দাদ্‌রা

  • কিছু নাহি যার তোমারে দিবার

    বাণী

    কিছু নাহি যার তোমারে দিবার কি তার ভিক্ষা লবে!
    তুমি কেঁদে গেলে আমারে শুধুই নীরবে কাঁদিতে হবে।।
    	হেথা একদিন কিশোর বেলায়
    	বেঁধেছিনু ঘর পুতুল-খেলায়,
    সে সাথি আমার ফিরিবে না আর নব বসন্ত-উৎসবে।।
    একদা হেথায় ফুটেছিল হেনা,
    সে-ফুল আবার ফুটিবে হেথায় সে তো আর আসিবে না
    	ওগো ভিখারি কি দিব তোমায়
    	শূন্য দেউলে কুসুম শুকায়,
    ক্ষমিও আমার শত অপরাধ, ভিখারিনী আমি ভবে।।
    
  • কী হবে জানিয়া কে তুমি বঁধু

    বাণী

    কী হবে জানিয়া কে তুমি বঁধু, কি তব পরিচয়?
    আমি জানি তুমি মোর প্রিয়তম, সুন্দর প্রেমময়।।
    	জগৎ তোমার পায়ে প’ড়ে আছে
    	তুমি এসে কাঁদ’ এ দাসীর কাছে,
    	হে বিজয়ী! আমার বিজয়ী!
    আমি শুধু জানি, তুমি হার মানি’ আমারে করেছ জয়।।
    কত যে বিপুল মহিমা তোমার জানতে দিয়ো না প্রিয়,
    জনমে জনমে প্রিয়া ব’লে মোরে বক্ষে টানিয়া নিয়ো।
    	প্রভাত-সূর্য ভাবি নারায়ণ
    	বিশ্ব-প্রণাম করে গো যখন,
    একমুঠো কমলিনী হেসে বলে, ‘আমি চিনি
    ও-যে মোর প্রিয়, ও-তোর নারায়ণ নয়’।।
    

    গীতি-চিত্র : ‘সে কি তুমি’

  • কুল্ মখলুক গাহে হজরত

    বাণী

    কুল্ মখলুক গাহে হজরত বালাগাল উলা বেকামালিহি।
    আঁধার ধরায় এলে আফতাব কাশাফাদ্দুজা বেজামালিহি।।
    	রৌশনীতে আজো ধরা মশ্‌গুল
    	তাই তো ওফাতে করি না কবুল,
    হাসনাতে আজো উজালা জাহান সাল্লু আলায়হি ওয়া আলিহি।।
    	নাস্তিরে করি’ নিতি নাজেহাল্
    	জাগে তৌহীদ দ্বীন্-ই-কামাল,
    খুশ্‌বুতে খুশি দুনিয়া বেহেশ্‌ত সাল্লু আলায়হি ওয়া আলিহি।।
    
  • কে এলো ওরে কে এলো

    বাণী

    কে এলো ওরে কে এলো শুকানো মানস-মাধবী-কুঞ্জে।
    জানাইতে মোরে কার আগমনী চরণে নূপুর-মুঞ্জে।।
    	তারি সাথে জাগে নব কিশলয়
    	ধীরি ধীরি ধীরি বহিল মলয়,
    ফোটা ফুলে ফুলে সুখে দুলে দুলে অলিকুল মধুগুঞ্জে।।
    	গেছে কত যুগ-যুগান্ত,
    	এলো ফিরে ফিরে হৃদয়প্রান্ত।
    	পিক সুকণ্ঠে গায় আবাহন
    	বন-শোভা-গণ করিছে বরণ,
    মিলনের তরে খুঁজিছে পিয়ারে ফুটিল কুসুম কুঞ্জে কুঞ্জে।।
    
  • কে এলো ডাকে চোখ গেল

    বাণী

    কে এলো।
    ডাকে চোখ গেল।।
    ওলো ও-ডাকে কি ও
    ঘুমের সতিনী ও,
    ও যে চোখের বালি
    ঘুম ভাঙায় খালি।।
    সখি আঁখি মেল —
    মেল আঁখি মেল।।
    
  • কে ডাকিলে আমারে আঁখি তুলে

    বাণী

    কে	ডাকিলে আমারে আঁখি তুলে'।
    	এই প্রভাতে তটিনী-কূলে কূলে।।
    ঐ	ঘুমায়ে সকলি, জাগেনি কেউ 
    	জল নিতে এখনো আসেনি বউ, 
    	শুধু তব নদীতে জেগেছে ঢেউ — 
    	মেলেছ নয়ন কানন-ফুলে।।
    	যে সুবাস ঝরে ও-এলোকেশে 
    	কমলে তা' দিলে নাহিতে এসে', 
    	তব তনু-মন দীঘিতে ভেসে' —
    	মাতাইছে, মধুপ পথ ভুলে।
    ও	শিশির-কপোল-স্বেদ বারি 
    	পড়িল ঝরি' নয়নে আমারি, 
    	জাগিয়া হেরি রূপ-মনোহারী —
    	দাঁড়ায়ে উষসী তোরণ-মূলে।।
    
