কাহার্‌বা

  • লক্ষ্মী মাগো এস ঘরে

    বাণী

    লক্ষ্মী মাগো এস ঘরে সোনার ঝাঁপি লয়ে করে।
    কমল-বনের কমলা গো বিহর হৃদি-কমল পরে।।
    	কোজাগরী-পূর্ণিমাতে
    	দাঁড়াও আকাশ-আঙ্গিনাতে,
    মা গো, তোমার লক্ষ্মী শ্রী জোছনা-ধারায় পড়ুক ঝরে।।
    চঞ্চলা গো, এই ভবনে থাকো অচঞ্চলা হয়ে,
    দারিদ্র্য আর অভাব যত দূর হোক মা তোর উদয়ে।
    	সুমঙ্গলা দুঃখ-হরা।
    	অমৃত দাও পাত্র-ভরা,
    ঐশ্বর্য উপ্‌চে পড়ুক, হরি-প্রিয়া তোমার বরে।।
    

    ‘লক্ষ্মী-বন্দনা’

  • লক্ষ্মী মাগো নারায়ণী আয়

    বাণী

    লক্ষ্মী মাগো নারায়ণী আয় এ আঙিনাতে।
    সুধার পাত্র সোনার ঝাঁপি ল’য়ে শুভ হাতে।।
    	সৌভাগ্যদায়িনী তুই মা এসে
    	দারিদ্র্য ক্লেশ নাশ কর মা হেসে
    কোজাগরী পূর্ণিমা আন মা দুঃখের আঁধার রাতে।।
    আন্‌ কল্যাণ শান্তি শ্রী, জননী কমলা,
    এ অভাবের সংসারে থাক মা হয়ে অচঞ্চলা।
    	রূপ দে মা যশ দে, দে জয়,
    	অভয় পদে দে মা আশ্রয়,
    ধরা ভরবে শস্যে ফুলে ফলে মা তোর আসার সাথে।।
    
  • লহ সালাম লহ দ্বীনের বাদশাহ

    বাণী

    লহ সালাম লহ, দ্বীনের বাদশাহ, জয় আখেরি নবী।
    পীড়িত জনগণে মুক্তি দিতে এলে হে নবীকুলের রবি।।
    	তুমি আসার আগে ধরার মজলুম
    	করিত ফরিয়াদ, চোখে ছিল না ঘুম,
    ধরার জিন্দানে, বন্দী ইনসানে আজাদি দিতে এলে হে প্রিয় আল-আরবি।।
    	তব দামন ধরি’ যত গোনাহগার,
    	মাগিল আশ্রয়, তুমিই করিবে পার।
    	মানুষ ছিল আগে বন্য পশু প্রায়
    	কাঁদিত পাপে তাপে অভাব ও বেদনায়,
    শান্তি-দাতা রূপে সহসা এলে তুমি ফুটিল দুনিয়াতে নব বেহেশ্‌তের ছবি।।
    
  • লাম্ পম্ লাম্ পম্ লাম্ পম্ পম্

    বাণী

    উপস্থাপকের বক্তব্যঃ [লেডিস্ এ্যান্ড জেন্টেল্‌ম্যান !
    আজ আমাদের এই প্রীতি সম্মিলনে আপনারা যে অনুগ্রহ ক’রে যোগদান করেছেন, তার জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকের অনুষ্ঠানে সর্ব প্রথমেই আপনাদের অভিবাদন করবেন লোক-প্রিয় হাস্যরসিক শ্রী রঞ্জিত রায়। তিনি পরিবেশন করবেন ‘নাচের চুম্বক’। অর্থাৎ প্রত্যেক শ্রেণীর নৃত্যের সারটুকু। ইয়েস্ রেড়ি বয়, ওয়ান ! টু !!]
    লাম্ পম্ লাম্ পম্, লাম্ পম্ পম্ পম্ পম্ পম্ পম্ পম্।
    দুর্বল ডান্সের লম্-ফম্, ফম্ ঝম্-ফম্ ভুড়ি কম্‌-পম্
    মারে ডম্‌ফাই দিল্লী বোম্বাই হনুলুলু হংকং॥
    বাঁশের কঞ্চি এগার ইঞ্চি নাচে মেমের বোন্‌ঝি,
    হ্যাঁদা-খ্যাঁদার পরান ছ্যাঁদা, ভিজল ঘামে গেঞ্জি,
    	তার ভিজল ঘামে গেঞ্জি।
    কেৎরে চক্ষু দেখে মট্‌কু, আরে ও-চামারু ছক্‌কু —
    	সে চোম্‌ড়ায় দাড়ি গুম্‌ফম্॥
    ল্যাংড়া-লেংড়ি হিল্লায় ঠেংরি, উস্‌খুস্‌, করে চ্যাংড়া-চেংড়ি।
    যেন এই ট্যাংরার হাটে গল্‌দা চিংড়ি ঝুড়িতে খেলে পিং-পং॥
    
