দাদ্‌রা

  • মা মেয়েতে খেল্‌ব পুতুল আয় মা

    বাণী

    মা মেয়েতে খেল্‌ব পুতুল আয় মা আমার খেলাঘরে।
    আমি মা হয়ে মা শিখিয়ে দেব পুতুল খেলে কেমন করে।।
    কাঙাল অবোধ করবি যারে বুকের কাছে রাখিস্ তারে (মা)
    [নইলে কে তার দুখ ভোলাবে
    যারে রত্ন মানিক দিবি না মা, উচিত সে তার মাকে পাবে]
    আবার কেউ বা ভীষণ দামাল হবে কেউ থাকবে গৃহ কোণে প’ড়ে।।
    মৃত্যু সেথায় থাকবে না মা থাকবে লুকোচুরি খেলা
    রাত্রি বেলায় কাঁদিয়ে যাবে আসবে ফিরে সকাল বেলা।
    কাঁদিয়ে খোকায়, ভয় দেখিয়ে, ভয় ভোলাবি আদর দিয়ে (মা)
    [বেশি তারে কাঁদাস না মা, মা ছেড়ে সে পালিয়ে যাবে]
    সে খেলে যখন শ্রান্ত হবে ঘুম পাড়াবি বক্ষে ধ’রে।।
    
  • মাকে আমার এলাম ছেড়ে মা অভয়া

    বাণী

    মাকে আমার এলাম ছেড়ে মা অভয়া, মাকে দেখো।
    মোর তরে মা কাঁদে যদি তুমি তাকে ভুলিয়ে রেখো।।
    	মায়ের যে বুক শূন্য ক’রে 
    	এলাম আমি দেশান্তরে
    শূন্য করে সেই খালি বুক মহামায়া তুমি থেকো।।
    

    নাটিকাঃ ‘শ্রীমন্ত’

  • মাগো তোরি পায়ের নূপুর বাজে

    বাণী

    মাগো তোরি পায়ের নূপুর বাজে
    এই বিশ্বের সকল ধ্বনির মাঝে।।
    জীবের ভাষায় পাখির মধুর গানে,
    সাগর রোলে নদীর কলতানে
    সমীরণের মরমরে শুনি সকাল সাঁঝে।।
    আমার প্রতি নিঃশ্বাসে মা রক্তধরার মাঝে
    প্রাণের অনুরণনে তোর চরণধ্বনি বাজে।
    গভীর প্রণব ওঙ্কারে তোর কালি (মা গো মহাকালী)
    সেই নৃত্যলীলার স্তবগাথা গান চরণতলে নটরাজে।।
    
  • মাতৃ নামের হোমের শিখা

    বাণী

    মাতৃ নামের হোমের শিখা আমার বুকে কে জ্বালালো
    সেই শিখা আজ হরবে যেন মা ত্রিজগতের আঁধার কালো।।
    	আজ মনে হয় দিবস যামী
    	অমৃতেরই পুত্র আমি মা
    আনন্দময় হল ত্রিলোক যেদিকে চাই কেবল আলো।।
    সূর্য যেমন জানে না, তার আলোয় কত জগৎ জাগে,
    বিকার-বিহীন তেমনি আমি, জ্বলি নামের অনুরাগে।
    	হয়তো আমার আলো লেগে
    	নতুন সৃষ্টি উঠবে জেগে,
    তাই কি বিপুল আকর্ষণে সবারে চাই বাস্‌তে ভালো।।
    
  • মায়ের চেয়েও শান্তিময়ী মিষ্টি বেশি মেয়ের চেয়ে

    বাণী

    	মায়ের চেয়েও শান্তিময়ী মিষ্টি বেশি মেয়ের চেয়ে
    	চঞ্চলা এই লীলাময়ী মুক্তকেশী কালো মেয়ে।।
    সে	মিষ্টি যত দুষ্টু তত এই কালো মেয়ে
    	গিরিঝর্ণা সম এলো ধেয়ে এই পাবর্তী মেয়ে
    	করুণা অমৃত ধারায় ভুবন ছেয়ে এলো এই কালো মেয়ে।।
    	মাকে চোখে চোখে রাখি
    	যদি কভু দেয় সে ফাঁকি
    	আমি ভয়ে ভয়ে থাকি গো
    	এই মায়াময়ী মেয়ে নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকি গো।
    আমি	বহু সাধ্য-সাধনাতে পেয়েছি এই মা-কে রে
    	কোটি জনম তপস্যাতে পেয়েছি এই মা-কে রে
    	কোথায় রাখি, আমি কাঙালিনী
    	কোথায় রাখি স্বর্গের এই রত্ন পেয়ে
    আমি	কোথায় রাখি স্বর্গের এই রত্ন পেয়ে।।
    

