কাহার্‌বা

  • যে অবহেলা দিয়ে মোরে

    বাণী

    যে	অবহেলা দিয়ে মোরে করিল পাষাণ।
    সখি	কেন কেঁদে ওঠে তারি তরে মোর প্রাণ।।
    	যে ফুল ফুটায়ে তার মধু নিল না
    মোরে	ধরার ধূলিতে এনে ধরা দিল না,
    কেন	তার তরে বুকে এত জাগে অভিমান।।
    মোর	প্রেম-অঞ্জলি সে যত যায় দলি’
    তারে	তত জড়াতে চাই, শ্যাম-সুন্দর বলি’,
    	চাঁদ সে যে আকাশের সে ধরা দেয় না
    তবু	চকোরীর ভুল হয় নাকো অবসান।।
    
  • যে আল্লার কথা শোনে

    বাণী

    যে আল্লার কথা শোনে তারি কথা শোনে লোকে।
    আল্লার নূর যে দেখেছে পথ পায় লোক তার আলোকে।।
    	যে আপনার হাত দেয় আল্লায়
    	জুল্‌ফিকারের তেজ সে পায়,
    যার চোখে আছে খোদার জ্যোতি রাত্রি পোহায় তারি চোখে।।
    ভোগের তৃষ্ণা মিটেছে যার খোদার প্রেমের শিরনি পেয়ে,
    যায় বাদ্‌শা-নবাব গোলাম হ'য়ে সেই ফকিরের কাছে যেয়ে।
    আসে সেই কওমের ইমাম সেজে কওমকে পেয়েছে যে,
    তারি কাছে খোদার দেওয়া শান্তি আছে দুখে-শোকে।। 
    
  • যে পাষাণ হানি বারে বারে তুমি

    বাণী

    যে পাষাণ হানি বারে বারে তুমি আঘাত করেছ, স্বামী,
    সে পাষাণ দিয়ে তোমার পূজায় এ মিনতি রাখি আমি।।
    	যে আগুন দিলে দহিতে আমারে
    	হে নাথ, নিভিতে দিইনি তাহারে;
    আরতি প্রদীপ হয়ে তারি বিভা বুকে জ্বলে দিবা-যামী।।
    তুমি যাহা দাও প্রিয়তম মোর তাহা কি ফেলিতে পারি,
    তাই নিয়ে তব অভিষেক করি নয়নে দিলে যে বারি।
    	ভুলিয়াও মনে কর না যাহারে,
    	হে নাথ, বেদনা দাও না তাহারে,
    ভুলিতে পারো না মোরে, ব্যথা দেওয়া ছলে, তাই নিচে আসো নামি'।।
    
  • যে পেয়েছে আল্লার নাম সোনার কাঠি

    বাণী

    	যে পেয়েছে আল্লার নাম সোনার কাঠি,
    	তার কাছে ভাই এই দুনিয়া দুধের বাটি॥
    	দীন দুনিয়া দুই-ই পায় সে মজা লোটে,
    	রোজা রেখে সন্ধ্যাবেলা শিরনি জোটে,
    সে	সদাই বিভোর পিয়ে খোদার এশ্‌ক খাঁটি॥
    সে	গৃহী তবু ঘরে তাহার মন থাকে না,
    	হাঁসের মতন জলে থেকেও জল মাখে না;
    তার	সবই সমান খাঁটি সোনা এঁটেল্ মাটি॥
    	সবই খোদার দান ভেবে সে গ্রহণ করে,
    	দুঃখ-অভাব সুখের মতই জড়িয়ে ধরে,
    	ভোগ করে সে নিত্য বেহেশ্‌ত্‌ পরিপাটি॥
    
