দাদ্‌রা

  • এ বাসি বাসরে আসিলে কে গো

    বাণী

    এ বাসি বাসরে আসিলে কে গো ছলিতে।
    কেন পুন বাঁশি বাজালে কাফি ললিতে।। 
    নিশীথ গভীরে কেন আঁখি-নীরে এলে ফিরে ফিরে
    			গোপন কথা বলিতে।।
    দলিত কুসুম-দলে রচিয়াছি শয়ন,
    অন্ধ তিমির রাতি, নিভু নিভু নয়ন;
    মরণ বেলায় প্রিয় আনিলে কি অমিয়,
    এলে কি গো নিঠুর ঝরা ফুল দলিতে।।
    
  • এই আমাদের বাংলাদেশ

    বাণী

    এই আমাদের বাংলাদেশ এই আমাদের বাংলাদেশ
    যে দিকে চাই স্নিগ্ধ শ্যামল চোখ জুড়ানো রূপ অশেষ।।
    চন্দনিত শীতল বাতাস বয় এ দেশে নিরন্তর
    জোছনা সম কোমল হয়ে আসে হেথায় রবির কর
    জীবন হেথায় স্নেহ সরস সরল হৃদয় সহজ বেশ।।
    নিত্য হেথা করছে মেঘে স্বর্গ হতে শান্তি জল
    মাঠে ঘাটে লক্ষ্মী হেথায় ছড়িয়ে রাখে ফুল কমল।
    হাঙ্গোর কুমির শার্দুল সাপ খেলার সাথি এই জাতির
    দিল্লির যশ করল হরণ এই দেশেরি প্রতাপ বীর
    একদা এই দেশের ছেলে জয় করেছে দেশ বিদেশ।।
    

    রেকর্ড: ‘প্রতাপদিত্য’, (নাটিকার: যোগেশ চৌধুরী)

  • এই শিকল পরা ছল

    বাণী

    এই		শিকল পরা ছল মোদের এ শিকল-পরা ছল।
    এই 		শিকল পরেই শিকল তোদের করব রে বিকল।।
    তোদের	বন্ধ কারায় আসা মোদের বন্দী হতে নয়,
    ওরে 		ক্ষয় করতে আসা মোদের সবার বাঁধন–ভয়।
    এই		বাঁধন প’রেই বাঁধন–ভয়কে কর্‌ব মোরা জয়,
    এই		শিকল– বাঁধা পা নয় এ শিকল ভাঙা কল।।
    তোমার	বন্ধ ঘরের বন্ধনীতে কর্‌ছ বিশ্ব গ্রাস,
    আর 		ভয় দেখিয়েই ক’র্‌বে ভাবছ বিধির শক্তি হ্রাস
    সেই 		ভয় দেখানো ভূতের মোরা ক’র্‌বো সর্বনাশ,
    এবার		আন্‌বো মাভৈঃ বিজয়–মন্ত্র বল–হীনের বল।।
    তোমরা	ভয় দেখিয়ে কর্‌ছ শাসন জয় দেখিয়ে নয়;
    সেই		ভয়ের টুঁটি ধর্‌ব টিপে কর্‌ব তারে লয়।
    মোরা 	আপনি ম’রে মরার দেশে আন্‌ব বরাভয়,
    প’রে		ফাঁসি আন্‌ব হাসি মৃত্যু–জয়ের ফল।।
    ওরে 		ক্রন্দন নয় বন্ধন এই শিকল–ঝঞ্ঝনা,
    এ যে		মুক্তি–পথের অগ্রদূতের চরণ–বন্দনা!
    এই		লাঞ্ছিতেরাই অত্যাচারকে হান্‌ছে লাঞ্ছনা,
    মোদের	অশ্রু দিয়েই জ্ব’লবে দেশে আবার বজ্রানল।।
    