  • লায়লী তোমার এসেছে ফিরিয়া

    বাণী

    লায়লী তোমার এসেছে ফিরিয়া মজনুঁ গো আঁখি খোলো।
    প্রিয়তম! এতদিনে বিরহের নিশি বুঝি ভোর হলো।।
    মজনুঁ! তোমার কাঁদন শুনিয়া মরু–নদী পর্বতে
    বন্দিনী আজ ভেঙেছে পিঞ্জর বাহির হয়েছে পথে।
    আজিদখিনা বাতাস বহে অনুকূল,
    		ফুটেছে গোলাপ নার্গিস ফুল,
    ওগো বুলবুল, ফুটন্ত সেই গুলবাগিচায় দোলো।।
    বনের হরিণ–হরিণী কাঁদিয়া পথ দেখায়েছে মোরে,
    হুরী ও পরীরা ঝুরিয়া ঝুরিয়া চাঁদের প্রদীপ ধ’রে।
    		আমার নয়নে নয়ন রাখিয়া
    		কি বলিতে চাও, হে পরান–পিয়া!
    নাম ধ’রে ডাকো ডাকো মোরে স্বামী
    		ভোলো অভিমান ভোলো।।
    

  • লুকোচুরি খেলতে হরি হার মেনেছ

    বাণী

    লুকোচুরি খেলতে হরি হার মেনেছ আমার সনে
    লুকাতে চাও বৃথা হে শ্যাম, ধরা পড় ক্ষণে ক্ষণে।।
    গহন মেঘে লুকাতে চাও অম্‌নি রাঙা, চরণ লেগে
    যে পথে ধাও সে পথ ওঠে ইন্দ্রধনুর রঙে রেঙে,
    চপল হাসি চম্‌কে বেড়ায় বিজলিতে নীল গগনে।।
    রবি-শশী-গ্রহ-তারা তোমার কথা দেয় প্রকাশি’
    ঐ আলোতে হেরি তোমার তনুর জ্যোতি মুখের হাসি।
    হাজার কুসুম ফুটে’ ওঠে লুকাও যখন শ্যামল বনে।
    মনের মাঝে যেম্‌নি লুকাও, মন হয়ে যায় অম্‌নি মুনি,
    ব্যথায় তোমার পরশ যে পাই, ঝড়ের রাতে বংশী শুনি
    দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে লুকাও আমার এই নয়নে
    দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে থাক আমার এই নয়নে।।
    
  • শক্তের তুই ভক্ত শ্যামা

    বাণী

    শক্তের তুই ভক্ত শ্যামা (তোরে) যায় না পাওয়া কেঁদে।
    (তাই) শাক্ত সাধক রাখে তোরে ভক্তি-ডোরে বেঁধে।।
    (মা) শাক্ত বড় শক্ত ছেলে
    (সে) জানে দড়ি আলগা পেলে
    যাবি পালিয়ে চোখে ধূলা দিয়ে মায়া জালে বেঁধে।।
    (তুই) সুরাসুরে ভুলিয়ে রাখিস্‌ ইন্দ্রত্বের মোহে,
    (ওমা) গুণের কিছু ঘাট নাই তোর নির্গুণ তাই কহে।
    তোর মায়াতে ভুলে গিয়ে,
    বিষ্ণু ঘুমান লক্ষী নিয়ে
    (তোর) অন্ত খুঁজে শিব হয়েছেন ভবঘুরে বেদে।।
    

