কাহার্‌বা

  • ভুবনময়ী ভবনে এসো

    বাণী

    ভুবনময়ী ভবনে এসো সীমার মাঝে এসো অসীমা।
    ভক্ত মনের মাধুরী দিয়ে গড়িয়াছি মা তোমার প্রতিমা।।
    	চিন্ময়ী গো ধর মৃন্ময়ীরূপ
    	কত যুগ মাগো জ্বলিবে পূজাধূপ
    মানসপটে বোধন ঘটে হও চির আসীনা করুণাময়ী মা।।
    সে কোন অতীতে সুদূর ত্রেতায় এসেছিলে মা অশিব নাশিনী
    আসিলে না আর ধূলির ধরায় দিলে না মা বর অমৃত ভাষিণী।
    	কত যুগ গেল কত বরষ মাস
    	কত বিফল পূজা কত কাঁদন হুতাশ
    জাগ যোগমায়া যোগনিদ্রা ভোল পুন বিশ্বে প্রচার হোক্‌ তব মহিমা।।
    
  • ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে

    বাণী

    ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে।
    বুলবুলি সে ফুলও ফোটায় বন-মাতানোর সাথে সাথে।।
    		আঘাত দিলে, দিলে বেদন
    		রাঙাতে হায় পারলে না মন,
    প্রেমের কুঁড়ি ফুটলো না তাই, পড়লো ঝ’রে নিরাশাতে।।
    আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা
    হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা,
    শয়ন-সাথী হ’লে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।।
    

    গজলের সুরে কৃষ্ঞপ্রেম

  • ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে

    বাণী

    দ্বৈত	:	ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে
    		তুই ভুলবি ভুলের খেলা কবে॥
    স্ত্রী	:	নিবু নিবু তোর জীবন-বাতি শেষ হলো সুখ-রাতি,
    পুরুষ	:	রাত পোহালে সুখের সাথী সঙ্গে নাহি রবি॥
    স্ত্রী	:	যাঁর কৃপায় তুই রইলি সুখে ডাক্‌লি না রে তারে
    পুরুষ	:	তুই কি নিয়ে হায় তাহার কাছে যাবি পরপারে।
    স্ত্রী	:	জমালি যা তুই জীবন ভ’রে পিছু প’ড়ে রবে
    পুরুষ	:	দারাসুত লবে বিভব রতন পাপের বোঝা নাহি লবে॥
    স্ত্রী	:	স্রোতের মতো সময যে যায় নিয়ে শরণ প্রভুর পায়
    পুরুষ	:	কৃপা-সিন্ধুর কৃপা পেলে ত’রে যাবি তুই তবে॥
    
  • ভেসে আসে সুদূর স্মৃতির সুরভি

    বাণী

    ভেসে আসে সুদূর স্মৃতির সুরভি হায় সন্ধ্যায়
    রহি’ রহি’ কাঁদি’ ওঠে সকরুণ পূরবী, আমারে কাঁদায়।।
    কা’রা যেন এসেছিল, এসে ভালোবেসেছিল।
    ম্লান হ’য়ে আসে মনে তাহাদের সে-ছবি, পথের ধুলায়।।
    কেহ গেল দ’লে – কেহ ছ’লে, কেহ গলিয়া নয়ন নীরে
    যে গেল সে জনমের মত গেল চলিয়া এলো না, এলো না ফিরে।
    কেহ দুখ দিয়া গেল কেহ ব্যথা নিয়া গেল
    কেহ সুধা পিয়া গেল কেহ বিষ করবী তাহারা কোথায় আজ
    				তাহারা কোথায়।।
    
  • ভেসে যায় হৃদয় আমার মদিনা পানে

    বাণী

    ভেসে যায় হৃদয় আমার মদিনা পানে।
    আসিলেন রসুলে-খোদা প্রথম যেখানে।।
    উঠিল যেখানে রণি’, প্রথম তকবির ধ্বনি
    লভিনু মণির খনি যথায় কোরানে।।
    যথা হেরা গুহার আঁধারে প্রথম
    ইসলামের জ্যোতি লভিল জনম,
    করে অঝোর ধারায় যথা খোদার রহম,
    ভাসিল নিখিল ভুবন যাহার তুফানে।।
    লাখো আম্বিয়া আউলিয়া বাদশা ফকির
    যথা যুগে যুগে আসি’করিল ভিড়
    তারি ধূলাতে লুটাবো আমি নোয়া’ব শির;
    নিশিদিন শুনি তাঁরি ডাক আমার পরানে।।
    
