দাদ্‌রা

  • শুক বলে মোর গোঁফের রূপে ভোলে গোপনারী

    বাণী

    শুক বলে, ‘মোর গোঁফের রূপে ভোলে গোপনারী’
    সারী বলে, ‘গোঁফের বড়াই আছে বলে দাড়ি
    		(ও) আমার গোঁফ পিয়ারি।।’
    শুক বলে, ‘মোর বাঁকা গোঁফে দেখে ভুবন ভোলে’
    সারী বলে, ‘ঝুলন রাসের দোলনা যে দোলে
    		(ও) আমার দাড়ির আশে।’
    শুক বলে, ‘গোঁফ ওষ্ঠে থাকেন গোষ্ঠে যেন কালা’
    সারী বলে, ‘আমার দাড়ি কুলের কুলবালা
    		(ও) চলেন হেলে দুলে।’
    শুক বলে, ‘বীর শিকারিরা এই গোঁফে দেয় চাড়া’
    সারী বলে, ‘মুনি ঋষির দেখবে দাড়ি ন্যাড়া
    		(ও) কিবা বাহার তোলে।’
    শুক বলে, ‘মোর ত্রিভঙ্গিম ঠোঁট বিহারী গোঁফ’
    সারী বলে, ‘তমাল কানন আমার দাঁড়ির ঝোপ
    		(আ, ও) দখিন হাওয়ায় দোলে।’
    শুক বলে, ‘গোঁফ খুরির দধি চুরি করে খায়’
    সারী বলে, ‘দাড়ি মেদীর রং লেগেছে গায়
    		(ও, আচ্ছাচ্ছা) যেন হোরির আবির।’
    সারী বলে, ‘দাড়ি বড় গোঁফের গরব মিছে’
    শুক বলে, ‘দাড়ি যতই বাড়ুক তবু গোঁফের নীচে
    		(ও) সারী টিকবে বল’।।
    
  • শেষ হ’ল মোর এ জীবনে

    বাণী

    শেষ হ’ল মোর এ জীবনে ফুল ফোটাবার পালা।
    ওগো মরণ, অর্ঘ্য লহ সেই কুসুমের ডালা।।
    	কাটলো কীটে ঝরলো যে-ফুল
    	শুকালো যে আশার মুকুল,
    তাই দিয়ে হে মরণ তোমার গেঁথেছি আজ মালা।।
    সুন্দর এই ধরণীতে কতই ছিল সাধ বাঁচিতে,
    হঠাৎ তোমার বাজলো বেণু বিদায়-করুণ ভৈরবীতে।
    	তোমার আঁধার-শান্ত কোলে
    	শ্রান্ত তনু পড়ুক ঢ’লে,
    আর সহে না কুসুম-বিহীন কন্টকের জ্বালা।।
    
  • শোক দিয়েছ তুমি হে নাথ তুমি এ প্রাণে শান্তি দাও

    বাণী

    শোক দিয়েছ তুমি হে নাথ তুমি এ প্রাণে শান্তি দাও।
    দুখ্ দিয়ে কাঁদালে যদি তুমি হে নাথ সে দুখ ভোলাও।।
    যে হাত দিয়ে হানলে আঘাত
    তুমিঅশ্রু মোছাও সেই হাতে নাথ
    বুকের মানিক হ’রলে যা’র —
    	তারে তোমার শীতল বক্ষে নাও।।
    তোমার যে চরণ প্রলয় ঘটায়
    সেই চরণ কমল ফোটায়
    শূন্য করলে তুমি যে বুক
    	সেথা তুমি এসে বুক জুড়াও।।
    

  • শ্মশান-কালীর নাম শুনে রে

    বাণী

    শ্মশান-কালীর নাম শুনে রে ভয় কে পায়।
    মা যে আমার শবের মাঝে শিব জাগায়।।
    আনন্দেরই নন্দিনী সে শান্তি সুধা কণ্ঠ বিষে
    মায়ের চরণ শোভে অরুণ আলোর লাল জবায়।।
    চার হাতে মা'র চার যুগেরই খঞ্জনী,
    নৃত্য-তালে নিত্য ওঠে রনঝণি'।
    মা পায় না ধ্যানে যোগীন্দ্র সেই যোগমায়ায়।। 
    
