কাহার্‌বা

  • প্রিয় কোথায় তুমি কোন গহনে

    বাণী

    প্রিয় কোথায় তুমি কোন গহনে
    কোন ধ্রুবলোকে কোন দূর গগনে।।
    খোঁজে কানন তোমায় মেলি' কুসুম-আঁখি,
    'তুমি কোথায়' বলি' ডাকে বনের পাখি।
    আছ ঠকুর হয়ে কোন দেবালয়ে
    কোন শ্রাবন-মেঘে দখিনা পবনে।।
    সিন্ধু-বুকে মুখে লুকায়ে নদী
    'তুমি কোথায়' বলি' কাঁদে নিরবধি।
    	জ্বালি' তারার বাতি
    	খোঁজে আঁধার রাতি,
    তোমায় খুঁজিয়া নিভিল জ্যোতি মোর নয়নে।।
    

  • প্রিয় তব গলে দোলে যে হার কুড়িয়ে পাওয়া

    বাণী

    প্রিয়	তব গলে দোলে যে হার কুড়িয়ে পাওয়া
    সে যে	হার নহে, হৃদয় মোর হারিয়ে যাওয়া।।
    	তোমারি মতন যেন কাহার সনে
    	সেদিন পথে চোখাচোখি হল গোপনে
    মন	চকিতে হরিল যে সেই চকিত চাওয়া।।
    ছিল	চৈতালি সাঁঝ, তাহে পথ নিরালা
    ছিনু	একেলা আমি, চলে একেলা বালা
    বহে	ঝিরিঝিরি ধীরি-ধীরি চিতী হাওয়া
    	চাহিল সে মুখে মোর ঘোমটা তুলে
    তার	নয়নে ও ঘটে জল উঠিল দুলে
    	চেয়ে দেখি মোর আঁখি সলিল ছাওয়া।।
    
  • প্রিয় তুমি কোথায় আজি কত সে দূর

    বাণী

    প্রিয়	তুমি কোথায় আজি কত সে দূর।
    প্রাণ	কাঁদে ব্যথায় বিরহ-বিধুর।।
    	স্বপন-কুমারী, স্বপনে এসে
    	মিশাইলে কোন্ ঘুমের দেশে
    	তড়িত-শিখা ক্ষণিক হেসে
    	লুকালে মেঘে আঁধারি’ হৃদি-পুর।।
    	আপনা নিয়ে ছিনু একেলা
    	কোন্ সে কূলে ভিড়ালে ভেলা
    	জীবন নিয়ে মরণ-খেলা
    	খেলিতে কেন আসিলে নিঠুর।।
    	ঊষার গাঙে গাহন করি’
    	দাঁড়ালে নভে রঙের পরী
    	প্রেমের অরুণ উদিল যবে
    	মিশালে নভে, হে লীল-চতুর।।
    
  • প্রিয়তম হে আমি যে তোমারি

    বাণী

    প্রিয়তম হে, আমি যে তোমারি চির-আরাধিকা।
    তব নাম গেয়ে প্রেম-বৃন্দাবনে ফিরি ব্রজ-বালিকা।।
    	মম নয়ন দুটি তব দেবালয়ে
    	জ্বলে নিশিদিন আরতি-প্রদীপ হয়ে
    নাম-কলঙ্ক তব হরি-চন্দন মোর গলার মালিকা।।
    মোরে শরণ দাও তব চরণে কর অবনমিতা,
    জনমে জনমে হয়ো প্রভু তুমি, আমি হব দয়িতা।
    	শুধু নাম শুনি, নাথ মনে মনে
    	আমি স্বয়ম্বরা হয়েছি গোপনে,
    বড় সাধ প্রাণে র’ব তোমারি ধ্যানে হব শ্যাম-সাধিকা।।
    
  • প্রিয়তম হে বিদায়

    বাণী

    	প্রিয়তম হে, বিদায়
    আর	রাখিতে নারি, আশা-দীপ নিভে যায় দুরন্ত বায়।।
    	কত ছিল বলিবার, হায় হ’লো না বলা
    	ঝুঁরিতেছে চামেলির বন উতলা
    যেন	অনন্ত দিনের দিকে হায় হায়।।
    কে	কাঁদে দিকে দিকে হায় হায়।।
    	রহিল ছড়ানো মোর প্রাণের তিয়াস হুতাস পবনে;
    	জড়ানো রহিল মোর করুণ প্রীতি ধূসর গগনে।
    	তুমি মোরে স্মরিও
    যদি	এই পথে কোনদিন চলিতে প্রিয়
    	নিশিভোরে ঝরা ফুল দ’লে যাও পায়।।
    
  • প্রিয়ে! বলি ও প্রিয়ে! তুমি দেখ!