  • ভোর হোল ওঠ্ জাগ্ মুসাফির

    বাণী

    ভোর হোল ওঠ্ জাগ্ মুসাফির আল্লা-রসুল বোল্‌
    গাফ্‌লিয়াতি ভোল্ রে অলস্ আয়েশ আরাম্ ভোল্॥
    	এই দুনিয়ার সরাইখানায়
    	জনম্ গেল ঘুমিয়ে হায়
    ওঠ রে সুখ-শয্যা ছেড়ে মায়ার বাঁধন খোল্॥
    দিন ফুরিয়ে এলো যে রে দিনে দিনে তোর
    দীনের কাজে অবহেলা কর্‌লি জীবন ভোর।
    	যে দিন আজো আছে বাকি
    	খোদারে তুই দিস্‌নে ফাঁকি
    আখেরে পার হবি যদি পুল্ সেরাতের পোল্॥
    
  • ভোরে স্বপনে কে তুমি দিয়ে দেখা

    বাণী

    	ভোরে স্বপনে কে তুমি দিয়ে দেখা, লুকালে সহসা
    মোর	তপনের রাঙা কিরণ যেন ঘিরিল তমসা।।
    	না ফুটিতে মোর কথার কুড়িঁ
    	চপল বুলবুলি গেলে উড়ি'
    গেলে	ভাসিয়া ভোরের সুর যেন বিষাদ অলসা।।
    	জেগে দেখি হায়, ঝরা ফুলে আছে ছেয়ে তোমার পথতল,
    	ওগো অতিথি, কাদিছেঁ বনভূমি ছড়ায়ে ফুল দল!
    	মুখর আমার গানের পাখি
    	নীরব হলো হায় বারেক ডাকি'
    যেন	ফাগুনের জোছনা-বর্ষিত রাতে নামিল বরষা।।
    
  • ভোলো ভোলো ভোলো মান

    বাণী

    ভোলো ভোলো ভোলো মান, ভোল আমারে।
    আঁধারে যে ফুল ফোটে, ভোলো তাহারে॥
    ভুলিতে যদি গো লাগে বুকেতে ব্যথা’
    নিঠুর মরম-বাণে না ক’য়ো কথা,
    দরদি গো সে-ব্যথারে রাখিবি কাহারে॥
    
  • মট্‌কু মাইতি বাঁটকুল রায়

    বাণী

    মট্‌কু মাইতি বাঁটকুল রায়
    ক্রুদ্ধ হয়ে যুদ্ধে যায়
    বেঁটে খাটো নিটপিটে পায়
    তারা ছেৎ’রে চলে, কেৎ’রে চায়।।
    পায়ে পরে গাবদা বুট আর পট্টি
    আর গড়াইয়া চলে যেন গাঁঠরি ও মোটটি,
    ওগো হুনুলুলু সুরে গায় গান উদভট্টি
    হাঁটি হাঁটি পা পা ডাইনে বাঁয়।।
    রাস্তায় তেড়ে এলো এঁড়ে এক দামড়া
    ঢুস খেয়ে বাটকুর ছড়ে গেল চামড়া।
    ভয়ে মট্‌কুর চোখ হয়ে গেল আমড়া
    সে উলটিয়ে সাতপাক ডিগবাজি খায় হায়, হায়।।
    
  • মদিনায় যাবি কে আয় আয়

    বাণী

    	মদিনায় যাবি কে আয় আয়।
    উড়িল নিশান দিনের বিষাণ বাজিল যাহারে দরওয়াজায়।।
    	হিজরাত ক’রে যে দেশে
    	ঠাঁই পেলেন হজরত এসে
    	খেলিতেন যথায় হেসে 
    	হাসান হোসেন ফাতেমায়।।
    হজরতের চার আসহাব যথা করলেন খেলাফত,
    মসজিদে যাঁর প্রিয় মোহাম্মদ করতেন এবাদত;
    ফুটল যথায় প্রথম ধীর খালেদের হিম্মত,
    খোশ এলেহান দিতেন আজান বেলাল যথায়।।
    	যার পথের ধূলির মাঝে
    	নবীজীর চরণের ছোঁয়া বাজে,
    	তৌহিদেরি ধ্বনি বাজে
    	যার আসমানে, যার লু হাওয়ায়।।
    