  • শা আর শুড়ি মিলে শাশুড়ি

    বাণী

    শা আর শুড়ি মিলে শাশুড়ি কি হয় গো।
    শ্যাম প্রেমে বাধা দেয় স্বামী তারে কয় গো।।
    নয় নদী মিলে হয় ননদিনী দজ্জাল,
    জুতো জামা-ই সার যার-জামাই সে মহাকাল,
    যার কসুর হয় না সে কে? — শ্বশুর মহাশয় গো।।
    (সে) ভাদ্দর-বউ, (যার) ভাদ্দর মাসে বিয়ে,
    দেবর সে জন — বর যে দেয় দাদারে দিয়ে।
    ভাসুর সে, অসুরের মত যারে ভয় গো।।
    বেহায়া চশম-খোর, তারে কি বেহাই কই,
    পিসিয়া মারেন বলে তারে (তাই) কি পিসি কই,
    সকলেরই ভাগ নেয় সে, ভাগ্‌নেরই জয় গো।।
    
  • শাওন আসিল ফিরে

    বাণী

    শাওন আসিল ফিরে সে ফিরে এল না
    বরষা ফুরায়ে গেল আশা তবু গেল না।
    ধানী রং ঘাগরি, মেঘ–রং ওড়না
    পরিতে আমারে মাগো, অনুরোধ ক’রো না
    কাজরির কাজল মেঘ পথ পেল খুঁজিয়া
    সে কি ফেরার পথ পেল না মা, পেল না।।
    আমার বিদেশিরে খুঁজিতে অনুক্ষণ
    বুনো হাঁসের পাখার মত উড়ু উড়ু করে মন।
    অথৈ জলে মাগো, মাঠ–ঘাট থৈ থৈ
    আমার হিয়ার আগুন নিভিল কই?
    কদম–কেশর বলে, ‘কোথা তোর কিশোর’,
    চম্পাডালে ঝুলে শূন্য দোলনা।।
    

  • শাওন রাতে যদি

    বাণী

    শাওন–রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে
    বাহিরে ঝড় বহে, নয়নে বারি ঝরে।।
    ভুলিও স্মৃতি মম, নিশীথ–স্বপন সম
    আঁচলের গাঁথা মালা ফেলিও পথ ‘পরে।।
    ঝুরিবে পূবালি বায় গহন দূর–বনে,
    রহিবে চাহি’ তুমি একেলা বাতায়নে।
    বিরহী কুহু–কেকা গাহিবে নীপ–শাখে
    যমুনা–নদীপারে শুনিবে কে যেন ডাকে।
    বিজলী দীপ–শিখা খুঁজিবে তোমায় প্রিয়া
    দু’ হাতে ঢেকো আঁখি যদি গো জলে ভরে।।
    
  • শাদী মোবারকবাদী শাদী মোবারক

    বাণী

    শাদী মোবারকবাদী শাদী মোবারক।
    দেয় মোবারক-বাদ আলম রসুলে-পাক আল্লা হক।।
    	আজ এ খুশির মাহফিলে
    	দুলহা ও দুলহিনে মিলে
    	মিলন হল প্রাণে প্রাণে
    		মাশুক আর আশক।।
    	আউলিয়া আম্বিয়া সবে
    	এসো এ মিলন-উৎসবে,
    	দোয়া কর আজ এ খুশির
    		গুলিস্তান গুলজার হোক।।
    

    নাটিকাঃ‘পুতুলের বিয়ে’

