কাহার্‌বা

  • ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়

    বাণী

    ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়।
    আয় রে সাগর আকাশ বাতাস দেখ্‌বি যদি আয়।।
    ধূলির ধরা বেহেশ্‌তে আজ, জয় করিল দিল রে লাজ।
    আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারায়।।
    দেখ্‌ আমিনা মায়ের কোলে, দোলে শিশু ইসলাম দোলে।
    কচি মুখে শাহাদাতের বাণী সে শোনায়।।
    আজকে যত পাপী ও তাপী, সব গুনাহের পেল মাফী।
    দুনিয়া হতে বে-ইনসাফী জুলুম নিল বিদায়।।
    নিখিল দরুদ পড়ে লয়ে নাম, সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম।
    জীন পরী ফেরেশ্‌তা সালাম জানায় নবীর পায়।।
    
  • থাক্ এ গৃহ ঘিরিয়া সদা মঙ্গল কল্যাণ

    বাণী

    থাক্ এ গৃহ ঘিরিয়া সদা মঙ্গল কল্যাণ হে ভগবান।
    দাও পুত পবিত্রতা প্রশান্তি অফুরান, হে ভগবান॥
    অন্তরে দেহে দাও বিমল্-জ্যোতি
    কর্মে প্রেরণা দাও ধর্মে মতি;
    এ গৃহের নারী হোক পুণ্যবতী
    বীরত্বে ত্যাগে হোক পুরুষ মহান; হে ভগবান॥
    এ গৃহের বারি হোক নির্মল সুশীতল হে ভগবান,
    এ গৃহের আলো হোক পুণ্যে সমুজ্জ্বল হে ভগবান।
    সকলের সাথে হেথা প্রীতি যেন রয়
    যেন নাহি থাকে হেথা রোগ শোক ভয়;
    দূর কর হিংসা পাপ সংশয়
    সার তব পায়ে নিবেদিত সকলের মনপ্রাণ, হে ভগবান॥
    
  • দাও আরো আরো দাও সুরা আর সুর

    বাণী

    দাও আরো আরো দাও সুরা আর সুর।
    প্রাণের পাত্র কর সুখে ভরপুর।।
    	বাজুক অধীর হ’য়ে
    	নূপুর জলদ লয়ে,
    সমতালে তাল দিক কাঁকন-কেয়ূর।।
    	সুর ও সুরার ঝোঁক
    	ধরায় অমর হোক,
    এই সে-স্বর্গলোকে আয় তৃষাতুর।।
    

    নাটিকা: ‘নরমেধ’

  • দাও দাও দরশন পদ্ম-পলাশ লোচন

    বাণী

    দাও দাও দরশন পদ্ম-পলাশ লোচন,
    	কেঁদে দু’ নয়ন হ’ল অন্ধ।
    আকাশ বাতাস ঘেরা, তব ও মন্দির বেড়া
    	আর কতকাল রবে বন্ধ॥
    পাখি যেমন সন্ধ্যাকালে, বন্ধু-স্বজন পালে পালে
    উড়ে এসে ব’সেছিল ডালে হে।
    রাত পোহালে একে এক, উড়ে গেল দিগ্বিদিকে,
    	প’ড়ে আছি একা নিরানন্দ।
    টুটিল বাঁধন মায়ার, কবে শুনিব এবার
    	ও রাঙা চরণ নূপুর ছন্দ॥
    দুখ-শোক রৌদ্রজলে, ফেলে মোরে পলে পলে
    	ছলিতেছ হরি কত ছল হে
    জীবনের বোঝা প্রভু, বহিতে কি হবে তবু
    	সহিতে পারি না আর দ্বন্দ্ব।
    মরণের সোনার ছোঁওয়ায়, ডেকে লও ও রাঙা পায়
    	দেখাও এবার মুখ-চন্দ॥
    
