদিও না, কাঁদিও না — তব তরে রেখে গেনু প্রেম-আনন্দ মেলা।।
    খেলো খেলো তুমি আজো বেলা আছে
    খেলা শেষ হলে এসো মোর কাছে,
    প্রেম-যমুনার তীরে ব’সে রব লইয়া শূন্য ভেলা।।
    যাহারা আমার বিচার করেছে আর তাহাদের কেহ,
    দেখিতে পাবে না কলঙ্ক কালিমাখা মোর এই দেহ।
    	হই কলঙ্কী, হোক মোর ভুল
    	পৃথিবীতে আমি এনেছি গোকুল,
    তুমিও ভুলিতে নারিবে সে-কথা — হানো যত অবহেলা।।
    

    [গানটি ১৯৬৫ সালে জগন্ময় মিত্রের কণ্ঠে রেকর্ডের সময় প্রশিক্ষক কমল দাশগুপ্ত বাণীর কিছু পরিবর্তন করেছিলেন।
    যথা: ১. খেলা শেষ হলে যেয়ো, যেয়ো মোর কাছে, ২. হোক অপরাধ হোক মোর ভুল]

  • খেলি আয় পুতুল-খেলা ব’য়ে যায় খেলার বেলা

    বাণী

    খেলি আয় পুতুল-খেলা ব’য়ে যায় খেলার বেলা সই।
    বাবা ঐ যান আপিসে ভাবনা কিসের খোকারা দোলায় ঘুমোয় ঐ।।
    দাদা যান ইস্কুলেতে, মা খুড়ি মা রান্না করেন ঐ হেঁসেলে
    ঠানদি দাওয়ায় ঝীমায় ব’সে ফোকলা বদন মেলে।
    আয় লো ভুলি পঞ্চি টুলি পটলি খেঁদি কই।।
    

    নাটিকাঃ ‘পুতুলের বিয়ে’

  • খোদায় পাইয়া বিশ্ব বিজয়ী ছিল একদিন যারা

    বাণী

    খোদায় পাইয়া বিশ্ব বিজয়ী ছিল একদিন যারা
    খোদায় ভুলিয়া ভীত পরাজিত আজ দুনিয়ায় তারা।।
    	খোদার নামের আশ্রয় ছেড়ে
    	ভিখারির বেশে দেশে দেশে ফেরে
    ভোগ বিলাসের মোহে ভুলে, হায় নিল বন্ধন কারা।।
    খোদার সঙ্গে যুক্ত সদাই ছিল যাহাদের মন
    দুঃখ রোগে শোকে অটল যাহারা রহিত সর্বক্ষণ।
    	এসে শয়তান ভোগ বিলাসের
    	কাড়িয়া লয়েছে ঈমান তাদের
    খোদায় হারায়ে মুসলিম আজ হয়েছে সর্বহারা।।
    
  • গঙ্গা সিন্ধু নর্মদা কারেরী যমুনা ঐ

    বাণী

    গঙ্গা সিন্ধু নর্মদা কারেরী যমুনা ঐ
    বাহিয়া চলেছে আগের মতন, কই রে আগের মানুষ কই।।
    		মৌনী স্তব্ধ সে হিমালয়
    		তেমনি অটল মহিমময়
    নাই তার সাথে সেই ধ্যানী ঋষি, আমরাও আর সে জাতি নই।।
    		আছে সে আকাশ ইন্দ্র নাই
    		কৈলাসে সে যোগীন্দ্র নাই
    অন্নদা-সুত ভিক্ষা চাই কি কহিব এরে কপাল বই।।
    		সেই আগ্রা সে দিল্লী ভাই
    		প’ড়ে আছে, সেই বাদশা নাই
    নাই কোহিনুর ময়ূর-তখ্ত নাই সে বাহিনী বিশ্বজয়ী।
    		আমরা জানি না, জানে না কেউ
    		কূলে ব’সে কত গণিব ঢেউ
    দেখিয়াছি কত, দেখিব এও নিঠুর বিধির লীলা কতই।।
    

  • গত রজনীর কথা পড়ে মনে

    বাণী

    গত রজনীর কথা পড়ে মনে রজনীগন্ধার মদির গন্ধে।
    এই সে ফুলেরই মোহন-মালিকা জড়ায়ে ছিল সে কবরী-বন্ধে।।
    বাহুর বল্লরী জড়ায়ে তার গলে
    আধেক আঁচলে বসেছি তরুতলে,
    		দুলেছে হৃদয় ব্যাকুল ছন্দে।।
    মুখরা ‘বউ কথা কও’ ডেকেছে বকুল-ডালে,
    লাজে ফুটেছে লালী গোলাপ-কুঁড়ির গালে।
    কপোলের কলঙ্ক মোর মেটেনি আজো যে সই
    জাগিছে তা’রি স্মৃতি চাঁদের কপোলে ঐ,
    		কাঁদিছে নন্দন আজি নিরানন্দে।।