  • একটুখানি দাও অবসর বসতে কাছে

    বাণী

    একটুখানি দাও অবসর বসতে কাছে,
    তোমায় আমার অনেক যুগের অনেক কথা বলার আছে।।
    গ্রহ ঘিরে উপগ্রহ, ঘোরে যেমন অহরহ;
    আমার আকুল এ বিরহ তেমনি প্রিয় তোমায় যাচে॥
    চিরকালই রইলে তুমি আমার পাওয়ার বহুদূরে
    আজকে ক্ষণিক কইব কথা সকরুণ গানের সুরে।
    করব পূজা গানে গানে, চাইব না আর নয়ন পানে;
    আমার চোখের অশ্রুলেখা দেখে তুমি চেন পাছে॥
    
  • একাদশীর চাঁদ রে ওই রাঙা মেঘের পাশে

    বাণী

    একাদশীর চাঁদ রে ওই রাঙা মেঘের পাশে
    যেন কাহার ভাঙা কলস আকাশ গাঙে ভাসে।।
    	সেই কলসি হতে ধরার ’পরে
    	অঝোর ধারায় মধু ঝরে রে
    দলে দলে তাই কি তারার মৌমাছিরা আসে।।
    সেই মধু পিয়ে ঘুমের নেশায় ঝিমায় নিশীথ রাতি
    বন-বধূ সেই মধু ধরে ফুলের পাত্র পাতি’।
    	সেই মধু এক বিন্দু পিয়ে
    	সিন্ধু ওঠে ঝিলমিলিয়ে রে
    সেই চাঁদেরই আধখানা কি তোমার মুখে হাসে।।
    
  • একি সুরে (কোন্‌ সুরে) তুমি গান শুনালে

    বাণী

    একি সুরে (কোন্ সুরে) তুমি গান শুনালে ভিনদেশি পাখি
    এ যে সুর নহে, মদির সুরা, রে সুরের সাকি।।
    		বসি’ মোর জানালা পাশে
    		কেন বুক-ভাঙা নিরাশে
    যাও ঘুম ভাঙায়ে নিতি সকরুণ সুরে ডাকি।।
    তোর ও সুরে কাঁদছে ঊষা অস্ত চাঁদের গলা ধ’রে
    ভোর-গগনের কপোল বেয়ে শিশির-অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।
    		আমি রইতে নারি ঘরে
    		কেন প্রাণ কেমন করে
    আমার মন লাগে না কাজে, আর জলে ভরে আঁখি।।
    
  • একেলা গোরী জল্‌কে চলে গঙ্গাতীর

    বাণী

    একেলা গোরী জল্‌কে চলে গঙ্গাতীর
    অঙ্গে ঢুলিয়া পড়ে লালসে অলস সমীর।।
    কাঁকনে কলসে বাজে
    কত কথা পথ মাঝে
    		আঁচল চুমিছে শিশির।।
    তটিনীতে চলে কি গো
    সোনার বরণ মায়া-মৃগ
    		নয়নে আবেশ মদির।।
    

  • এক্‌লা ভাসাই গানের কমল

    বাণী

    	এক্‌লা ভাসাই গানের কমল সুরের স্রোতে।
    	খেলার ছলে ওপার পানে এপার হ’তে।।
    	আসবে গো এই গাঙের কূলে হয়ত ভুলে আমার প্রিয়া
    	খোঁপায় নেবে আমার গানের কমল তুলে তামার প্রিয়া
    	খুঁজতে আমায় আসবে সুরের নদী-পথে।।
    	নাম-হারা কোন্ গাঁয়ে থাকে অচেনা সে,
    তারে	না-ই জানিলাম, গান ভেসে যাক্ তাহার আশে।
    	নদীর জলে আল্‌তা-রাঙা পা ডুবায়ে, রয় সে মেয়ে
    	গানের কমল লাগে গো তা’র কমল-পায়ে, উজান বেয়ে,
    	সেদিন অমর হয় মোর গান, যায় অমরায় পুষ্প-রথে।।
    