  • দাসী হতে চাই না আমি হে শ্যাম কিশোর

    বাণী

    দাসী হতে চাই না আমি হে শ্যাম কিশোর বল্লভ,
    আমি তোমার প্রিয়া হওয়ার দুঃখ লব।
    	জানি জানি হে উদাসীন
    	দুঃখ পাব অন্ত বিহীন
    বঁধুর আঘাত মধুর যে নাথ সে গরবে সকল সব।।
    তোমার যারা সেবিকা নাথ, আমি নাহি তাদের দলে,
    সবর্নাশের আশায় আমি ভেসেছি প্রেম পাথার জলে।
    	দয়া যে চায় যাচুক চরণ
    	আমার আশা করব বরণ
    বিরহে হোক মধুর মরণ, আজীবন সুদূরে রব।।
    
  • দিতে এলে ফুল হে প্রিয়

    বাণী

    দিতে এলে ফুল,হে প্রিয়,কে আজি সমাধিতে মোর?
    এতদিনে কি আমারে পড়িল মনে মনচোর।।
    জীবনে যারে চাহনি তাহারে ঘুমাইতে দাও।
    মরণ-পারে ভেঙো না,ভেঙো না তাহার ঘুম-ঘোর।।
    দিতে এসে ফুল কেঁদো না প্রিয় মোর,সমাধি-পাশে
    ঝরিল যে ফুল অনাদরে হায়,নয়ন-জলে বাঁচিবে না সে!
    সামাধি-পাষাণ নহে গো তোমার সমান কঠোর।।
    কত আশা,সাধ মিশে যায় মাটির সনে
    মুকুলে ঝরে কত ফুল কীটেরি দহনে।
    কেন অসময়ে আসিলে,ফিরে যাও,মোছ আঁখি -লোর।।
    

  • দিন গেল মোর মায়ায় ভুলে মাটির পৃথিবীতে

    বাণী

    দিন গেল মোর মায়ায় ভুলে মাটির পৃথিবীতে।
    কে জানে কখন নিয়ে যাবে গোরে মাটি দিতে রে।।
    	পাঁচ ভূতে আর চোরে মিলে
    	রোজগার মোর কেড়ে নিলে;
    এখন কেউ নাই রে পারে যাবার দুটো কড়ি দিতে রে।।
    রাত্রি শুয়ে আবার যে ভাই উঠব সকাল বেলা,
    বলতে কি কেউ পারি তবু খেলি মোহের খেলা।
    	বাদ্‌শা আমির ফকির কত
    	এলো আবার হল গত রে;
    দেখেও বারেক আল্লার নাম জাগে নাকো চিতে।
    এবার বসবি কবে ও ভোলা মন আল্লার তস্‌বিতে রে।।
    
  • দুঃখ-ক্লেশ-শোক-পাপ-তাপ শত

    বাণী

    দুঃখ-ক্লেশ-শোক-পাপ-তাপ শত
    শ্রান্তি মাঝে হরি শান্তি দাও দাও॥
    কান্ডারি হে আমার, পার কর কর পার,
    উত্তাল তরঙ্গ অশান্তি পারাবার,
    অভাব দৈন্য শত হৃদি-ব্যথা-ক্ষত,
    যাতনা সহিব কত প্রভু কোলে তুলে নাও।।
    হে দীনবন্ধু করুণাসিন্ধু,
    অম্বর ব্যাপি’ ঝরে তব কৃপা-বিন্দু,
    মরুর্‌ মতন চেয়ে আছি নব ঘনশ্যাম —
    আকুল তৃষ্ণা ল’য়ে প্রভু পিপাসা মিটাও॥
    