    ১. হাসিছে নন্দন আমি পরমানন্দে।।

  • গভীর নিশীথে ঘুম ভেঙ্গে যায়

    বাণী

    গভীর নিশীথে ঘুম ভেঙ্গে যায়, কে যেন আমারে ডাকে —
    	সে কি তুমি, সে কি তুমি?
    কার স্মৃতি বুকে পাষাণের মত ভার হয়ে যেন থাকে —
    	সে কি তুমি, সে কি তুমি?
    কাহার ক্ষুধিত প্রেম যেন, হায়, ভিক্ষা চাহিয়া কাঁদিয়া বেড়ায়;
    কার সকরুণ আঁখি দু’টি যেন রাতের তারার মত
    মুখপানে চেয়ে থাকে – সে কি তুমি, সে কি তুমি?
    নিশির বাতাস কাহার হুতাশ দীরঘ নিশাস সম
    ঝড় তোলে এসে অন্তরে মোর, ওগো দুরন্ত মম।
    	সে কি তুমি, সে কি তুমি?
    মহাসাগরের ঢেউ–এর মতন, বুকে এসে বাজে কাহার রোদন,
    ‘পিয়া পিয়া’ নাম জপে অবিরাম বনের পাপিয়া পাখি
    আমার চম্পা শাখে – সে কি তুমি, সে কি তুমি?
    
  • গানগুলি মোর আহত পাখির সম

    বাণী

    	গানগুলি মোর আহত পাখির সম
    	লুটাইয়া পড়ে তব পায়ে প্রিয়তম।।
    		বাণ–বেঁধা মোর গানের পাখিরে
    		তু’লে নিও প্রিয় তব বুকে ধীরে,
    	লভিবে মরণ চরণে তোমার সুন্দর অনুপম।।
    তারাসুখের পাখায় উড়িতেছিল গো নভে —
    তবনয়ন–শায়কে বিঁধিলে তাহাদের কবে।
    		মৃত্যু আহত কন্ঠে তাহার
    	‌‌একি এ গানের জাগিল জোয়ার —
    	মরণ বিষাদে অমৃতের স্বাদ আনিলে নিষাদ মম।।
    
  • গুণে গরিমায় আমাদের নারী আদর্শ দুনিয়ায়

    বাণী

    গুণে গরিমায় আমাদের নারী আদর্শ দুনিয়ায়
    রূপে লাবেন্য মাধুরী ও শ্রীতে হুরী-পরী লাজ পায়।।
    নর নহে,নারী ইসলাম 'পরে প্রথম আনে ঈমান
    আম্মা খাদিজা জগতে সর্ব প্রথম মুসলমান।
    পুরুষের  সব গৌরব ম্লান এক এই মহিমায়।।
    নবী-নন্দিনী ফাতেমা মোদের সতী-নারীদের রানী
    যাঁর গুণ-গাথা ঘরে ঘরে প্রতি নর-নারী আজো গায়।।
    রহিমার মত মহিমা কাহার তাঁর সম সতী কেবা
    নারী নয় যেন মূর্তি ধরিয়া এসেছিল পতি-সেবা
    মোদের খাওয়ালা জতের আলা বীরত্বে গরিমায়।।
    রাজ্য শাসনে রিজিয়ার নাম ইতিহাসে অক্ষয়
    শৌর্যে সাহসে চাঁদ-সুলতানা বিশ্বের বিস্ময়
    জেবুন্নেসার তুলনা কোথায়,জ্ঞানের তপস্যায়।।
    আঁধার হেরেমে বন্দিনী হল সহসা আলোর মেয়ে
    সেইদিন হতে ইসলাম গেল গ্লানির কালিতে ছেয়ে।
    লক্ষ খালেদ আসিবে যদি এ নারীরা মুক্তি পায়।।
    