  • এখনো ওঠেনি চাঁদ এখনো ফোটেনি তারা

    বাণী

    এখনো ওঠেনি চাঁদ এখনো ফোটেনি তারা
    এখনো দিনের কাজ হয়নি যে মোর সারা —
    		হে পথিক যাও ফিরে।।
    এখনো বাঁধিনি বেণী, তুলিনি এখনো ফুল
    জ্বালি নাই মণিদীপ মম মন–মন্দিরে —
    		হে পথিক যাও ফিরে।।
    পল্লব–গুণ্ঠনে নিশি–গন্ধার কলি
    চাহিতে পারে না লাজে দিবস যায়নি বলি’।
    এখনো ওঠেনি ঢেউ থির সারসির নীরে —
    		হে পথিক যাও ফিরে।।
    যবে ঝিমাইবে চাঁদ ঘুমে তখন তোমার লাগি’
    র’ব একা পথ চেয়ে বাতায়ন–পাশে জাগি’
    কবরীর মালা খুলে ফেলে দেব ধীরে ধীরে —
    		হে পথিক যাও ফিরে।।
    

  • এখনো মেটেনি আশা এখনো মেটেনি সাধ

    বাণী

    এখনো মেটেনি আশা এখনো মেটেনি সাধ।
    এখনো নয়ন মানে নাই তার চাহনির অপরাধ।।
    	আজো ঢেউগুলি নীল সায়রের কোলে
    	জল-তরঙ্গে ঝঙ্কার তোলে
    পিয়াসি চাতক আজো চেয়ে ফেরে বরষার পরসাদ।।
    কবে ফুটছিল রূপের কুসুম বনানীর লতা-গাছে,
    আজো গৌরী-চাঁপার রঙটুকু তার মরমে লাগিয়া আছে।
    	চ'লে গেছে চাঁদ আলো আবছায়
    	দাগ ফেলে হিয়া-আয়নার গায়
    থেমেছে কানুর বাঁশরি থামেনি যমুনার কলনাদ।।
    ঢাল পিয়ালে লাল সিরাজী নিত্য দোদুল তালে তালে
    আঁকবো বুকে প্রীতির ব্যথা রঙ্গিন নেশায় রঙ্গিন জালে।।
    মত্ত হবো চিত্ত হারা বেদনা ভরা বদমেজাজি
    করলে পাগল ব্যর্থ আশায় করলে প্রেমরে দাগাবাজি।।
    রঙ্গিন বঁধু তুমি শুধু, তুমি শুধু সত্যি হবে
    রঙ্গিন নেশায় রঙ্গিন পথে তুমি শুধু সাথী হবে।।
    শুল্ক তালু কণ্ঠ আমার দে রে আমার রুগ্ন গালে
    দে রে সাকি দে রে ঢেলে নিত্য দোদুল তালে তালে।।
    
  • এত কথা কি গো কহিতে জানে

    বাণী

    এত কথা কি গো কহিতে জানে
    		চঞ্চল ঐ আঁখি
    নীরব ভাষায় কি যে ক'য়ে যায়
    	ও সে মনের বনের পাখি।।
    বুঝিতে পারি না ঐ আঁখির ভাষা
    জলে ডুবে তবু মেটে না পিপাসা,
    আদর সোহাগ প্রেম ভালোবাসা
    	অভিমান মাখামাখি।।
    মুদিত কমলে ভ্রমরেরি প্রায়
    বন্দী হইয়া কাঁদিয়া বেড়ায়
    চাহিয়া চাহিয়া মিনতি জানায়
    	সুনীল আকাশে ডাকি'।।

  • এবার নবীন-মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন

    বাণী

    এবার	নবীন-মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন।
    	নিত্যা হয়ে রইবি ঘরে, হবে না তোর বিসর্জন।।
    	সকল জাতির পুরুষ-নারীর প্রাণ
    	সেই হবে তোর পূজা-বেদী মা তোর পীঠস্থান:
    সেথা	শক্তি দিয়ে ভক্তি দিয়ে পাতবো মা তোর সিংহাসন।।
    সেথা	রইবে নাকো ছোয়াছুয়ি উচ্চ-নীচের ভেদ,
    	সবাই মিলে উচ্চারির মাতৃ-নামের বেদ।
    মোরা	এক জননীর সন্তান সব জানি,
    	ভাঙব দেয়াল, ভুলব হানাহানি
    	দীন-দরিদ্র রইবে না কেউ সমান হবে সর্বজন,
    	বিশ্ব হবে মহাভারত, নিত্য-প্রেমের বৃন্দাবন।।
    