  • দুধে আলতায় রঙ যেন তার

    বাণী

    দুধে আলতায় রঙ যেন তার সোনার অঙ্গ ছেয়ে
    		(সে) ভিন্ গেরামের মেয়ে।
    চাঁদের কথা যায় ভুলে লোক তাহার মুখে চেয়ে,
    		ভিন্ গেরামের মেয়ে।
    ও পারে ওই চরে যখন চুল খুলে সে দাঁড়ায়,
    কালো মেঘের ভিড় লেগে যায় আকাশের ওই পাড়ায়,
    পা ছুঁতে তার নদীর জলে (ও ভাই) জোয়ার আসে ধেয়ে।।
    চোখ তুলে সে মেঘের পানে ভুরু যখন হানে,
    অম্‌নি ওঠে রামধনু গো সেই চাহনির টানে।
    কপালের সে ঘাম মুছে গো আঁচল যখন খুলে,
    ধানের ক্ষেতে ঢেউ খেলে যায়, দরিয়া ওঠে দুলে।
    আমি চোখের জলে খুঁজি তারেই (ও ভাই) দুখের তরী বেয়ে।।
    
  • দুরন্ত বায়ু পূরবইয়াঁ বহে

    বাণী

    দুরন্ত বায়ু পূরবইয়াঁ বহে অধীর আনন্দে
    তরঙ্গে দুলে আজি নাইয়া রণ-তুরঙ্গ-ছন্দে।।
    অশান্ত অম্বর-মাঝে মৃদঙ্গ গুরুগুরু বাজে,
    আতঙ্কে থরথর অঙ্গ মন অনন্তে বন্দে।।
    ভূজঙ্গী দামিনীর দাহে দিগন্ত শিহরিয়া চাহে,
    বিষন্ন ভয়-ভীতা যামিনী খোঁজে সেতারা চন্দে।।
    মালঞ্চে এ কি ফুল-খেলা, আনন্দে ফোটে যূথী বেলা,
    কুরঙ্গী নাচে শিখী-সঙ্গে মাতি’ কদম্ব-গন্ধে।।
    একান্তে তরুণী তমালী অপাঙ্গে মাঝে আজি কালি,
    বনান্তে বাঁধা প’ল দেয়া কেয়া-বেণীর বন্ধে।।
    দিনান্তে বসি’ কবি একা পড়িস্‌ কি জলধারা-লেখা,
    হিয়ায় কি কাঁদে কুহু-কেকা আজি অশান্ত দ্বন্দ্বে।।
    
  • দূর আজানের মধুর ধ্বনি বাজে বাজে

    বাণী

    দূর আজানের মধুর ধ্বনি বাজে বাজে মসজিদেরই মিনারে।
    এ কী খুশির অধীর তরঙ্গ উঠলো জেগে’ প্রাণের কিনারে।।
    মনে জাগে হাজার বছর আগে
    	ডাকিত বেলাল এমনি অনুরাগে,
    তাঁর খোশ এলেহান, মাতাইত প্রাণ গলাইত পাষাণ ভাসাইত মদিনারে
    		প্রেমে ভাসাইত মদিনারে।।
    তোরা ভোল গৃহকাজ, ওরে মুসলিম থাম
    চল খোদার রাহে, শোন, ডাকিছে ইমাম।
    মেখে’ দুনিয়ারই খা, বৃথা রহিলি না-পাক,
    চল মসজিদে তুই, শোন মোয়াজ্জিনের ডাক,
    তোর জনম যাবে বিফলে যে ভাই এই ইবাদতে বিনা রে।।
    
  • দূর দ্বীপবাসিনী

    বাণী

    দূর দ্বীপ–বাসিনী, চিনি তোমারে চিনি।
    দারুচিনির দেশের তুমি বিদেশিনীগো, সুমন্দভাষিণী।।
    	প্রশান্ত সাগরে
    	তুফানে ও ঝড়ে
    শুনেছি তোমারি অশান্ত রাগিণী।।
    বাজাও কি বুনো সুর পাহাড়ি বাঁ‍শিতে?
    বনান্ত ছেয়ে যায় বাসন্তী–হাসিতে।
    	তব কবরী–মূলে
    	নব এলাচীর ফুল দুলে
    		কুসুম–বিলাসিনী।।
    