  • গুণ্ঠন খোলো পারুল মঞ্জরী

    বাণী

    গুণ্ঠন খোলো পারুল মঞ্জরী।
    বল গো মনের কথা বনের কিশোরী।।
    চৈতালী চাঁদের তিথি যে ফুরায়
    কাঁদিয়া কোয়েলিয়া পরদেশে যায়,
    মধুমাখা নাম তব, মধুকর গায় মৃদুল গুঞ্জরী।।
    বনমালী নিতি আসি' ভাঙায় ঘুম
    বনদেবী গাহে জাগো দুলালী কুসুম,
    কত মল্লিকা বেলি বকুল চামেলি
    বিলায়ে সুবাস হের গিয়াছে ঝরি'।।
    
  • গোধূলির রঙ ছড়ালে কে গো

    বাণী

    গোধূলির রঙ ছড়ালে কে গো আমার সাঁঝগগনে।
    মিলনের বাজে বাঁশি আজি বিদায়ের লগনে।।
    এতদিন কেঁদে কেঁদে ডেকেছি নিঠুর মরণে
    আজি যে কাঁদি বঁধূ বাঁচিতে হায় তোমার সনে।।
    আজি এ ঝরা ফুলের অঞ্জলি কি নিতে এলে,
    সহসা পূরবী সুর বেজে উঠিল ইমনে।
    হইল ধন্য প্রিয় মরন-তীর্থ মম
    সুন্দর মৃত্যু এলে বরের বেশে ষেশ জীবনে,
    		এলে কে মোর সাঁঝ গগনে।।
    
  • ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবি রে

    বাণী

    ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবি রে জাগায়ো না জাগায়ো না,
    সারা জীবন যে আলো দিল ডেকে তার ঘুম ভাঙায়ো না।।
    	যে সহস্র করে রূপরস দিয়া
    	জননীর কোলে পড়িল ঢলিয়া
    তাঁহারে শান্তি-চন্দন দাও ক্রন্দনে রাঙায়ো না।।
    যে তেজ শৌর্য-শক্তি দিলেন, আপনারে করি ক্ষয়
    			তাই হাত পেতে নাও।
    বিদেহ রবি ও ইন্দ্র মোদের নিত্য দেবেন জয়
    			কবিরে ঘুমাতে দাও।
    	অন্তরে হের হারানো রবির জ্যোতি
    	সেইখানে তারে নিত্য কর প্রণতি
    	আর কেঁদে তাঁরে কাঁদায়ো না।।
    
  • ঘুমাও ঘুমাও দেখিতে এসেছি

    বাণী

    ঘুমাও,ঘুমাও,দেখিতে এসেছি ভাঙাতে আসিনি ঘুম
    কেউ জেগে কাঁদে,কারো চোখে নামে নিদালির মৌসুম॥
    	দেখিতে এলাম হ'য়ে কুতুহলী
    	চাঁপা-ফুল দিয়ে তৈরী পুতুলী
    দেখি,শয্যায় স্তূপ হ'য়ে আছে জোছনার কুমকুম
    আমি নই, ঐ কলঙ্কী চাঁদ নয়নে হেনেছে চুম্ ।।
    রাগ করিও না, অনুরাগ হ'তে রাগ আরো ভালো লাগে,
    তৃষ্ণাতুরের কেউ জল চায় কেউ বা শিরাজি মাগে।
    	মনে কর, আমি লোলুপ বাতাস
    	চোর-জোছনা, ফুলের সুবাস
    ভয় নাই, আমি চলে যাই ডাকি' নিশীথিনী নিঃঝুম।।
    
  • ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হ’য়ে

    বাণী

    ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হ’য়ে আমার গানের বুলবুলি —
    করুণ চোখে চেয়ে আছে সাঁঝের ঝরা ফুলগুলি।।
    ফুল ফুটিয়ে ভোর বেলাতে গান গেয়ে
    নীরব হ’ল কোন নিষাদের বান খেয়ে;
    বনের কোলে বিলাপ করে সন্ধ্যা–রাণী চুল খুলি’।।
    কাল হ’তে আর ফুটবে না হায় লতার বুকে মঞ্জরী,
    উঠছে পাতায় পাতায় কাহার করুণ নিশাস্‌ মর্মরি’।
    গানের পাখি গেছে উড়ে, শূন্য নীড় —
    কণ্ঠে আমার নাই যে আগের কথার ভীড়
    আলেয়ার এ আলোতে আর আসবে না কেউ কূল ভুলি’।।
    