  • শিউলি ফুলের মালা দোলে

    বাণী

    শিউলি ফুলের মালা দোলে শারদ-রাতের বুকে ঐ
    এমন রাতে একলা জাগি সাথে জাগার সাথি কই।
    	বকুল বনে এক্‌লা পাখি,
    	আকুল হ’ল ডাকি’ ডাকি’,
    আমার প্রাণ থাকি’ থাকি’ তেমনি কেঁদে ওঠে সই।।
    কবরীতে করবী ফুল পরিয়া প্রেমের গরবিনী
    ঘুমায় বঁধু-বাহু পাশে, ঝিমায় দ্বারে নিশীথিনী।
    ডাকে আমায় দূরের বাঁশি কেমনে আজ ঘরে রই।।
    

    ১. ডেকে, ২. আর

  • শুকনো পাতার নূপুর পায়ে

    বাণী

    শুকনো পাতার নূপুর পায়ে
    		নাচিছে ঘুর্ণিবায়
    জল তরঙ্গে ঝিল্‌মিল্‌ ঝিল্‌মিল্‌
    		ঢেউ তুলে সে যায়।।
    দীঘির বুকে শতদল দলি’
    ঝরায়ে বকুল–চাঁপার কলি
    চঞ্চল ঝরনার জল ছল ছলি
    		মাঠের পথে সে ধায়।।
    বন–ফুল আভরণ খুলিয়া ফেলিয়া
    আলুথালু এলোকেশ গগনে মেলিয়া
    পাগলিনী নেচে যায় হেলিয়া দুলিয়া
    		ধূলি–ধূসর কায়।।
    ইরানি বালিকা যেন মরু–চারিণী
    পল্লীর–প্রান্তর–বনমনোহারিণী
    আসে ধেয়ে সহসা গৈরিক বরণী
    		বালুকার উড়্‌নি গায়।।
    
  • শুকসারী সম তনু মন মম

    বাণী

    শুকসারী সম তনু মন মম নিশিদিন গাহে তব নাম।
    শুকতারা সম ছলছল আঁখি পথ চেয়ে থাকি ঘনশ্যাম।।
    	হে চির সুন্দর আধো রাতে আসি’
    	বল বল কে বাজায় আশার বাঁশি,
    কেন মোর জীবন-মরণ শ্রীহরি তব শ্রীচরণে সঁপিলাম।
    কেন গোপন রোদনের যমুনায় জোয়ার আসে?
    কেন নব নীরদ মায়া ঘনায় হৃদি-আকাশে।
    	দেখা যদি নাহি দেবে কেন মোরে ডাকিলে
    	কেন, অনুরাগ-তিলক ললাটে আঁকিলে
    কেন কুহু কেকা সম বিরহ অভিমান অন্তরে কাঁদে অবিরাম।।
    
  • শুধু নামে যাঁহার এত মধু সে বঁধু কেমন

    বাণী

    শুধু নামে যাঁহার এত মধু সে বঁধু কেমন
    শুধু নাম শুনে যাঁর জাগে জোয়ার পরানে এমন।।
    	শুধু যাহার বাঁশির সুরে
    	আমার এত নয়ন ঝুরে
    ওগো না জানি তার রূপ কেমন মদন-মোহন।।
    সে বুঝি লো' অপরূপ সে চির-নতুন
    বাঁশির সুরের মতো আঁখি-সকরুণ।
    	তারে আমি দেখি যদি
    	কাঁদিব কি নিরবধি
    ওগো, যেমন ক'রে ঐ যমুনা কাঁদে অনুক্ষণ।।
    
  • শূন্য আজি গুল-বাগিচা যায় কেঁদে দখিন হাওয়া

    বাণী

    শূন্য আজি গুল-বাগিচা যায় কেঁদে দখিন হাওয়া।
    রাঙা গুলের বাজার আজি স্মৃতির কাটায় ছাওয়া।।
    ধূলি ঢাকা ফুল সমাধি আজি সে গুলিস্তানে
    ছিল যথায় খুশির জলসা বুলবুলির গজল গাওয়া।।
    শুকনো পাতায় ছেয়েছে আজ সাকির চরণ রেখা
    নাহি সেথায় বঁধুর লাগি বঁধূর আসা-যাওয়া।।
    নাহি মিঠা পানির নহর আছে প'ড়ে বালুচর
    এ যেন গো হৃদয়ের ভরা-ডুবির পথ বাওয়া।।
    