  • যে ব্যথায় এ অন্তর-তল নিশিদিন উঠিছে দুলে

    বাণী

    যে ব্যথায় এ অন্তর-তল নিশিদিন উঠিছে দুলে'।
    তারি ঢেউ এ সঙ্গীতে মোর মুরছায় সুরের কূলে।।
    	ভালোবাসা তোমরা যারে
    	দু'দিনেই ভোলো গো তারে (হায়)
    শরতের সজল মেঘ-প্রায় কেঁদে যাও নিমেষে ভুলে।।
    	কঠিন পুরুষেরি মন
    	গলিয়া বহে গো যখন
    বহে সে নদীর মতন চিরদিন পাষাণ-মূলে।।
    আলোর লাগি' জাগে ফুল, নদী ধায় সাগরে যেমন,
    চকোর চায় চাঁদ, চাতক মেঘ, যারে চায় তায় চাহে এই রে মন।
    নিয়ে যায় সুদূর অমরায় পূজে তায় বাণী-দেউলে।।
    

  • যেদিন রোজ হাশরে করতে বিচার

    বাণী

    যেদিন		রোজ হাশরে করতে বিচার তুমি হবে কাজী
    		সেদিন তোমার দিদার আমি পাব কি আল্লাজী।।
    		সেদিন নাকি তোমার ভীষণ কাহ্‌হার রূপ দেখে
    		পীর পয়গম্বর কাঁদবে ভয়ে ‘ইয়া নফসী’ ডেকে;
    		সেই সুদিনের আশায় আমি নাচি এখন থেকে।
    আমি		তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজী।
    আল্লাহ 		তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজি।।
    		যেরূপে হোক বারেক যদি দেখে তোমায় কেহ
    		দোজখ্‌ কি আর ছুঁতে পারে পবিত্র তাঁর দেহ।
    সে 		হোক না কেন হাজার পাপী হোক না বে-নামাজী।।
    		ইয়া আল্লাহ, তোমার দয়া কত তাই দেখাবে ব’লে
    		রোজ-হাশরে দেখা দেবে বিচার করার ছলে, —
    		প্রেমিক বিনে কে বুঝিবে তোমার এ কারসাজি।।
    
  • যেদিন লব বিদায়

    বাণী

    		যেদিন লব বিদায় ধরা ছাড়ি প্রিয়ে।
    		ধুয়ো ‘লাশ’ আমার লাল পানি দিয়ে।।
    শেয়র:	শারাবী জমশেদী গজল ‘জানাজায়’ গাহিও আমার
    		দিবে গোর খুঁড়িয়া মাটি খারারী ঐ শারাব-খানার!
    		‘রোজ-কিয়ামতে’ তাজা উঠব জিয়ে।।
    শেয়র:	এমনি পিইব শারাব ভেসে যাব তাহার স্রোতে,
    		উঠিবে খুশবু শারাবের আমার ঐ গোরের পার হতে;
    		টলি’ পড়বে পথিক সে নেশায় ঝিমিয়ে।।
    
  • রঙ্গিলা আপনি রাধা

    বাণী

    রঙ্গিলা আপনি রাধা তারে হোরির রঙ দিও না
    ফাগুনের রাণীরে শ্যাম আর ফাগে রাঙিয়ো না।।
    	রাঙা আবির রাঙ্গা ঠোঁটে
    	গালে ফাগের লালী ফোটে
    রঙ সায়রে নেয়ে উঠে অঙ্গে ঝরে রঙের সোনা।।
    	অনুরাগ –রাঙা মনে
    	রঙের খেলা ক্ষণে ক্ষণে
    অন্তরে যার রঙের লীলা তারে বাহিরে রঙ লাগিয়ো না।।
    
  • রংমহলের রংমশাল মোরা

    বাণী

    রংমহলের রংমশাল মোরা আমরা রূপের দীপালি।
    রূপের কাননে আমরা ফুলদল কুন্দ মল্লিকা শেফালি।।
    	রূপের দেউলে আমি পূজারিণী
    	রূপের হাটে মোর নিতি বিকিকিনি,
    	নৌবতে আমি প্রাতে আশাবরি,
    			আমি সাঁঝে কাঁদি ভূপালী।।
    	আমি শরম-রাঙা চোখের নেশা,
    	লাল শারাব আমি আঙুর-পেষা,
    	আঁখিজলে গাঁথা আমি মোতি-মালা,
    			দীপাধারে মোরা প্রাণ জ্বালি।।
    