  • মালঞ্চে আজ কাহার যাওয়া আসা

    বাণী

    মালঞ্চে আজ কাহার যাওয়া আসা।
    ঝরা পাতায় বাজে
    মৃদুল তাহার পায়ের ভাষা।।
    আসার কথা জানায়
    ঐ যে ফুলের আখর সবুজ পাতায়,
    ঐ দোয়েল শ্যামার কূজন কয় যে বাণী
    ঐ ঐ তার ভালোবাসা।।
    মদির সমীরণে
    তনুর সুবাস পাই যে ক্ষণে ক্ষণে,
    সবুজ বসন ফেলি’
    পরল ঐ বন কুস্‌মী রাঙা চেলি।
    তাই বসুন্ধরায় জাগে অরুণ আশা —
    ঐ ঐ যে আলোকের পিপাসা।।
    
  • মালা গাঁথা শেষ না হ’তে

    বাণী

    		মালা গাঁথা শেষ না হ’তে তুমি এলে ঘরে।
    		শূন্য হাতে তোমায় বরণ করব কেমন ক’রে।।
    			লজ্জা পাবার অবসর মোর
    			দিলে না হে চঞ্চল, চোর
    		সজ্জা-বিহীন মলিন তনু দেখলে নয়ন ভ’রে।।
    		বিফল মালার ফুলগুলি হায় কোথায় এখন রাখি,
    		ক্ষণিক দাঁড়াও, ঐ কুসুমে (তোমার) চরণ দু’টি ঢাকি।
    			আকুল কেশে পা মুছিয়ে
    			করব বাতাস আঁচল দিয়ে,
    (মোর) 	নয়ন হবে আরতি-দীপ তোমার পূজার তরে।।
    
  • মালা যদি মোর ধূলায় মলিন হয়

    বাণী

    মালা যদি মোর ধূলায় মলিন হয়
    ব'সে আছি তাই অঞ্চলে নিয়ে কুসুমেরি সঞ্চয়।।
    	ফুলহার যদি কর অবহেলা
    	তাই ভাবি আর ব'য়ে যায় বেলা
    হৃদয়ে থাকুক লুকানো আমার হৃদয়ের পরিচয়।।
    বিফল যদি গো হয় পূজা নিবেদন
    মন্দির-দ্বারে দাঁড়াইয়া তাই পাষাণেরই নারায়ণ।।
    	কেন কাছে আসি, এসে ফিরে যাই
    	যদি ফেল জেনে ভয় মানি তাই
    সকলি সহিব, সহিতে নারিব হৃদয়ের পরাজয়।।
    

  • মিলন-গোধূলি রাঙা হয়ে এলো

    বাণী

    মিলন-গোধূলি রাঙা হয়ে এলো ঐ সোনার গগনময়।
    দাও আশিস অভয়, হে দেব জ্যোতির্ময়।।
    	মিলিল আবার দুইটি প্রাণ
    	কত যুগ পরে, হে ভগবান
    সার্থক কর, হে মনোহর, এ মিলন অক্ষয়
    যেন চির-সুখী হয়, হে দেব জ্যেতির্ময়।।
    

    নাটিকাঃ ‌‘পুতুলের বিয়ে’

  • মুক্তি আমায় দিলে হে নাথ মোর যে প্রিয়

    বাণী

    মুক্তি আমায় দিলে হে নাথ মোর যে প্রিয় তারে নিয়ে।
    আমি কিছু রাখতে নারি দেখ্‌লে বারে বারে দিয়ে॥
    	যত্ন আদর পায়নি হেথা
    	স’য়ে গেল শত ব্যথা।
    তোমার দান সইলো না মোর গেল বুঝি তাই হারিয়ে॥
    তোমার প্রিয় এসেছিল অতীত হয়ে আমার দ্বারে,
    ফিরে গেল অভিমানে বুঝি আমার অনাদরে।
    	যে ছিল নাথ মোর প্রাণাধিক
    	সে যে তোমার বুকের মানিক
    (প্রভু) এবার সে আর হারাবে না বাঁচ্‌ল তোমার কাছে গিয়ে॥
    