  • কে তুমি এলে হেলে দুলে

    বাণী

    কে তুমি এলে হেলে দুলে।
    প্রাণের গাঙে লহর তুলে।।
    তোমার চটুল চরণ ছন্দে
    মন-ময়ূর নাচে আনন্দে,
    ঝরে ফুলদল বেণীর বন্ধে —
    মেঘের মাধুরী এলোচুলে।।
    আমার গানে আমার সুরে
    প্রাণে আনে তব নূপুরে,
    রূপ-তরঙ্গ খেলিছে রঙ্গে —
    ব্যাকুল তনুর কূলে কূলে।।
    
  • কে তোরে কি বলেছে মা

    বাণী

    কে	তোরে কি বলেছে মা ঘুরে বেড়াস কালি মেখে
    ওমা	বরাভয়া ভয়ঙ্করী সাজ পেলি তুই কোথা থেকে।।
    	তোর এলাকেশে প্রলয় দোলে
    	আমি চিনতে নারি গৌরী বলে।
    ওমা	চাঁদ লুকাল মেঘের কোলে তোর মুখে না হাসি দেখে।।
    ওমা	শঙ্কর কি গঙ্গা নিয়ে,কাঁদায় তোরে দুঃখ দিয়ে
    ওমা	শিবানী তোর চরণ তলে এনেছি তাই শিবকে ডেকে।।
    
  • কে দুয়ারে এলে মোর তরুণ ভিখারি

    বাণী

    কে দুয়ারে এলে মোর তরুণ ভিখারি
    কি যাচে ও আঁখি বুঝিতে যে নারি॥
    হৃদি প্রাণ মন বিভব রতন
    ডারিনু চরণে লহ পথচারী॥
    দুয়ারে মোর নিতি গেয়ে যায় যে গীতি
    নিশিদিন বুকে বেঁধে তারি স্মুতি।
    কি দিয়ে এ ব্যথা নিবারিতে পারি॥
    মিলন বিরহ যা চাও প্রিয় লহ
    দাও ভিখারিনী বেশ দাও ব্যথা অসহ
    মোর নয়নে দাও তব নয়ন বারি॥
    

    নাটকঃ ‘আলেয়া’

  • কে পরালো মুণ্ডমালা আমার শ্যামা-মায়ের গলে

    বাণী

    কে পরালো মুণ্ডমালা আমার শ্যামা-মায়ের গলে।
    সহস্র দল জীবন কমল দোলে রে যার চরণ-তলে।।
    	কে বলে মোর মা-কে কালো,
    	মায়ের হাসি দিনের আলো
    মায়ের আমার গায়ের জ্যোতি গগন পবন জলে স্থলে।।
    শিবের বুকে চরণ যাঁহার কেশব যাঁরে পায় না ধ্যানে,
    শব নিয়ে সে রয় শ্মশানে কে জানে কোন অভিমানে।
    	সৃষ্টিরে মা রয় আবরি'
    	সেই মা নাকি দিগম্বরী?
    তাঁরে অসুরে কয় ভয়ঙ্করী ভক্ত তাঁয় অভয়া বলে।।
    
  • কে পাঠালে লিপির দূতী

    বাণী

    কে পাঠালে লিপির দূতী গোপন লোকের বন্ধু গোপন।
    চিন্‌তে নারি হাতের লেখা মনের লেখা চেনে গো মন।।
    	গান গেয়ে যাই আপন মনে
    	সুরের পাখি গহন বনে,
    সে সুর বেঁধে কার নয়নে — জানে শুধু তা’রি নয়ন।।
    	কে গো তুমি গন্ধ-কুসুম
    	গান গেয়ে কি ভেঙেছি ঘুম,
    তোমার ব্যথার নিশীথ নিঝুম — হেরে’ কি মোর গানের স্বপন।।
    	নাই ঠিকানা নাই পরিচয়
    	কে জানে ও-মনে কি ভয়,
    গানের কমল ও-চরণ ছোঁয় — তাইতে মানি ধন্য জীবন।।
    	সুরের গোপন বাসর-ঘরে
    	গানের মালা বদল করে,
    সকল আঁখির অগোচরে — না দেখাতে মোদের মিলন।।
    