  • শ্যামা নামের লাগলো আগুন

    বাণী

    শ্যামা নামের লাগলো আগুন আমার দেহ ধূপ–কাঠিতে।
    যত জ্বলি সুবাস তত ছড়িয়ে পড়ে চারিভিতে।।
    		ভক্তি আমার ধূমের মত
    		উর্দ্ধে ওঠে অবিরত,
    শিব–লোকের দেব–দেউলে মা’র শ্রীচরণ পরশিতে।।
    ওগো অন্তর–লোক শুদ্ধ হল পবিত্র সেই ধূপ–সুবাসে,
    মা’র হাসিমুখ চিত্তে ভাসে চন্দ্রসম নীল আকাশে।
    		যা কিছু মোর পুড়ে কবে
    		চিরতরে ভস্ম হবে
    মা’র ললাটে আঁকব তিলক সেই ভস্ম–বিভূতিতে।।
    
  • শ্যামা বড় লাজুক মেয়ে

    বাণী

    	শ্যামা বড় লাজুক মেয়ে কেবলই সে লুকাতে চায়।
    	আলো-আঁধার পর্দা টেনে বালিকা সে পালিয়ে বেড়ায়।।
    		নিখিল ভুবন আছে তারে ঘিরে
    		আমার মেয়ে তবু বসন খুঁজে ফিরে,
    	তারে যে দেখে সে এক নিমেষে তারি মাঝে লয় হয়ে যায়।।
    	তাই কেবলি সে লুকাতে চায়।।
    	কোটি শিব ব্রহ্মা হরি অনন্তকাল গভীর ধ্যানে,
    তার	সে লুকোচুরি খেলায় পায় না দিশা পায় না মনে।
    		রবি শশী গ্রহতারার ফাঁকে
    		যে দেখেছে পালিয়ে যেতে মাকে,
    (সে)	আপনাকে আর পায় না খুঁজে মায়াবিনীর মহামায়ায়।।
    
  • সখি আমি-ই না হয় মান করেছিনু

    বাণী

    সখি		আমি-ই না হয় মান করেছিনু তোরা তো সকলে ছিলি। 
    		ফিরে গেল হরি, তোরা পায়ে ধরি, কেন নাহি ফিরাইলি।। 
    		তা'রে ফিরায় যে পায়ে ধরি' (তার) পায়ে পায়ে ফেরেন হরি 
    		পরিহরি মান, অভিমান (তা'রে) কেন নাহি ফিরাইলি। 
    		তোরা তো হরির স্বভাব জানিস। 
    তা'র		স্ব-ভাবের চেয়ে পরভাব বেশি তোরা তো হরির স্বভাব জানিস্। 
    		তা'র স্বভাব জেনেও রহিলি স্ব-ভাবে ডাকিলি না পরবোধে। 
    তা'রে		প্রবোধ কেন দিলি নে সই, তোরা তো চিনিস্ হরিরে 
    		প্রবোধ কেন দিলি নে সই।   
    		(কেন) ডাকিলি না পরবোধে। 
    		(হরি) প্রহরী হইয়া রহিত রাধার ঈষৎ অনুরোধে 
    		(তা'রে) অনুরোধ কেন করলি নে সই 
    		তোরা যে আমার অন্তরাধা অনুরোধ কেন করলি নে সই। 
    		তোরা যে রাধার অনুবর্তিনী 
    		অনুরোধ কেন করলি নে সই (কেন) ডাকিলি না পরবোধে।। 
    
  • সখি কেন এত সাজিলাম যতন করি

    বাণী

    সখি কেন এত সাজিলাম যতন করি
    জাগিয়া পোহাল হায় বিভাবরী।।
    	চাহিতে মুকুর পানে
    	সজ্জা লজ্জা হানে।
    অভিমানে লুটাইয়া কাঁদে কবরী।।
    সখি লুকায়ে হাসিবে সবে দেখিয়া মোরে
    বল এ মুখ দেখাব আমি কেমন করে?
    	সখি ঐ দেখ লোক জাগে
    	কেহ জাগিবার আগে
    নিয়ে চল যমুনাতে ডুবিয়া মরি।।
    