  • মুখে কেন নাহি বলো আঁখিতে যে কথা কহো

    বাণী

    মুখে কেন নাহি বলো আঁখিতে যে কথা কহো
    অন্তরে যদি চাহো মোরে তবে কেন দূরে দূরে রহো।।
         প্রেম -দীপ শিখা অন্তরে যদি জ্বলে
         কেন চাহো তারে লুকাইতে অঞ্চলে
    পূজিবে না যদি সুন্দরে রূপ -অঞ্জলি কেন বহো।।
    ফুটিলে কুসুম -কলি রহে না পাতার তলে,
    কুণ্ঠা ভুলিয়া দখিনা-বায়ের কানে কানে কথা বলে।
         যে অমৃত-ধারা উথলে হৃদয় মাঝে
         রুধিয়া তাহারে রেখো না হৃদয় লাজে
    প্রাণ কাঁদে যার লাগি, তারে কেন বিরহ দহনে দহো।।
    

  • মৃত্যু-আহত দয়িতের তব শোনো

    বাণী

    মৃত্যু-আহত দয়িতের তব শোনো করুণ মিনতি।
    অমৃতময়ী মৃত্যুঞ্জয়ী হে সাবিত্রী সতী।।
    	ঘন অরণ্যে বাজে মোর স্বর
    	মোরি রোদনে উঠিয়াছে ঝড়,
    সাঁঝের চিতায় ঐ নিভে যায়, মম নয়নের জ্যোতি
    			হে সাবিত্রী সতী!
    যুগে যুগে তুমি বাঁচায়েছ মোরে মৃত্যুর হাত হতে
    			দেবী সাবিত্রী সতী!
    মোরি হাত ধ’রে রাজপুরী ছেড়ে চলেছ বনের পথে
    			বিধবা অশ্রুমতী!
    	জীবনের তৃষা মেটেনি আমার
    	তুমি এসে মোরে বাঁচাও আবার,
    মৃত্যু তোমারে করিবে প্রণাম, ধরার অরুন্ধতি
    			হে সাবিত্রী সতী!
    
  • মেঘলা-মতীর ধারা জলে কর স্নান

    বাণী

    মেঘলা-মতীর ধারা জলে কর স্নান (হে ধরণী)
    স্নিগ্ধ শীতল মেঘ-চন্দনে জুড়াও তাপিত প্রাণ (হে ধরণী)।।
    	তব বৈশাখী ব্রত শেষে
    	শ্যাম সুন্দর বেশে
    নব দেবতা এলো হেসে লহ আশিস বারি দান (হে তাপসী)।।
    	তব ভূষণ-হীন উপবাস ক্ষীণ কায়
    	হোক নবতর শ্যাম সমারোহে, পুষ্পিত সুষমায়।
    	তীর্থ-সলিলে কৃষ্ণা
    	দূর কর গো তৃষ্ণা
    শ্যাম দরশ পরশ ব্যাকুলা হরষে গাহ গান (হে তপতী)।।
    
  • মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা

    বাণী

    	মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা।
    কে	দুলিবি এ-দোলায় আয় আয় ওরে কাজ-ভোলা॥
    		মেঘ-নটীর নূপুর
    		ঐ বাজে ঝুমুর ঝুমুর,
    	শীর্ণা-তনু ঝর্না তরঙ্গ-উতরোলা॥
    	ফুল-পসারিণী ঐ দুলিছে বনানী
    	বিনিমূলে বিলায় সে সুরভি, ফুল ছানি।
    আজ	ঘরে ঘরে ফুল-দোল্ সব বন্ধ দুয়ার খোলা॥
    		জলদ-মৃদঙ বাজে
    		গভীর ঘন আওয়াজে,
    	বাদলা-নিশীথ দুলে ঐ তিমির-কুন্তলা॥
    
  • মোর ঘনশ্যাম এলে কি আজ

    বাণী

    মোর ঘনশ্যাম এলে কি আজ কালো মেঘের বেশে।
    দূর মথুরার নীল-যমুনা পার হ’য়ে মোর দেশে।।
    		এলে কালো মেঘের বেশে।।
    	বৃষ্টি ধারায় টাপুর টুপুর
    	বাজে তোমার সোনার নূপুর,
    বিজলিতে চপল আঁখির চমক বেড়ায় হেসে।।
    তোমার তনুর সুগন্ধ পাই, যুঁই কেতকীর ফুলে
    ওগো রাজাধিরাজ! ব্রজে আবার এলে কি পথ ভুলে।
    	মেঘ-গরজনের ছলে
    	ডাকো ‘রাধা রাধা’ বলে
    বাদল হাওয়ায় তোমার বাঁশির বেদন আসে ভেসে।।
    