  • এবার যখন উঠ্‌বে সন্ধ্যাতারা সাঁঝ আকাশে

    বাণী

    		এবার যখন উঠ্‌বে সন্ধ্যাতারা — সাঁঝ আকাশে
    		দেখতে পাবে দু’টি নতুন তারা — তাহার পাশে।।
    			চেয়ে’ দেখ ভালো ক’রে
    			কা’র দু’টি চোখ যেন ম’রে,
    		তারা হয়ে ধরার পানে চাহে তোমার আঁখি দেখার আশে।।
    		যে দু’টি চোখ নিত্য লোকের মাঝে তোমায় দিত লাজ
    		পড়বে মনে গো —
    		সেই দু’টি চোখ চিরতরে এই পৃথিবী হতে হারিয়ে গেছে আজ।
    			পায়নি গো, তাই অভিমানে
    			চ’লে গেলে দূর বিমানে,
    (দেখো)	সেদিন যেন আজের মত চাইতে ওদের পানে
    							দ্বিধা নাহি আসে।।
    
  • এলো ঐ পূর্ণ শশী ফুল-জাগানো

    বাণী

    এলো ঐ		পূর্ণ শশী		ফুল-জাগানো
    বহে বায়		বকুল-বনে	ঘুম-ভাঙানো।।
    লাগিল		জাফরানি-রঙ	শিউলি-ফুলে
    ফুটিল		প্রেমের কুঁড়ি	পাপড়ি খুলে,
    খুশির আজ	আমেজ জাগে	মন-রাঙানো।।
    চাঁদিনী		ঝিলমিলায়	ঝিলের জলে,
    আবেশে		শাপলা ফুলের	মৃণাল টলে,
    জাগে ঢেউ	দীঘির বুকে	দোল-লাগানো।।
    এসো আজ	স্বপন-কুমার	নিরিবিলি
    খুলিয়া		গোপন প্রাণের	ঝিলিমিলি,
    এসো মোর	হতাশ প্রাণে	ভুল-ভাঙানো।।
    
  • এসো চির-জনমের সাথি

    বাণী

    এসো চির-জনমের সাথি।
    তোমারে খুঁজেছি দূর আকাশে জ্বালায়ে চাঁদের বাতি।।
    	খুঁজেছি প্রভাতে গোধূলি-লগনে
    	মেঘ হয়ে আমি খুঁজেছি গগনে,
    ঢেকেছে ধরণী আমার কাঁদনে অসীম তিমির রাতি।।
    ফুল হয়ে আছে লতায় জড়ায়ে মোর অশ্রুর স্মৃতি,
    বেণু বনে বাজে বাদল-নিশীথে আমারি করুণ-গীতি।
    	শত জনমের মুকুল ঝরায়ে
    	ধরা দিতে এলে আজি মধু-বায়ে,
    ব’সে আছি আশা-বকুলের ছায়ে বরণের মালা গাঁথি’।।
    
  • এসো বঁধু ফিরে এসো

    বাণী

    এসো বঁধু ফিরে এসো, ভোলো ভোলো অভিমান।
    দিব ও-চরণে ডারি’ মোর তনু মন প্রাণ।।
    	জানি আমি অপরাধী
    	তাই দিবানিশি কাঁদি’,
    নিমেষের অপরাধের কবে হবে অবসান।।
    	ফিরে গেলে দ্বারে আসি’
    	বাসি কিনা ভালোবাসি,
    কাঁদে আজ তব দাসী — তুমি তার হৃদে ধ্যান।।
    	সে-দিন বালিকা-বধূ
    	শরমে মরম-মধু,
    পি’য়াতে পারিনি বঁধু — আজ এসে কর পান।।
    	ফিরিয়া আসিয়া হেথা
    	দিও দুখ দিও ব্যথা,
    সহে না এ নীরবতা — হে দেবতা পাষাণ।।
    