    বাণী

    		প্রিয়ে... বলি ও-প্রিয়ে... তুমি দেখ...।
    		[কাঁপা-কন্ঠে আবৃত্তির ঢঙে বলা হয়েছে]
    পুরুষ	:	প্রিয়ে! বলি, ও প্রিয়ে! তুমি দেখ!
    		দেখ বিরহের দাবানল জ্বলে গোঁফ-দাড়িতে।
    স্ত্রী	:	ও-স’রে যা, সে আগুন লেগে যাবে শাড়িতে॥
    পুরুষ	:	একে ভীষণ ফাগুন মাস
    স্ত্রী	:	ওগো তাই বুছি হাঁসফাঁস ?
    পুরুষ	:	কাপাস ফলের মত ফেটে পড়ে হিয়া গো,
    স্ত্রী	:	প্রেম-তুলো বের হয়ে পড়ে ছড়াইয়া গো,
    উভয়ে:	রব্ ওঠে ভোঁস্-ভাঁস্ হৃদি-রেলগাড়িতে॥
    পুরুষ	:	আজি এ বিরহের কাঠ-ঠোক্রা, ঠোক্রায় প্রেমের টাকে,
    স্ত্রী	:	ওগো এ হেন বেয়াধি হলে টাকে, মধ্যম-নারায়ণ তেল মাখে।
    পুরুষ	:	হায়-হায়-হায়-হায়-হায়
    		আমাদের মাঝে কে রচিবে মিলনের সাঁকো।
    স্ত্রী	:	থাক্ থাক্, পুরুতঠাকুর ইঞ্জিনিয়ার
    		তারে তাড়াতাড়ি ডাকো, ডাকো, একবার ডাকো না ?
    উভয়ে:	আগুন লাগিল ওরে দাড়ি আর শাড়িতে
    		যুগল মিলন হ’ল ধেড়ে আর ধাড়িতে॥
    
  • প্রেম ক্যাটারী লগ্‌ গ্যয়ি তোরে

    বাণী

    প্রেম ক্যাটারী লগ্‌ গ্যয়ি তোরে কারী কারী
    প্যয়ারে ভাঁওরে জোলাৎ হ্যায় যো নিসদিন ডারী ডারী।।
    শুনা প্যয়ারে ভ্যঁয়র ও প্রেম-কাহানী
    বাগমে যাতা হ্যায় প্রেম সে পাতা হ্যায় কয়া মানমেঁ ঠানী।।
    ফুলো সে ক্যয়া তুঝকো প্রেম হুয়া হ্যায়
    মেরী তারহা ক্যায়া তু প্রেমী বানা হ্যায়
    ত্যড়পত হ্যায় কিসকী তু বরহা মে নিসদিন
    পাই হ্যায় কিসসে হুয়ে প্রেমনিশানী।।
    ফুলমে হ্রায় গুলসে গ্যলো কি রং গাৎ
    মিলতি হ্যায় ইনসে প্রীতম কি প্যারী সুরাত
    ইসসে ম্যায় কারতিহু ফুলসে উলফত
    ফিরত হু ব্যন ব্যন ব্যনকে দিওয়ানী।।
    
  • প্রেম নগরকা ঠিকানা করলে

    বাণী

    প্রেম নগরকা ঠিকানা করলে প্রেম নগরকা ঠিকানা।
    ছোড় করিয়ে দোদিন কা ঘর ওহি রাহপে জানা।।
    	দুনিয়া দওলত হ্যায় সব মায়া
    	সুখ দুখ দো হ্যায় জগ কা কায়া
    দুখকো তু প্রেম সে গলে লাগালে আগে না পছতানা।।
    	আতি হ্যায় যব রাত আঁধেরি
    	ছোড় তু মায়া বন্ধন-ভারি
    প্রেম নগর কি কর তৈয়ারি, আয়া হ্যায় পরোয়ানা।।
    
  • ফাগুন ফুরাবে যবে

    বাণী

    ফাগুন ফুরাবে যবে —
    উঠিবে দীরঘ শ্বাস চম্পার বনে
    কোয়েলা নীরব হবে।।
    আমারে সেদিন যদি স্মরণে আসে
    বেদনা জাগে ঝরা ফুল সুবাসে
    আমার স্মৃতি যত ঝরা পাতার মত
    ফেলিয়া দিও নীরবে।।
    যবে বাসর নিশি ফুরাবে
    রাতের মিলন-মালা প্রভাতে মলিন হবে;
    সুখ শশী অস্ত যাবে —
    আসিবে জীবনে তব বৈশাখী মলিন হবে;
    লুটাবে পথের' পরে ভেঙে যাবে ঘর
    সেদিন স্মরণে তব আসিবে কি তাহারে
    গৃহহীন করিয়াছ যাহারে ভবে।।
    