  • মোর ঘুমঘোরে এলে মনোহর

    বাণী

    মোর		ঘুমঘোরে এলে মনোহর নমো নম, নমো নম, নমো নম।
    		শ্রাবণ-মেঘে নাচে নটবর রমঝম, রমঝম, ঝমরম
    			(ঝমঝম, রমঝম, রমঝম)।।
    শিয়রে		বসি চুপি চুপি চুমিলে নয়ন
    মোর		বিকশিল আবেশে তনু নীপ-সম, নিরুপম, মনোরম।।
    মোর		ফুলবনে ছিল যত ফুল
    			ভরি ডালি দিনু ঢালি’ দেবতা মোর
    হায়		নিলে না সে ফুল, ছি ছি বেভুল,
    			নিলে তুলি’ খোঁপা খুলি’ কুসুম-ডোর।
    স্বপনে		কী যে কয়েছি তাই গিয়াছ চলি’
    জাগিয়া	কেঁদে ডাকি দেবতায় প্রিয়তম, প্রিয়তম, প্রিয়তম।।
    
  • মোর না মিটিতে আশা ভাঙিল খেলা

    বাণী

    মোর না মিটিতে আশা ভাঙিল খেলা,
    জীবন প্রভাতে এ লো বিদায় বেলা।।
    আঁচলের ফুলগুলি করুণ নয়ানে
    নিরাশায় চেয়ে আছে মোর মুখপানে,
    বাজিয়াছে বুকে যেন, কার অবহেলা।।
    আঁধারের এলোকেশ দু’ হাতে জড়ায়ে
    যেতে যেতে নিশীথিনী কাঁদে বনছায়ে।
    		বুঝি দুখ-নিশি মোর
    		হবে না হবে না ভোর,
    ভিড়িবে না কূলে মোর বিরহের ভেলা।।
    

  • মোর প্রিয়া হবে এসো রানী

    বাণী

    মোর প্রিয়া 	হবে এসো রানী দেব খোঁপায় তারার ফুল
    	কর্ণে দোলাব তৃতীয়া তিথির চৈতী চাঁদের দুল।।
    		কণ্ঠে তোমার পরাবো বালিকা
    		হংস –সারির দুলানো মালিকা
    	বিজলী জরীণ ফিতায় বাঁধিব মেঘ রঙ এলো চুল।।
    	জোছনার সাথে চন্দন দিয়ে মাখাব তোমার গায়
    	রামধনু হতে লাল রঙ ছানি’ আলতা পরাবো পায়।
    		আমার গানের সাত সুর দিয়া
    		তোমার বাসর রচিব প্রিয়া।
    	তোমারে ঘিরিয়া গাহিবে আমার কবিতার বুলবুল।।
    
  • মোর শ্যাম সুন্দর এসো

    বাণী

    মোর শ্যাম সুন্দর এসো।
    প্রেমের বৃন্দাবনে এসো হে ব্রজধাম-সুন্দর এসো।।
    এসো হৃদয়ে হৃদয়েশ মোর নয়নের আগে এসো হে।
    মোর নব-অনুরাগে এসো শ্যাম কোটি-কাম-সুন্দর এসো।।
    রস মানস গঙ্গার কূলে রসরাজ এসো এসো হে।
    এসো মুরলী বাজায়ে এসো হে, এসো ময়ূর নাচায়ে এসো হে মধাব,
    মধু-বনমাঝে, এসো এসো হে।।
    মোর মুখের ভাষায় এসো, মোর প্রাণের আশায় এসো।
    নবীন নীরদ ঘনশ্যাম রূপে রূপ-পিপাসায় এসো
    এসো মদন-মোহন শোভন অভিরাম-সুন্দর এসো।।
    
  • মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম

    বাণী

    মোরা		ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম, মোরা ঝর্ণার মত চঞ্চল।
    মোরা		বিধাতার মত নির্ভয়, মোরা প্রকৃতির মত সচ্ছল।।
    			আকাশের মত বাঁধাহীন,
    মোরা			মরু সঞ্চার বেদুঈন,
    (মোরা)		বন্ধনহীন জন্ম–স্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল।।
    মোরা		সিন্ধু–জোয়ার কল–কল
    মোরা		পাগলা–ঝোরার ঝরা জল
    			কল–কল–কল্ ছল–ছল–ছল্ কল–কল–কল্ ছল–ছল–ছল্
    মোরা		দিল–খোলা খোলা প্রান্তর,
    মোরা		শক্তি অটল মহীধর
    			হাসি গান শ্যাম উচ্ছল
    মোরা		বৃষ্টির জল বনফল খাই, শয্যা শ্যামল বন–তল।।