  • সখি বলো বঁধুয়ারে নিরজনে

    বাণী

    (সখি) ব’লো বঁধুয়ারে নিরজনে
    দেখা হ’লে রাতে ফুল–বনে।।
    কে করে ফুল চুরি জেনেছে ফুলমালী
    কে দেয় গহীন রাতে ফুলের কুলে কালি
    জেনেছে ফুলমালী গোপনে।।
    ও–পথে চোর–কাঁটা, সখি, তায় বলে দিও
    বেঁধে না বেঁধে না লো যেন তার উত্তরীয়।
    এ বনফুল লাগি’ না আসে কাঁটা’ দলি’
    আপনি যাব চলি’ বঁধুয়ার কুঞ্জ–গলি
    বিনা মূল্যে বিকাইব ও–চরণে।।
    
  • সখি সে হরি কেমন বল্‌

    বাণী

    সখি, সে হরি কেমন বল্‌। 
    নাম শুনে যা’র এত প্রেম জাগে চোখে আনে এত জল।।
    সখি	সে কি আসে এই পৃথিবীতে
    	গাহি’ রাধা নাম বাঁশরিতে?
    যা’র অনুরাগে বিরহ-যমুনা হয়ে ওঠে চঞ্চল।।
    তা’রে কি নামে ডাকিলে আসে
    কোন্‌ রূপ কোন্‌ গুন পাইলে, সে রাধা সম ভালোবাসে?
    	সখি শুনেছি সে নাকি কালো
    	জ্বালে কেমনে সে এত আলো,
    মায়া ভুলাইতে মায়াবী সে নাকি করে গো মায়ার ছল।।
    
  • সঙ্ঘ শরণ তীর্থযাত্রা পথে এসো

    বাণী

    সঙ্ঘ শরণ তীর্থযাত্রা-পথে এসো মোরা যাই।
    সঙ্ঘ বাঁধিয়া চলিলে অভয় সে পথে মৃত্যু নাই।।
    সঙ্ঘবদ্ধ হইলে তাদের সাথে,
    ঐশী শক্তি সহায় হইয়া চলে হাত রেখে হাতে
    সঙ্ঘবদ্ধ হইলে সারথি ভগবানে মোরা পাই।।
    সঙ্ঘ শক্তি আসিলে সর্ব ক্লৈব্য হইবে লীন,
    চল্লিশ কোটি মানুষ এই ভারতে
    ভিন্ন হইয়া ডাকি ঠাঁই ঠাঁই, তাই মোরা পরাধীন।
    মোরা সঙ্ঘবদ্ধ হই যদি একবার
    জাতি ও ধর্ম ভেদ রবে নাকো আর
    পাব সাম্য, শান্তি, অন্ন, বস্ত্র পুনঃ সবাই।।
    
  • সজল-কাজল-শ্যামল এসো তমাল-কানন-ঘেরি

    বাণী

    সজল-কাজল-শ্যামল এসো তমাল-কানন-ঘেরি,
    কদম-তমাল-কানন ঘেরি।
    মনের ময়ূর কলাপ মেলিয়া নাচুক তোমারে হেরি’।।
    ফোটাও নীরস চিত্তে সরস মেঘমায়া,
    আনো তৃষিত নয়নে মেঘল ছায়া,
    বাজাও কিশোর বাঁশের বাঁশরি ব্যাকুল বিরহেরই।।
    দাও পদরজঃ হে ব্রজবিহারী, মনের ব্রজধামে —
    রুমু-ঝুমু ঝুমু বাজুক নূপুর চরণ ঘেরি,
    কদম-তমাল-কানন ঘেরি।।
    