  • ফিরিয়া এসো এসো হে ফিরে

    বাণী

    ফিরিয়া এসো এসো হে ফিরে
    বঁধু এ ঘোর বাদলে নারি থাকিতে একা।
    হায় গগনে মনে আজি মেঘের ভিড়
    	যায় নয়ন-জলে মুছে কাজল-লেখা।।
    ললাটে কর হানি’ কাঁদিছে আকাশ
    শ্বসিছে শন-শন হুতাস বাতাস।
    তোমারি মত ঝড় হানিছে দ্বারে কর,
    	খোঁজে বিজলি তোমারি পথ-রেখা।।
    মেঘেরে সুধাই তুমি কোথায়
    কাঁদন আমার বাতাসে ডুবে যায়!
    ঝড়ের নূপুর পরি’ রাঙা পায়
    	শ্যামল-সুন্দর দাও দেখা।।
    
  • ফিরে আয় ঘরে ফিরে আয়

    বাণী

    ফিরে আয়, ঘরে ফিরে আয়
    পথহারা, ওরে ঘর-ছাড়া,
    	ঘরে আয় ফিরে আয়।।
    ফেলে যাওয়া তোর বাঁশরি, রে কানাই —
    কাঁদে লুটায়ে ধুলায়,
    	ফিরে আয় ঘরে আয়।।
    ব্রজে আয় ফিরে ওরে ও কিশোর
    কাঁদে বৃন্দাবন কায়দে রাখা তোর
    বাঁধিব না আর ওরে ননী-চোর
    	অভিমানী ফিরে আয়।।
    

  • ফিরে এলো সেই কৃষ্ণাষ্টমী তিথি

    বাণী

    ফিরে এলো সেই কৃষ্ণাষ্টমী তিথি, হে শঙ্খচক্রধারী!
    তোমার মাভৈঃ অভয় আকাশবাণী, কেন নাহি শুনি? হে মুরারি!!
    	সেই ঘনঘটা দুর্যোগ-নিশি
    	নিরাশা-আঁধারে ঢাকা দশদিশি;
    গগনে তেমনি ঘোর দুন্দুভি বাজে, ঝরে তেমনি অশ্রু-বারি।।
    আজো মানুষের আত্মা তেমনি কাঁদে আশা-যমুনার দুই পারে,
    এ-পারে দেবকী ও-পারে যশোদা আজো ডাকে মুক্তির বিধাতারে।
    	আবার প্রেমের বংশী বাজাও,
    	এই হানাহানি হিংসা ভুলাও,
    আর্ত-কলির গানের এ শেষ-কলি দাও শেষ করে ব্যথাহারী।।
    
  • ফিরে ফিরে কেন তারই স্মৃতি

    বাণী

    ফিরে ফিরে কেন তারই স্মৃতি
    মোরে কাঁদায় নিতি যে ফিরিবে না আর।
    ফিরায়েছি যা’য় কাঁদাইয়া হায়
    সে কেন কাঁদায় মোরে বারেবার।।
    তারই দেওয়া ফুলমালা, যারে দলিয়াছি পায়
    সেই ছিন্নমালা কুড়ায়ে নিরালা আজি রাখি হিয়ায়।
    বারে বারে ডাকি প্রিয় নাম ধ’রে তা’র।।
    হানি’ অবহেলা যারে দিয়েছি বিদায়
    আজি তারি স্মৃতি, সে কোথায় সে কোথায়।
    জ্বালি’ নয়ন-প্রদীপ জাগি বাতায়নে
    নিশি ভোর হয়ে যায় বৃথা জাগরণে
    আজি স্বর্গ শূন্য মোর তারি বিহনে
    কাঁদি আকাশ বাতাস মোর করে হাহাকার।।
    

  • ফুটলো যেদিন ফাল্গুনে হায় প্রথম গোলাপ-কুঁড়ি

    বাণী

    ফুটলো যেদিন ফাল্গুনে, হায়, প্রথম গোলাপ-কুঁড়ি
    বিলাপ গেয়ে বুলবুলি মোর গেল কোথায় উড়ি।।
    	কিসের আশায় গোলাপ বনে
    	গাইতো সে গান আপন মনে,
    লতার সনে পাতার সনে খেতো লুকোচুরি (হায়)
    সেই লতাতে প্রথম প্রেমের ফুটলো মুকুল যবে
    পালিয়ে গেল ভীরু পাখি অমনি নীরবে।
    	বাসলে ভালো যে জন কাঁদে
    	বাঁধবো তা'রে কোন সে ফাঁদে,
    ফুল নিয়ে তাই অবসাদে বনের পথে ঘুরি (হায়)।।
    