  • রাখিস্‌নে ধরিয়া মোরে ডেকেছে মদিনা

    বাণী

    রাখিস্‌নে ধরিয়া মোরে, ডেকেছে মদিনা আমায়।
    আরাফাত্‌ময়দান হতে তারি তক্‌বীর শোনা যায়।।
    কেটেছে পায়ের বেড়ি, পেয়েছি আজাদী ফরমান,
    কাটিল জিন্দেগী বৃথাই দুনিয়ার জিন্দান-খানায়।।
    ফুটিল নবীর মুখে যেখানে খোদার বাণী
    উঠিল প্রথম তক্‌বীর ‘আল্লাহ্ আকবর’ ধ্বনি,
    যে দেশে পাহাড়ে মুসা দেখিল খোদার জ্যোতি — 
    রব না দারুল হরবে যেতে দে যেতে দে সেথায়।।
    যে দেশে ধূলিতে আছে হজরতের চরণ-ধূলি
    সে ধূলি করিব সুরমা চুমিব নয়নে তুলি’,
    যে দেশের মাটিতে আছে নবীজীর মাজার শরিফ — 
    নবীজীর দেহের পুষ্প ভাসে রে যে দেশের হাওয়ায়।।
    
  • রাঙা পির্‌হান প'রে শিশু নবী খেলেন পথে

    বাণী

    রাঙা পির্‌হান প'রে শিশু নবী খেলেন পথে।
    দেখে হুর-পরীরা সব লুকিয়ে বেহেশ্‌ত হ'তে।।
    মোহনী সুরত বাঁকা চাঁদে চন্দন মাখা।
    নূরানী রওশনী তাঁর চমকে দিনের আলোতে।।
    নাচের তালে তালে সোনার তাবিজ দোলে,
    চরণ তলে ধূলি কাঁদে মোহাম্মদ ব'লে।
    নীল রেশমি রুমাল বাঁধা তাঁর চাঁচর কেশে
    রাঙা সালোয়ার প'রে নাচে সে হেসে হেসে,
    খোদার আরশ টলে সে রূপ-সুধা-স্রোতে।।
    
  • রাধা শ্যাম কিশোর প্রিয়তম কৃষ্ণগোপাল

    বাণী

    রাধা শ্যাম কিশোর প্রিয়তম কৃষ্ণগোপাল বনমালী ব্রজের রাখাল।
    কৃষ্ণ গোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল
    কভু শ্যাম রাঘব, কভু শ্যাম মাধব, কভু সে কেশব যাদব ভূপাল॥
    যমুনা বিহারী মুরলীধারী, বুন্দাবনে সখা গোপী মনহারী,
    কভু মথুরাপতি কভু পার্থসারথি কভু ব্রজে যশোদা আনন্দ দুলাল॥
    দোলে গলে তাহার মন বন ফুলহার,
    বাজে চরণে নূপুর গ্রহ তারকার কোটি গ্রহ তারকার।
    কালিয়-দমন কভু, করাল মুরারি কাননচারী শিখী পাখা ধারী;
    শ্যামল সুন্দর গিরিধারীলাল।
    কৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল॥
    