  • শোন শোন ইয়া ইলাহী আমার মোনাজাত

    বাণী

    শোন শোন, ইয়া ইলাহী,
    	আমার মোনাজাত।
    তোমারি নাম জপে যেন,
    	(আমার) হৃদয় দিবস-রাত।।
    যেন কানে শুনি সদা
    তোমারি কালাম হে খোদা,
    (আমি) চোখে যেন দেখি শুধু,
    	(দেখি) কোরআনের আয়াত।।
    মুখে যেন জপি আমি
    কলেমা তোমার দিবস-যামী,
    (তোমার) মসজিদেরি ঝাড়ু-বরদার,
    	(খোদা) হোক আমার এ হাত।
    সুখে তুমি, দুখে তুমি,
    চোখে তুমি, বুকে তুমি,
    এই পিয়াসি প্রাণে খোদা
    	(খোদা) তুমি আবহায়াত।।
    
  • শ্যাম সুন্দর মন-মন্দিরমে আও

    বাণী

    শ্যাম সুন্দর মন-মন্দিরমে আও আও।
    হৃদয়-কুঞ্জমে রাধা নাম কি বন্‌শী শুনাও শুনাও।।
    	বহতা যমুনা নয়ন-নীরকে
    	আও শ্যাম ওহি যমুনা তীরপে,
    বয়ঠি বনঠন ভক্তি-গোপীন কাহে তুম বিল্‌মাও আও আও।।
    চঞ্চল মোহন চরণ-কমল পে নুপুর বাজাও,
    প্রীতি চন্দন মনকে মেরে লেকে অঙ্গ সাজাও।
    	বিরহ কি মৌর পাপিহা বোলে
    	প্রেম কি নাইয়া ডগমগ ডোলে,
    আও কানাইয়া রাস রচাইয়া মধুর সুরত দেখ্‌লাও, আও আও।।
    
  • শ্যামা নামের ভেলায় চ'ড়ে

    বাণী

    শ্যামা নামের ভেলায় চ'ড়ে কাল-নদীতে দুলি।
    ঘাটে ঘাটে ঘটে ঘটে (আমি) সুরের লহর তুলি।।
    	কাল-তরঙ্গে ভাসিয়ে অঙ্গ,
    	দেখে বেড়াই কত রঙ্গ,
    কায়ায় কায়ায় রঙ-বেরঙের (ওরে) শত মায়ার ঠুলি।।
    জন্মান্তর ঘাটে ঘাটে ভাসি উঠি ডুবি
    মা নিশিদিন ডাকে আমায়, 'ওরে আয় আমারে ছুঁবি'।
    	মোরে কাল-স্রোতে ভাসানের ছলে
    	মা লীলা দেখান নাট-মহলে
    ওই খেলার (ছলে) শেষে আপনি এসে (মা) বক্ষে নেবেন তুলি।।
    
  • শ্যামা নামের লাগলো আগুন

    বাণী

    শ্যামা নামের লাগলো আগুন আমার দেহ ধূপ–কাঠিতে।
    যত জ্বলি সুবাস তত ছড়িয়ে পড়ে চারিভিতে।।
    		ভক্তি আমার ধূমের মত
    		উর্দ্ধে ওঠে অবিরত,
    শিব–লোকের দেব–দেউলে মা’র শ্রীচরণ পরশিতে।।
    ওগো অন্তর–লোক শুদ্ধ হল পবিত্র সেই ধূপ–সুবাসে,
    মা’র হাসিমুখ চিত্তে ভাসে চন্দ্রসম নীল আকাশে।
    		যা কিছু মোর পুড়ে কবে
    		চিরতরে ভস্ম হবে
    মা’র ললাটে আঁকব তিলক সেই ভস্ম–বিভূতিতে।।