  • দূরের বন্ধু আছে আমার

    বাণী

    দূরের বন্ধু আছে আমার ঐ গাঙের পারের গাঁয়ে।
    ঝরা পাতার পত্র আমার যায় ভেসে তার পায়ে।।
    জানি জানি আমার দেশে আমার নেয়ে আসবে ভেসে,
    চির-ঋণী আছে সে যে আমার প্রেমের দায়ে।।
    নতুন আশার পাল তুলে সে আসবে ফিরে ঘরে,
    ফুটেছে তাই কাশ-কুসুমের হাসি শুকনো চরে।
    পিদিম জ্বেলে তা'রি আশায় গহীন গাঙের সোঁতে ভাসাই
    ঐ পিদিমের পথ ধরে সে আসবে সোনার নায়ে।।
    
  • দে জাকাত দে জাকাত তোরা

    বাণী

    	দে জাকাত, দে জাকাত, তোরা দে রে জাকাত।
    	তোর দিল্‌ খুলবে পরে ওরে আগে খুলুক হাত।।
    	দেখ পাক্‌ কোরআন শোন্‌ নবীজীর ফরমান
    	ভোগের তরে আসেনি দুনিয়ায় মুসলমান।
    তোর	একার তরে দেননি খোদা দৌলতের খেলাত।।
    তোর	দর্‌ দালানে কাঁদে ভুখা হাজারো মুসলিম
    আছে	দৌলতে তোর তাদেরও ভাগ, বলেছেন রহিম।
    	বলেছেন রহমানুর রহিম, বলেছেন রসুলে করিম।
    	সঞ্চয়ে তোর সফল হবে পাবি রে নাজাত।।
    	এই দৌলত বিভব রতন যাবে না তোর সাথে
    	হয়তো চেরাগ জ্বলবে না তোর গোরে শবেরাতে।
    	এই জাকাতের বদলাতে পাবি বেহেশ্‌তী সওগাত।।
    
  • দেখে যা রে দুল্‌হা সাজে সেজেছেন মোদের নবী

    বাণী

    দেখে যারে দুল্‌হা সাজে সেজেছেন মোদের নবী।
    বর্ণিতে সে রূপ মধুর হার মানে নিখিল কবি॥
    আওলিয়া আর আম্বিয়া সব পিছে চলে বরাতি,
    আসমানে যায় মশাল জ্বেলে গ্রহ তারা চাঁদ রবি॥
    হুর পরী সব গায় নাচে আজ, দেয় ‘মোবারকবাদ্’ আলম্,
    আর্‌শ কুর্শি ঝুঁকে পড়ে দেখতে সে মোহন ছবি॥
    আজ আরশের বাসর ঘরে হবে মোবারক রুয়ৎ,
    বুকে খোদার ইশ্ক নিয়ে নওশা ঐ আল-আরবি॥
    
  • দেখে যারে রুদ্রাণী মা সেজেছে আজ ভদ্রকালী

    বাণী

    দেখে যারে রুদ্রাণী মা সেজেছে আজ ভদ্রকালী।
    শ্রান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে শ্মশান মাঝে শিব-দুলালী॥
    	আজ শান্ত সিন্ধু তীরে
    	অশান্ত ঝড় থেমেছে রে,
    মা’র কালো রূপ উপ্‌চে পড়ে ছাপিয়ে ভুবন গগন-ডালি॥
    আজ অভয়ার ওষ্ঠে জাগে শুভ্র করুণ শান্ত হাসি,
    আনন্দে তাই বসন ফেলি’ মহেন্দ্র ঐ বাজায়-বাঁশি,
    	ঘুমিয়ে আছে বিশ্ব ভুবন
    	মায়ের কোলে শিশুর মতন,
    পায়ের লোভে মনের বনে ফুল ফুটেছে পাঁচমিশালি॥
    