  • ফুরাবে না এই মালা গাঁথা মোর

    বাণী

    ফুরাবে না এই মালা গাঁথা মোর ফুরাবে না এই ফুল
    এই হাসি ঐ চাঁপার সুরভি ভুল নহে, ভুল নহে, নহে ভুল॥
    		জানি জানি মোর জীবনের সঞ্চয়,
    		রসঘন-মাধুরীতে হবে মধুময়
    তবে কেন আমার বকুল-কুঞ্জে বাঁশরি হইল আকুল॥
    		কৃষ্ণা তিথিতে নাই যদি হাসে চাঁদ,
    		ফুরাবে না মোর পূর্ণ রসের সাধ
    যমুনার ঢেউ থাকুক আমার (আমি) নাই দেখিলাম কূল॥
    

    চলচ্চিত্রঃ ‘দিকশূল’

  • ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস

    বাণী

    ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস
    আজ বাদে কাল ঈদ তবু মন করে উদাস।।
    রোজা রেখেছিলি, হে পরহেজগার মোমিন!
    ভুলেছিলি দুনিয়াদারি রোজার তিরিশ দিন;
    তরক করেছিলি তোরা কে কে ভোগ-বিলাস।।
    সারা বছর গুনাহ যত ছিল রে জমা,
    রোজা রেখে খোদার কাছে পেলি সে ক্ষমা,
    ফেরেশতা সব সালাম করে কহিছে সাবাস।।
    

    নাটিকাঃ ‘ঈদল ফেতর’

  • ফুল বীথি এলে অতিথি

    বাণী

    স্ত্রী:		ফুল বীথি এলে অতিথি
    		চম্পা মঞ্জরি-কুঞ্জে পড়ে ঝরি' চঞ্চল তব পায়।
    পুরুষ:	কুড়ায়ে সেই ঝরা ফুল, চাঁপার মুকুল
    		গেঁথেছি মোহন-মালিকা পরাব বলিয়া তোমার গলায়।।
    স্ত্রী:		হে রূপ-কুমার, সুন্দর প্রিয়তম
    		এলে যে ফিরিয়া দাসীরে স্মরিয়া জীবন সফল মম।
    পুরুষ:	পরো কুন্তলে ধরো অঞ্চলে
    		অমিলন প্রেম-পারিজাত,
    স্ত্রী:		কি হবে লয়ে সে ফুল-মালা যাহা নিশি ভোরে শুকায়।
    পুরুষ:	মোছ মোছ আঁখিধার লহ বাহুর হার ভোলে অতীত ব্যথায়।
    উভয়ে:	বিরহ অবসানে মিলন মধুর প্রিয়
    		এ মিলন নিশি যেন আর না পোহায়।।
    

  • ফুল-ফাগুনের এলো মরশুম

    বাণী

    ফুল-ফাগুনের এলো মরশুম বনে বনে লাগল দোল্।
    কুসুম-সৌখিন দখিন হাওয়ার চিত্ত গীত-উতরোল।।
    অতনুর ঐ বিষ-মাখা শর নয় ও-দোয়েল শ্যামার শিস্,
    ফোটা ফুলে উঠ্‌ল ভ’রে কিশোরী বনের নিচোল।।
    গুল্‌বাহারের উত্তরী কার জড়াল তরু-লতায়,
    মুহু মুহু ডাকে কুহু তন্দ্রা-অলস, দ্বার খোল।
    রাঙা ফুলে ফুল্ল-আনন দোলে কানন-সুন্দরী,
    বসন্ত তার এসেছে আজ বরষ পরে পথ-বিভোল্।
    
  • ফুলমালিনী এনেছ কি মালা

    বাণী

    ফুলমালিনী! এনেছ কি মালা।
    এনেছ কি মালা, ভরি’, তনু-ডালা।।
    এনেছ পসারিণী নয়ন-পাতে
    প্রেমসুধা-রস মালারই সাথে,
    অধরের অনুরাগ রাঙা-পেয়ালা।।
    এনেছ প্রীতির মালতী বকুল,
    রসে টলমল রূপের মুকুল।
    গাঁথ পরান মম তব ফুলহারে
    মালার বিনিময়ে লহ আমারে,
    বৃথা না যায় শুভ লগ্ন নিরালা।।
    
  • ফুলে ফুলে বন ফুলেলা

    বাণী

    ফুলে ফুলে বন ফুলেলা।
    ফুলের দোলা ফুলের মেলা
    ফুল-তরঙ্গে ফুলের ভেলা।।
    ফুলের ভাষা ভ্রমর কুঞ্জে
    দোলন চাঁপার ঝুলন কুঞ্জে,
    মুহু মুহু কুহরে কুহু
    সহিতে না পারি ফুল-ঝামেলা।।
    

    নাটক: ‘সাবিত্রী’