  • মদিনার শাহানশাহ্ কোহ্-ই-তূর-বিহারী

    বাণী

    মদিনার শাহানশাহ্ কোহ্-ই-তূর-বিহারী
    মোহাম্মদ মোস্তফা নবুয়তধারী॥
    আল্লার প্রিয় সখা, দুলাল মা আমেনার
    খাদিজার স্বামী, প্রিয়তম আয়েশার
    আস্‌হাবের হাম্‌দম্‌, ওয়ালেদ ফাতেমার,
    বেলালের আজান, খালেদের তলোয়ার,
    কেয়ামতে উম্মত শাফায়ত-কারী॥
    তৌহিদ-বাণী মুখে, আল-কোরআন হাতে
    খোদার নূর দেখি যাঁর হাসির ইশারাতে
    যাঁর কদমের নীচে দুলে কত জিন্নাত,
    যে দু’হাতে বিলালো দুনিয়ায় খোদার মোহাব্বত
    হো মেরাজের দুলহা আল্লার আর্শচারী॥
    নয়নে যাঁর সদা খোদার রহমত ঝরে
    সংসার মরুবাসী পিয়াসার তরে
    আনিল যে কওসর সাহারা নিঙাড়ি’॥
    
  • মদির আঁখির সুধায় সাকি ডুবাও আমার

    বাণী

    মদির আঁখির সুধায় সাকি		ডুবাও আমার এ তনু মন
    আজিকে তোমায় ও আমায়		বেদনার বাসর জাগরণ।
    মঙ্গালস ও আঁখি তব,			সাকি, দিল দোলা প্রাণে।।
    বাদল-ছাওয়া এ গুল-বাগিচায়	বুলবুল কাঁদে গজল গানে।।
    গোলাবী গুলের নেশা			ছিল মোর ফুলেল ফাগুনে।
    শুকায়ে গিয়াছে ফুলবন,		নাই গোলাব গুলিস্তানে।।
    শুনি, সাকি তোমার কাছে		ব্যথা ভোলার দারু আছে —
    হিয়া কোন অমিয়া যাচে		জান তুমি, খোদা জানে।।
    দুখের পশরা লয়ে			বিফল কাঁদিয়া বৃথা (সাকি)।
    সকলি গিয়াছে যখন			যাক ঈমান শ্যরাব পানে।।
    
  • মদির স্বপনে মম বন-ভবনে

    বাণী

    মদির স্বপনে মম বন-ভবনে
    জাগো চঞ্চলা বাসন্তিকা, ওগো ক্ষণিকা।।
    মোর গগনের উল্কার প্রায়
    চমকি ক্ষণেক চকিতে মিলায়
    তোমার হাসির যুঁই-কণিকা।।
    পুষ্প ধনু তব মন-রাঙানো
    বঙ্কিম ভুরু হানো হানো।
    তোমার উতল উত্তরীয়
    আমার চোখে ছুঁইয়ে দিও (প্রিয়)
    আমি হব (ওগো) তোমার মালার মণিকা।।
    
  • মধুকর মঞ্জির বাজে

    বাণী

    মধুকর মঞ্জির বাজে বাজে
    		গুন্‌ গুন্‌ মঞ্জুল গুঞ্জরণে।
    মৃদুল দোদুল নৃত্যে
    		বন শবরী মাতে কুঞ্জবনে।।
    বাজাইছে সমীর দখিনা
    পল্লবে মর্মর বীণা,
    বনভুমি ধ্যান–আসীনা
    		সাজিল রাঙা কিশলয়–বসনে।।
    ধূলি ধূসর প্রান্তর পরেছিল গৈরিক সন্ন্যাস–সাজ
    নব–দূর্বাদল শ্যাম হলো আনন্দে আজ।
    লতিকা–বিতানে ওঠে ডাকি’
    মুহু মুহু ঘুমহারা পাখি
    নব নীল অঞ্জন মাখি’
    		উদাসী আকাশ হাসে চাঁদের সনে।।
    

  • মধুর আরতি তব বিশ্ব সভাতে

    বাণী

    মধুর আরতি তব বিশ্ব সভাতে
    নিত্য হেরি নাথ সন্ধ্যায় প্রভাতে।।
    চন্দ্র, সূর্য, দীপ গগন-থালা
    শ্বেত মেঘ-চন্দন, তারার মালা
    মলয় সমীর পূজা-ধূপের গন্ধ
    ঝরা ফুল-অঞ্জলি ধরণীর হাতে।।
    শঙ্খ বাজায় তব সাগর-কল্লোল
    বজ্র রবে ঘন ঘন্টার রোল
    বিগ্রহ নিখিল সৃষ্টি-আঙিনায়।
    (তব) শান্ত সত্ব-পাখা প্রণব-ওঙ্কার
    ঝমঝম বৃষ্টিতে ঝাঁঝর ঝঙ্কার।
    দেবদাসী সম কোটি গ্রহ ঘুরে ঘুরে
    তোমার বন্দনা-নৃত্যে মাতে।।
    