  • কেন উচাটন মন পরান এমন করে

    বাণী

    কেন উচাটন মন পরান এমন করে।
    কেন কাঁদে গো বধূ বঁধুর বুকে বাসরে।।
    	কেন মিলন-রাতে
    	সলিল আঁখি-পাতে
    কেন ফাগুন-প্রাতে সহসা বাদল ঝরে।।
    	ডাকিলে অনুরাগে
    	কেন বিদায় মাগে,
    (কেন) মরিতে সাধ জাগে — পিয়ার বুকের ’পরে।।
    	ডাকিয়া ফুলবনে
    	থাকে সে আন্‌মনে,
    কাঁদায়ে নিরজনে — কাঁদে সে নিজের তরে।।
    	কবি, তোরে কে কবে
    	সাধিল বেণুর রবে,
    ধরিতে গেলি যবে — বিঁধিল কুসুম-শরে।।
    

    ১. কিসের

  • কেন কাঁদে পরান কি বেদনায় কারে কহি

    বাণী

    কেন কাঁদে পরান কি বেদনায় কারে কহি।
    সদা কাঁপে ভীরু হিয়া রহি’ রহি’।।
    সে থাকে নীল নভে আমি নয়ন-জল-সায়রে
    সাতাশ তারার সতীন-সাথে সে যে ঘুরে মরে
    কেমনে ধরি সে চাঁদে রাহু নহি।।
    কাজল করি’ যারে রাখি গো আঁখি-পাতে
    স্বপনে যায় সে ধুয়ে গোপনে অশ্রু-সাথে।
    বুকে তায় মালা করি’ রাখিলে যায় সে চুরি
    বাঁধিলে বলয়-সাথে মলয়ায় যায় সে উড়ি’
    কি দিয়ে সে উদাসীর মন মোহি’।।
    
  • কেন দিলে এ কাঁটা যদি গো কুসুম দিলে

    বাণী

    কেন দিলে এ কাঁটা যদি গো কুসুম দিলে
    ফুটিত না কি কমল ও কাঁটা না বিঁধিলে।।
    	কেন এ আঁখি-কূলে
    	বিধুর অশ্রু দুলে
    কেন দিলে এ হৃদি যদি না হৃদয় মিলে।।
    	কেন কামনা-ফাঁদে
    	রূপ-পিপাসা কাঁদে
    শোভিত না কি কপোল ও কালো তিল নহিলে।।
    	কাঁটা-নিকুঞ্জে কবি
    	এঁকে যা সুখের ছবি
    নিজে তুই গোপন রবি তোরি আঁখির সলিলে।।
    
  • কেন নিশি কাটালি অভিমানে

    বাণী

    কেন নিশি কাটালি অভিমানে।
    ডুবে গেল চাঁদ দূর বিমানে।।
    মান-ভরে চাতকী এ বাদলে
    মিটালি না পিয়াসা মেঘ-জলে,
    কোথা রবে এ মেঘে কেবা জানে।।
    রহে চাঁদ দূরে অমা নিশীথে
    তবু ফোটে কুমুদী সরসীতে,
    রহে চাহি’ কলঙ্কী শশী-পানে।।
    যে ফাগুনে ফুল ফুটিল রাতে
    রবে না সে-ফাগুন কালি প্রাতে,
    যে ফুটিল না, সে শুকাবে বাগানে।।
    
  • কেহ বলে তুমি রূপ সুন্দর

    বাণী

    		কেহ বলে তুমি রূপ সুন্দর, কেহ বলে তুমি জ্যোতি!
    		আমি জানি প্রভু তুমি যে আমার চির-জনমের পতি।।
    			কেহ বলে তুমি চিরদিন দূরে রহ
    			কেহ বলে, আছে অন্তরে অহরহ,
    যার		যাহা সাধ ডাকে সেই নামে (প্রভু) তোমার নাহিক ক্ষতি।।
    		অন্ধ দেখে না চন্দ্র-সূর্য তবু জানে আলো আছে,
    (আমি) 	দেখিনি, তবুও তোমার প্রকাশ সহজ-আমার কাছে
    			রূপ কি অরূপ কাহারেও নাহি দুষি,
    			নাই দেখি ফুল সুরভি পেয়েই খুশি,
    (আমি)		অঞ্জলি ভরি’ অমৃত চাই, পাত্রে নাহিক মতি।।
    