  • রাধাকৃষ্ণ নামের মালা

    বাণী

    দ্বৈত	:	রাধাকৃষ্ণ নামের মালা
    		জপ দিবানিশি নিরালা॥
    পুরুষ	:	অগতির গতি গোকুলের পতি
    স্ত্রী	:	শ্রীকৃষ্ণে ভক্তি দেয় যে শ্রীমতী
    পুরুষ	:	ভব-সাগরে কৃষ্ণ নাম ধ্রুবজ্যোতি
    দ্বৈত	:	সেই কৃষ্ণের প্রিয়া ব্রজবালা॥
    স্ত্রী	:	পাপ-তাপ হবে দুর হরির নামে
    		শ্রীমতী রাধা যে হরির বামে
    পুরুষ	:	ঐ নাম জপি’ যাবি গোলকধামে
    দ্বৈত	:	সেই রাধা নাম হবে দুঃখ জ্বালা॥
    স্ত্রী	:	সাধনে সিদ্ধ হবে রাধা ব’লে ডাকো
    পুরুষ	:	কৃষ্ণ-মূরতি হৃদি-মন্দিরে রাখো
    দ্বৈত	:	জপ রে যুগল নাম রাধাশ্যাম
    		এই আঁধার জগৎ হবে আলো॥
    
  • রাস-মঞ্চে দোল-দোল লাগে রে

    বাণী

    রাস-মঞ্চে দোল-দোল লাগে রে, জাগে ঘূর্ণি-নৃত্যের দোল।
    আজি রাস-নৃত্য নিরাশ চিত্ত জাগো রে,
    চল যুগলে যুগলে বন-ভবনে -  
    আনো নিথর হেমন্ত হিম পবনে চঞ্চল হিল্লোল॥
    শতরূপে প্রকাশ আজি শ্রী হরি,
    শত দিকে শত সুরে বাজে বাঁশরি -  
    সকল গোপিনী আজি রাই কিশোরী, -
    যাবে তৃষ্ণা, পাবে কৃষ্ণের কোল॥
    তরল তাল ছন্দ-দুলাল নন্দ-দুলাল নাচে রে,
    অপরূপ রঙ্গে নৃত্য-বিভঙ্গে অঙ্গের পরশ যাচে রে;
    মানস-গঙ্গা অধীর-তরঙ্গা প্রেমের-যমুনা হ’ল রে উতরোল॥
    

  • রিমি ঝিম্ রিমি ঝিম্ ঐ নামিল দেয়া

    বাণী

    রিমি ঝিম্ রিমি ঝিম্ ঐ নামিল দেয়া।
    শুনি’		শিহরে কদম, বিদরে কেয়া।।
    			ঝিলে শাপলা কমল
    			ওই মলিল দল,
    		মেঘ-অন্ধ গগন, বন্ধ খেয়া।।
    		বারি-ধারে কাঁদে চারিধার
    		ঘরে ঘরে রুদ্ধ দুয়ার,
    		তেপান্তরে নাচে একা আলেয়া।।
    কাঁদে 	চখাচখি, কাঁদে বনে কেকা
    		দীপ নিভায়ে কাঁদি আমি একা,
    আজ 		মনে পড়ে সেই মন দেয়া-নেয়া।।
    
  • রিম্‌ ঝিম্‌ রিম্‌ঝিম্ ঝিম্‌ ঘন দেয়া বরষে

    বাণী

    রিম্‌ ঝিম্‌ রিম্‌ঝিম্‌ ঝিম্‌ ঘন দেয়া বরষে।
    কাজরি নাচিয়া চল, পুর-নারী হরষে।।
    কদম তমাল ডালে দোলনা দোলে
    কুহু পাপিয়া ময়ূর বোলে,
    মনের বনের মুকুল খোলে
    নট-শ্যাম সুন্দর মেঘ পরশে।।
    হৃদয়-যমুনা আজ কূল জানে না গো,
    মনের রাধা আজ বাধা মানে না গো।
    ডাকিছে ঘর-ছাড়া ঝড়ের বাঁশি
    অশনি আঘাত হানে দুয়ারে আসি’,
    গরজাক গুরুজন ভবনবাসী —
    আমরা বাহিরে যাব ঘনশ্যাম দরশে।।
    

    নাটকঃ ‌‘অর্জুন বিজয়’