  • দেবতা গো দ্বার খোলো

    বাণী

    দেবতা গো, দ্বার খোলো।
    অভিসার নিশি বাহির দুয়ারে দাঁড়ায়ে প্রভাত হ’ল॥
    	পাষাণের আবরণে তুমি যদি
    	এমনি গোপন রবে নিরবধি,
    বেণুকার সুরে হৃদি যমুনায় কেন এ লহর তোলো॥
    আর	সহিতে পারি না একা,
    প্রাণে	কেন দিয়ে আশা এত ভালোবাসা
    যদি	নাহি দিবে দেখা।
    	বহিতে পারি না আর এই ভার,
    	এই ফুল সাজ পূজা-সম্ভার
    তুমি	দেখা দেও একবার দেখা দেও —
    দেখা	দিয়ে চিরতরে মোরে ভোলো॥
    
  • দেশে দেশে গেয়ে বেড়াই তোমার নামের গান

    বাণী

    দেশে দেশে গেয়ে বেড়াই তোমার নামের গান
    হে খোদা, এ যে তোমারই হুকুম, তোমারই ফরমান।।
    এমনি তোমার নামের আছর –
    নামাজ রোজার নাই অবসর,
    তোমার নামের নেশায় সদা মশগুল মোর প্রাণ।।
    তকদিরে মোর এই লিখেছ হাজার গানের সুরে
    নিত্য দিব তোমার আজান আঁধার মিনার-চূড়ে।
    কাজের মাঝে হাটের পথে
    রণ-ভূমে এবাদতে
    আমি তোমার নাম শোনাব, করব শক্তি দান।।
    

  • দোল ফাগুনের দোল লেগেছে

    বাণী

    দোল ফাগুনের দোল লেগেছে, আমের বোলে দোলন-চাঁপায়।
    মৌমাছিরা পলাশ-ফুলের গেলাশ ভ’রে মউ পিয়ে যায়।।
    		শ্যামল পাতার কোলে কোলে
    		আবির-রাঙা কুসুম দোলে,
    দোয়েল শ্যামা লহর তোলে কৃষ্ণচূড়ার ফুলেল শাখায়।।
    বন-গোপিনী ফুল ছুঁড়ে ঐ খেলে হোরী দখিন-বায়ে,
    হলদে পাখি দোদুল দুলে সোনাল শাখায় আদুল গায়ে।
    		ভাঁট-ফুলের ঐ নাট-দেউলে
    		রঙিন প্রজাপতি দুলে,
    মন ছুটে যায় দূর গোকুলে, বৃন্দাবনে প্রেম যমুনায়।।
    
  • দোলে নিতি নব রূপের টেউ-পাথার

    বাণী

    দোলে নিতি নব রূপের টেউ-পাথার ঘনশ্যাম তোমারি নয়নে।
    আমি হেরি যে নিখিল বিশ্বরূপ-সম্ভার তোমারি নয়নে॥
    		তুমি পলকে ধর নাথ সংহার-বেশ
    		হও পলকে করুণা-নিধান পরমেশ।
    নাথ ভরা যেন বিষ অমৃতের ভান্ডার তোমার দুই নয়নে॥
    		ওগো মহা-শিশু, তব খেলা-ঘরে
    		একি বিরাট সৃষ্টি বিহার করে,
    সংসার চক্ষে তুমিই হে নাথ, সংসার তোমারি নয়নে॥
    		তুমি নিমেষে রচি নব বিশ্বছবি
    		ফেল নিমেষে মুছিয়া হে মহাকবি,
    করে কোটি কোটি ব্রহ্মান্ড ভুবন-সঞ্চার তোমারি নয়নে॥
    		তুমি ব্যাপক ব্রহ্ম চরাচরে
    		জড় জীবজন্তু নারী-নরে,
    কর কমল-লোচন, তোমার রূপ বিস্তার হে আমারি নয়নে॥