  • চন্দ্রমল্লিকা চন্দ্রমল্লিকা

    বাণী

    চন্দ্রমল্লিকা, চন্দ্রমল্লিকা —
    রঙ-পরীদের সঙ্গিনী তুই অঙ্গে চাঁদের রূপ-শিখা।।
    ঊষর ধরায় আসলি ভুলে তুষার দেশে রঙ্গিনী'
    হিমেল দেশের চন্দ্রিকা তুই শীত-শেষের বাসন্তিকা।।
    চাঁদের আলো চুরি ক'রে আনলি তুই মুঠি ভ'রে,
    দিলাম চন্দ্র-মল্লিকা নাম তাই তোরে আদর ক'রে।
    	ভঙ্গিমা তোর গরব-ভরা,
    	রঙ্গিমা তোর হৃদয়-হরা,
    ফুলের দলে ফুলরানী তুই-তোরেই দিলাম জয়টিকা।।
    
  • চম্পা-বনে বেণু বাজে

    বাণী

    চম্পা-বনে বেণু বাজে — বাজে বাজে।
    কে গো চঞ্চল? এলে মনোহর সাজে —
    		কিশোর নাটুয়ার সাজে।।
    আঁখি মেলিয়া চাহে মালতীর কলি
    ভবন-শিখী নাচে ‘কে গো’ বলি’,
    ছড়ায় সমীরণ ফুল-অঞ্জলি —
    		তোমার পথ-মাঝে।।
    নূপুর শুনি বনে নাচে কুরঙ্গ
    মানস-গঙ্গায় জাগে-তরঙ্গ,
    সরসীতে কমলিনী থরথর অঙ্গ —
    		রক্তিম হ’ল লাজে।।
    লুকায় ফুলধনু মেঘের কোলে
    রাখিয়া কপোল চাঁদের কপোলে,
    		হেরে তরুণ রসরাজে।।
    

    ১. মনোহর

  • চলো সাম্‌লে পিছল পথ

    বাণী

    	চলো সাম্‌লে পিছল পথ গোরী।
    	ভরা যৌবন তায় ভরা গাগরি।।
    	নীর ভরণে এসে সখি নদী-তীর
    	তীর খেয়ো না হৃদয়ে ডাগর আঁখির,
    	জলে ভাসিবে নয়ন কিশোরী।।
    	হৃদি নিঙাড়ি এ পথে প্রেমিক কত
    সখি	করেছে রুধির-পিছল এ পথ,
    	কেহ উঠিল না এ পথে পড়ি’।।
    	তব ঘটের সলিল চাহিয়া সই
    কত	তৃষ্ণা-আতুর পথিক দাঁড়ায়ে ঐ,
    	মরুভূমে তুমি মেঘ-পরী।।
    
  • চল্‌ চল্ চল্

    বাণী

    চল্ চল্ চল্। চল্ চল্ চল্।
    ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
    নিম্নে উতলা ধরণী-তল
    অরুণ প্রাতের তরুণ দল
    	চল্ রে চল্ রে চল্
    		চল্ চল্ চল্।।
    ঊষার দুয়ারে হানি’ আঘাত
    আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
    আমরা টুটাব তিমির রাত
    		বাধার বিন্ধ্যাচল।
    নব নবীনের গাহিয়া গান
    সজীব করিব মহাশ্মাশান
    আমরা দানিব নূতন প্রাণ
    		বাহুতে নবীন বল।
    চল্ রে নও জোয়ান
    শোন্ রে পাতিয়া কান
    মৃত্যু-তোরণ-দুয়ারে-দুয়ারে
    		জীবনের আহবান।
    		ভাঙ্ রে ভাঙ্ আগল
    		চল্ রে চল্ রে চল্
    			চল্ চল্ চল্।।
    
  • চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা

    বাণী

    চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা, চাঁদের চেয়েও জ্যোতি।
    তুমি দেখাইলে মহিমান্বিতা নারী কী শক্তিমতী।।
    শিখালে কাঁকন চুড়ি পরিয়াও নারী,
    ধরিতে পারে যে উদ্ধত তরবারি,
    না রহিত অবরোধের দুর্গ, হতো না এ দুর্গতি।।
    তুমি দেখালে নারীর শক্তি স্বরূপ – চিন্ময়ী কল্যাণী,
    ভারত জয়ীর দর্প নাশিয়া মুছালে নারীর গ্লানি।
    তুমি গোলকুন্ডার কোহিনূর হীরা সম
    আজো ইতিহাসে জ্বলিতেছে নিরুপম,
    রণরঙ্গিণী ফিরে এসো,
    তুমি ফিরিয়া আসিলে, ফিরিয়া আসিবে লক্ষী ও সরস্বতী।।