  • কোথায় গেলি মাগো আমার

    বাণী

    কোথায় গেলি মাগো আমার খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রেখে
    ক্লান্ত আমি খেলে খেলে এ সংসারে ও-মা ধুলা মেখে।।
    	বলেছিলি সন্ধ্যা হ'লে
    	ধুলা মুছে নিবি কোলে
    ও-মা  ছেলেরে তুই গেলি ছ'লে পাইনে সাড়া ডেকে' ডেকে'।।
    এ কি খেলার পুতুল মা গো দিয়েছিলি মন ভুলাতে
    আধেক তাহার হারিয়ে গেছে আধেক ভেঙে আছে হাতে।
    	এ পুতুলও লাগছে মা ভার
    	তোর পুতুল তুই নে গো এবার
    এখন সন্ধ্যা হলো ও-মা সন্ধ্যা হলো নামলো আঁধার
    	ঘুম পাড়া মা আঁচল ঢেকে।।
    
  • কোন্ কুসুমে তোমায় আমি

    বাণী

    কোন্ কুসুমে তোমায় আমি পূজিব নাথ বল বল।
    তোমার পূজার কুসুম-ডালা সাজায় নিতি বনতল।।
    	কোটি তপন চন্দ্র তারা
    	খোঁজে যা’রে তন্দ্রাহারা,
    খুঁজি তা’রে ল’য়ে আমার, ক্ষীণ এ-নয়ন ছলছল।।
    	বিশ্ব-ভুবন দেউল যাহার
    	কোথায় রচি মন্দির তাঁর,
    লও চরণে ব্যথায়-রাঙা আমার হৃদয়-শতদল।।
    
  • কোন্‌ সুদূরের চেনা বাঁশির

    বাণী

    	কোন্‌ সুদূরের চেনা বাঁশির ডাক শুনেছিস্‌ ওরে চখা?
    			ওরে আমার পলাতকা!
    তোর প’ড়লো মনে কোন্‌ হানা–ঘর,
    			স্বপন-পারের কোন্‌ অলকা?
    			ওরে আমার পলাতকা।।
    তোর জল ভ’রেছে চপল চোখে,
    বল কোন্‌ হারা–মা ডাক্‌লো তোকে রে
    ঐ গগন–সীমায় সাঁঝের ছায়ায় —
    	হাতছানি দেয় নিবিড় মায়ায় —
    	উতল পাগল! চিনিস্‌ কি তুই চিনিস্‌ ওকে রে?
    যেনবুক–ভরা ও’ গভীর স্নেহে ডাক দিয়ে যায়, ‘আয়,
    			ওরে আয় আয় আয়,
    কোলে আয় রে আমার দুষ্টু খোকা!
    ‌ওরে আমার পলাতকা।।‘
    			দখিন হাওয়ায় বনের কাঁপনে —
    	দুলাল আমার! হাত–ইশারায় মা কি রে তোর
    				ডাক দিয়েছে আজ?
    			এতদিনে চিনলি কি রে পর ও আপনে!
    	নিশি ভোরেই তাই কি আমার নামলো ঘরে সাঁঝ?
    			ধানের শীষে, শ্যামার শিষে —
    			যাদুমণি! বল্‌ সে কিসে রে,
    		তুই শিউরে চেয়ে ছিঁড়্‌লি বাঁধন!
    			চোখ ভরা তোর উছলে কাঁদন রে!
    তোরে কে পিয়ালো সবুজ স্নেহের কাঁচা বিষে রে!
    ‌‌যেন আচম্‌কা কোন্‌ শশক–শিশু চম্‌কে ডাকে হায়,
    			‘ওরে আয় আয় আয় —
    		বনে আয় ফিরে আয় বনের সখা।
    		ওরে চপল পলাতকা।।
    
  • কোন্‌ সে-সুদূর অশোক-কাননে

    বাণী

    কোন্‌ সে-সুদূর অশোক-কাননে বন্দিনী তুমি সীতা।
    আর কতকাল জ্বলিবে আমার বুকে বিরহের চিতা।।
    			সীতা — সীতা!!
    	বিরহে তোমার অরণ্যচারী
    	কাঁদিব রঘুবীর বল্কলধারী,
    ঝরা চামেলির অশ্রু ঝরায়ে ঝুরিছে বন-দুহিতা।।
    			সীতা — সীতা!!
    তোমার আমার এই অনন্ত অসীম বিরহ নিয়া,
    কত আদি কবি কত রামায়ন রচিবে, কে জানে প্রিয়া!
    	বেদনার সুর-সাগর তীরে
    	দয়িতা আমার এসো এসো ফিরে,
    আবার আঁধার হৃদি-অযোধ্যা হইবে দীপান্বিতা।।
    			সীতা — সীতা!!
    

    নাটকঃ ‘বন্দিনী বিরহিনী সীতা’