  • মন নিয়ে আমি লুকোচুরি খেলা খেলি

    বাণী

    পুরুষ		:	মন নিয়ে আমি লুকোচুরি খেলা খেলি প্রিয়ে।
    স্ত্রী		:	ধরিতে পারি না পেতে তাই প্রেম ফাঁদ —
    			তুমি মেঘ আমি চাঁদ, ফের গো কাঁদিয়ে।।
    পুরুষ		:	মন্দ বায় আমি গন্ধ লুটি শুধু —
    			চাই না আমি সে মধু;
    স্ত্রী		:	চাইনে চাইনে বঁধু —
    			তাহে নাই সুখ নাই, আমি পরশ যে চাই।
    পুরুষ		:	স্বপন-কুমার ফিরি যে আমি মন ভুলিয়ে।।
    উভয়ে	:	চল তবে যাই মোরা স্বপনের দেশে
    			জোছনায় ভেসে —
    			নন্দন-পারিজাত ফুল ফুটিয়ে।।
    
  • মন লহ নিতি নাম রাধা শ্যাম গাহো

    বাণী

    মন লহ নিতি নাম রাধা শ্যাম গাহো হরি গুণ গান।
    তব ধন জন প্রাণ, যাহার কৃপার দান
    জপ তারি নাম জয় ভগবান জয় ভগবান।।
    জনক-জননীর স্নেহে তাঁহার হেরিস্‌ তুই স্নেহময়,
    ভাই ভগিনীর প্রীতিতে যাঁর, শান্ত মধুর পরিচয়।
    প্রণয়ী বন্ধুর মাঝে, যাঁর প্রেম রূপ বিরাজে;
    পুত্র কন্যা-রূপে সেই জুড়ায় তাপিত পরান।।
    তৃষ্ণা ক্ষুধায় সেই কৃষ্ণেরি লীলা,
    হাসে শ্যাম শস্যে কুসুমে রঙিলা;
    তরঙ্গে ছলছল আঁখি জল-নীলা,
    	কল-ভাষা নদী-কলতান।
    দেয় দুখ্‌ শোক সেই, পুন সেই করে ত্রাণ।
    জয় ভগবান, জয় ভগবান, জয় ভগবান।।
    
  • মনের রঙ লেগেছে বনের পলাশ

    বাণী

    মনের রঙ লেগেছে বনের পলাশ জবা অশোকে
    রঙের ঘোর জেগেছে পারুল কনক-চাঁপার চোখে।।
    মুহু মুহু বোলে কুহু কুহু কোয়েলা, মুকুলিত আমের ডালে
    				গাল রেখে ফুলের গালে।
    দোয়েলা দোল দিয়ে যায়, ডালিম ফুলের নব-কোরকে।।
    ফুলের পরাগ ফাগের রেণু ঝুরু ঝুরু ঝরিছে গায়ে
    				ঝিরি ঝিরি চৈতী বায়ে
    বকুল বনে ঝিমায় মধুপ মদির নেশার ঝোঁকে।।
    হরিত বনে হরষিত মনে হোরির হর্‌রা জাগে
    				রঙিলা অনুরাগে
    নূতন প্রণয়-সাধ জাগে চাঁদের রাঙা আলোকে।।
    
  • মম প্রাণ নিয়ে নিঠুর খেল এ কি খেলা

    বাণী

    মম প্রাণ নিয়ে নিঠুর খেল এ কি খেলা (হায়)।
    ক্ষণে ভালোবাসা হায় ক্ষণে অবহেলা।।
    সকালে গাঁথিয়া মালা পায়ে দল বিকালে তায়।
    তেমনি দলিতে চাহ আমার পরান কি হায়।
    সহিতে পারি না আর এই হেলাফেলা।
    জলরূপী একি কোন্ মরীচিকা তুমি কি গো।
    ডেকে এনে মরুভুমে বধিবে এ বনমৃগ।
    বুঝিয়াছি কখন হায় ফুরায়েছে বেলা।।
    
  • মম বন-ভবনে ঝুলন দোলনা দে দুলায়ে

    বাণী

    মম বন-ভবনে ঝুলন দোলনা দে দুলায়ে উতল পবনে
    মেঘ-দোলা দুলে বাদল গগনে।।
    আয় ব্রজের ঝিয়ারি পরি' সুনীল শাড়ি
    নীল কমল কুঁড়ি দুলায়ে শ্রবণে।।
    নবীন ধানের মঞ্জরি কর্ণে
    তপ্ত বক্ষ ঢাকি' শ্যামল পর্ণে
    ওড়না ছুপায়ে রাঙা রামধনু বর্ণে
    আয় প্রেম-কুমারীরা আয় লো,
    উদাসী বাঁশীর সুরে ডাকে শ্যামরায় লো।
    ঝরিবে আকাশে অবিরল বৃষ্টি
    শ্যাম-সখা সাথে হবে শুভ-দৃষ্টি
    এই ঝুলনের মধু-লগনে।।