  • সদা মন চাহে মদিনা যাবো

    বাণী

    সদা মন চাহে মদিনা যাবো,
    আমার রসূলে আরবী, না হেরে নয়নে,
    			কি সুখে গৃহে র’বো।।
    মদিনার বুকে রয়েছে ঘুমায়ে আমার বুকের নিধি
    তায় বুকে তার মিলাইব বুক পায়ে লুটাইব নিরবধি
    ধূলিকণা হবো, আমি ধূলিকণা হবো
    (ওগো) নবী পদরেখা যেই পথে আঁকা 
    			সেই পথে বিছাইবো।
    আবিল হতে দেবো না, মধুর স্বপন তপ্ত বরণ
    আবিল হতে দেবো না।
    সদা আকুল পিয়াসা জাগে
    পদমুখো হ'য়ে কদম রসূল
    চুম্‌ দিবো অনুরাগে।
    ধূলি হ’বো, আমি সেই পথের ওই ধূলি হ’বো
    নবী যে পথ দিয়ে চলেছিলেন
    সেই পথের ওই ধূলি হবো
    শুধু পায়ের চিহ্ন পরশ পাবো
    			সেই পথের ওই ধূলি হ’বো।।
    প্রিয় নবীর রাঙা পা দু'খানি
    চুমিব সদা দিবস-যামী,
    আমার জীবনে লেগেছে নয়নের স্বাদ
    জুড়াতে আমার দেখিবো
    পোড়া নয়নের মোর আছে বড় খেদ
    মিটেনি আমার তৃষা গো
    হেথা নয়নের তৃষা অধরে মিটাতে
    			এবার আমি ধূলি হ’বো।।
    

    লেটোদলের গান
    কীর্তনের সুরে নাত-এ রসুল

  • সন্ধ্যা ঘনালো আমার বিজন ঘরে

    বাণী

    সন্ধ্যা ঘনালো আমার বিজন ঘরে তব গৃহে জ্বলে বাতি।
    হাসিয়া ফুরায় তব উৎসব-নিশি (প্রিয়) পোহায় না মোর রাতি ॥
    	আমার আয়ুর ঝরা ফুলগুলি ল’য়ে
    	দোলে তব গলে মিলনের মালা হ’য়ে,
    তোমার ভবনে আলোর দীপালি জ্বলে আঁধার আমার সাথি ॥
    মোর মালঞ্চে ঘুমায়ে পড়েছে কুহু, নীরব হয়েছে গান -,
    তোমার কুঞ্জে গানের পাখিরা বুঝি তুলিয়াছে কলতান।
    	পৃথিবীর আলো মোর চোখে নিভে আসে,
    	বাজিছে বাঁশরি তোমার মিলন-রাসে;
    ওপারের বাঁশি আমারে ডাকিবে কবে আছি তাই কান পাতি’ ॥
    
  • সন্ধ্যা নেমেছে আমার বিজন ঘরে

    বাণী

    সন্ধ্যা নেমেছে আমার বিজন ঘরে, তব গৃহে জ্বলে বাতি।
    ফুরায় তোমারি উৎসব নিশি সুখে, পোহায় না মোর রাতি।।
    	আমার আশার ঝরা ফুলদল দিয়া,
    	তোমার বাসর শয্যা রচিছ প্রিয়া
    তোমার ভবনে আলোর দীপালি জ্বলে, আঁধার আমার সাথী।
    					পোহায় না মোর রাতি।।
    ঘুমায়ে পড়েছে আমার কাননে কুহু, নীরব হয়েছে গান;
    তোমার কুঞ্জে গানের পাখিরা তুলিয়াছে কলতান।
    	পৃথিবীর আলো মোর চোখে নিভে আসে,
    	বাজিছে বাঁশরি তোমার মিলন-রাসে;
    ওপারের বাঁশি আমায় ডাকিবে কবে, আছি তাই কান পাতি।
    					পোহায় না মোর রাতি।।
    