  • এসো বঁধূ ফিরে এসো

    বাণী

    এসো বঁধূ ফিরে এসো, ভোলো ভোলো অভিমান।
    দিব ও-চরণে ডারি’ মোর তনু মন প্রাণ।।
    	জানি আমি অপরাধী
    	তাই দিবানিশি কাঁদি’,
    নিমেষের অপরাধের কবে হবে অবসান।।
    	ফিরে গেলে দ্বারে আসি’
    	বাসি কিনা ভালোবাসি,
    কাঁদে আজ তব দাসী — তুমি তার হৃদে ধ্যান।।
    	সে-দিন বালিকা-বধূ
    	শরমে মরম-মধু
    পি’য়াতে পারিনি বঁধূ — আজ এসে কর পান।।
    	ফিরিয়া আসিয়া হেথা
    	দিও দুখ দিও ব্যথা,
    সহে না এ নীরবতা — হে দেবতা পাষান।।
    
  • এসো শারদ প্রাতের পথিক এসো

    বাণী

    এসো শারদ প্রাতের পথিক এসো শিউলি বিছানো পথে।
    এসো ধুইয়া চরণ শিশিরে এসো অরুণ-কিরণ-রথে।।
    দলি, শাপলা শালুক শতদল এসো রাঙায়ে তোমার পদতল
    নীল লাবনি ঝরায়ে চলচল এসো অরণ্য পর্বতে।।
    এসো ভাদরের ভরা নদীতে ভাসায়েকেতকী পাতার তরণী
    এসো বলাকার রঙ পালক কুড়ায়ে বাহি’ ছায়াপথ-সরণি।
    শ্যাম শস্যে কুসুমে হাসিয়া এসো হিমেল হাওয়ায় ভাসিয়া
    এসো ধরনীরে ভালোবাসিয়া দুর নন্দন-তীর হতে।।
    
  • ঐ কাজল-কালো চোখ

    বাণী

    			ঐ কাজল-কালো চোখ।
    আদি কবির আদি রসের যেন দু’টি শ্লোক।।
    	দু’টি কুসুম আছে ফু’টে
    	পুষ্প-লতার পত্র-পুটে,
    সেই আলোকে রেঙে উঠে — বনের গহন লোক।।
    রূপের সাগর সাঁত্‌রে বেড়ায় পান কৌড়ি পাখি
    			ঐ কাজল-কালো আঁখি,
    মদির আঁখির নীল পেয়ালায় শরাব বিলাও নাকি,
    			ওগো কাজল-কালো আঁখি।
    	তোমার দু’টি আঁখি-তারা
    	তারার মত তন্দ্রাহারা,
    আমার মুখে চেয়ে চেয়ে অশ্রু-সজল হোক।।
    

    ১. হাসিতে

  • ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি

    বাণী

    ও ভাই	খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি
    		আমার দেশের মাটি।।
    			এই দেশেরই মাটি জলে
    			এই দেশেরই ফুলে ফলে
    		তৃষ্ণা মিটাই মিটাই ক্ষুধা পিয়ে এরি দুধের বাটি।।
    			এই মায়েরই প্রসাদ পেতে
    			মন্দিরে এর এঁটো খেতে
    		তীর্থ ক’রে ধন্য হতে আসে কত জাতি।
    ও ভাই	এই দেশেরই ধূলায় পড়ি’
    		মানিক যায় রে গড়াগড়ি
    ও ভাই	বিশ্বে সবার ঘুম ভাঙালো এই দেশেরই জিয়ন-কাঠি।।
    			এই মাটি এই কাদা মেখে
    			এই দেশেরই আচার দেখে
    		সভ্য হ’লো নিখিল ভুবন দিব্য পরিপাটি।
    ও ভাই	সন্ন্যাসিনী সকল দেশে
    		জ্বাল্‌লো আলো ভালোবেসে
    মা		আঁধার রাতে এক্‌লা জাগে আগ্‌লে রে এই শ্মশান-ঘাঁটি।।