  • রুমঝুম্ রুমঝুম্ রুমঝুম্ ঝুম্‌ঝুম্‌

    বাণী

    রুমঝুম্ রুমঝুম্ রুমঝুম্ ঝুম্‌ঝুম্‌
    নূপুর বাজে আসিল রে প্রিয় আসিল রে।।
    	কদম্ব-কলি শিহরে আবেশে
    	বেণীর তৃষ্ণা জাগে এলোকেশে
    হৃদি ব্রজধাম রস-তরঙ্গে প্রেম-আনন্দে ভাসিল রে।।
    	ধরিল রূপ অরূপ শ্রী হরি
    	ধরণী হলো নবীনা কিশোরী
    চন্দ্রার কুঞ্জ ছেড়ে যেন কৃষ্ণ চন্দ্রমা-গগনে হাসিল রে।।
    	আবার মল্লিকা-মালতী ফোটে
    	বিরহ-যমুনা উথলি’ ওঠে
    রোদন ভুলে রাধা গাহিয়া ওঠে সুন্দর মোর ভালোবাসিল রে।।
    

  • রুম্ ঝুম্ ঝুম্ ঝুম্ রুম্ ঝুম্ ঝুম্

    বাণী

    রুম্ ঝুম্ ঝুম্ ঝুম্ রুম্ ঝুম্ ঝুম্
    	খেজুর পাতার নূপুর বাজায়ে কে যায়।
    ওড়না তাহার ঘূর্ণি হাওয়ায় দোলে
    	কুসুম ছড়ায় পথের বালুকায়।।
    তার ভুরুর ধনুক বেঁকে ওঠে তনুর তলোয়ার,
    সে যেতে যেতে ছড়ায় পথে পাথর-কুচির হার।
    তার ডালিম ফুলের ডালি গোলাপ-গালের লালি
    			ঈদের-চাঁদ ও চায়।।
    আরবি ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে, বাদ্‌শাজাদা বুঝি
    সাহারাতে ফেরে সেই মরীচিকা খুঁজি
    কত তরুণ মুসাফির পথ হারালো, হায়!
    কত বনের হরিণ মরে তারি-রূপ তৃষায়।।
    

    সিনেমাঃ‘চৌরঙ্গী’

  • রুম্ ঝুম্ ঝুম্ বাদল নূপুর বোলে

    বাণী

    রুম্ ঝুম্ ঝুম্ বাদল নূপুর বোলে বোলে,
    তমাল বরণী কে নাচে, কে নাচে গগন কোলে।।
    তার অঙ্গের লাবনি যেন ঝরে অবিরল
    হয়ে শীতল মেঘলা মতির ধারা জল।
    কদম ফুলের পীত উত্তরী তার পূব হাওয়াতে দোলে।।
    বিজলি ঝিলিকে কার বনমালার আভাস জাগে
    বন কুন্তলা ধরা হলো শ্যাম মনোহরা তাহারি অনুরাগে।
    কারে হেরি পাপিয়া পিয়া পিয়া কহে
    সাগর কাঁদে নদী জল বহে
    ময়ূর-ময়ূরী বন-শবরী নাচে ট’লে ট’লে।।
    

    বেতার গীতিকা: ‌‘বর্ষা মোদের প্রাণ’

  • রোজ হাশরে আল্লা আমার ক'রো না বিচার

    বাণী

    রোজ হাশরে আল্লা আমার ক'রো না বিচার (আল্লা)
    বিচার চাহি না তোমার দয়া চাহে এ গুনাহ্‌গার।।
    	আমি জেনে শুনে জীবন ভ'রে
    	দোষ করেছি ঘরে পরে
    আশা নাই যে যাব ত'রে বিচারে তোমার।।
    বিচার যদি করবে কেন রহমান নাম নিলে।
    ঐ নামের গুণেই ত'রে যাব, কেন এ জ্ঞান দিলে।
    	দীন ভিখারি ব'লে আমি
    	ভিক্ষা যখন চাইব স্বামী
    শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিতে পারবে নাকো আর।।