  • সন্ধ্যা হল ওগো রাখাল এবার ডাক মোরে

    বাণী

    সন্ধ্যা হল ওগো রাখাল এবার ডাক মোরে
    বেণুর রবে ধেনুগণে ডাক যেমন করে।।
    	সংসারেরি গহন বনে
    	ঘুরে ফিরি শূন্য মনে
    ডাকবে কখন বাঁশির সনে আমায় আপন ঘরে।।
    ভেঙেছে মোর প্রাণের মেলা ভাঙলো মায়ার খেলা
    মোরে ডাক এবার তোমার পায়ে, আর করো না হেলা।
    	মোর জীবনের কিশোর রাখাল,
    	বাঁশি শুনে কাটলো সকাল
    তন্দ্রা আন ক্লান্ত চোখে, তোমার সুরের ঘোরে।।
    
  • সবুজ শোভার ঢেউ খেলে যায়

    বাণী

    সবুজ শোভার ঢেউ খেলে যায়
    নবীন আমন ধানের ক্ষেতে।।
    হেমন্তের ঐ শিশির-নাওয়া হিমেল হাওয়া
    	সেই নাচনে উঠলো মেতে।।
    টইটুম্বুর ঝিলের জলে
    কাঁচা রোদের মানিক ঝলে
    চন্দ্র ঘুমায় গগন-তলে সাদা মেঘের আঁচল পেতে।।
    নটকানো রঙ শাড়ি প’রে কে বালিকা
    ভোর না হতে যায় কুড়াতে শেফালিকা।
    	আনমনা মন উড়ে বেড়ায়
    	অলস প্রজাপতির পাখায়
    মৌমাছিদের সাথে সে চায় কমল-বনের তীর্থে যেতে।।
    
  • সংসারেরি দোলনাতে মা ঘুম পাড়িয়ে

    বাণী

    সংসারেরি দোলনাতে মা ঘুম পাড়িয়ে কোথায় গেলি?
    আমি অসহায় শিশুর মত ডাকি মা দুই বাহু মেলি’।।
    	অন্য শক্তি নাই মা তারা
    	‘মা’ বুলি আর কান্না ছাড়া,
    তোরে না দেখলে কেঁদে উঠি, আবার কোল পেলে মা হাসি খেলি।।
    (ও মা) ছেলেকে তোর তাড়ন করে মায়ারূপী সৎমা এসে।
    আবার ছয় রিপুতে দেখায় মা ভয় পাপ এলো পুতনার বেশে।১
    	মরি ক্ষুধা তৃষ্ণাতে মা
    	শ্যামা আমার কোলে নে মা।
    আমি ক্ষণে চমকে উঠি ভাবি দয়াময়ী মা কি এলি।।
    

    ১. পাপবর্গী এলো দেশে।

  • সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে

    বাণী

    সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে
    গোলাপ ফুলের টুকটুকে রঙ চোখে লাগে ফিকে।।
    	নাই বৃষ্টি বাদল ওলো,
    	দৃষ্টি কেন ঝাপসা হলো?
    অশ্রু জলের ঝালর দোলে চোখের পাতার চিকে।।
    পলাশ-কলির লাল আঁখরে বনের দিকে দিকে
    গোপন আমার ব্যথার কথা কে গেল সই লিখে।
    	মনে আমার পাইনে লো খেই;
    	কে যেন নেই, কি যেন নেই।
    কে বনবাস দিল আমার মনের বাসন্তীকে।।
    

  • সাঁঝের আঁচলে রহিল হে প্রিয় ঢাকা

    বাণী

    সাঁঝের আঁচলে রহিল হে প্রিয় ঢাকা।
    ফুলগুলি মোর বেদনার রং মাখা।।
    		আসিবে যখন ফিরে
    		আবার এ মন্দিরে,
    চরণে দলিও আলপনা মোর অশ্রুর জলে আঁকা।।
    বিরহ-মলিন বন-তুলসীর শুকানো মালিকাখানি,
    ফেলিবার আগে ধন্য করিও একটু পরশ দানি’।
    		যেতে এই পথ ’পরে
    		যদি মোরে মনে পড়ে,
    যমুনার জলে ভাসাইয়া দিও একটি মাধবী শাখা।।